Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বিচারের সামনে দাঁড়াতে হবে সবাইকে!
হিমাংশু সিংহ

গত সপ্তাহে একদিন দুপুরে হাতিবাগানে ঘুরছিলাম। ঝিরঝিরে বৃষ্টিতেও পুজোর মাত্র একমাস আগে এমন বিবর্ণ বিধান সরণি দেখিনি। কয়েকদিন আগে গড়িয়াহাটেও একই অভিজ্ঞতা হয়েছিল। বড় বড় ঝাঁ-চকচকে দোকানে সেলসম্যানের চেয়ে ক্রেতা কম। তবু তাঁদের পুঁজির জোর আছে সামলে নিতে পারবেন। কিন্তু ফুটপাতে? অধিকাংশ গরিব দোকানিরই দৃষ্টি শূন্য। বৃষ্টি কমতে যদিও বা ক্রেতার খোঁজ মিলল, তখনই পাশ দিয়ে প্রতিবাদ মিছিলের ঠেলায় আবার গাড়িঘোড়া থেমে গেল মুহূর্তে। বিচার প্রার্থীদের গর্জনে থমকে গেল কেনাকাটা। এক হকারকে প্রশ্ন করতেই বলল, ‘এবার আর বেশি কিছু হবে না দাদা, বেশ বুঝে গিয়েছি। গত একমাস বউনি করতেই হিমশিম খাচ্ছি। কুড়ি সালে করোনার পর এমন শুখা বাজার দেখিনি।’ সেবার ছিল প্রাণ বাঁচানোর তাগিদ আর এবার বিচার চাওয়ার হিড়িক। ভাবছিলাম, অন্ধকার বিষণ্ণতায় বাজারের মুখ ঢেকে দেওয়ার নামই কি বিচার? এই বিচার তো আসল দোষীকে ছেড়ে গরিবের পেটে লাথি মারার শামিল। কাকে শাস্তি দিচ্ছি আমরা, উসকোখুসকো চুলের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া শীর্ণ চেহারার মানুষগুলোকে? রাস্তার ধারে পসরা সাজিয়ে বসা এই মানুষগুলোর শেষ ভরসা এখন পুজোর আগের শেষ তিনটে রবিবার।
প্রশ্ন করি, এই শাস্তি কি ওদের প্রাপ্য ছিল? ওরা তো মৃত মানুষকে সচেতনভাবে ৭২ ঘণ্টা আইসিইউতে রেখে নার্সিহোমের বিল বাড়ায়নি, অহেতুক বিল চড়ছে দেখেও মুখে রা না-কাড়ার অন্যায়ে শামিল হয়নি। জাল ওষুধ আর মরা লাশের সিন্ডিকেটও তৈরি করেনি হাসপাতালে হাসপাতালে। পরীক্ষার নম্বর বাড়ায়নি, কমায়নি। প্রশ্নপত্র বিক্রি করেনি। ওষুধ কোম্পানির পয়সায় বিদেশ ভ্রমণ করেনি। ফিরে এসে সেই সংস্থার অনুরোধে দেদার একটি বিশেষ সংস্থার দামি ওষুধ লিখতেও বাধ্য হয়নি। এখনই যে রক্তপরীক্ষার দরকার নেই, তাও করতে চাপ দিয়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে মোটা কমিশন পকেটস্থ করেনি। বেসরকারি নার্সিংহোমের পকেট কাটা সিন্ডিকেটে নাম লেখায়নি। এক্ষেত্রে কি লক্ষ লক্ষ রোগীকে বিচার পাইয়ে দিতে শিরদাঁড়া সোজা রাখার দাবি উঠবে না। সমাজের জঞ্জাল সাফাই কখনও একমাত্রিক ব্যবস্থা হতে পারে?
দক্ষিণ ভারতের যে কোনও হাসপাতালে কলকাতার ডাক্তারদের প্রেসক্রিপশন দেখান, উল্টো দিকের বিশেষজ্ঞের মোটা কাচের চশমার ফাঁক গলে একটাই তির্যক মন্তব্য ধেয়ে আসবে, ‘কলকাতার ডাক্তাররা অহেতুক বেশি ওষুধ লেখেন।’ নিমেষে বেঙ্গালুরুর নিমহানস কিংবা সিএমসি ভেলোরে কলকাতার ডাক্তারের দেওয়া পাঁচটা ওষুধের ফিরিস্তি কমে হয়ে যায় দু’টো। কেন কে জানে! হাওড়া স্টেশনে দক্ষিণের ট্রেনগুলিতে মুমূর্ষু রোগী যাওয়ার ভিড় দেখেই বোঝা যায় পরিকাঠামো, হাসপাতাল ডাক্তারের কমতি না থাকলেও, ন্যায্য বিচার না পেয়েই তাঁরা ছুটে যাচ্ছেন চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, মুম্বই। আশা একটাই, যদি সুলভে আরোগ্য মেলে! মুমূর্ষুকে এইটুকু বিচার দেবেন না চিকিৎসক সমাজ?
ডাক্তারদের গত প্রায় দেড় মাসের টানা কর্মবিরতিতে ধাক্কা খেয়েছেন কারা? হলফ করে বলতে পারি, কোনও ধনীর এতটুকু অসুবিধা হয়নি। কারণ তাঁদের জন্য মহার্ঘ বেসরকারি হাসপাতালে পরিষেবা দিব্যি চালু আছে। সেখানে ‘পয়সা ফেকো তামাশা দেখো’! তাঁদের খরচেরও পরোয়া নেই, শাঁসালো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, মোটা টাকার স্বাস্থ্যবিমা, এককথায় আয়োজন সম্পূর্ণ। যোগাযোগও বিশাল। শুনছি, মাঝারি মাপের নার্সিংহোমেও পাঁচ লাখের বিল আট লাখ ছাড়াচ্ছে কর্মবিরতির মওকায়। পোয়াবারো ধুরন্ধর ব্যবসায়ীদের। বিচার চাওয়ার এই কানাগলিতে মার খাচ্ছে গরিব মানুষ। হয় তাঁদের বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করতে হচ্ছে কিংবা ঘটিবাটি বেচে নার্সিংহোমে ছুটতে হচ্ছে পয়সা খরচের প্রতিযোগিতায় নাম লেখাতে। নার্সিংহোমের অসাধু সিন্ডিকেট ভাঙার দায়িত্বও কিন্তু ডাক্তারদের। নাহলে  জঞ্জাল সাফাই অসম্পূর্ণই থেকে যাবে।
এই মুহূর্তে কলকাতায় সাধারণ থেকে বিশেষ মানের ডাক্তারদের ফিজ হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা। রোগী দেখার সময় গড়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট। হাসপাতালের ওপিডি বন্ধ থাকলে ক’জন ওই টাকা দিয়ে প্রাইভেট চেম্বারে ডাক্তার দেখাতে আর্থিকভাবে সমর্থ। অথচ অভয়ার উপর পাশবিক অত্যাচারের সঙ্গে কোনও গরিব হকার, দোকানি, ফেরিওয়ালা, প্রান্তিক মানুষ কিন্তু জড়িত নন। শেষ পর্যন্ত সিবিআই তদন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে আমরা জানি না। মোমবাতি জ্বেলে বসে থাকলেই দোষী শাস্তি পাবে না। তার জন্য চাই প্রমাণ। তবে এটুকু জানি, অভিযুক্তরা হচ্ছেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার, কলেজের দোর্দণ্ডপ্রতাপ অধ্যক্ষ ডাক্তার সন্দীপ ঘোষ ও তাঁর অনুগামী চিকিৎসককুল। তথ্য-প্রমাণ নষ্ট করার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। তাহলে আসল দোষীদের ছেড়ে কাকে শিক্ষা দিচ্ছি? এ তো ঝিকে মেরে বউকে শিক্ষা দেওয়ার শামিল। এরই ধাক্কায় রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথীতে দৈনিক যেখানে ৩ কোটি টাকা খরচ হতো, এই কর্মবিরতির জেরে গত দেড় মাসে তা বেড়ে ৬ কোটি টাকা হয়েছে। সঙ্গে রাজ্যের অর্ধেক জেলা বন্যা কবলিত। তাই দুর্গতদের বিচার দিতে শুধু ইমার্জেন্সি নয়, অবিলম্বে সরকারি হাসপাতালের প্রতিটি বিভাগকে সচল ও স্বাভাবিক করতে হবে। না-হলে রাজ্যের কয়েক কোটি বন্যা দুর্গত মানুষ ন্যায় থেকে বঞ্চিত হবেন। অন্তত দশটি জেলা পুজোর আগে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত। সাপের কামড়, ডায়রিয়া, জ্বর এই বন্যা দুর্গতদের নিত্যসঙ্গী। তাঁরা কোথায় যাবেন। হাসপাতাল শুধু আংশিক চালু রেখে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যাবে? নাকি রোগীর প্রতি নিবেদিত প্রাণ অকুতোভয় অভয়া এভাবে বিচার পেতে পারে? শুধু ইমার্জেন্সি কিংবা জরুরি পরিষেবাই তো হাসপাতালের সব নয়। জরুরি অপারেশন, হাসপাতালে অ্যাডমিশন প্রক্রিয়াসহ যাবতীয় পরিষেবা চালু না-হলে কার লাভ? 
আজ এই লেখা যখন লিখছি তখন আর পুজোর আগে তিনটে রবিবার বাকি। উৎসব না হোক, বাজারে কেনাকাটা বাড়ুক। লেনদেন হোক পুরোদমে। না-হলে বাংলার অর্থনীতি ভেঙে পড়বে। গরিব দিনআনা দিনখাওয়াদের অবস্থা হবে শোচনীয়। তখন এরাও ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ বলে রাস্তায় বসে পড়বে কিন্তু। যদিও গরিব মানুষের সেই ধর্নায় থরে থরে বিরিয়ানি, চাউমিন, ফল, জুস, কুকিজ পৌঁছে দেওয়ার স্পনসর পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না। নিদেনপক্ষে একগাল মুড়ি। কে না জানে গরিবের ভাঙা আকাশের তলায় বিচার চিরদিনই দূরঅস্ত! আর মুখ্যমন্ত্রী উৎসবে ফিরতে বলেছেন বলে যাঁদের গোঁসা সপ্তমে ওঠে  তাঁদের সবিনয়ে বলি, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে বৈঠক সেরে ফিরে ধর্না মঞ্চের উদ্দাম নাচ কোন সংস্কৃতির প্রতীক? মুখ্যমন্ত্রী উৎসবের আড়ালে পুজোর অর্থনীতিকে সচল করার কথাই বলেছেন। তার বেশি কিছু নয়। মধ্যরাতে ডিস্কো নাচ করতে বলেননি।
ভুললে চলবে না, পশ্চিমবঙ্গের বুকে গত ৪০ দিন কর্মবিরতি করলেও হাউসস্টাফ, ইন্টার্নরা কিন্তু তাঁদের মাসিক ভাতা, স্টাইপেন্ড সব ঠিকঠাকই পেয়ে গিয়েছেন। একদিনের জন্যও তা পেতে অসুবিধা হয়নি। সেই টাকার অঙ্কটা মাথাপিছু ৪০ থেকে ৭২ হাজার টাকার মতো। এই খাতে সরকারের কোটি কোটি টাকা খরচ হয়েছে। ক্যামেরা, আলো, বায়োমেট্রিকাল অ্যাকসেস সবকিছুই হচ্ছে। অথচ ফুটপাতে রাস্তার মোড়ে পসরা সাজিয়ে বসে যে হকার কিছু বিক্রিই করতে পারেনি তাদের সংসার চলবে কী করে? প্রায় দেড় মাসের আন্দোলনের ঠেলায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত তাদের প্রতিদিনের রুজিরোজগার মার খেয়েছে, এই ক্ষতিপূরণ করবে কোন মহানুভব। পুজোর বাজার মার খেলে বাকি বছরটা মাথা কুটলেও আর বিক্রিবাটা জমবে না। ছ’মাস বাদে পয়লা বৈশাখ আছে, তবে পুজোর তুলনায় সেই কেনাকাটা তো নেহাতই নস্যি। তারা কোথায় যাবে? তাদের জন্য বিদেশ থেকে ফুড ডেলিভারি অ্যাপে কেউ বিরিয়ানি বুক করবে না। ফলের রস আসবে না, টেবিলে কুকিজ সাজিয়ে বসবে না কেউ। ব্যবসা মার খেলে অসহায় পরিবার নিয়ে অর্ধাহারে, অনাহারে মরতে হবে। গ্রামে গ্রামে বাড়ির ছেলেমেয়ের পড়াশুনো বন্ধ হয়ে যাবে। এটাই কি বিচার পাওয়ার পথ? বিচার তো দেবে সিবিআই। আর তার মূল্যায়ন করবে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট। তথ্য-প্রমাণ যাঁরা নষ্ট করেছেন তাঁদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত জিজ্ঞাসাবাদ করতে বাধা কোথায়? এই প্রশ্নটাই করুন সিবিআইকে। দেশের সর্বোচ্চ তদন্তকারী সংস্থার ঢিলেমি বরদাস্ত করা হবে না। সরকারি হাসপাতালের ওষুধ যদি ঘুরপথে কোনও প্রভাবশালীর নার্সিংহোমে গিয়ে থাকে তা জঘন্য অপরাধ। সিবিআইয়ের উচিত, শুধু শূন্যে সম্ভাবনার কথা না ভাসিয়ে উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে তা আদালতে প্রতিষ্ঠিত করা। না-হলে দুর্বল চার্জশিট বহু অপরাধীকেই বাঁচিয়ে দেয়। গোরুপাচার ও শিক্ষক দুর্নীতির মামলায় কিন্তু অভিযুক্তরা ছাড়া পেতে শুরু করেছেন। অনুব্রত মণ্ডল থেকে মানিক ভট্টাচার্য। অধিকাংশ মামলাতেই সিবিআইয়ের তদন্ত কিন্তু শেষে পরিণতি পায় না। স্মৃতি ফিকে হলেই মানুষও সব ভুলে যায়। অপরাধীরা তা বিলক্ষণ জানে। আর জানে বলেই কিছুদিন চুপ করে থেকে একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি দেখি আমরা।
বিচার জিনিসটা আসলে নিজের নিজের মতো করে সবাই পেতে চায়। ডাক্তাররা তাঁদের মতো, ছাত্ররা ছাত্রদের মতো, হকাররা তাঁদের মতো। আর অসহায় রোগীরা যাঁরা আর্থিক কারণে পাঁচতারা স্বাস্থ্যপরিষেবার অঙ্গ হতে পারেন না, সরকারি হাসপাতালের মুখাপেক্ষী হয়েই জীবনটা কাটিয়ে দেন তাঁরাও সুবিচার চান। গত দেড় মাসে ওপিডিতে প্রায় দশ লাখ রোগী পরিষেবা পাননি। পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলেই চোখের ছানি কাটানো, গলব্লাডার, হার্নিয়া থেকে হৃদযন্ত্রের গুরুতর সমস্যা নিয়ে হাসপাতালের লাইন রাস্তায় এসে ঘুরপাক খাবে। স্বাস্থ্যভবনের জঞ্জাল সরানো যেমন অগ্রাধিকার, তেমনই একজনও গরিব রোগী যাতে বিনা চিকিৎসায় হাসপাতাল থেকে ফিরতে বাধ্য না হন, এই শপথও নিতে হবে জুনিয়র ডাক্তারদের। একমাত্র তা হলেই অভয়ার আত্মা শান্তি পাবে। চিকিৎসা ব্যবস্থার সামগ্রিক জঞ্জাল সাফাই সম্পূর্ণ হবে। শিরদাঁড়া সোজা করা অদ্ভুত আলোয় উদ্ভাসিত সেই সর্বশ্রেষ্ঠ বিচারের অপেক্ষায় আমরা।   
বাংলাকে ‘বাংলাদেশ’ করার ছক বানচাল
তন্ময় মল্লিক

জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কি ভুল করলেন? গত কয়েকদিন ধরে এটাই ছিল মূল চর্চিত বিষয়। কলকাতা পুলিসের কমিশনার সহ স্বাস্থ্যকর্তাদের সরিয়ে দেওয়ার পরেও চিকিৎসকরা কর্মবিরতি তুলতে গড়িমসি করছেন। বিশদ

21st  September, 2024
আবেগ, আন্দোলন এবং আইন
সমৃদ্ধ দত্ত

প্রথমে হয়ে উঠেছিল নাগরিক আন্দোলন। কথা ছিল পর্যবসিত হবে গণআন্দোলনে। অথচ মাত্র এক মাসের মধ্যে সেই আন্দোলন আবদ্ধ হয়ে গেল নিছক জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি এবং অবস্থানের আবর্তে। কেন? এর উত্তর সন্ধান করতে হবে নাগরিকদের। বিশদ

20th  September, 2024
বিচার না রাজনীতি, সিবিআই কী চায়?
মৃণালকান্তি দাস

সিবিআই, ইডি, ভিজিলেন্স এজেন্সিকে রাজনৈতিক দাসত্ব ছাড়তে হবে। বলেছিলেন দেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এন ভি রামান্না। বিশদ

19th  September, 2024
চিকিৎসা ব্যবসাতেও স্বচ্ছতার দাবি মানুষের
সন্দীপন বিশ্বাস

বর্ধমান, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ বা বীরভূমের ঢাকিপাড়ায় ইতিমধ্যে বোধন হয়ে গিয়েছে। বসন্ত, রসিক কিংবা শ্যামাপদর ঢাকের আওয়াজ ছড়িয়ে পড়ছে গ্রামের বুকে। আর দিনকয়েক পরেই কাঁধে ঢাক নিয়ে ওঁরা বেরিয়ে পড়বেন বিভিন্ন মণ্ডপে।
বিশদ

18th  September, 2024
অচলাবস্থায় ক্ষতি সরকারের নয়, মানুষের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিশ্বাসবাবু কাল মিছিলে গিয়েছিলেন। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই। বেসরকারি এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন তিনি। না গেলে আর হচ্ছিলও না। কলেজের ছেলেমেয়েগুলো বাঁকা চোখে তাকাচ্ছিল। ওরা রোজই প্রায় হাজিরা দিচ্ছে স্বাস্থ্য ভবনের অবস্থানে। বিশদ

17th  September, 2024
এখন মণিপুর যেন চাঁদের অন্ধকার দিক!
পি চিদম্বরম

মণিপুর নিয়ে বার বার লিখিনি। আমার সাপ্তাহিক কলামের পাতা ওল্টাতে বসেই খেয়াল করলাম ব্যাপারটা। এজন্য এখন নিজেকেই তিরস্কার করছি। মণিপুর নিয়ে শেষবার লিখেছিলাম গতবছরের ৩০ জুলাই। অর্থাৎ তারপর ১৩টি মাস পেরিয়ে গিয়েছে! তাই নিজেকেই ক্ষমার অযোগ্য মনে হচ্ছে।
বিশদ

16th  September, 2024
‘বিচার’ ও ‘সিবিআই’ এবং ‘মমতা’
হিমাংশু সিংহ

একজনকে বিচার দেওয়া মানে কি অন্যদের সঙ্গে অবিচার! তাও তো আর এক অন্যায়ের জন্ম দেবে! আবেগ থাকতে বাধ্য, নির্যাতিতার বিচারও নিঃসন্দেহে আমাদের সবার অগ্রাধিকার, কিন্তু সুবিচার কোনও মামলাতেই রাতারাতি মেলে না। প্রমাণ থাকলেও না, আর প্রমাণ না থাকলে তো কথাই নেই। বিশদ

15th  September, 2024
এরপরেও আন্দোলন অরাজনৈতিক!
তন্ময় মল্লিক

অভয়া খুনের জাস্টিস, নাকি প্রশাসনিক কর্তাদের পদত্যাগ? এই মুহূর্তে রাজ্যের আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের লড়াইটা ঠিক কী নিয়ে, সেটাই কেমন যেন গুলিয়ে যাচ্ছে। আন্দোলন ‘অরাজনৈতিক’ প্রমাণে ডাক্তারবাবুরা বিজেপি নেতাদের আন্দোলনস্থলের ত্রিসীমানায় দেখলেই রে রে করে উঠছেন। বিশদ

14th  September, 2024
একক শক্তির জয়যাত্রা
সমৃদ্ধ দত্ত

সমাজে দুই রকম শক্তি আছে। ভিড়ের শক্তি। আর একক শক্তি। ভিড়ের শক্তির মধ্যে অনেক সময় মিশে থাকে একটি বিভ্রান্তি। সেটি হল, ওই দলবদ্ধ শক্তিকেই নিজের শক্তি হিসেবে ভেবে নেওয়া। এবং আমিও খুব শক্তিশালী, এই মনোভাবে নিজেকে নিজে তুষ্ট করা। বিশদ

13th  September, 2024
উৎসব বয়কট বনাম শ্রেণির লড়াই!
মৃণালকান্তি দাস

বোলপুর থেকে শান্তিনিকেতন ছুঁয়ে বেঁকে যায় বিনুড়িয়ার পথ। নীল আকাশ, দু’ধারের ধান জমি, কাশফুল, মেঘ-রোদের লুকোচুরি— এই তল্লাটেই নকশি কাঁথা বিছোন আনসুরা বিবি, কাকলি টুডুরা। বিশদ

12th  September, 2024
বিচার চলুক, বাঁচুক বাংলার অর্থনীতিও
হারাধন চৌধুরী

সহকর্মীদের বেদম প্রহারের ফলে ৬ সেপ্টেম্বর রাজস্থানের জয়পুরে প্রাণ হারালেন বাংলার এক পরিযায়ী শ্রমিক। মোতি আলি নামে ওই যুবক ছিলেন মালদহের বাসিন্দা। এই ঘটনার মাত্র একসপ্তাহ আগে শিরোনাম দখল করে হরিয়ানা। ‘গোমাংস ভক্ষণ’ সন্দেহে বাংলারই এক পরিযায়ী শ্রমিককে পিটিয়ে মারা হয় সেখানে। বিশদ

11th  September, 2024
গোরক্ষার নামে হত্যা! রুখে দাঁড়াক সমাজ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘আহা! পিটিয়ে মারা হয়েছে বলবেন না। গোরক্ষায় কঠোর একটা আইন রয়েছে রাজ্যে। তার সঙ্গে তো আর কোনওরকম সমঝোতা চলে না! ওরা যদি এমন কোনও খবর পায়, কে আটকাবে ওদের?’ খুন হয়েছেন সাবির মল্লিক। প্রকাশ্যে। বিশদ

10th  September, 2024
একনজরে
বিপদ কাটতেই চাইছে না। ভূতনিতে ফের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হল। শনিবার একলাফে গঙ্গা নদীর জলস্তর ২২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২৫.১৭মিটার। চরম বিপদসীমা একেবারে ছুঁইছুঁই অবস্থা দেখে জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। ...

লেবাননে ধারাবাহিক পেজার বিস্ফোরণে নাম জড়াল এক ভারতীয় বংশোদ্ভূতের। আদতে কেরলের ওয়েনাড়ের বাসিন্দা রিনসন জোসে নামে ওই ব্যক্তি এখন নরওয়ের নাগরিক। অভিযোগ উঠেছে, লেবাননের জঙ্গি ...

বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহের কাজ ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ করার সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল বুথ লেভেল অফিসারদের (বিএলও)। কিন্তু সময়সীমা শেষ হলেও দেখা যাচ্ছে, এখনও একাধিক জেলায় সেই কাজ অনেকটা বাকি। ...

আর জি কর কাণ্ডে ৪১ দিনের কর্মবিরতি আংশিক প্রত্যাহার করেছেন জুনিয়ার ডাক্তাররা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের দাবি মেনে কলকাতার নগরপাল সহ পুলিস ও স্বাস্থ্য প্রশাসনের একাধিক কর্তাকে অপসারিত করেছেন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অতিরিক্ত কর্মের চাপ গ্রহণ করে বেকায়দায় পড়তে পারেন। নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। আয় বাড়বে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব গাড়িমুক্ত দিবস
বিশ্ব গণ্ডার দিবস


১৪৯৯: বাসেল চুক্তির অধীনে সুইজারল্যান্ড একটি স্বাধীন রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে
১৫৩৯: পাঞ্জাবের শহর কর্তারপুরে প্রয়াত গুরু নানক
১৫৯৯: লন্ডনে ফাউন্ডার্স হলে ২৪ জন ব্যবসায়ী ভারতে ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত নেন, এভাবেই ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি গড়ে উঠে
১৭৩৫: ব্রিটেনের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে বসবাস শুরু করেন রবার্ট ওয়ালপোল
১৭৯১: ইংরেজ রসায়নবিদ এবং পদার্থবিজ্ঞানী মাইকেল ফ্যারাডের জন্ম
১৮৬২: আব্রাহাম লিঙ্কন ক্রীতদাসদের মুক্তির আদেশ সংক্রান্ত ঘোষণায় স্বাক্ষর করেন
১৮৮৮: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিন প্রথম প্রকাশিত
১৯১৫:  নদিয়া পৌরসভার নামকরণ বদল করে করা হয় নবদ্বীপ পৌরসভা
১৯৩৯: প্রথম এভারেস্ট জয়ী মহিলা জুনকো তাবেইয়ের জন্ম
১৯৬২:  নিউজিল্যাণ্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা ধারাভাষ্যকার মার্টিন ক্রোর জন্ম
১৯৬৫: শেষ হল ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ। রাষ্ট্রসংঘের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দু’দেশ যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করল
১৯৭০: লেখক শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৭৬: শ্রীলঙ্কান প্রাক্তন ক্রিকেট তারকা থিলান সামারাবীরার জন্ম
১৯৮০: ইরান আক্রমণ করল ইরাক
১৯৮৩: বিপ্লবী তথা সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের মৃত্যু
১৯৮৪:ব্রাজিলীয় ফুটবলার থিয়াগো সিলভার জন্ম
১৯৯১: মারাঠি ও হিন্দি চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেত্রী পদ্মশ্রী দুর্গা খোটের মৃত্যু
১৯৯২: ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক ও রাজশ্রী প্রোডাকশনের প্রতিষ্ঠাতা তারাচাঁদ বারজাতিয়ার মৃত্যু
১৯৯৫: নাগারকোভিল স্কুলে বোমা ফেলল শ্রীলঙ্কার বায়ুসেনা, মৃত্যু হয় ৩৪টি শিশুর, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই তামিল
২০১১: ক্রিকেটার মনসুর আলি খান পতৌদির মৃত্যু
২০১১: অভিনেতা বিভু ভট্টাচার্যের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৮ টাকা ৮৪.৪২ টাকা
পাউন্ড ১০৯.৫৩ টাকা ১১৩.১১ টাকা
ইউরো ৯১.৭৫ টাকা ৯৪.৯৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
21st  September, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
21st  September, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ আশ্বিন, ১৪৩১, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। পঞ্চমী ২৫/৩৮ দিবা ৩/৪৪। কৃত্তিকা নক্ষত্র ৫৩/৫৫ রাত্রি ১১/৩। সূর্যোদয় ৫/২৮/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/২৯/৫৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/১৬ গতে ৮/৪১ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৪ গতে ৩/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/৫২ গতে ৯/২৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৩ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৭ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৫৩ গতে ৪/৪১ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৯ গতে ১/০ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৫৯ গতে ২/২৯ মধ্যে। 
৫ আশ্বিন, ১৪৩১, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। পঞ্চমী রাত্রি ৯/১৩। ভরণী নক্ষত্র দিবা ৬/৩২ পরে কৃত্তিকা নক্ষত্র শেষরাত্রি ৫/১৮। সূর্যোদয় ৫/২৮, সূর্যাস্ত ৫/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৬/২৩ গতে ৮/৪১ মধ্যে ও ১১/৪৫ গতে ২/৫০ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৮ গতে ৯/১৮ মধ্যে ও ১১/৫৭ গতে ১/২৭ মধ্যে ও ২/১৭ গতে ৫/২৯ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৩৬ গতে ৪/২২ মধ্যে। বারবেলা ১০/০ গতে ১/১ মধ্যে। কালরাত্রি ১/০ গতে ২/২৯ মধ্যে। 
১৮ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
২৮০ রানে বাংলাদেশকে হারিয়ে প্রথম টেস্ট জিতল ভারত, ৬ উইকেট নিলেন রবীচন্দ্রন অশ্বিন

11:20:00 AM

পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার শ্রীখণ্ডে এক ব্যবসায়ীর মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য, তাঁর নাম শেখ আব্দুল হক (৫৫) ওরফে পটাই

11:13:00 AM

প্রথম টেস্ট (দ্বিতীয় ইনিংস): ৫ রানে আউট তাসকিন আহমেদ, বাংলাদেশ ২২৮/৯ (চতুর্থ দিন)

11:10:00 AM

আর জি কর কাণ্ড: সিবিআইয়ের দপ্তরে পৌঁছলেন বিরূপাক্ষ বিশ্বাস

11:07:00 AM

প্রথম টেস্ট (দ্বিতীয় ইনিংস): ৮২ রানে আউট নাজমুল হোসেন শান্তো, বাংলাদেশ ২২২/৮ (চতুর্থ দিন)

11:07:00 AM

ইউনিসেফের মঞ্চে প্রশংসিত কন্যাশ্রী ও রূপশ্রী প্রকল্প, আপ্লুত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

11:05:00 AM