Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আবেগ, আন্দোলন এবং আইন
সমৃদ্ধ দত্ত

প্রথমে হয়ে উঠেছিল নাগরিক আন্দোলন। কথা ছিল পর্যবসিত হবে গণআন্দোলনে। অথচ মাত্র এক মাসের মধ্যে সেই আন্দোলন আবদ্ধ হয়ে গেল নিছক জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি এবং অবস্থানের আবর্তে। কেন? এর উত্তর সন্ধান করতে হবে নাগরিকদের। প্রতিদিন রাস্তা দখলের আহ্বানে সরব অংশগ্রহণ দেখা গিয়েছে সমাজের নাগরিক মহলকে। একটি আশার সঞ্চার হয়েছিল যে অবশেষে রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে স্রেফ অন্যায়ের প্রতিবাদে মানুষ একজোট হচ্ছে। কিন্তু দেখা গেল ধীরে ধীরে সিংহভাগ পূর্বঘোষিত আন্দোলনকারী নাগরিক ক্রমেই প্রাত্যহিক রুটিনে ফিরে যাচ্ছেন। মাঝেমধ্যে হচ্ছে কিছু কিছু বিচ্ছিন্ন কর্মসূচি। মিছিল, মানববন্ধন। এমনকী কলকাতার কিছু মানুষ ডাক্তারদের ধর্নামঞ্চে যাচ্ছেন। কিন্তু নাগরিকদের নিজেদের আন্দোলনের সেই তীব্রতা আর নেই। এখনও বহু স্থানে নাগরিক আন্দোলনের আগুন জ্বালিয়ে রাখা হলেও সেরকম প্রচার আর পাচ্ছে না সেগুলি। সব প্রচার এসে যেন কেন্দ্রীভূত হয়েছে স্বাস্থ্যভবনের সামনে। চলছে নার্ভের লড়াই। সরকার বনাম জুনিয়র ডাক্তার। নাগরিকরা এখন সংবাদমাধ্যমে দর্শক। কী হয় কী হয় মনোভাব নিয়ে! কেন? তাঁরা নিজেরাই উত্তর খুঁজুন। 
প্রকৃত গণআন্দোলনের প্রাবল্য ক্রমেই বেড়ে চলে। শহর থেকে গ্রাম। রাজপথ থেকে গ্রামীণ মেঠো রাস্তায় ছড়িয়ে পড়বে আগুন। অথচ এক্ষেত্রে নাগরিকদের আন্দোলন বিপরীত পথে হাঁটল। ক্রমেই আন্দোলন সংকুচিত হয়ে গেল। বৃহৎ এক রাজ্যজুড়ে হওয়া পদযাত্রা, বিক্ষোভ, মানববন্ধনের উত্তাল হওয়া দৃশ্য আশ্রয় নিল কলকাতার সর্বোচ্চ অভিজাত এলাকা সল্টলেকের রাস্তার একটি অংশে। ছিল নাগরিকদের দাবি। হয়ে গেল জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি। কেন?  
নিউজ চ্যানেল অথবা সংবাদমাধ্যমে আজকাল প্রথমেই বাক্যবিন্যাস শুরু হয় যে, ‘ডাক্তারদের আন্দোলনে’ কী কী হয়েছে আজ! ‘নাগরিক আন্দোলন’ শব্দটি হারিয়ে গিয়েছে। কী উদ্দেশ্যে শুরু হয়েছিল আন্দোলন? নির্যাতিতার বিচার চাই। দোষীর দ্রুত শাস্তি চাই। আজ কী দাবিতে মুখর জুনিয়র ডাক্তাররা? প্রথমে কয়েকজন সরকারি আধিকারিকদের সরিয়ে দেওয়ার দাবি। সেই দাবি মানা হল। তারপর তাঁদের দাবি হয়েছিল, হাসপাতাল ও কলেজে থ্রেট কালচার বন্ধ করা। ওয়াশ রুমের সংখ্যা বৃদ্ধি। নিরাপত্তা প্রদান করা। কাউন্সিল নির্বাচন। নাগরিকদের কি এগুলোই প্রধান দাবি? 
আজকাল সবথেকে বেশি গুরুত্ব হারিয়েছে ইতিহাসের মাহাত্ম্য। যখন তখন  রেফারেন্স হিসেবে উল্লিখিত হয় যে কোনও ঐতিহাসিক অধ্যায়কে। এই নাগরিক আন্দোলনকে কখনও বলা হয়েছে, এটা আসলে বঙ্গভঙ্গ ধাঁচের আন্দোলন। কখনও তকমা দেওয়া হয়েছে ফরাসি বিপ্লব। বলা হয়েছে শীঘ্রই ধ্বংস হবে বাস্তিল দুর্গ। ঠান্ডা মাথায় অবশ্য প্রশ্ন করাই যায় যে, এই রেফারেন্সগুলির প্রয়োজন পড়ছে কেন? প্রতিটি আন্দোলনের নিজস্ব একটি চরিত্র আছে। প্রেক্ষাপট আছে। অভিমুখ আছে। শক্তি আছে। সে যত ক্ষুদ্রই হোক। যত বৃহৎ হোক।  নাগরিক আন্দোলনকে তার মতো করেই থাকতে, বাড়তে, ছড়াতে দেওয়ায় স্বাধীনতা দেওয়া উচিত ছিল। সে নিজেই ছিল এক শক্তিশালী আন্দোলন। কিন্তু প্রথমে কয়েকটি রাজনৈতিক দল। তারপর জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থান। ক্রমেই নাগরিকদের আন্দোলন তাঁদের হাত থেকে চলে গেল।  মাত্র এক মাসের মধ্যে!  কেন? 
নাগরিক আন্দোলনের অন্যতম দুর্বলতা লক্ষ করা গিয়েছে, অজ্ঞানতা। যতটা আবেগ এবং রাগ রয়েছে, ততটা আ‌ইন অথবা বিচারব্যবস্থা সম্পর্কে আইডিয়া নেই। যে যা রটিয়েছে সেটাই বিশ্বাস করা হয়েছে। 
এখন একমাস অতিক্রান্ত। প্রাথমিক সেই প্রবল ঝাঁঝালো রাগ সামান্য হলেও কমেছে। অতএব এটাই  প্রকৃষ্ট সময় আইন ও বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে জেনে নেওয়ার। ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু হয় ঘটনাস্থল থেকে। একদিকে পোস্টমর্টেম থেকে পাওয়া তথ্য। অন্যদিকে ফরেনসিক পরীক্ষার রিপোর্ট। ঘটনাস্থলে যা যা পাওয়া যায়, সেফটিপিন থেকে চুলের অংশ। ফুটপ্রিন্ট অথবা ফিঙ্গারপ্রিন্ট। ধূলিকণা কিংবা ঘাম অথবা লালারস। রক্তের দাগ কিংবা ছেঁড়া সুতো। প্রতিটি তুচ্ছ ক্ষুদ্র বৃহৎ অংশই ফরেনসিক পরীক্ষায় কাজে আসে। তৈরি হয় এভিডেন্স। ডিএনকে ম্যাচিং। পলিগ্রাফ আদালতে কোনও প্রমাণ নয়। তদন্তে সাহায্য করে। 
ঘটনাস্থলে তথ্যপ্রমাণ লোপাট হয়ে গেলে এসব অনেকাংশে পাওয়া যাবে না। বহু মানুষ ঘটনাস্থলে ঘোরাফেরা করলে ফুটপ্রিন্ট, ফিঙ্গারপ্রিন্ট সব হারিয়ে যাবে। এসব প্রতিটি তদন্তকারী এজেন্সিরই জানা। তবে এবার সিবিআই মাত্র ৯৬ ঘণ্টার মধ্যে তদন্তভার পেয়ে গিয়েছে। নিছক সাক্ষ্যপ্রমাণ লোপাট হয়ে গিয়েছে বলে আমরা কিছই তদন্ত করতে পারলাম না, এসব বললে নাগরিকরা মেনে নেবেন না। কিছু অন্তত ইতিবাচক তদন্ত রিপোর্ট আশা করছে সবাই। নচেৎ এত গ্রেপ্তার, তল্লাশি চলছে কেন? বিচারপতি বলছেন কেন স্ট্যাটাস রিপোর্টে উদ্বেগজনক তথ্য আছে? তার মানে তো কিছু কিছু পাওয়া গিয়েছে?
তদন্ত শুরু হওয়ার পর অভিযুক্ত যদি গ্রেপ্তার হয়ে যায় তাহলে তাকে জেরা করা হয়। ক্রমে অন্যদের সম্পর্কে তথ্য জানা গেলে তাদেরও গ্রেপ্তার করা।  জিজ্ঞাসাবাদ। ধর্ষণের ক্ষেত্রে ৬০ দিনের মধ্যে দিতে হবে চার্জশিট। চার্জশিট মানে কী? যাকে বা যাদের সন্দেহভাজন হিসেবে মনে করা হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে চার্জ ফ্রেম করা। সেই অনুযায়ী চার্জশিট আদালতে পেশ করা। একে ফাইনাল রিপোর্ট বলা যায়। একটি হতে পারে কোনও অভিযোগই প্রমাণ হয়নি। অর্থাৎ সেটি আদতে ক্লোজার রিপোর্ট। অথবা চার্জ ফ্রেম করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে রিপোর্ট পেশ। সেটাই চার্জশিট। চার্জশিট সময়মতো না জমা দিলে কী হবে? অভিযুক্তকে জামিনে মুক্ত করে দেওয়া হবে। এখনও সিবিআই কিন্তু আর জি কর কাণ্ডে চার্জশিট দেয়নি। আদালতে তারা বলেছে নির্যাতিতার ধর্ষণ ও হত্যা একজনই করেছে। 
চার্জশিট পেয়ে আদালত দু পক্ষকেই ডাকবে। অভিযুক্তকে আবেদন করতে বলা হবে যে, সে কী বলবে এই অভিযোগ সম্পর্কে? চার্জশিটের কপি সেও পাবে। সে বলতে পারে আমি দোষী। তাহলে আর বিশেষ শুনানিপর্ব প্রয়োজন নেই। রায় ঘোষণা করা হবে। আবার সে বলতে পারে, আমি নির্দোষ। নট গিল্টি। তাহলে সে যে দোষী, সেটা প্রমাণ করতে হবে তদন্তকারীদের। প্রসিকিউশন এবং ডিফেন্স, দুই আইনজীবীদের মধ্যে শুরু হবে সওয়াল জবাব।  
চার্জশিট এবং শুনানি শুরু হলে প্রসিকিউশন উইটনেসের এভিডেন্স রেকর্ড করা শুরু করবেন বিচারপতি। অর্থাৎ তদন্তকারী সংস্থা যাঁদের সাক্ষী হিসেবে তালিকাভুক্ত করছে তাঁদের কাঠগড়ায় তোলা হবে।  এই সাক্ষীদের সংখ্যা কয়েকজন হতে পারে। আবার কয়েকশ হতে পারে। এই সাক্ষীদের বক্তব্যই শেষ কথা নয়। তাঁদের ক্রস এক্সামিনেশন করবেন আসামিপক্ষের উকিল। আসামিপক্ষও আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য নিজেদের সাক্ষ্যপ্রমাণ পেশ করতে পারে। সাক্ষী জোগাড় করতে পারে। অর্থাৎ যাঁরা বলবেন আদৌ অভিযুক্ত এই কাণ্ডে জড়িত নয়। সে অন্য কোথাও ছিল ওই সময় ইত্যাদি। এই অ্যালিবাই প্রতিষ্ঠিত হলে সেটি শক্তিশালী একটি এভিডেন্স অভিযুক্তের পক্ষে। আবার তদন্তকারীকে প্রমাণ দিয়ে সেটি খণ্ডন করতে হবে 
এই প্রতিটি সওয়াল জবাবের আগে তদন্তকারীদের আদালতে জমা দিতে হবে এভিডেন্স। পোস্ট মর্টেম, ফরেনসিক রিপোর্ট। প্রাপ্ত পারিপার্শ্বিক এভিডেন্স ইত্যাদি। এই গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর আদালতে কেউ দোষী প্রমাণ হলে সাজা ঘোষণা করা হবে। এরপর সেই অভিযুক্ত উচ্চ আদালতে যেতে পারে। সেখানেও একই রায় থেকে গেলে, সে যেতে পারে সুপ্রিম কোর্টে। 
অর্থাৎ গোটা প্রক্রিয়াটি ১৫ দিন, এক মাস, দুই মাসে সম্পন্ন হয়ে যাবে যারা ভেবেছে, তাদের প্রতীক্ষা করতে হবে। কতদিন? কেউ জানে না! 
এই যে প্রক্রিয়াটি বলা হল, এটি পূর্ণাঙ্গভাবে হবে শিয়ালদহ কোর্টে। যেখানে নির্যাতিতার মামলাটি চলবে। সুপ্রিম কোর্টে ট্রায়াল হচ্ছে না। সুপ্রিম কোর্ট সিবিআইকে তদন্তের স্ট্যাটাস রিপোর্ট দিতে বলেছে। সেটাই দিচ্ছে সিবিআই। ভালো করে বুঝতে হবে যে,  সুপ্রিম কোর্ট ধর্ষণ ও হত্যা মামলার কোনও রায় দেবে না এখন। আগে শিয়ালদহ আদালতে বিচার ও রায় হবে। তারপর প্রয়োজন হলে হাইকোর্টে যাবে মামলা। যদি পরিস্থিতি আসে, তখন আবার আসবে সুপ্রিম কোর্টের পালা। 
কাউকে ডেকে পাঠানো। কাউকে গ্রেপ্তার করা। কারও বাড়িতে তল্লাশি চালানো। এসব মানেই সেইসব ব্যক্তি অপরাধী নয়। এগুলো হল তদন্ত প্রক্রিয়া। এদের মধ্যেই হয়তো লুকিয়ে আছে আসল অপরাধী। আবার নাও হতে পারে। কিন্তু যার বা যাদের বিরুদ্ধে তদন্তকারী সংস্থা চার্জশিট জমা দেয়, সেইসব চার্জ অর্থাৎ অভিযোগকে প্রমাণ করতে হয় আদালতে। নয়তো প্রমাণ, এভিডেন্স কিংবা সাক্ষ্যের অভাবে বহু অভিযুক্ত দীর্ঘসময় বিচারপ্রক্রিয়ার পর মুক্তি পেয়ে গিয়েছে। বহু মামলা খারিজ হয়ে গিয়েছে। অতএব আর জি কর কাণ্ডে সিবিআইয়ের প্রধান চ্যালেঞ্জ হল, নিখুঁত এভিডেন্স ও সাক্ষ্য দিয়ে প্রমাণ করা যে কে বা কারা দোষী। তিনটি তদন্ত চলছে। একটি হল ধর্ষণ ও হত্যা। অন্যটি কারা সেই কাণ্ডকে আড়াল করেছে। তৃতীয়ত আর জি করের দুর্নীতি ও অনিয়ম। প্রতিটি প্রমাণ করতে হবে। গালগল্প দিয়ে নয়। নথিপত্র ও এভিডেন্স দিয়ে। সিবিআইকে চাপ দিতে হবে যাতে একটিও অপরাধী ছাড় না পায়। এই তিন তদন্ত থেকে। সেটা কি হচ্ছে আন্দোলনে? দেখা যাচ্ছে স্পেসিফিক আইনমাফিক দাবিদাওয়া? 
আর জি কর কাণ্ডে চার্জশিটের পর বিচারপ্রক্রিয়া হওয়া উচিত ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে।  যাতে সাধারণ বিচারের তুলনায় দ্রুততর হয় শুনানি ও সাজাদান। কিন্তু দুর্ভাগ্য হল, ভারতের ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টগুলিতে অন্তহীন মামলা বছরের পর বছর ধরে নিষ্পত্তির অপেক্ষা করছে। অপরাধের বিচার চাই। অন্যায়ের প্রতিকার চাই। একইসঙ্গে ভারতের জুডিশিয়ারির আমূল সংস্কার দরকার। বিপুল নিয়োগ বন্ধ বছরের পর বছর ধরে। বিচারপতিরা অসহায় যথেষ্ট পরিকাঠামো না থাকায়। রয়েছে অন্যান্য অভ্যন্তরীণ সমস্যাও। এই দীর্ঘসূত্রতার কারণে বহু মানুষ বিচার পায় না সময়ে। বিচার বিলম্বিত হওয়ার অর্থ কী?  বিচার না পাওয়া!
20th  September, 2024
বাংলাকে ‘বাংলাদেশ’ করার ছক বানচাল
তন্ময় মল্লিক

জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কি ভুল করলেন? গত কয়েকদিন ধরে এটাই ছিল মূল চর্চিত বিষয়। কলকাতা পুলিসের কমিশনার সহ স্বাস্থ্যকর্তাদের সরিয়ে দেওয়ার পরেও চিকিৎসকরা কর্মবিরতি তুলতে গড়িমসি করছেন। বিশদ

বিচার না রাজনীতি, সিবিআই কী চায়?
মৃণালকান্তি দাস

সিবিআই, ইডি, ভিজিলেন্স এজেন্সিকে রাজনৈতিক দাসত্ব ছাড়তে হবে। বলেছিলেন দেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এন ভি রামান্না। বিশদ

19th  September, 2024
চিকিৎসা ব্যবসাতেও স্বচ্ছতার দাবি মানুষের
সন্দীপন বিশ্বাস

বর্ধমান, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ বা বীরভূমের ঢাকিপাড়ায় ইতিমধ্যে বোধন হয়ে গিয়েছে। বসন্ত, রসিক কিংবা শ্যামাপদর ঢাকের আওয়াজ ছড়িয়ে পড়ছে গ্রামের বুকে। আর দিনকয়েক পরেই কাঁধে ঢাক নিয়ে ওঁরা বেরিয়ে পড়বেন বিভিন্ন মণ্ডপে।
বিশদ

18th  September, 2024
অচলাবস্থায় ক্ষতি সরকারের নয়, মানুষের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিশ্বাসবাবু কাল মিছিলে গিয়েছিলেন। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই। বেসরকারি এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন তিনি। না গেলে আর হচ্ছিলও না। কলেজের ছেলেমেয়েগুলো বাঁকা চোখে তাকাচ্ছিল। ওরা রোজই প্রায় হাজিরা দিচ্ছে স্বাস্থ্য ভবনের অবস্থানে। বিশদ

17th  September, 2024
এখন মণিপুর যেন চাঁদের অন্ধকার দিক!
পি চিদম্বরম

মণিপুর নিয়ে বার বার লিখিনি। আমার সাপ্তাহিক কলামের পাতা ওল্টাতে বসেই খেয়াল করলাম ব্যাপারটা। এজন্য এখন নিজেকেই তিরস্কার করছি। মণিপুর নিয়ে শেষবার লিখেছিলাম গতবছরের ৩০ জুলাই। অর্থাৎ তারপর ১৩টি মাস পেরিয়ে গিয়েছে! তাই নিজেকেই ক্ষমার অযোগ্য মনে হচ্ছে।
বিশদ

16th  September, 2024
‘বিচার’ ও ‘সিবিআই’ এবং ‘মমতা’
হিমাংশু সিংহ

একজনকে বিচার দেওয়া মানে কি অন্যদের সঙ্গে অবিচার! তাও তো আর এক অন্যায়ের জন্ম দেবে! আবেগ থাকতে বাধ্য, নির্যাতিতার বিচারও নিঃসন্দেহে আমাদের সবার অগ্রাধিকার, কিন্তু সুবিচার কোনও মামলাতেই রাতারাতি মেলে না। প্রমাণ থাকলেও না, আর প্রমাণ না থাকলে তো কথাই নেই। বিশদ

15th  September, 2024
এরপরেও আন্দোলন অরাজনৈতিক!
তন্ময় মল্লিক

অভয়া খুনের জাস্টিস, নাকি প্রশাসনিক কর্তাদের পদত্যাগ? এই মুহূর্তে রাজ্যের আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের লড়াইটা ঠিক কী নিয়ে, সেটাই কেমন যেন গুলিয়ে যাচ্ছে। আন্দোলন ‘অরাজনৈতিক’ প্রমাণে ডাক্তারবাবুরা বিজেপি নেতাদের আন্দোলনস্থলের ত্রিসীমানায় দেখলেই রে রে করে উঠছেন। বিশদ

14th  September, 2024
একক শক্তির জয়যাত্রা
সমৃদ্ধ দত্ত

সমাজে দুই রকম শক্তি আছে। ভিড়ের শক্তি। আর একক শক্তি। ভিড়ের শক্তির মধ্যে অনেক সময় মিশে থাকে একটি বিভ্রান্তি। সেটি হল, ওই দলবদ্ধ শক্তিকেই নিজের শক্তি হিসেবে ভেবে নেওয়া। এবং আমিও খুব শক্তিশালী, এই মনোভাবে নিজেকে নিজে তুষ্ট করা। বিশদ

13th  September, 2024
উৎসব বয়কট বনাম শ্রেণির লড়াই!
মৃণালকান্তি দাস

বোলপুর থেকে শান্তিনিকেতন ছুঁয়ে বেঁকে যায় বিনুড়িয়ার পথ। নীল আকাশ, দু’ধারের ধান জমি, কাশফুল, মেঘ-রোদের লুকোচুরি— এই তল্লাটেই নকশি কাঁথা বিছোন আনসুরা বিবি, কাকলি টুডুরা। বিশদ

12th  September, 2024
বিচার চলুক, বাঁচুক বাংলার অর্থনীতিও
হারাধন চৌধুরী

সহকর্মীদের বেদম প্রহারের ফলে ৬ সেপ্টেম্বর রাজস্থানের জয়পুরে প্রাণ হারালেন বাংলার এক পরিযায়ী শ্রমিক। মোতি আলি নামে ওই যুবক ছিলেন মালদহের বাসিন্দা। এই ঘটনার মাত্র একসপ্তাহ আগে শিরোনাম দখল করে হরিয়ানা। ‘গোমাংস ভক্ষণ’ সন্দেহে বাংলারই এক পরিযায়ী শ্রমিককে পিটিয়ে মারা হয় সেখানে। বিশদ

11th  September, 2024
গোরক্ষার নামে হত্যা! রুখে দাঁড়াক সমাজ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘আহা! পিটিয়ে মারা হয়েছে বলবেন না। গোরক্ষায় কঠোর একটা আইন রয়েছে রাজ্যে। তার সঙ্গে তো আর কোনওরকম সমঝোতা চলে না! ওরা যদি এমন কোনও খবর পায়, কে আটকাবে ওদের?’ খুন হয়েছেন সাবির মল্লিক। প্রকাশ্যে। বিশদ

10th  September, 2024
বেকারত্ব কমাতে মোদি কিছুই করেননি
পি চিদম্বরম

খুব খুশি যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি সম্পূর্ণ ভাষণ আমি ইংরেজিতে পড়তে পেরেছি। এজন্য ইকনমিক টাইমস কাগজকে ধন্যবাদ জানাই। প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দিয়েছিলেন হিন্দিতে। আমার ধারণা, ওই কাগজে প্রকাশিত অনুবাদটি যথাযথই ছিল।
বিশদ

09th  September, 2024
একনজরে
বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই জল ঢুকতে শুরু করেছিল আমতা ২ নং ব্লকের অমরাগড়ি বৃদ্ধাশ্রমে। তখনই বৃদ্ধাশ্রমের ২৫ জন আবাসিক সহ ২৯জন মহিলাকে দোতলায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরও জল আরও বাড়তে থাকে। ...

আর্থিক মন্দার দুঃসহ স্মৃতি দূরে সরিয়ে আজ ভোট শ্রীলঙ্কায়। ২০২২ সালে আর্থিক মন্দার জেরে দেশজুড়ে শুরু হয়েছিল বিক্ষোভ। জনরোষের হাত থেকে বাঁচতে দেশ ছেড়ে পালিয়ে ...

রাজ্যের ডিরেক্টরেট অফ রিসার্চ এক্সটেনশন অ্যান্ড ফার্মস-এর বায়োটেক কিষাণ হাবের উদ্যোগে পূর্বস্থলী-১ ব্লকের বাঁশদহ বিলে এক লক্ষ মাছের চারা ছাড়া হয়েছে। মৎস্যজীবীদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে শুক্রবার ...

জন্মদিনের পার্টি সেরে গাড়িতে বন্ধুদের সঙ্গে ফিরছিলেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র। পথে বৃহস্পতিবার দিল্লির রাজঘাটের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গার্ডরেলে ধাক্কা মারে গাড়ি। এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ঐশ্বর্য পান্ডে নামে ওই পড়ুয়ার। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া দিবস
১১৮৭ - মুসলমান সেনারা খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে ক্রুসেডের অংশ হিসেবে সেনাপতি সালাদিনের নেতৃত্বে জেরুজালেম অবরোধ শুরু করেন, যা ২ অক্টোবর তারিখ তাদের দখলে আসে
১৮৩১- বাষ্পচালিত প্রথম বাস নির্মাণ করা হয়
১৮৩৩- চার্লস ডারউইন ঘোড়ায় চড়ে বুয়েনস আইরেস যাত্রা করেন
১৮৫৪- অবিভক্ত বাংলায় প্রথম ডাকটিকেট বিক্রি শুরু হয়, ডাকটিকেটের চিত্রশিল্পী ছিলেন নুমারউদ্দীন
১৮৫৭- বিদ্রোহী সিপাহিদের হাত থেকে ব্রিটিশ সেনারা দিল্লি পুনর্দখল করে নেয়
১৮৬৯- কবি, নাট্যকার, ঔপন্যাসিক, নাট্যপরিচালক ও নট গিরিশচন্দ্র ঘোষের জন্ম
১৯৪৬- প্রথম কান চলচ্চিত্র উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছিল
১৯৪৮- চিত্রপরিচালক মহেশ ভাটের জন্ম
১৯৫২- বাঙালি পরমাণু বিজ্ঞানী শেখর বসুর জন্ম
১৯৮৬- ঐতিহাসিক, ছন্দবিশারদ ও রবীন্দ্রবিশেষজ্ঞ প্রবোধচন্দ্র সেনের মৃত্যু
২০০৪- চিত্রপরিচালক সলিল দত্তের মৃত্যু

20th  September, 2024


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৮ টাকা ৮৪.৪২ টাকা
পাউন্ড ১০৯.৫৩ টাকা ১১৩.১১ টাকা
ইউরো ৯১.৭৫ টাকা ৯৪.৯৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ আশ্বিন, ১৪৩১, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। চতুর্থী ৩১/৫৩ রাত্রি ৬/১৪। ভরণী নক্ষত্র ৪৭/৪৮ রাত্রি ১২/৩৬। সূর্যোদয় ৫/২৮/৩৬, সূর্যাস্ত ৫/৩০/৫৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/১৬ মধ্যে পুনঃ ৭/৪ গতে ৯/২৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৪ গতে ৩/৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৪১ গতে ২/১৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/১৭ গতে ৩/৫ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১/০ গতে ২/৩০ মধ্যে পুনঃ ৪/০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/১ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৯ গতে উদয়াবধি। 
৪ আশ্বিন, ১৪৩১, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। চতুর্থী রাত্রি ১১/১৭। অশ্বিনী নক্ষত্র ৭/৫৯। সূর্যোদয় ৫/২৮, সূর্যাস্ত ৫/৩৩। অমৃতযোগ দিবা ৬/২৩ মধ্যে ও ৭/৯ গতে ৯/২৭ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ২/৫০ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৫/৩২ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৩৭ গতে ২/১৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/১৭ গতে ৩/৭ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫৯ মধ্যে ও ১/১ গতে ২/৩২ মধ্যে ও ৪/৩ গতে ৫/৩৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩ মধ্যে ৩/৫৯ গতে ৫/২৮ মধ্যে। 
১৭ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আর জি কর কাণ্ড: অভীক দে-কে তলব সিবিআই-এর, শনিবারই হাজিরা

20-09-2024 - 11:23:00 PM

রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়ের গাড়িতে হামলা, তবে গাড়িতে ছিলেন না বিধায়ক, ঘটনাস্থলে পুলিস

20-09-2024 - 11:00:00 PM

১৫ দিনের মধ্যে উত্তর চেয়ে এবার সুশান্তকে চিঠি ওএসডব্লুএম-এর
আইএমএ’র পর এবার ওএসডব্লুএম। একাধিক বিতর্কে নাম জড়ানোয় এবার ডাঃ ...বিশদ

20-09-2024 - 10:43:00 PM

বিজেপি বিধায়ককে ঘিরে বিক্ষোভ
বন্যা পরিস্থিতিতে বিধায়কের দেখা মেলেনি। জল সরে যাওয়ার পর সেই ...বিশদ

20-09-2024 - 10:26:00 PM

কুলটিতে ফের শ্যুট আউট
কুলটি থানার চিনাকুড়িতে ফের শ্যুট আউট। চিনাকুড়ি বাজারের অদূরে সোদপুর ...বিশদ

20-09-2024 - 09:49:00 PM

মহিলা সুরক্ষায় জলপাইগুড়িতে চালু ৪টি পিঙ্ক পেট্রলিং ভ্যান
মহিলাদের সুরক্ষায় জলপাইগুড়িতে চালু হল পুলিসের চারটি পিঙ্ক পেট্রলিং ভ্যান। ...বিশদ

20-09-2024 - 09:45:28 PM