ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা। ... বিশদ
নদীয়ার শান্তিপুর ব্লক সংলগ্ন গঙ্গায় একাধিক চর রয়েছে। সেখানে যেমন বহু মানুষ বসবাস করে, তেমনই চাষের জমিও রয়েছে। গঙ্গা লাগোয়া চর এবং গঙ্গা তীরবর্তী গ্রামগুলিতে হু-হু করে জল ঢুকতে শুরু করেছে। শুক্রবার গিয়ে দেখা গেল, শান্তিপুর ব্লক ও শান্তিপুর শহরের কিছু অংশ পুরোপুরি জলবন্দি। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকা আংশিক জলবন্দি। ফলে স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত হয়েছে। শান্তিপুরের হাউস সাইড কলোনি, কালনা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকা, চৌধুরীপাড়া, মতিগঞ্জ ঘাট সংলগ্ন পাড়া, চর জিজিয়া, বড়বাজার ঘাট সংলগ্ন এলাকায় নদী উপচে জল ঢুকে পড়েছে। প্রতিটি বাড়ির উঠানে জল থইথই অবস্থা। রাতে গঙ্গার জলস্তর আরও বাড়লে তা একেবারে ঘরের ভিতরে ঢুকে পড়বে। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে চাষের জমিগুলি। পুজোর মুখে যা চিন্তা বাড়িয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা প্রতাপ সরকার বলেন, যেভাবে গঙ্গায় জল বাড়ছে তাতে যে কোনও মুহূর্তে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। আমার নিজের চাষের জমি জলে ভেসেছে। কয়েক হাজার টাকার ফসল নষ্ট হয়েছে।
নবদ্বীপে একই দিনে ফেরি চলাচল বন্ধ করা এবং চালু করা নিয়ে ব্যাপক অসন্তোষ তৈরি হয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগদ বন্ধ করে দেওয়া হয় নবদ্বীপ-স্বরূপগঞ্জ, নবদ্বীপ-মায়াপুর ও মায়াপুর হুলর ঘাট থেকে স্বরূপগঞ্জ রেলবাজার ঘাটের মধ্যে নৌকা এবং লঞ্চ পরিষেবা। ফলে ব্যস্ত সময়ে ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হন সাধারণ মানুষ। নবদ্বীপে বেড়াতে আসা পর্যটক ও নিত্যযাত্রীরা নদী পারাপার না করতে পেরে চরম সমস্যায় পড়েন। যদিও এক ঘণ্টা পর হঠাৎ জেলাস্তর থেকে নির্দেশ আসার পর নৌকা ও ফেরি পরিষেবা ফের চালু করা হয়। যদি চালু থাকবে তাহলে হঠাৎ কেন বন্ধ করা হল? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দারা।
বিষয়টি নিয়ে নবদ্বীপ ব্লকস্তরের এক পদস্থ কর্তা বলেন, প্রথমে সরকারি নির্দেশিকা ছিল নিরাপত্তার জন্য ফেরি বন্ধ করতে হবে। পরে আমরা জেলাস্তর থেকেই আবার নির্দেশিকা পাই ফেরি চলাচল চালু করে দেওয়ার জন্য। তাই সেই নির্দেশ মতো নবদ্বীপের ঘাট থেকে ফেরি পরিষেবা স্বাভাবিক করে দেওয়া হয়েছে। মাঝে কিছুটা সময় বাদ দিলে শুক্রবার সারাদিন স্বাভাবিক পরিষেবা দেওয়া হয়েছে।