ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা। ... বিশদ
তদন্তে নেমে অফিসাররা জানতে পারেন, ত্রিপুরার ব্যবসায়ী বারাসত আসছেন এই খবর বনগাঁর এক চোরাচালানকারীর কাছ থেকে পেয়েছিলেন অভিযুক্ত। ওই চোরাচালানকারীর সঙ্গে একসময়ে যোগাযোগ ছিল ত্রিপুরার ব্যবসায়ীর। এরপর কাউন্সিলার তাঁর ঘনিষ্ঠদের কাজে লাগায় ব্যবসায়ীর সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করতে। তাদের ইতিমধ্যই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতরা সিআইডিকে জানিয়েছে, কাউন্সিলার তাদের নির্দেশ দেয়, ওই ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করতে। ব্যবসায়ীকে অপহরণের জন্য কাউন্সিলার তার এক পরিচিতকে কাজে লাগিয়ে ভদ্রেশ্বর থেকে গাড়ি জোগাড় করে। অভিযুক্ত কাউন্সিলার নির্দেশ দেয়, সেটি সোজা চাঁদনি চকে নিয়ে যেতে। তারপর নম্বর প্লেট বদলে দিতে। চারশো টাকায় বদল করা হয় নম্বর প্লেট। বিহারের নম্বর লাগিয়ে গাড়ি নিয়ে সোজা সোদপুরের আবাসনের সামনে চলে আসে অপহরণকারীরা। সেখান থেকে তারা তাঁকে অপহরণ করে। তদন্তে জানা গিয়েছে, ব্যবসায়ীকে অপহরণের পর যে বাড়িতে রাখা হয়েছিল সেটি ঠিক করে দিয়েছিলেন কাউন্সিলার। এমনকী যে নম্বর থেকে ফোন করে ব্যবসায়ীর বাড়িতে মুক্তিপণ চাওয়া হয় সেটিও নিয়েছিলেন কাউন্সিলার। মুক্তিপণের টাকার ভাগ তাঁর কাছে যাওয়ার কথা ছিল। তদন্তে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত অপহরণের জন্য একটি গ্যাং তৈরি করেন। পুলিসের ভুয়ো পরিচয়পত্র তৈরি করেছে। অনেক জায়গায় পুলিস সেজে ভয় দেখিয়ে কাউন্সিলার টাকা আদায় করেছে। কতগুলি ঘটনা সে ঘটিয়েছে জানার চেষ্টা চলছে।