Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

চিকিৎসা ব্যবসাতেও স্বচ্ছতার দাবি মানুষের
সন্দীপন বিশ্বাস

বর্ধমান, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ বা বীরভূমের ঢাকিপাড়ায় ইতিমধ্যে বোধন হয়ে গিয়েছে। বসন্ত, রসিক কিংবা শ্যামাপদর ঢাকের আওয়াজ ছড়িয়ে পড়ছে গ্রামের বুকে। আর দিনকয়েক পরেই কাঁধে ঢাক নিয়ে ওঁরা বেরিয়ে পড়বেন বিভিন্ন মণ্ডপে। ইতিমধ্যেই ছাউনি পরিয়ে ঢাক বাঁধা হয়ে গিয়েছে। এখন সকাল বিকেল চলছে তারই মহড়া। সেই মিষ্টি সুরই যেন বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে আগমনি গান হয়ে। 
নদীয়া, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদের খাল বিল থেকে সনৎ, আবদুল, কাদের সহ অনেকেই ইতিমধ্যেই পদ্মফুল সংগ্রহ করেছেন।  মহাজনরা সেগুলি কিনে পাঠিয়ে দিয়েছেন হিমঘরে। আসন্ন দুর্গাপুজোয় সেগুলি বিক্রি হবে। ১০৮টা পদ্ম ছাড়া অষ্টমীর সন্ধিপুজো হতে পারে নাকি! 
জোর ব্যস্ততা বিভিন্ন জেলার তাঁতিপাড়ায়। শিল্পীর হাতের বুননে ফুটে উঠছে নানা নকশা। কলকা, চাঁদমালা, রাজমহল, রতনচোখ ইত্যাদি। নানা ডিজাইনের শাড়ি বুনে তাড়াতাড়ি সেগুলি বাজারে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ধীরে ধীরে জমে উঠছে পুজোর বাজার। বিভিন্ন কাপড়ের বাজারে ভিড় বাড়ছে। তাগাদা দিচ্ছেন মহাজন, পাইকাররা। 
শাঁখারিরাও ব্যস্ত নতুন ডিজাইনের শাঁখা বানাতে। পুজোর সময় এয়োতিরা নতুন শাঁখা পরে মাকে বরণ করেন, সিঁদুর খেলেন। এসব পুজোর সময় আমাদের বঙ্গজীবনের অঙ্গ। 
বলার অপেক্ষা রাখে না যে, এই মুহূর্তে চরম ব্যস্ততা কুমোরপাড়ায়। ব্যস্ত শোলাশিল্পীরা। প্রতিমার গয়না বা চালচিত্র নির্মাণের কাজে তাঁদের এখন দম ফেলার সময় নেই। থিমশিল্পীরা তাঁদের শিল্পকর্ম সময়ে শেষ করার জন্য রাতদিন এক করে কাজ করছেন।   
ব্যস্ততা চলচ্চিত্র শিল্পেও। ছবির নির্মাণ কাজ শেষ। পুজোয় যে ছবি মুক্তি পাবে, তার প্রচারে নেমে পড়েছেন শিল্পী ও পরিচালকরা। সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এবার আর জি কর কাণ্ডকে কেন্দ্র করে পুজোর বাজার কিছুটা অন্যখাতে বইছে। একদল বলছেন, তিলোত্তমা-আবহে আমরা উৎসব চাই না। অন্যদল বলছেন, অবশ্যই তিলোত্তমা কাণ্ডের বিচার চাই, তবে উৎসব বন্ধ করতে হবে কেন? এই নিয়ে নানা দ্বিচারিতাও দেখা যাচ্ছে। যেসব অভিনেত্রী ও পরিচালক আন্দোলনে নেমে উৎসবের বিরোধিতা করেছেন, তাঁদেরই কেউ কেউ আবার নিজেদের ছবির প্রচার করে বলছেন, ‘পুজোয় আমার ছবিটা রিলিজ করছে, দয়া করে আপনারা দেখুন।’ 
এই মুহূর্তে দ্বন্দ্বটা সেখানেই। টু বি অর নট টু বি। নানা মুনির নানা মত শোনা যাচ্ছে। এখন স্মার্ট ফোনের দৌলতে সবাই বিচারক, ভিআইপি, মাতব্বর। বিভিন্ন পক্ষ একে অপরকে তেড়ে গালাগাল করছে। সোশ্যাল মিডিয়াকে একটা ক্লাস নরক করে তুলেছে। অথবা বলা যায় ফুল বিনোদন, ফ্রি মস্তি।  
কিন্তু দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদটা যে রয়েই গেল! কোথায় দ্বন্দ্ব? যেমন ধরুন, অনেকেই বলছিলেন, তিলোত্তমার আগে বিচার হোক, তারপর উৎসব। অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত আর্জি। যত দ্রুত সম্ভব সিবিআই অপরাধীদের খুঁজে বের করে তদন্ত শেষ করুক। কিন্তু কেউই বলছেন না, আগে তিলোত্তমার বিচার হোক, তারপর বিরিয়ানি খাব, এখন রেস্তরাঁ বন্ধ থাক। কেউ বলছেন না, তিলোত্তমার বিচার না হওয়া পর্যন্ত মদের দোকান, গাঁজার দোকান, হেরোইনের গোপন ব্যবসা, সিগারেটের দোকান বন্ধ থাক। কেউ বলছেন না, এই যে ভাই, ‘এখন প্রতিবাদের সময়, ওইসব নাটক, সিনেমার বিনোদন বন্ধ হোক।’ আমরা দেখেছি বহু নামী শিল্পীর ফাংশান বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অনেকেই সহমর্মিতা দেখিয়ে অনুষ্ঠান বাতিল করেছেন। বাকিদেরও কিন্তু দ্বিচারিতার পথ থেকে সরে আসা দরকার। কেউ যদি সিনেমা দেখতে বা থিয়েটার দেখতে হলে যান। সেই প্রেক্ষাগৃহকে করে তুলুন প্রতিবাদের মঞ্চ। প্রেক্ষাগৃহে আওয়াজ তুলুন। ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস।’ মুখ্যমন্ত্রীর আলোচনার সদিচ্ছাকে যেমন খুদে ডাক্তাররা বার দুয়েক আড়কাঠিদের হাতে তামাক খেয়ে ভেস্তে দিয়েছেন, তেমনই এখন বন্ধ থাক এই সব বিনোদন চর্চা। বলুন, ‘চোপ এখন প্রতিবাদ চলছে!’    
আর এই প্রতিবাদের মধ্যে হাসপাতালের দরজায় একটু চিকিৎসার জন্য হত্যে দিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। প্রতিবাদের ধামাকায়, জাস্টিস কার্নিভালে চাপা পড়ে যাচ্ছে প্রিয়জন হারানোর কান্না। সবাই যে চিকিৎসাহীন তা নয়, কিন্তু যাঁরা ডিউটি করছেন, তাঁদের পক্ষে এত রোগী সামলানো সম্ভব নয়। অথচ এই সাধারণ রোগীদেরই করের টাকায় সস্তায় ডাক্তারি পড়া যায়। আবার পরে ডাক্তার হয়ে এই সাধারণ মানুষের মাথায় কাঁঠাল ভেঙেও খাওয়া যায়। 
শেষ পর্যন্ত যে খুদে ডাক্তাররা বৈঠকে বসেছেন, সেটা ভালো কথা। তবে শিয়রে সুপ্রিম কোর্টের জুজু না থাকলে তড়িঘড়ি তাঁদের মতি ফিরত কি না সন্দেহ। সবক্ষেত্রেই দেখা যায় গুঁতোর নাম বাবাজি! মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মিটিংয়ে বসার আগে বারবার স্বচ্ছতার প্রসঙ্গ তুলে আনছিলেন আন্দোলনকারীরা। বারবার লাইভ স্ট্রিমিংয়ের কথা বলছিলেন। পরে অবশ্য তাঁরা সেই দাবি থেকে সরে যেতে বাধ্য হন। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, ডাক্তারি পেশায় একশো শতাংশ স্বচ্ছতা রয়েছে তো? এখানে চিকিৎসা ব্যবস্থার সবটাই তো রোগীর বিশ্বাসের ওপর।  ভাবুন তো, ডাক্তারবাবু তাঁর চেম্বারে বসে চিকিৎসা করছেন। রোগীপিছু ভিজিট পাঁচশো, আটশো বা হাজার টাকা। সেই পরিষেবা কেনার জন্য ডাক্তারবাবুরা রশিদ কেটে দেন? রোগীরাও তো চিকিৎসা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে লাইভ স্ট্রিমিং চান। অর্থাৎ প্রতিটি পরিজন যাতে দেখতে পান, হাসপাতালে বা নার্সিং হোমে তাঁর প্রিয়জন কতটা চিকিৎসা পাচ্ছেন। কতটা তিনি অবহেলিত থাকছেন মোটা টাকা মেটানোর পরেও। যে ওষুধ লেখা হচ্ছে, তার সবটুকু রোগী পাচ্ছেন? তার কিছু অংশ পিছনের দরজা দিয়ে আবার হাসপাতাল বা নার্সিং হোমের নিজস্ব ফার্মেসিতে চলে যাচ্ছে না তো? এই যে বহু ডাক্তারের বিরুদ্ধে প্যাথলজি সেন্টার বা ওষুধ কোম্পানির কাছ থেকে কাটমানি খাওয়ার অভিযোগ ওঠে, সে ব্যাপারেও তো স্বচ্ছতা থাকা দরকার! সিবিআইয়ের দাবি, এরকম অজস্র দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে গ্রেপ্তার হওয়া প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। ব্যাপারটা তো এমন নয় যে, চিকিৎসা পরিষেবার ক্ষেত্রে সন্দীপ একাই নকড়া ছকড়া করেছেন। আরও আছে। ঘুঘুর বাসা ভাঙুক। স্বচ্ছতা আসুক চিকিৎসা পরিষেবায়। সাধারণ মানুষ চাইছেন, চিকিৎসা ব্যবসায় একশো শতাংশ স্বচ্ছতা আসুক। তাহলে আর তাঁদের জমি বাড়ি, গয়না বিক্রি করে চিকিৎসা করাতে হবে না। চিকিৎসা ক্ষেত্রে বহু মানবিক ডাক্তার দেখেছি, যাঁদের দেখলে মনে হয়, তাঁদের থেকে দেবতাদের দূরত্ব বেশি নয়। আবার শাইলক ডাক্তারও দেখেছি। সমাজে তাঁদের সংখ্যা বেড়ে গেলে সেবা ধর্মটাই যে অচল পয়সা হয়ে যাবে। 
আন্দোলন হয়েছে। অচিরে তা মিটেও যাবে। অভয়ার মায়ের কোল খালি যেমন থাকবে, তেমনই এই আন্দোলনের জেরে যে সব পরিবারের মানুষ তাঁদের স্বজনদের হারিয়েছেন বিনা চিকিৎসায়, তাঁরাও কিন্তু আর পরিজনদের ফিরে পাবেন না। তাঁদেরও চোখের জল এবং অভিসম্পাতের ধার কম নয়! একটা মৃত্যুর বিচারের দাবি সভ্য সমাজে আর একটা মৃত্যুর কারণ হয়ে উঠতে পারে না! 
রাজ্যের মানুষ জেনে গিয়েছেন, আন্দোলনের সামনে বিচারের দাবি থাকলেও অন্তঃসলিলার মতো বয়ে চলেছে একটা রাজনৈতিক লোভ। সেটা হল, এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সব ঘেঁটে দিয়ে আন্দোলন জারি রাখো। শান্তি ফিরে এলে ক্ষমতা দখলের সুযোগ মাঠে মারা যাবে। তাই কাঠি হাতে অবিরাম জল নাড়িয়ে চলেছে, সোজা বাম, ব্যাঁকা বাম, লাল বাম, অতিবাম, সক্রিয় বাম, নিষ্ক্রিয় বাম সকলেই। বাম জোট ঘোঁট চাইছে, উস্কানি দিয়ে এমন পরিস্থিতি তৈরি হোক, যাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিস বাধ্য হয় জ্যোতি বসুর পুলিসের মতো লগুড় ধর্ম পালন করতে। ১৯৮৩ সালে জ্যোতিবাবুর পুলিস আন্দোলনরত ডাক্তারদের পিটিয়ে ছাতু বানিয়ে দিয়েছিলেন। মমতা সে পথে যাননি। নজির সৃষ্টি করেছেন আন্দোলনকারীদের মঞ্চে ‘দিদি’ হয়ে এসে। এখানেই ঘোর সঙ্কটে পড়ে গিয়েছেন বাম নেতারা। মার্ক্স বা লেনিনের পঞ্জিকায় তো এর বিহিত করার ব্যাপারে কিছু লেখা নেই। সুতরাং ঘুলিয়ে দাও! 
আন্দোলনের অভিমুখ একেবারে গোড়ার দিকে যা ছিল, সত্যি কথা বলতে কী, সেই তেজ আর নেই। অনেকেই সরে গিয়েছেন। অনেকেই মনে করছেন, আন্দোলন এবার ভুল পথে পরিচালিত হচ্ছে। রাতদখলেও সেই স্বতঃস্ফূর্ত ভিড় নেই। তাকে নিছকই মুভমেন্ট ফেস্টিভ্যাল বললে অত্যুক্তি হয় না। কেননা ধীরে ধীরে বিচারের দাবি হারিয়ে তা পাঁচ কাসুন্দিতে পর্যবসিত হয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বাম আমলের থেকে অনেক উন্নত হয়েছিল। এই আন্দোলন সেই পরিকাঠামো ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল। সেই অবস্থানে ফিরতে আবার অনেকটা সময় লাগবে। তার মূল্য দিতে হবে সাধারণ মানুষকে, সেটা খুদে ডাক্তারদের বোঝা উচিত। পাঁচ কাসুন্দির উস্কানিতে তা যেন ফের দিশাহীন না হয়ে যায়। বাংলাজুড়ে উৎসবের চালচিত্রে সার্থক হোক সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা। অঙ্গনজুড়ে আঁকা হোক সকলের বিবেকী আলপনা। 
18th  September, 2024
গঙ্গাসাগর মেলার জাতীয় স্বীকৃতি ন্যায্য দাবি
হারাধন চৌধুরী

কূর্মপুরাণে বলা হয়েছে, ‘সর্বত্র সুলভা গঙ্গা ত্রিষু স্থানেষু দুর্লভা।/ গঙ্গাদ্বারে প্রয়াগে চ গঙ্গাসাগরসঙ্গমে।।’ অর্থাৎ গঙ্গা সর্বত্র সুলভা হলেও হরিদ্বার, প্রয়াগ ও গঙ্গাসাগর—এই তিন স্থানে অতিশয় দুর্লভা। দুর্লভ বস্তুর প্রতিই তো মানুষের আকর্ষণ সর্বাধিক। এছাড়া গঙ্গাই ভারতভূমির আত্মা। বিশদ

‘আবার তোরা মানুষ হ’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

অশ্বত্থতলার মোড়ে গেলে এখনও কি ওই নুড়িটা দেখতে পাওয়া যাবে? মাপ করবেন। শিবরাম চক্কোত্তি মহাশয় নিজেই শেষে মত বদল করেছিলেন, আর আমরা তো নেহাৎ ছারপোকা। মনে পড়ল? ওই যে লেখকের হোঁচট-সঙ্গী পাথরটি... উপড়ে একপাশে রেখেছিলেন লেখক। বিশদ

14th  January, 2025
‘ভাইস চ্যান্সেলর’ হবেন ইউজিসির ‘ভাইসরয়’! 
পি চিদম্বরম

প্রকৃতপক্ষে সব সরকারেরই অধিক ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা থাকে। তাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ এবং কর্তৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য তারা নতুন নতুন আইন তৈরি করে। এর কারণ এটাই যে শাসকরা ভাবেন, দেশ এবং জনগণের জন্য কোনটা ভালো তা কেবল তাঁরাই জানেন।
বিশদ

13th  January, 2025
স্বামী বিবেকানন্দের হিন্দুত্বই একমাত্র মুক্তির পথ
হিমাংশু সিংহ

‘‘যখন নেতৃত্ব দিচ্ছ তখন সেবা করো, স্বার্থশূন্য হও।’’ এই উপদেশ তিনি দিয়েছিলেন স্বাধীনতার অর্ধশতক আগে। আজ যখন আমরা উন্নত ভারতের স্বপ্ন দেখি, সংবিধানের ৭৫ বছরে নানা বর্ণাঢ্য উৎসব করি, তখন তাঁর ওই ছোট্ট অথচ মহান উপদেশটা কি মনে রেখেছি? বিশদ

12th  January, 2025
গদি বাঁচাতেই যুদ্ধের জিগির, কিন্তু কতদিন?
তন্ময় মল্লিক

‘ভারত ওদের শত্রু এখন বন্ধু পাকিস্তান/ যারা একাত্তরে কেড়েছিল লাখো মা-বোনের সম্মান/ এই হানাদার আজ এই মাটিতে বেঁধেছে আবার ঘর/ ওই নরপশুদের বাবা-দাদা ছিল পাক সেনাদের চর।’ এই গানের রচিয়তা ভারতবর্ষের কোনও গীতিকার নন।
বিশদ

11th  January, 2025
হিন্দুত্ব প্রজেক্ট এবং ভারত-ব্র্যান্ডের ক্ষতি
সমৃদ্ধ দত্ত

দেওয়ালজুড়ে সাজানো হয়েছিল লাল রঙের লাভ সাইন আকৃতির বেলুন। শিশু ও বালক বালিকার দল নিজেদের মতো করে এঁকেছিল যিশুর ছবি। সকলেই পরেছিল সান্টাক্লজের লাল সাদা পোশাক। দিদিমণি এবং বাচ্চারা মিলে গা‌ই঩ছিল ক্রিসমাস ক্যারল। বিশদ

10th  January, 2025
রাশিয়ার মসনদে পুতিনের ২৫ বছর
মৃণালকান্তি দাস

সময়টা ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর। রাশিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিন হঠাৎ তাঁর পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে তিনি বলেন, ‘নতুন রাজনীতিবিদ, নতুন মুখ আর বুদ্ধিদীপ্ত, প্রাণচঞ্চল ও শক্তিশালী নতুন ব্যক্তিদের নেতৃত্বে রাশিয়াকে নতুন শতকে পা রাখতে হবে।’ বিশদ

09th  January, 2025
মোদির পর কে? নিঃশব্দ যুদ্ধ অমিত ও যোগীর
সন্দীপন বিশ্বাস

ডি এল রায়ের ‘সাজাহান’ নাটকে ঔরংজীব যখন ভাইদের হত্যা করে সিংহাসন দখল করলেন, তখনই তাঁর সেই প্রাপ্তির মধ্যেও জেগে উঠল ভয়ঙ্কর এক আতঙ্ক। ঘুমের মধ্যেও যেন তিনি আঁৎকে ওঠেন। বলেন, ‘কে তোমরা? জ্যোতির্ময়ী ধূমশিখার মতো মাঝে মাঝে আমার জাগ্রত তন্দ্রায় এসে দেখা দিয়ে যাও। বিশদ

08th  January, 2025
বিশ্বাসের পূর্ণকুম্ভে পরীক্ষা হিন্দুত্ব রাজনীতির
শান্তনু দত্তগুপ্ত

চারদিকে শুধুই আখড়া। ছোট, বড়, মাঝারি... পাশ দিয়ে হেঁটে চলে যাওয়া যাবে না। থমকে দাঁড়াতেই হবে। শৈব, বৈষ্ণব, শাক্ত... কিছুতেই যে আলাদা করা যায় না! ওই তো কানে আসছে ভজন। আর একটু এগোলে রামচরিতমানস পাঠ শোনা যাবে। আর ভেসে আসবে বেদগান। বিশদ

07th  January, 2025
পরিবর্তনের বীজ বপন মনমোহনেরই হাতে
পি চিদম্বরম

গত ২৬ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার চলে গেলেন ডঃ মনমোহন সিং। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। ১৯৯১ সালের ২১ জুন তিনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। সেদিনই তাঁর সঙ্গে আমার যোগাযোগের শুরু। তাঁর প্রয়াণের সঙ্গেই অবসান ঘটল আমাদের মধ্যে সেই সুসম্পর্কের।
বিশদ

06th  January, 2025
বাংলাকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক চক্রান্ত বন্ধ হোক!
হিমাংশু সিংহ

‘দুনিয়ার হিন্দু এক হও...।’ বাংলাদেশ ইস্যুতে ফায়দা লুটতে আওয়াজ তুলছেন হতাশ দলবদলু নেতা। বঙ্গ বিজেপি’র যেরকম দিশাহারা অবস্থা, তাতে আর কী-বা করার আছে তাঁর। এই স্লোগান হিন্দু ধর্মের স্বার্থে না ঢাল তরোয়াল ছাড়া ভোট বৈতরণী পার করার বাধ্যবাধকতায়? বিশদ

05th  January, 2025
বিজেপির সদস্যতা অভিযান আসলে জুমলা
তন্ময় মল্লিক

আগে জামাকাপড় কেনাকাটার উপর বছরে একবারই ছাড় দেওয়া হতো। বাংলায় যার নাম ‘চৈত্র সেল’। বিক্রি না হওয়া মালপত্রের সদ্‌গতি করাই ছিল লক্ষ্য। বহু মানুষ চৈত্র সেলের অপেক্ষায় থাকত। কিন্তু এখন? মলে, বড় বড় দোকানে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রায় সারা বছরই ‘অফার’ দেওয়া হয়। বিশদ

04th  January, 2025
একনজরে
পানীয় জলের পাইপলাইন দিয়ে জলের সঙ্গে বের হল আস্ত সাপ। মঙ্গলবার দুপুরে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের গ্রুপ-ডি কর্মীদের কোয়ার্টারে এমন ঘটনায় হইচই শুরু হয়। আতঙ্কে বাসিন্দারা ...

রাজধানীর আসন্ন নির্বাচন বিজেপি-কংগ্রেসের গোপন আঁতাত প্রকাশ্যে নিয়ে আসবে। মঙ্গলবার এই ভাষাতেই হাত শিবিরকে কটাক্ষ করলেন আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সোমবার দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব হন রাহুল গান্ধী। ...

পারদ নামতেই পৌষমাস মাটি মাফিয়াদের! স্থলভাগের জমি কেটে পাচারের কথা বহুশ্রুত। মাটি মাফিয়াদের নজর এখন নদীর জলে। মাঝ নদীতে গিয়ে জলের তলার অংশের মাটি তুলে ...

মঙ্গলবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমণ্ডি ব্লকের পেত্নীদিঘি এলাকায় ১৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নিকাশিনালার কাজের সূচনা হল। এদিন কুশমণ্ডি মালিগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধি, জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি অম্বরীষ সরকার, সদস্য মৃণাল সরকার এই উন্নয়নমূলক কাজের সূচনা করেন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন।  অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

ভারতীয় সেনা দিবস
৩৭: রোমের রাজা নিরো জন্মগ্রহণ করেন
১৫৫৯: ইংল্যান্ডের রানি হলেন প্রথম এলিজাবেথ
১৭৫৯: লন্ডনে মানুষের ইতিহাস ও সংস্কৃতির জাদুঘর ব্রিটিশ মিউজিয়ামের উদ্বোধন হয়, এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৭৫৩ সালে
১৭৮৪: কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হল এশিয়াটিক সোসাইটি অব বেঙ্গল
১৮৩২: আইফেল টাওয়ারের স্থপতি গুস্তাভ আইফেল জন্মগ্রহণ করেন
১৮৭৩: বাংলার দ্বিতীয় সাধারণ রঙ্গালয় ওরিয়েন্টাল থিয়েটারের উদ্বোধন
১৮৭৫: ভারতীয় মৌসুম বিজ্ঞান বিভাগ সংক্ষেপে আইএমডি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৭৫: কলকাতায় দ্য স্টেটসম্যান ইংরাজী দৈনিক পত্রিকা সংযুক্তরূপে প্রকাশ শুরু
১৮৭৮: লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নারীরা প্রথম ডিগ্রি লাভের সুযোগ পান
১৯৩৪: ভারতের বিহারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ২০ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়
১৯৩৮: ফুটবলার চুনী গোস্বামীর জন্ম
১৯৫৬: বিএসপি নেত্রী মায়াবতীর জন্ম
২০০১: অনলাইনভিত্তিক বহুভাষার মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়া যাত্রা শুরু
২০০৯: দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারজয়ী চলচ্চিত্র পরিচালক তপন সিনহার মৃত্যু
 ২০১৮: শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী পণ্ডিত বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৮৩ টাকা ৮৭.৫৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.০৫ টাকা ১০৭.৭৪ টাকা
ইউরো ৮৭.৩০ টাকা ৯০.৬৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ মাঘ, ১৪৩১, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫। দ্বিতীয়া ৫২/৩৩ রাত্রি ৩/২৪। পুষ্যা নক্ষত্র ১০/১৩, দিবা ১০/২৮। সূর্যোদয় ৬/২৩/৮, সূর্যাস্ত ৫/৮/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৯/৫৮ গতে ১১/২৪ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৪/২৬ মধ্যে। রাত্রি ৬/৩ গতে ৮/৪১ মধ্যে পুনঃ ১/৫৮ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৩৪ গতে ৩/০ মধ্যে। রাত্রি ৮/৪১ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৯/৪ গতে ১০/২৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৫ গতে ১/৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৪ গতে ৪/৪৪ মধ্যে। 
১ মাঘ, ১৪৩১, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫। দ্বিতীয়া রাত্রি ৩/৫২। পুষ্যা নক্ষত্র দিবা ১১/১৯। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/০ গতে ১১/২৯ মধ্যে ও ৩/১০ গতে ৪/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৫ গতে ৮/৫০ মধ্যে ও ২/০ গতে ৬/২৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/১০ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৫০ গতে ১০/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৯/৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ১/৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৬ গতে ৪/৪৬ মধ্যে।   
১৪ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
দিল্লি-এনসিআর এলাকায় কুয়াশার দাপট, সকাল থেকে বাতিল ৭টি বিমান, দেরিতে ১৮৪টি উড়ান

10:37:00 AM

ভূস্বর্গে ঠান্ডার কাঁপুনি, শ্রীনগরের ডাল লেকে হালকা বরফের আস্তরণ

10:37:00 AM

বেলা বাড়লেও কুয়াশায় ঢাকা পশ্চিম মেদিনীপুরের  পিংলা

10:26:00 AM

মালদহ টাউন স্টেশন দিয়ে মাদক পাচারের চেষ্টা, পাকড়াও ৩ পাচারকারী
ফের মালদহ টাউন স্টেশন দিয়ে মাদক পাচারের চেষ্টা। জিআরপি'র জালে ...বিশদ

10:24:12 AM

আজ কংগ্রেসের নতুন সদর দপ্তর ইন্দিরা ভবনের উদ্ধোধন, উপস্থিত হলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী

10:18:00 AM

দক্ষিণ কোরিয়ার বরখাস্ত হওয়া প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলকে গ্রেপ্তার করল পুলিস

10:07:00 AM