Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

অচলাবস্থায় ক্ষতি সরকারের নয়, মানুষের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

চিত্র ১: বিশ্বাসবাবু কাল মিছিলে গিয়েছিলেন। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই। বেসরকারি এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন তিনি। না গেলে আর হচ্ছিলও না। কলেজের ছেলেমেয়েগুলো বাঁকা চোখে তাকাচ্ছিল। ওরা রোজই প্রায় হাজিরা দিচ্ছে স্বাস্থ্য ভবনের অবস্থানে। অবশ্য ক্লাস সেরে। এত কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা টিউশন ফি দিচ্ছে... ক্লাস না করে শুধু আন্দোলন করলে ওদের বাবা-মায়েরাও কি ছেড়ে দেবে? আরও কয়েকজনকে বিশ্বাসবাবু চেনেন... তাঁরাও আন্দোলনে যাচ্ছেন। একজন আবার তাঁদের মধ্যে সরকারি কর্মীও। সই করে চলে আসছেন অবস্থানে। পরে আবার ঢুকে মুখ দেখিয়ে কাজ সেরে ফেলছেন। মাসের শেষে এঁদের সবার মাইনে পাকা। পেটে কিল মেরে এঁদের কেউ আন্দোলনে নেই। পেট ভরছে, প্রতিবাদ হচ্ছে, আবার স্টেটাসও থাকছে। তাই বিশ্বাসবাবুও গিয়েছিলেন ‘আন্দোলনে’। বৃষ্টি ভিজে ফিরেছেন। তারপর থেকেই নাক ফ্যাঁচ ফ্যাঁচ, আর গায়ে ঘুসঘুসে জ্বর।
চিত্র ২: রিনা সাউ আর যাবেন না মিছিলে। সেবার ওই লাল পার্টির লোকজন নিয়ে গিয়েছিল। বাড়ি বাড়ি কাজ করে, এমন অনেকেই ছিল ওদিনের মিছিলে। এমন একটা পোস্টারও বানিয়ে দিয়েছিল পার্টি থেকে। কিন্তু দুটো কাজের বাড়ি সেদিন যেতে পারেননি রিনা। খুব মুখ করেছিল। আর যাবেন না রিনা। যদি কাজ চলে যায়, টাকা কি ওরা দেবে?
চিত্র ৩: একের পর এক ফোন ঘুরিয়ে যাচ্ছেন ভদ্রলোক। বড়বাজারে তাঁর শাড়ির পাইকারি দোকান। দেড় লক্ষ টাকার মাল তুলেছেন। অন্য বছর এর থেকে বেশিই তোলেন। অন্তত আরও দু’বার স্টক ঢুকে যায় বিশ্বকর্মা পুজোর মধ্যে। এবার প্রথম লটের স্টকই শেষ হচ্ছে না। গোডাউন ভর্তি মাল। যারা শাড়ি নেয়, তাদের ফোন করেও লাভ হচ্ছে না। কেউ নিতে চাইছে না। কারণ, বিক্রি নেই। লোকে নাকি কিনতে চাইছে না। মাথা কাজ করছে না ভদ্রলোকের। গোটা বছর এই সময়টাই তো ব্যবসা হয়। আর কিছুটা পয়লা বৈশাখের আগে। কিন্তু পুজোর বাজার যদি এভাবে মার খায়, সারা বছর চলবে কীভাবে! এত টাকা দেনা... সুইসাইড করা ছাড়া গতি থাকবে না।
অভয়ার জন্য ন্যায় বিচার। পাঁচ দফা দাবি। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার আমূল বদল। পুলিস কমিশনারের পদত্যাগ। এই সবই সমাজের ‘ভালোর জন্য’। মানুষের জন্য। আর এখানে মানুষ একটু ‘ত্যাগ’ করবে না? কী হয় এক বছর উৎসব না করলে? নতুন জামা না কিনলে? অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত প্রশ্ন। কিন্তু এই ত্যাগ কি আমাদের সমাজের সব শ্রেণির ‘অ্যাফোর্ড’ করার ক্ষমতা আছে? পারবে তো তারা বহন করতে? কোভিডের ঘা এখনও শুকায়নি। আমরা পদে পদে টের পেয়েছি কাজ না থাকার... ব্যবসা না থাকার যন্ত্রণা। অগ্নিমূল্য জিনিসপত্রের দাম, অবসাদ, আত্মহত্যা। আমরা কি সেগুলো এত তাড়াতাড়ি ভুলে গেলাম? যে ভদ্রমহিলা আন্দোলন মঞ্চে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করছেন, এখন আমাদের অশৌচ। মাথায় তেল বা শ্যাম্পুও দেব না। তিনিই তারপর দেওয়াল ভরিয়ে দিচ্ছেন তাঁর পার্লারের বিজ্ঞাপনে। চেপে ধরলে বলছেন, ওটা তো আমার পেশা। ম্যাডাম এবং সেই সঙ্গে আম জনতার থেকে ত্যাগের প্রত্যাশী প্রত্যেক স্যারের জন্য একটা প্রশ্ন রইল, আপনাদেরটা পেশা। আর বাকিদেরটা? মাস গেলে আপনাদের বেতন বা ব্যবসা থেকে উপার্জন নিশ্চিত থাকবে, আর যাঁরা এই পুজোর সময়টাকে আঁকড়ে সারা বছরের জন্য বাঁচেন? তাঁদের দোষ কী? আপনি লক্ষ লক্ষ মানুষকে নতুন জামা কিনতে বারণ করছেন। কিন্তু সেই বারণের জন্য কত হাজার গরিব মানুষের পেটে লাথি মারা হচ্ছে, সেই হিসেব কে করবে? এই প্রশ্ন তোলার জন্য হয়তো এই অধম প্রতিবেদককে আন্দোলনের বিরোধী বলে দাগিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু মনে রাখা দরকার, আন্দোলনকারী এবং সরকার ছাড়াও এখানে আর একটা পক্ষ রয়েছে—সাধারণ গরিব মানুষ। এই পক্ষে থাকার জন্য যে কোনও বিশেষণই গায়ে মাখা যায়। অচলাবস্থার জন্য তাঁদের ভোগান্তি, যন্ত্রণা, হতাশা এবং দূর ভবিষ্যতের আশঙ্কায় তিলে তিলে মৃত্যুর অপেক্ষা... এটাই কিন্তু আজকের ছবি, যা দেখতে পাচ্ছি না আমরা। বা দেখেও দেখছি না। আন্দোলনকারীরা হয়তো ভুলে যাচ্ছেন, অচলাবস্থায় সরকারের ক্ষতি হয় না। ক্ষতি হয় সাধারণ গরিব মানুষের। সেটাই এখন চোখে আসছে না। তাই স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় যখন ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ প্ল্যাকার্ড হাতে আন্দোলনের মাঝে উপস্থিত হন, তখন তাঁর প্রতি উচ্ছ্বাসের বিস্ফোরণ ঘটছে। কিন্তু যখন তিনি তাঁর আসন্ন ছবির প্রচার করেন, সেই স্বস্তিকাই হয়ে ওঠেন ‘আন্দোলনের শত্রু’। কেন? কী অপরাধ করেছেন তিনি? সিনেমা তো তাঁর পেশা! তাঁর উপার্জনের পথ। ইমন, লোপামুদ্রা, সৃজিত... এঁদের সবার। এখন অশৌচ চলছে, তাই কাজ বন্ধ রাখুন... এটা কি বলা যায়? নাকি বলাটা মানবিক? স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় যদি তার জন্য বলেন, ‘খালি পেটে বিপ্লব হয় না সাথী! ভাতের জন্যও লড়তে গেলে স্বাদ জানতে হয়। তাই যদি বেঁচে থাকার পন্থাকে আপনারা নিন্দা করতে শুরু করেন, তাহলে খুনের জন্য বিচার চাওয়াটা হিপোক্রেসি নয় কি?’... কোন কথাটা ভুল বলেছেন তিনি। সমাজ এবং সরকারের পা যাতে নড়ে না যায়, তার জন্য প্রতিবাদ প্রয়োজন। জল মাথার উপর উঠে গেলে চাই আন্দোলনও। ঠিক যেভাবে ইন্দিরা গান্ধীর ইমার্জেন্সির বিরুদ্ধে খেপে উঠেছিল মানুষ। কিন্তু দেখতে হবে, আমার বিপ্লব যেন সমাজের খেটে খাওয়া, পিছনের সারির মানুষগুলোকে খাদের কিনারায় ঠেলে না দেয়। আন্দোলনে আমি যোগ দেব। কাজ করে, নাকি কাজ ফেলে... সেটা সম্পূর্ণ আমার নিজের সিদ্ধান্ত। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষের উপর চাপিয়ে দিতে আমি পারি না। মুখে আমরা গণতন্ত্রের কথা বলব। সিস্টেম নিয়ে মতামত জানাব। পুরসভায় বা সরকারি দপ্তরে কোনও কাজে গেলে আবার আমরাই অফিসারের হাতে কিছু গুঁজে দেব। কাজ মিটে গেলে বলব, সব দুর্নীতিবাজ। এখনই বিপ্লব চাই। কিন্তু মনে রাখতে হবে, যে সব দাবি ছাত্রসমাজ তুলেছে, তার সমাধান প্রশাসনিক দিক থেকে‌ই সম্ভব। শুধুমাত্র রাজনীতি জিইয়ে রাখার জন্য সেই উদ্যোগ বারবার মাঠে মারা গিয়েছে। কাজে ফেরার কথা, আলোচনার কথা বহুদিন ধরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন। ৯ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর রাজ্য সরকার আরও বেশি নমনীয়তা দেখিয়েছে। বারবার চিঠি দিয়ে আন্দোলনকারীদের আসতে বলা হয়েছে। কখনও নবান্নে, কখনও কালীঘাটে। কিন্তু শর্তের ঠেলায় বারবার প্রশাসনের দেওয়ালে ধাক্কা খেয়ে ফিরে এসেছে আলোচনার আবহ। কথায় বলে, অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট। তারপরও মুখ্যমন্ত্রী সোমবার জুনিয়র ডাক্তারদের ডেকেছেন বৈঠকে। ছাত্র হোক বা সমাজ, একটা বিষয় বুঝতে হবে—যে দাবি তাঁরা করছেন, তার কোনওটাই মিটে যাওয়া একদিনে সম্ভব নয়। শুরুটা করা যায়। আজ, এই মুহূর্তে। সেটা রাজ্য সরকার করেছে। আন্দোলনে গলা মেলানো এক সেলেবও কিন্তু বলেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার যে নমনীয়তার সঙ্গে আন্দোলনের সমাধান খোঁজার চেষ্টা করছে, তা প্রশংসনীয়। অন্য কোনও রাজ্যে এমন হয় না।’ তাঁর মন্তব্য টেনেই বলা যায়, ঠিক এই কারণে কোথাও আন্দোলনও এভাবে দানা বাঁধে না। তার কোমর ভেঙে দেওয়া হয়।
লোকসমাজ থেকে উঠে এলেই একমাত্র প্রতিবাদ শক্তিশালী হয়ে ওঠে। ছাত্রদের মধ্যে গড়ে ওঠা প্রতিবাদ আজ সাধারণ মানুষের কণ্ঠ পেয়েছে। কারণ কিন্তু ওই মেয়েটা। আমার, আপনার, সবার ঘরে আছে অভয়া। তাঁর এই মর্মান্তিক মৃত্যু মেনে নিতে পারেনি লোকসমাজ। তারা আজও আছে জুনিয়র ডাক্তারদের এই আন্দোলনে। ঩বিচার চাইছে তাঁর জন্য। গ্রামেগঞ্জে না হলেও, অন্তত কলকাতা শহরে তো বটেই। কিন্তু রাজনীতি, ক্ষমতার লড়াই, ডিএসও, পিডিএস... এসব দেখার পর তাঁরা থাকবে তো? যখন জানতে পারবে, কোনও আন্দোলনকারী মেডিক্যাল রাজনীতিতে পা মজবুত করার জন্য আবার কেউ আইএমএ’তে তাঁর পরম পরিজনের জায়গা পাকা করার জন্য লড়ছেন... এই ভালোবাসা বা শ্রদ্ধা থাকবে? বামেরা ভাবছে, দারুণ ইস্যু পেয়ে গিয়েছি। এটা হাতছাড়া করা যাবে না। সামনে বড়সড় নেতৃত্ব কেউ আসছে না। পিছন থেকে সাংগঠনিক সাপোর্ট দিয়েই বাজিমাত হবে। ভোট আসবে আমাদের ঝুলিতে। বিজেপি ভাবছে, যেমন চলছে চলুক। এতে তৃণমূলের ভোট কমবে। আর তখনই মেরুকরণটা হবে। কারণ, মুসলিম ভোট সিপিএমের দিকে যাওয়ার পরিস্থিতিই নেই। গেলে সামান্য অংশ। বাকি রইল হিন্দু ভোট! তৃণমূল থেকে সরলেও সেটা সিপিএমের দিকে যাবে না। কারণ, গত তিন বছর ধরে তাদের সাম্প্রদায়িক ঘেঁষাঘেঁষি। যদি দু’-তিন শতাংশ হিন্দু ভোটও গেরুয়া শিবিরে চলে আসে, তাতে কেল্লা ফতে বিজেপির। 
ভিড় বাড়ছে হাসপাতালের আউটডোরে। মরিয়া হয়ে উঠেছেন গরিব মানুষ। ৫ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে হলেও ডাক্তার দেখাতে হবে। ভর্তি না নিক, ওষুধ লিখিয়ে আনতে হবে। অবরোধ, রাস্তা বন্ধের ভয় কাটিয়ে যেতে হবে নিউ মার্কেট, হাতিবাগান বা গড়িয়াহাটে। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই। এটাই সোশ্যাল মিডিয়ার বাইরের জগৎ। গণতন্ত্র মত প্রকাশের স্বাধীনতা দেয়, মত চাপানোর নয়। তাই প্রতিষ্ঠানের উপর, রাষ্ট্রের উপর ভরসা রাখতেই হবে। দু’বছর পর মানুষই দেখিয়ে দেবে, কে ঠিক ছিল, আর কে ভুল।
17th  September, 2024
গঙ্গাসাগর মেলার জাতীয় স্বীকৃতি ন্যায্য দাবি
হারাধন চৌধুরী

কূর্মপুরাণে বলা হয়েছে, ‘সর্বত্র সুলভা গঙ্গা ত্রিষু স্থানেষু দুর্লভা।/ গঙ্গাদ্বারে প্রয়াগে চ গঙ্গাসাগরসঙ্গমে।।’ অর্থাৎ গঙ্গা সর্বত্র সুলভা হলেও হরিদ্বার, প্রয়াগ ও গঙ্গাসাগর—এই তিন স্থানে অতিশয় দুর্লভা। দুর্লভ বস্তুর প্রতিই তো মানুষের আকর্ষণ সর্বাধিক। এছাড়া গঙ্গাই ভারতভূমির আত্মা। বিশদ

‘আবার তোরা মানুষ হ’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

অশ্বত্থতলার মোড়ে গেলে এখনও কি ওই নুড়িটা দেখতে পাওয়া যাবে? মাপ করবেন। শিবরাম চক্কোত্তি মহাশয় নিজেই শেষে মত বদল করেছিলেন, আর আমরা তো নেহাৎ ছারপোকা। মনে পড়ল? ওই যে লেখকের হোঁচট-সঙ্গী পাথরটি... উপড়ে একপাশে রেখেছিলেন লেখক। বিশদ

14th  January, 2025
‘ভাইস চ্যান্সেলর’ হবেন ইউজিসির ‘ভাইসরয়’! 
পি চিদম্বরম

প্রকৃতপক্ষে সব সরকারেরই অধিক ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা থাকে। তাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ এবং কর্তৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য তারা নতুন নতুন আইন তৈরি করে। এর কারণ এটাই যে শাসকরা ভাবেন, দেশ এবং জনগণের জন্য কোনটা ভালো তা কেবল তাঁরাই জানেন।
বিশদ

13th  January, 2025
স্বামী বিবেকানন্দের হিন্দুত্বই একমাত্র মুক্তির পথ
হিমাংশু সিংহ

‘‘যখন নেতৃত্ব দিচ্ছ তখন সেবা করো, স্বার্থশূন্য হও।’’ এই উপদেশ তিনি দিয়েছিলেন স্বাধীনতার অর্ধশতক আগে। আজ যখন আমরা উন্নত ভারতের স্বপ্ন দেখি, সংবিধানের ৭৫ বছরে নানা বর্ণাঢ্য উৎসব করি, তখন তাঁর ওই ছোট্ট অথচ মহান উপদেশটা কি মনে রেখেছি? বিশদ

12th  January, 2025
গদি বাঁচাতেই যুদ্ধের জিগির, কিন্তু কতদিন?
তন্ময় মল্লিক

‘ভারত ওদের শত্রু এখন বন্ধু পাকিস্তান/ যারা একাত্তরে কেড়েছিল লাখো মা-বোনের সম্মান/ এই হানাদার আজ এই মাটিতে বেঁধেছে আবার ঘর/ ওই নরপশুদের বাবা-দাদা ছিল পাক সেনাদের চর।’ এই গানের রচিয়তা ভারতবর্ষের কোনও গীতিকার নন।
বিশদ

11th  January, 2025
হিন্দুত্ব প্রজেক্ট এবং ভারত-ব্র্যান্ডের ক্ষতি
সমৃদ্ধ দত্ত

দেওয়ালজুড়ে সাজানো হয়েছিল লাল রঙের লাভ সাইন আকৃতির বেলুন। শিশু ও বালক বালিকার দল নিজেদের মতো করে এঁকেছিল যিশুর ছবি। সকলেই পরেছিল সান্টাক্লজের লাল সাদা পোশাক। দিদিমণি এবং বাচ্চারা মিলে গা‌ই঩ছিল ক্রিসমাস ক্যারল। বিশদ

10th  January, 2025
রাশিয়ার মসনদে পুতিনের ২৫ বছর
মৃণালকান্তি দাস

সময়টা ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর। রাশিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিন হঠাৎ তাঁর পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে তিনি বলেন, ‘নতুন রাজনীতিবিদ, নতুন মুখ আর বুদ্ধিদীপ্ত, প্রাণচঞ্চল ও শক্তিশালী নতুন ব্যক্তিদের নেতৃত্বে রাশিয়াকে নতুন শতকে পা রাখতে হবে।’ বিশদ

09th  January, 2025
মোদির পর কে? নিঃশব্দ যুদ্ধ অমিত ও যোগীর
সন্দীপন বিশ্বাস

ডি এল রায়ের ‘সাজাহান’ নাটকে ঔরংজীব যখন ভাইদের হত্যা করে সিংহাসন দখল করলেন, তখনই তাঁর সেই প্রাপ্তির মধ্যেও জেগে উঠল ভয়ঙ্কর এক আতঙ্ক। ঘুমের মধ্যেও যেন তিনি আঁৎকে ওঠেন। বলেন, ‘কে তোমরা? জ্যোতির্ময়ী ধূমশিখার মতো মাঝে মাঝে আমার জাগ্রত তন্দ্রায় এসে দেখা দিয়ে যাও। বিশদ

08th  January, 2025
বিশ্বাসের পূর্ণকুম্ভে পরীক্ষা হিন্দুত্ব রাজনীতির
শান্তনু দত্তগুপ্ত

চারদিকে শুধুই আখড়া। ছোট, বড়, মাঝারি... পাশ দিয়ে হেঁটে চলে যাওয়া যাবে না। থমকে দাঁড়াতেই হবে। শৈব, বৈষ্ণব, শাক্ত... কিছুতেই যে আলাদা করা যায় না! ওই তো কানে আসছে ভজন। আর একটু এগোলে রামচরিতমানস পাঠ শোনা যাবে। আর ভেসে আসবে বেদগান। বিশদ

07th  January, 2025
পরিবর্তনের বীজ বপন মনমোহনেরই হাতে
পি চিদম্বরম

গত ২৬ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার চলে গেলেন ডঃ মনমোহন সিং। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। ১৯৯১ সালের ২১ জুন তিনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। সেদিনই তাঁর সঙ্গে আমার যোগাযোগের শুরু। তাঁর প্রয়াণের সঙ্গেই অবসান ঘটল আমাদের মধ্যে সেই সুসম্পর্কের।
বিশদ

06th  January, 2025
বাংলাকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক চক্রান্ত বন্ধ হোক!
হিমাংশু সিংহ

‘দুনিয়ার হিন্দু এক হও...।’ বাংলাদেশ ইস্যুতে ফায়দা লুটতে আওয়াজ তুলছেন হতাশ দলবদলু নেতা। বঙ্গ বিজেপি’র যেরকম দিশাহারা অবস্থা, তাতে আর কী-বা করার আছে তাঁর। এই স্লোগান হিন্দু ধর্মের স্বার্থে না ঢাল তরোয়াল ছাড়া ভোট বৈতরণী পার করার বাধ্যবাধকতায়? বিশদ

05th  January, 2025
বিজেপির সদস্যতা অভিযান আসলে জুমলা
তন্ময় মল্লিক

আগে জামাকাপড় কেনাকাটার উপর বছরে একবারই ছাড় দেওয়া হতো। বাংলায় যার নাম ‘চৈত্র সেল’। বিক্রি না হওয়া মালপত্রের সদ্‌গতি করাই ছিল লক্ষ্য। বহু মানুষ চৈত্র সেলের অপেক্ষায় থাকত। কিন্তু এখন? মলে, বড় বড় দোকানে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রায় সারা বছরই ‘অফার’ দেওয়া হয়। বিশদ

04th  January, 2025
একনজরে
পানীয় জলের পাইপলাইন দিয়ে জলের সঙ্গে বের হল আস্ত সাপ। মঙ্গলবার দুপুরে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের গ্রুপ-ডি কর্মীদের কোয়ার্টারে এমন ঘটনায় হইচই শুরু হয়। আতঙ্কে বাসিন্দারা ...

পারদ নামতেই পৌষমাস মাটি মাফিয়াদের! স্থলভাগের জমি কেটে পাচারের কথা বহুশ্রুত। মাটি মাফিয়াদের নজর এখন নদীর জলে। মাঝ নদীতে গিয়ে জলের তলার অংশের মাটি তুলে ...

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অবশেষে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়দের বিরুদ্ধে বিচার পর্ব শুরু হল। মঙ্গলবার কড়া নিরাপত্তায় কলকাতার বিচার ভবনের বিশেষ আদালতে রুদ্ধদ্বার কক্ষে দীর্ঘসময় ধরে ওই শুনানি চলে। ...

২৬ তম বঙ্গভূমি কাপ আন্তর্জাতিক ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় জোড়া স্বর্ণপদক আন্দুলের উর্মিশা দাসের। গত ১২ জানুয়ারি মধ্যমগ্রামে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় দু’টি বিভাগেই সোনা জিতেছে সে। ক্যারাটের স্বপ্নে ভর করেই আগামী দিনে বাংলা ও দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে চায় একাদশ শ্রেণির এই ছাত্রী। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন।  অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

ভারতীয় সেনা দিবস
৩৭: রোমের রাজা নিরো জন্মগ্রহণ করেন
১৫৫৯: ইংল্যান্ডের রানি হলেন প্রথম এলিজাবেথ
১৭৫৯: লন্ডনে মানুষের ইতিহাস ও সংস্কৃতির জাদুঘর ব্রিটিশ মিউজিয়ামের উদ্বোধন হয়, এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৭৫৩ সালে
১৭৮৪: কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হল এশিয়াটিক সোসাইটি অব বেঙ্গল
১৮৩২: আইফেল টাওয়ারের স্থপতি গুস্তাভ আইফেল জন্মগ্রহণ করেন
১৮৭৩: বাংলার দ্বিতীয় সাধারণ রঙ্গালয় ওরিয়েন্টাল থিয়েটারের উদ্বোধন
১৮৭৫: ভারতীয় মৌসুম বিজ্ঞান বিভাগ সংক্ষেপে আইএমডি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৭৫: কলকাতায় দ্য স্টেটসম্যান ইংরাজী দৈনিক পত্রিকা সংযুক্তরূপে প্রকাশ শুরু
১৮৭৮: লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নারীরা প্রথম ডিগ্রি লাভের সুযোগ পান
১৯৩৪: ভারতের বিহারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ২০ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়
১৯৩৮: ফুটবলার চুনী গোস্বামীর জন্ম
১৯৫৬: বিএসপি নেত্রী মায়াবতীর জন্ম
২০০১: অনলাইনভিত্তিক বহুভাষার মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়া যাত্রা শুরু
২০০৯: দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারজয়ী চলচ্চিত্র পরিচালক তপন সিনহার মৃত্যু
 ২০১৮: শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী পণ্ডিত বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৮৩ টাকা ৮৭.৫৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.০৫ টাকা ১০৭.৭৪ টাকা
ইউরো ৮৭.৩০ টাকা ৯০.৬৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ মাঘ, ১৪৩১, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫। দ্বিতীয়া ৫২/৩৩ রাত্রি ৩/২৪। পুষ্যা নক্ষত্র ১০/১৩, দিবা ১০/২৮। সূর্যোদয় ৬/২৩/৮, সূর্যাস্ত ৫/৮/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৯/৫৮ গতে ১১/২৪ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৪/২৬ মধ্যে। রাত্রি ৬/৩ গতে ৮/৪১ মধ্যে পুনঃ ১/৫৮ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৩৪ গতে ৩/০ মধ্যে। রাত্রি ৮/৪১ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৯/৪ গতে ১০/২৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৫ গতে ১/৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৪ গতে ৪/৪৪ মধ্যে। 
১ মাঘ, ১৪৩১, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫। দ্বিতীয়া রাত্রি ৩/৫২। পুষ্যা নক্ষত্র দিবা ১১/১৯। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/০ গতে ১১/২৯ মধ্যে ও ৩/১০ গতে ৪/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৫ গতে ৮/৫০ মধ্যে ও ২/০ গতে ৬/২৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/১০ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৫০ গতে ১০/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৯/৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ১/৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৬ গতে ৪/৪৬ মধ্যে।   
১৪ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
দিল্লি-এনসিআর এলাকায় কুয়াশার দাপট, সকাল থেকে বাতিল ৭টি বিমান, দেরিতে ১৮৪টি উড়ান

10:37:00 AM

ভূস্বর্গে ঠান্ডার কাঁপুনি, শ্রীনগরের ডাল লেকে হালকা বরফের আস্তরণ

10:37:00 AM

বেলা বাড়লেও কুয়াশায় ঢাকা পশ্চিম মেদিনীপুরের  পিংলা

10:26:00 AM

মালদহ টাউন স্টেশন দিয়ে মাদক পাচারের চেষ্টা, পাকড়াও ৩ পাচারকারী
ফের মালদহ টাউন স্টেশন দিয়ে মাদক পাচারের চেষ্টা। জিআরপি'র জালে ...বিশদ

10:24:12 AM

আজ কংগ্রেসের নতুন সদর দপ্তর ইন্দিরা ভবনের উদ্ধোধন, উপস্থিত হলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী

10:18:00 AM

দক্ষিণ কোরিয়ার বরখাস্ত হওয়া প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলকে গ্রেপ্তার করল পুলিস

10:07:00 AM