ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা। ... বিশদ
বারাসত পুরসভার ২ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার মিলন সর্দার। তাঁর নাম জড়িয়েছে ব্যবসায়ী অপহরণে। সেপ্টেম্বরের শুরুতেই এই অভিযোগ ওঠে। ব্যবসায়ীকে আটকে রেখে দফায় দফায় ৯ কোটি টাকা নিয়েছে মিলন ও তাঁর দলবল। সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে তাঁকে দত্তপুকুরের একটি বাগানবাড়িতে আটকে রাখা হয়। পরে বারাসতের একটি নামী আবাসনে আটকে রেখে প্রায়ই মুক্তিপণ দাবি করা হতো বলে অভিযোগ। ব্যবসায়ী পরিবারের সদস্যদের ফোন মারফত সেই টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। খড়দহ থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। তদন্ত শুরু করে রাজ্য পুলিসের সিআইডি। ইতিমধ্যেই সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। তাদের জেরা করে ঘটনার মূল পান্ডা হিসেবে উঠে আসে বারাসত পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার মিলন সর্দারের নাম। বৃহস্পতিবার রাতে বারাসত থেকেই তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। বারাসত পুরসভার দু’নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষপল্লি এলাকায় বাড়ি মিলন সর্দারের। সোনার কারিগর হিসেবে তাঁর যথেষ্ট পরিচয় ছিল। তাঁর সঙ্গে রাজনীতির যোগ খুব একটা ছিল না। কিন্তু হঠাৎই রাজনীতিতে ঢুকে পড়েন। ২০১৫ সালে বারাসত পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলার নির্বাচিত হন মিলন। তার কিছুদিন পরই আবাস যোজনায় বাড়ি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। যদিও দলের নির্দেশে ওয়ার্ডে ক্যাম্প করে টাকা ফিরিয়েও দিতে হয়েছিল তাঁকে। এরপর পরিস্থিতি কিছুটা থিতিয়ে যায়।
২০২২ সালে পুর নির্বাচনের সময় ফের তাঁকে টিকিট দেয় তৃণমূল। তবে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের পরিবর্তে ২ নম্বর ওয়ার্ডে। সিপিএম প্রার্থী অধীর ব্যাপারীকে ২ হাজার ৬২৪ ভোটে হারিয়ে জয়ী হন মিলন। সেই সময় তাঁর জয় নিয়েও বিতর্ক হয়। কাউন্সিলার হয়েই কার্যত এলাকার ‘ত্রাস’ হয়ে ওঠেন তিনি। বারাসত-বারাকপুর রোডে একটি হাট দখল করার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। স্থানীয় বাসিন্দা মণীন্দ্র সরকার এই হাট চালাতেন। কিন্তু তাঁর কাছ থেকে হাট একপ্রকার ছিনিয়ে নেন মিলন। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত তিন বছরে মিলন বারাসত শহরের একাধিক নামী ফ্ল্যাট কিনেছেন। শুধু তাই নয়, নামে-বেনামে তাঁর একাধিক সম্পত্তিও রয়েছে বলে দলের অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে। ওই সূত্রের দাবি, পুরসভার চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায়ের বিশ্বস্ত সৈনিক হিসেবে পরিচিত ছিলেন মিলন। চেয়ারম্যানের হাত মাথায় থাকার কারণেই হয়তো মিলনের এত বাড়বাড়ান্ত। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন অশনি মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, মিলন আমার ঘনিষ্ঠ নয়। কাজের প্রয়োজনে আসত। মিলনকে বহিষ্কার
করেছে দল।