Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

এরপরেও আন্দোলন অরাজনৈতিক!
তন্ময় মল্লিক

অভয়া খুনের জাস্টিস, নাকি প্রশাসনিক কর্তাদের পদত্যাগ? এই মুহূর্তে রাজ্যের আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের লড়াইটা ঠিক কী নিয়ে, সেটাই কেমন যেন গুলিয়ে যাচ্ছে। আন্দোলন ‘অরাজনৈতিক’ প্রমাণে ডাক্তারবাবুরা বিজেপি নেতাদের আন্দোলনস্থলের ত্রিসীমানায় দেখলেই রে রে করে উঠছেন। গো ব্যাক স্লোগানও দিচ্ছেন। কিন্তু তাঁরা কি সত্যিই সমস্যার সমাধান চাইছেন? এই প্রশ্ন ওঠার কারণ আলোচনায় বসার শর্তে ছত্রে ছত্রে রয়েছে রাজনৈতিক প্যাঁচ। বদলে যাচ্ছে এজেন্ডা। লম্বা হচ্ছে আমলা ও স্বাস্থ্যকর্তাদের পদত্যাগের তালিকা। আর তাতেই ছড়াচ্ছে রাজনীতির কটূ গন্ধ।
৮ আগস্ট রাতে আর জি করে ঘটা নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের বিচার চায় বাংলা। বাংলার চিকিৎসক কন্যার ধর্ষক, খুনি ও ষড়যন্ত্রকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেখতে অভয়ার বাবা, মায়ের সঙ্গে মুখিয়ে রয়েছে গোটা দেশ। তাই জুনিয়র ডাক্তাররা অভয়ার বিচারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করতেই সঙ্গ দিয়েছে আবেগতাড়িত বাংলা। দলমত নির্বিশেষে সমস্ত মানুষ তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে। চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জেরে বহু মানুষের চরম ভোগান্তি সত্ত্বেও প্রতিবাদ হয়নি। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট ও রাজ্য সরকার বারবার তাঁদের কাজে যোগ দেওয়ার আবেদন জানানোর পরেও কর্মবিরতিতে তাঁরা অনড়। তাতে অনেকেরই মনে হচ্ছে, সমাধান নয়, আন্দোলন চালিয়ে যাওয়াটাই লক্ষ্য। তাই চিকিৎসকদের আন্দোলনকে সামনে রেখে রাজনীতি করার যে অভিযোগ এতদিন উঠছিল চুপিসারে, এখন সেটাই এসেছে প্রকাশ্যে।
প্রশ্ন হচ্ছে, বারবার প্রত্যাখ্যাত হয়েও বিজেপি কেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের ‘নৈতিক সমর্থন’ জুগিয়ে যাচ্ছে? এর পিছনে রয়েছে ভোটের অঙ্ক। ২০১৮ সাল থেকে সিপিএম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যত আন্দোলন করেছে তার সব সুফল পেয়েছে গেরুয়া শিবির। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনেও তার প্রতিফলন সুস্পষ্ট। এবারের এই আন্দোলনও মূলত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে। তাতে বিজেপির আহ্লাদিত হওয়ার কথা। তার বদলে হচ্ছে শঙ্কিত। কিন্তু কেন? 
চিকিৎসকদের এই আন্দোলনে শহুরে মধ্যবিত্ত ও বড় লোকদের একটা বড় অংশ সিপিএমের পতাকার নীচে এসে দাঁড়িয়েছে। আর জি কর নিয়ে প্রথম থেকেই মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়রা লড়াইয়ের সামনের সারিতে রয়েছেন। অভয়ার এক আত্মীয়ার মুখে মীনাক্ষীর প্রশংসা রীতিমতো ভাইরাল। তাতে তৃণমূল বিরোধী শহুরে ভোটের একটা অংশ ফের বামে ফিরবে, এই ভয় পাচ্ছে গেরুয়া শিবির। সেই আশঙ্কা থেকেই ‘ছাত্রসমাজ’কে ময়দানে নামানো হয়েছিল। কিন্তু লাভ হয়নি। উল্টে বিশৃঙ্খলা পাকিয়ে শান্তিপূর্ণ গণআন্দোলন থেকে অনেক দূরে সরে গিয়েছে তারা। তাই জুনিয়র ডাক্তাররা বিজেপির সামনে বারবার ‘নো এন্ট্রি’ বোর্ড ঝুলিয়ে দিলেও গেরুয়া শিবির গায়ে মাখছে না। বিজেপি নেতৃত্ব জানে, বাম ভোটের ‘ঘরওয়াপসি’ ঘটলেই তাদের অবস্থা হবে ভাঁড়ে মা ভবানী।
তারপরেও জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন ঘিরে কেন উঠছে রাজনীতির অভিযোগ? অনেকে বলছেন, প্রথম থেকেই এই আন্দোলনের পিছনে ছিল বামেদের মদত। এখন তারসঙ্গে জুড়ে গিয়েছে অতি বামেদের যুক্ত থাকার অভিযোগ। কারণ প্রথমদিকে অভয়া খুনের জাস্টিসই ছিল চিকিৎসকদের দাবি। কিন্তু এখন? সরকারি আমলা সহ স্বাস্থ্যকর্তাদের পদত্যাগ। লক্ষ্যের চেয়ে উপলক্ষ্য বড় হয়ে গিয়েছে। এমনটাই নাকি হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। 
২০১৪ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছিল। বিচারের দাবিতে উত্তাল হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। পরে তা আছড়ে পড়েছিল কলকাতার রাজপথে। শুরু হয়েছিল ‘হোক কলরব’। দাবি উঠেছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তীর পদত্যাগ। আন্দোলনের চাপে অভিজিৎবাবুকে উপাচার্যের পদ থেকে সরে যেতে হয়েছিল। আর তারপরেই থেমে গিয়েছিল ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলন। কিন্তু ওই ছাত্রী ‘জাস্টিস’ পেয়েছিলেন কি না, তার খবর কেউই রাখেননি। না আন্দোলনকারীরা, না তাঁদের মদতদাতারা।
জুনিয়র ডাক্তাররাও দিনদিন যাদবপুরের স্টাইলে সরকারি আমলাদের পদত্যাগের তালিকা লম্বা করে চলেছেন। শুরু হয়েছিল কলকাতা পুলিস কমিশনারকে দিয়ে। ইতিমধ্যেই তা পৌঁছেছে স্বাস্থ্যসচিব পর্যন্ত। তাঁরা জানিয়েছেন, পদত্যাগের দাবি সরকার মানলে তবেই তাঁরা কাজে ফিরবেন। আর তাতেই অনেকে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের উপর যাদবপুরের ছায়া দেখতে পাচ্ছেন।
অভয়ার খুনের তদন্ত করছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সময় নেওয়ায় সিপিএম ‘সেটিং’ তত্ত্বে শান দিচ্ছে, কিন্তু সিজিও কমপ্লেক্সে যাচ্ছে না। তাদের আক্রমণের লক্ষ্য পুলিস ও রাজ্য সরকার। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের অভিমুখও সেই দিকেই। এই মুহূর্তে যারা অভয়া খুনের ঘটনায় জাস্টিস দিতে পারবে, সেখানে ডাক্তারবাবুরা চাপ দিচ্ছেন না। উল্টে তাঁদের দেওয়া শর্তে ফুটে উঠছে রাজ্য সরকারকে ‘ভিলেন’ বানানোর প্রয়াস। তাতেই সরকার ও রাজ্যের শাসকদল আন্দোলনের পিছনে রাজনৈতিক চক্রান্তের অভিযোগ তোলার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যবাসীকে পুজোয় ও উৎসবে ফেরার আবেদন জানিয়েছেন। তাতেই বাম এবং অতি বামেরা সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর মুণ্ডপাত করছেন। অনেকে আবার লজ্জায় মাটিতে মিশে যেতে চাইছেন। কিন্তু তাঁরা একবারও কি পুজোর সঙ্গে যুক্ত খেটেখাওয়া মানুষগুলোর কথা ভেবেছেন? পরিসংখ্যান বলছে, গত বছর পুজোয় রাজ্যে ৬০ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছিল। বেনিফিসিয়ারির মধ্যে যেমন চা, চপ, রোল, ঝালমুড়ি বিক্রেতা আছেন তেমনই আছেন ডেকরেটর কর্মী, মৃৎশিল্পী, আলোকশিল্পীরা।  
বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকরা প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুতুল পোড়াবেন, তাঁদের বক্তব্যের সমালোচনা করবেন, তাঁকে নিয়ে কার্টুন আঁকবেন, এটাই তো স্বাভাবিক। এটাই তো গণতন্ত্র। তবে,তাদের সমালোচনা মানুষ কতটা বিশ্বাস করবে, সেটা নির্ভর করে কে বা কারা বলছে তার উপর। যেমন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সমস্যা ধৈর্য সহকারে আলোচনার মাধ্যমে মেটানো উচিত, একথা সিপিএম বললে মানুষ কি গ্রহণ করবে? কেন এই সংশয়?
সালটা ছিল ১৯৮৩। বামফ্রন্ট সরকার সবে বিপুল শক্তি নিয়ে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় বসেছে। রাজ্যের ধর্মঘটী জুনিয়র চিকিৎসকরা মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর সঙ্গে দেখা করে ২৪ ঘণ্টা ব্লাড ব্যাঙ্ক, ইসিজি প্রভৃতি চালু ও কিছু জরুরি ওষুধ রাখার দাবি জানালেন। জ্যোতিবাবু জুনিয়র চিকিৎসকদের বলেছিলেন, ‘এসব নিয়ে পরে ভাবা যাবে। ধর্মঘট তুলে নিন। আপনারা সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে খেলছেন।’
মুখ্যমন্ত্রী দাবি না মানায় জুনিয়র ডাক্তাররা ধর্মঘট চালিয়ে যেতে লাগলেন। কয়েকদিন পর জুনিয়র ডাক্তারদের সাত প্রতিনিধিকে রাইটার্সে ডেকে পাঠালেন। মিটিং শুরু হল। জ্যোতিবাবু বললেন, ‘আপনারা কী করবেন, সেটা আপনাদের ব্যাপার। আমরা চুপ করে বসে থাকব না।’ চিকিৎসকরা বলতে গেলেন, মানুষের স্বার্থেই তাঁদের এই ধর্মঘট। উত্তর এল, ‘মানুষের দাবি আপনাদের কাছ থেকে শিখব?’ জুনিয়র ডাক্তারা বোঝানোর চেষ্টা করলেন অসুস্থ মানুষের স্বার্থেই তাঁদের আন্দোলন। এবার উত্তরটা একটু কড়া, ‘আগে স্ট্রাইক তুলুন, পরে ভাবব। সীমা ছাড়াচ্ছেন। বিপদে পড়বেন। আমার কথা শেষ।’
জুনিয়র চিকিৎসকদের সেই ধর্মঘটের পরিণতি কী হয়েছিল? এক সন্ধ্যায় লালবাজার থেকে তিন ভ্যান পুলিস গেল ন্যাশানাল মেডিক্যালে। কোনও কথা না বলেই শুরু হল ধর্মঘটী জুনিয়র ডাক্তারদের উপর লাঠিচার্জ। রক্তাক্ত হলেন চিকিৎসকরা। পুলিসের মার থেকে বাঁচতে কেউ কেউ ভিড়ের মধ্যে গা ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করলেন। কিন্তু কমরেডরা তাঁদের চিনিয়ে দিলেন। সেদিন ১৪জন জুনিয়র ডাক্তারকে পেটাতে পেটাতে লালবাজার নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। চিকিৎসকরা কাজে যোগ দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। 
সেদিন ‘সাধারণ মানুষের স্বার্থের’ কথা বলেই জ্যোতি বসু জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন ভেঙেছিলেন। তিনি মনে করতেন, শ্রেণি সংগ্রামের কথা বলে রাজ্যের ক্ষমতায় এসেছে বামফ্রন্ট। তাই চিকিৎসকদের ধর্মঘটের জন্য গরিব মানুষ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা পাবে না, সেটা মানতে পারেননি। বঙ্গ সিপিএম শূন্যে নেমে যাওয়ায় কি শ্রেণি সংগ্রামের কথাটাই ভুলে গেল? তা না হলে শহুরে মধ্যবিত্ত ভোটের পিছনে ছুটতে গিয়ে কি গরিব মানুষের দুর্ভোগকে উপেক্ষা করতে পারত?
জ্যোতি বসু সেদিন ‘অন্য মিটিং আছে’ বলে ধর্মঘটী চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা ছেড়ে উঠে গিয়েছিলেন। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করলেন। চিকিৎসকরা নবান্নে গেলেন, কিন্তু লাইভ স্ট্রিমিংয়ের দাবি পূরণ না হওয়ায় আলোচনায় বসলেন না। তাতে উঠছে প্রশ্ন, জুনিয়র চিকিৎসকরা কি রাজনীতির বোরে হয়ে গেলেন, নাকি কর্পোরেটের হাতের পুতুল! কর্মবিরতিতে সরকারি হাসপাতাল যত ফাঁকা হচ্ছে, ততই রোগীর ভিড় বাড়ছে বেসরকারি হাসপাতালে।
14th  September, 2024
কোজাগরীর প্রার্থনা, বাঙালির লক্ষ্মীলাভ হোক
সন্দীপন বিশ্বাস

আমাদের সাধারণ মধ্যবিত্তদের লড়াই সঙ্কুল জীবনে লক্ষ্মীর আশীর্বাদ সেভাবে মেলে না। তবুও আমরা প্রতিদিনের খুদকুঁড়োর মধ্যে বেঁচে থাকার আনন্দটুকু অনুভব করি। মনে হয়, এটাই যেন মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ, নাহলে হয়তো এটুকুও পেতাম না। বিশদ

অবিশ্বাসের শেষ কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ছেলে হওয়ার খবরটা কুবের মাঝিকে প্রথম দিয়েছিল নকুল দাস। স্তিমিত চোখ দুটো উজ্জ্বল হয়ে উঠেও হানা দিয়েছিল আশঙ্কা। পরক্ষণেই। বিরক্ত হয়ে কুবের মাঝি ঘরে ফেরার সঙ্গী গণেশকে বলেছিল, ‘পোলা দিয়া করুম কী? নিজেগোর খাওন জোটে না, পোলা!’ বিশদ

15th  October, 2024
উৎসবের মধ্যেই আনন্দলোকের খোঁজ
মৃণালকান্তি দাস

দুর্গাপূজার সমারোহ নিয়ে ঊনবিংশ শতাব্দীতেই নানা কথা উঠেছিল। কথা উঠেছিল শহর কলকাতার হুজুগেপনা নিয়েও।  বিশদ

10th  October, 2024
বাধার মধ্যেই পুজো, হাতে জোড়া উপহার
হারাধন চৌধুরী

একদিকে যুদ্ধের দামামা, অন্যদিকে বানবন্যা। সঙ্গে দোসর কতিপয় মানুষের বিকৃতি—নারীর সুন্দর কোমল পবিত্র জীবনকে কলুষিত করার অপপ্রয়াস। ফলে চলছে লাগাতার প্রতিবাদ। দুষ্টের দমনে প্রশাসনও যেন নাজেহাল। সব মিলিয়ে মানুষ মোটে ভালো নেই। বিশদ

09th  October, 2024
অশুভের দমন
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সুপ্রিম কোর্ট ‘বিশাখা গাইডলাইন’ ইস্যু করেছিল ১৯৯৭ সালে। লক্ষ্য ছিল, কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের যেন যৌন হয়রানির শিকার হতে না হয়। এই গাইডলাইনের ভিত্তিতে আইন প্রণয়ন হতে সময় লেগে গিয়েছিল আরও ১৫ বছর। মাঠেঘাটে হোক কিংবা অফিস, কাজে যাওয়া নারী সমাজের প্রত্যেক প্রতিনিধি আশ্বস্ত হয়েছিলেন। বিশদ

08th  October, 2024
ভারতীয় বিমানবাহিনীর গৌরবময় ইতিহাস: আত্মনির্ভরতায় অভিযান
ড.বিদ্যুৎ পাতর

৮ অক্টোবর, ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রতিষ্ঠা দিবস—এক ঐতিহাসিক অধ্যায়ের সূচনা। ১৯৩২ সালে যখন মাত্র চারটি পুরনো বিমানের মাধ্যমে এই বাহিনীর যাত্রা শুরু হয়, তখন কেউ কল্পনাও করেনি এটি একদিন বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম বিমানবাহিনী হিসেবে আকাশপথে আধিপত্য বিস্তার করবে। বিশদ

08th  October, 2024
ব্রেকিং নিউজ
পি চিদম্বরম

এটা ব্রেকিং নিউজ, তবে অন্য রকমের। এটা কোনও আইন ভাঙার খবর নয়। খবরটা না মাথা ভাঙার কিংবা ঘরবাড়ি ভাঙারও। অতীতে অনেকবার ফাঁস হওয়া চাঞ্চল্যকর কোনও খবরের মতো নয় এটা। 
বিশদ

07th  October, 2024
বিচার নয়, বাংলার বদনাম করাই লক্ষ্য
হিমাংশু সিংহ

ভাবছিলাম, তেরো পার্বণের দেশে কবে থেকে ‘উৎসব’ নিষিদ্ধ হল? উৎসবে ফেরা আর পাঁকে পড়া যেন সমার্থক হতাশ অতি বামদের প্রতিহিংসার অভিধানে! বাস্তবে কি তা হতে পারে কোনওদিন এই সবুজ ঘেরা বাংলায়? তার জন্য তিন তিনবারের মুখ্যমন্ত্রীর দিকে অবিরাম ঘৃণাবর্ষণ। বিশদ

06th  October, 2024
হঠকারিতার মাশুল দিচ্ছে গণআন্দোলন
তন্ময় মল্লিক

অবশেষে কর্মবিরতি তুলে নিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের অনভিপ্রেত ঘটনাকে সামনে রেখে জুনিয়র ডাক্তাররা আংশিক থেকে পূর্ণ কর্মবিরতিতে চলে গিয়েছিলেন। অভয়ার জাস্টিস গোটা বাংলা চায়। কিন্তু এই কর্মবিরতির সঙ্গে অভয়ার জাস্টিসের সম্পর্ক ছিল না। বিশদ

05th  October, 2024
সাফল্যে গ্রামবাংলার কাছে পিছিয়ে এলিট সমাজ?
সমৃদ্ধ দত্ত 

পশ্চিমবঙ্গের বাবু সমাজ ক্রমেই জাতিগত সাফল্যের বিচারে গ্রামীণ সমাজের কাছে পিছিয়ে পড়ছে কেন? বঙ্গীয় বাবু সমাজের একটি বিশেষ দম্ভ রয়েছে যে, তারাই এই রাজ্যের ওপিনিয়ন মেকার। অর্থাৎ কখন কী নিয়ে আলোচনা হবে, বিশদ

04th  October, 2024
ইলিশের গল্প, ইলিশের রাজনীতি
মৃণালকান্তি দাস

দেশ ভাগ হয়েছে কবেই। সীমান্তে এখন কাঁটাতারের বেড়া। তবু আজও দশমীর সকালে বাংলাদেশের পাবনা থেকে জোড়া ইলিশ নিয়ে সান্যাল বাড়িতে হাজির হন মহম্মদ আব্দুল।
বিশদ

03rd  October, 2024
বাজল তোমার আলোর বেণু, মাতল রে ভুবন
সন্দীপন বিশ্বাস

আকাশজুড়ে যখন ফুটে ওঠে উৎসবের অলৌকিক আলো, ব্রাহ্মমুহূর্তের সেই নৈঃশব্দের মধ্যেই সূচনা হয়ে যায় দেবীপক্ষের। আর তখনই আগমনির সুরে বেতারে বেজে ওঠে আমাদের হৃদয় উৎসারিত শাশ্বত মন্ত্র। বিশদ

02nd  October, 2024
একনজরে
পূর্ব বর্ধমানের গ্রামাঞ্চলে এমন বহু লক্ষ্মীপুজো হয়, যেগুলি বহু বছরের পুরনো। প্রাচীন রীতি মেনে এখনও সেই পুজো হয়। আউশগ্রামও তার ব্যতিক্রম নয়। এখানকার মিরশা গ্রামের ...

সাংহাই কর্পোরেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর বৈঠকে যোগ দিতে মঙ্গলবার পাকিস্তানে পৌঁছেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। প্রায় এক দশক পর ভারতের কোনও বিদেশমন্ত্রী পাকিস্তানে গেলেন। মঙ্গল ও বুধবার ...

দেশে ক্রমশ বাড়ছে অনলাইন লেনদেনের বহর। সমাজের সব স্তরের মানুষ তাতে উৎসাহিত হচ্ছেন। ডিজিটাল লেনদেনে অংশ নিচ্ছেন শারীরিকভাবে পিছিয়ে পড়া গ্রাহকরাও। ...

দলকে আশানুরূপ লিড দিতে না পারায় ডানা ছাঁটা হল তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতিদের। লোকসভা নির্বাচনে মন্ত্রী গোলাম রব্বানির খাসতালুক গোয়ালপোখর বিধানসভা কেন্দ্রে সন্তোষজনক ফল হয়নি। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যা শিক্ষা ও কাজকর্মে দিনটি শুভ। বন্ধুসঙ্গে বিপদ হতে পারে। অধ্যাপনায় অগ্রগতি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব অ্যানেস্থেসিয়া দিবস 
বিশ্ব খাদ্য দিবস
১৭৯৩: ওয়াটারলু যুদ্ধে পরাজয়ের পর নেপোলিয়ন বোনাপাট হেরেনা দ্বীপে নিবার্সন করেন
১৯০৫: বঙ্গভঙ্গ হয়
১৯২৩: দি ওয়াল্ট ডিজনি সংস্থা প্রতিষ্ঠা হয়
১৯২৭: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জার্মান সাহিত্যিক, চিত্রকর, ভাস্কর এবং নাট্যকার গুন্টার গ্রাসের জন্ম
১৯৪৮: অভিনেত্রী হেমা মালিনীর জন্ম
১৯৪৬: ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের জন্ম
১৯৫১: রাওয়ালপিন্ডিতে খুন হন পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলি খান
১৯৬৪: প্রথম পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটাল চীন  
১৯৭৫ :  দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার জ্যাক ক্যালিসের জন্ম
১৯৭৫: বলিউড অভিনেতা রাজীব খান্ডালওয়ালের জন্ম
১৯৮৩: টলিউড অভিনেতা রাহুল ব্যানার্জীর জন্ম
১৯৯১: ভারতীয় ক্রিকেটার শার্দুল ঠাকুরের জন্ম
২০২০: প্রথমবারের মতো কোনও বেসরকারি সংস্থা হিসেবে স্পেস এক্স আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে মহাকাশ যাত্রী পৌঁছে দেয়
২০২০: বিশিষ্ট আবৃত্তিকার ও বাচিক শিল্পী প্রদীপ ঘোষের প্রয়ান
২০২২ - ওআরএস-স্রষ্টা শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ দিলীপ মহলানবিশের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৪ টাকা ৮৪.৯৮ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৮৯ টাকা ১১১.৮৫ টাকা
ইউরো ৮৯.৯১ টাকা ৯৩.৪৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,০৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩০ আশ্বিন, ১৪৩১, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪। চতুর্দশী ৩৭/৪০, রাত্রি ৮/৪১। উত্তর ভাদ্রপদ নক্ষত্র ৩৪/১৩ রাত্রি ৭/১৮। সূর্যোদয় ৫/৩৭/১১, সূর্যাস্ত ৫/৭/১৯। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/২৪ মধ্যে পুনঃ ৭/১০ গতে ৭/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১০/১৩ গতে ১২/৩০ মধ্যে। রাত্রি ৫/৫৭ গতে ৬/৪৬ মধ্যে পুনঃ ৮/২৭ গতে ৩/৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/২৪ গতে ৭/১০ মধ্যে পুনঃ ১/১৭ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩০ গতে ৯/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১১/২৩ গতে ১২/৪৯ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৩০ গতে ৪/৫ মধ্যে। 
২৯ আশ্বিন, ১৪৩১, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪। চতুর্দশী রাত্রি ৭/৪৪। উত্তর ভাদ্রপদ নক্ষত্র রাত্রি ৭/১৮। সূর্যোদয় ৫/৩৮, সূর্যাস্ত ৫/৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৩ মধ্যে ও ৭/১৮ গতে ৮/২ মধ্যে ও ১০/১৪ গতে ১২/২৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৬/৩৫ মধ্যে ও ৮/১৯ গতে ৩/১৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৩৩ গতে ৭/১৮ মধ্যে ও ১/১১ গতে ৩/২৩ মধ্যে। কালবেলা ৮/৩০ গতে ৯/৫৭ মধ্যে ও ১১/২৩ গতে ১২/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৩০ গতে ৪/৪ মধ্যে। 
১২ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
মহিলা টি২০ বিশ্বকাপ: ইংল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারাল ওঃ ইন্ডিজ

15-10-2024 - 10:53:00 PM

এসসিও বৈঠকের আগে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে হাত মেলালেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ

15-10-2024 - 10:32:00 PM

রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা টিমের কাজ খতিয়ে দেখলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন

15-10-2024 - 10:01:00 PM

দিল্লিতে বিজেপির প্রধান কার্যালয়ে বৈঠক, এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

15-10-2024 - 09:53:00 PM

আসানসোল জেলা হাসপাতালে মৃত রোগীর আত্মীয় পরিজনদের জমায়েত

15-10-2024 - 09:50:00 PM

হরিয়ানার নারার গ্রামে জমিতে পড়ে থাকা খড়ের গাদায় আগুন

15-10-2024 - 09:20:00 PM