Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বিচার চলুক, বাঁচুক বাংলার অর্থনীতিও
হারাধন চৌধুরী

সহকর্মীদের বেদম প্রহারের ফলে ৬ সেপ্টেম্বর রাজস্থানের জয়পুরে প্রাণ হারালেন বাংলার এক পরিযায়ী শ্রমিক। মোতি আলি নামে ওই যুবক ছিলেন মালদহের বাসিন্দা। এই ঘটনার মাত্র একসপ্তাহ আগে শিরোনাম দখল করে হরিয়ানা। ‘গোমাংস ভক্ষণ’ সন্দেহে বাংলারই এক পরিযায়ী শ্রমিককে পিটিয়ে মারা হয় সেখানে। ২৭ আগস্টের ওই ঘটনায় মৃত সাবির মল্লিক ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা। অভিযুক্তরা যথারীতি ‘গোরক্ষক’ বাহিনী। বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক-নির্যাতনে সম্প্রতি খাতা খুলেছে পড়শি রাজ্য ওড়িশা। নিপীড়নের শিকার এই গরিব মানুষগুলি মুর্শিদাবাদ ও মালদহের বিভিন্ন এলাকা থেকে সেখানে গিয়েছেন। এই মানুষগুলির কেউ স্বর্ণশিল্পী, কেউ অন্য ছোটখাট কাজ করেন কিংবা ফেরিওয়ালা। ওইসব রাজ্যে শুধু বাংলার গরিব লোকজনই যাননি, গিয়েছেন বিহার, ওড়িশা, অসম প্রভৃতি রাজ্য থেকেও। তাঁদের উপর এই নৃশংস আচরণ ক্ষমার অযোগ্য। আরও লক্ষণীয় যে, তিনটি ক্ষেত্রেই ঘটনাস্থল মোদি-শাহদের সাধের ‘ডাবল ইঞ্জিন’ রাজ্য। তাই ঘটনাগুলি বেশি নিন্দনীয় এবং উদ্বেগজনক। এক রাজ্যের মানুষ কাজের সন্ধানে অন্য রাজ্যে যাবেন এটাই স্বাভাবিক, এবং এ এক পুরনো প্রবণতা। তবে যে-রাজ্যের বিপুল সংখ্যক মানুষকে কাজের খোঁজে অন্যত্র পাড়ি দিতে হয়, সেখানকার অর্থনীতির স্বাস্থ্য সম্পর্কে বিরূপ প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যায়।
অর্থনীতি, শুধুমাত্র পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতেই বেহাল নয়। ছবিটা সারা ভারতে উনিশ-বিশ। মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটককে দেশের সবচেয়ে ‘উজ্জ্বল’ দুটি রাজ্য বলে ভাবা হয়। গতবছর কৃষক বিদ্রোহে মলম লাগাতে গিয়ে মোদি সরকার কৃষকদের ‘অন্নদাতা’ সম্বোধনে সম্মানিত করেছে। অর্থনীতি বিষয়ে গবেষণা সংস্থা ‘স্ট্যাটিসটা’ জানাচ্ছে ২০২৩ সালে দেশে সর্বাধিক সংখ্যক (২,৭০৮) কৃষক আত্মঘাতী হয়েছেন মহারাষ্ট্রে! এই মর্মান্তিক ছবিতে তারপরেই জায়গা করে নিয়েছে কর্ণাটক—গতবছর দক্ষিণের ওই রাজ্যে আত্মঘাতী কৃষকের সংখ্যা ছিল ১,৩২৩। দেশের বৃহত্তম রাজ্য উত্তরপ্রদেশের একটি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক খবর প্রকাশিত হয়েছে সোমবারের কাগজে: দুই কন্যাসন্তানকে হত্যা করে আত্মঘাতী হয়েছেন বাবা। ঘটনাটি প্রয়াগরাজের। এক পরিবারের তিন তিনটি তাজা প্রাণ একসঙ্গেই ঝরে যাওয়ার কারণ এই লেখা পর্যন্ত জানা যায়নি, তাই সেই ব্যাপারে কোনও মন্তব্য নয়। তবে, পরিবারটি কোনওভাবেই যে সুখী ছিল না, তা হলফ করেই বলা যায়।
ভালো থাকার জন্য পরিবার পিছু অন্তত একজন রোজগেরে মানুষ চাই। কিন্তু দেশে কাজের পরিবেশ কেমন? বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিএমআইই’র তথ্য বলছে: দেশে বেকারত্বের হার গত মে মাসের ৭ শতাংশ বেড়ে জুনে হয়েছে ৯.২ শতাংশ। কনজিউমার পিরামিডস হাউসহোল্ড সার্ভে অনুসারে, বেকারত্বের হার মেয়েদের মধ্যে ১৮.৫ শতাংশ। অর্থাৎ মহিলা বেকার বাহিনীর আকার পুরুষের অন্তত দ্বিগুণ! সাম্প্রতিক অতীতের পরিসংখ্যান পাশে রাখলে বেকারত্বের বর্তমান হার আরও অস্বস্তি বাড়িয়ে দেয়। ফোর্বস ইন্ডিয়া জানাচ্ছে, বেকারত্বের হার ২০২৩-এ ছিল ৮.০০৩ শতাংশ। সংখ্যাটি ২০২২ ও ২০২১-এ ছিল যথাক্রমে ৭.৩৩ ও ৫.৯৮। ইনস্টিটিউট অফ হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট (আইএইচডি) এবং ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন (আইএলও) যৌথভাবে তৈরি করেছে ইন্ডিয়া এমপ্লয়মেন্ট রিপোর্ট ২০২৪। তাতে দেখা যাচ্ছে, দেশে কর্মক্ষম যুব বাহিনী ২০১১ সালের চেয়ে অনেকখানি বেড়েছে ২০২১-এ। ওয়ার্কিং পপুলেশন ৬১ থেকে বেড়ে ৬৪ শতাংশ হয়েছে, এবং ২০৩৬ সালের মধ্যে তা ৬৫ শতাংশ হতে যাচ্ছে! অতএব, দেশে পর্যাপ্ত নতুন কাজের সুযোগ বৃদ্ধিই কাম্য। কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে উল্টো—২০২২ সালে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুবদের অংশগ্রহণের সুযোগ কমে হয়ে গিয়েছে মাত্র ৩৭ শতাংশ! মোদিযুগে দেশজুড়ে যুবদের মধ্যে বেকারত্বের বহরটা এর থেকেই পরিষ্কার হয়ে যায়।
সরকারি চাকরি কার্যত ডুমুরের ফুল! বেসরকারি ক্ষেত্রেও স্থায়ী বা রেগুলার চাকরির জোগান নগণ্য। অতএব, ভরসা অসংগঠিত কর্মক্ষেত্র। স্ট্যাটিসটা’র মতে, ভারতে ৯০ শতাংশ শ্রমিক-কর্মচারী অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করেন। জিডিপির ২৭ ভাগ আসে যে এমএসএমই সেক্টর থেকে সেখানকার লক্ষ লক্ষ শ্রমিক-কর্মচারীও অসংগঠিত ক্ষেত্রের লোক বলে গণ্য হন। তাঁদের সামাজিক সুরক্ষার কোনও বালাই নেই। চলতি অর্থবর্ষ শেষে জিডিপি বৃদ্ধির হার ৭.২ শতাংশ হবে বলে আশার কথা শুনিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। কিন্তু জিডিপি বৃদ্ধির সাম্প্রতিক গতিপ্রকৃতি দেখে প্রমাদ গুনছে স্টেট ব্যাঙ্ক, তারা মনে করছে, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের অনুমান মিলবে না, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষ শেষে বৃদ্ধির হার বড় জোর ৭ শতাংশ দাঁড়াবে।
পরিষ্কার যে, জিডিপির স্বাস্থ্যকর বৃদ্ধি কোনও সংগঠিত ক্ষেত্র এনে দিতে পারবে না। তারা আপাতত চূড়ান্ত স্তরেই অবস্থান করছে। তাই অসংগঠিত ক্ষেত্রই অগতির গতি। স্বাধীনতার গোড়ার দিকে, জিডিপিতে কৃষিক্ষেত্রের অবদান থাকত ৫০-৬০ শতাংশ। সেটা কমতে কমতে ২০২২-২৩ সালে ১৫ শতাংশে নেমে এসেছে। শিল্প এবং পরিষেবা ক্ষেত্রের বৃদ্ধির জন্যই এটা হয়েছে, সন্দেহ নেই। কিন্তু অবশিষ্ট কৃষিক্ষেত্র কেমন আছে? পাঞ্জাব, হরিয়ানাসহ নানা জায়গার কৃষকদের নাছোড় আন্দোলনেই রয়েছে এর উত্তর। তাই অর্থনীতির সর্বনাশ রুখতে হলে অসংগঠিত ক্ষেত্রের বাকি দিকগুলিকে বাঁচিয়ে রাখা ছাড়া উপায় কী? তার মধ্যে পড়ে রাস্তার ধারে খাবার, জামাকাপড়, প্রসাধন ও হস্তশিল্প সামগ্রী বিক্রি। ওইসঙ্গে আছে প্যান্ডেল সজ্জা, পরিবহণ, অতিথি সেবা, নানা ধরনের বিনোদন, পর্যটন প্রভৃতি। এগুলির বেশিরভাগই মরশুমি এবং আঞ্চলিক উৎসব নির্ভর। আমাদের বাংলায় যেমন দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে মাসাধিক কালের শারদোৎসব, তেমনি মহারাষ্ট্রে গণেশ চতুর্থী, উত্তর ভারত জুড়ে দশেরা, দক্ষিণ ভারতে পোঙ্গল কিংবা অসমসহ উত্তর-পূর্ব ভারতে বিহু। এটি বিভিন্ন দেশের ক্ষেত্রেও সত্য। যেমন রিও কার্নিভ্যাল (ব্রাজিল), চেরি ব্লোসম ফেস্টিভ্যাল (জাপান), এডিনবার্গ ফেস্টিভ্যাল (স্কটল্যান্ড), গ্লাস্টনবারি ফেস্টিভ্যাল (ইংল্যান্ড) প্রভৃতি উৎসব দ্বারা সংশ্লিষ্ট অঞ্চল ও দেশের অর্থনীতি বিশেষভাবে প্রভাবিত হয়।
দুর্গাপুজো তো আর কলকাতাসহ বঙ্গদেশের একার গৌরবের বিষয় নয়, বিশ্ব-ঐতিহ্যের মুকুট এখন তার মাথায়। ইউনেস্কোর ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ শিরোপা লাভের পর থেকে এনিয়ে ভিন রাজ্যের পর্যটকদের পাশাপাশি পশ্চিমা দেশগুলিরও আগ্রহ বেড়েছে। গতবছরও কলকাতার পুজোয় অন্যান্য রাজ্যের মানুষের সঙ্গে বহু বিদেশি অতিথির সমাগম লক্ষ করা গিয়েছিল। প্রাচীন বনেদি বাড়িগুলির পুজোর অন্যরকম আকর্ষণ সবসময়ই থাকে। বারোয়ারি বা সর্বজনীন পুজো আয়োজনের বাড়তি আকর্ষণ বাড়ছে তারই পাশে পাল্লা দিয়ে। সেখানে নিত্যনতুন থিমের ছড়াছড়ি। একদিকে বিচিত্র সব প্রতিমা ও মণ্ডপসজ্জা, সঙ্গে থাকে অভিনব আলোর জাদুবাস্তবতা। অভাবনীয় শিল্প নির্মাণ এবং প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে সেসব দর্শনের আশ্চর্য আগ্রহ বাংলাকে এক অনবদ্য অর্থনীতিও উপহার দিয়ে চলেছে।
কলকাতাসহ গোটা পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুজোর অর্থনীতি একদশক যাবৎ পণ্ডিত মহলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। দেশি-বিদেশি একাধিক সংস্থা এর উপর তাদের যেসব রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, সেগুলি আমাদের পক্ষে বিশেষ আশার সঞ্চার করে। রাজ্য পর্যটন দপ্তরের আহ্বানে ২০১৯ সালে ব্রিটিশ কাউন্সিল এক গবেষণা করে। রাজ্যের অর্থনীতির উপর ‘ওয়ার্ল্ডস লার্জেস্ট পাবলিক আর্ট ফেস্টিভ্যাল’-এর প্রভাব কী? এই ছিল তাদের অনুসন্ধানের বিষয়। মূলত যে-দশটি ‘ক্রিয়েটিভ ইন্ডাস্ট্রি’ এই উৎসবকে সম্ভব করে তোলে, বিদেশি সংস্থাটি তথ্য সংগ্রহ করে সেগুলির উপরেই গুরুত্ব দিয়ে। তাদের রিপোর্টে দাবি করা হয় যে, শুধুমাত্র ওই দশটি শিল্পক্ষেত্রেই সে-বছর ব্যবসার মোট পরিমাণ ছিল ৩২,৩৭৭ কোটি টাকা (৩.২৯ বিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড বা ৪.৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমান)! অঙ্কটি বহু ছোট দেশের সমগ্র অর্থনীতির আকারের সঙ্গেই তুলনীয়। রাজ্যের জিডিপির ২.৫৮ শতাংশ আসে উৎসবের মাত্র একসপ্তাহের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে। রাজ্যে ৩ লক্ষ নতুন কর্মসংস্থান হয়েছিল সেবারের পুজোয়। অন্য এক সমীক্ষার দাবি, ২০২২ সালের পুজোর অর্থনীতির মোট পরিমাণ ছিল ৪৫ হাজার কোটি টাকা। অঙ্কটা ৫০ হাজার কোটি টাকা অতিক্রম করেছিল গতবছর। এবার প্রত্যাশিত ছিল ৬০ হাজার কোটি টাকা ছাপানো। ই-কমার্সেও বিশেষ গতিসঞ্চারের আশায় আছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলি।
পুজোর বাকি আর মাত্র তিনসপ্তাহ। কিন্তু অন্যবারের চঞ্চলতা এখনও অধরা। কোনও সন্দেহ নেই, আর জি কর কাণ্ডে বহু মানুষের মন ভালো নেই, বিচারের সংগত দাবি নিয়েই নিজেদের গুটিয়ে রেখেছেন তাঁরা। কিন্তু আমাদের এই বাৎসরিক উৎসব নিছক কোনও আনন্দ বা বিনোদনের প্রহর নয়, রাজ্যের অসংখ্য মানুষকে আর্থিকভাবে বাঁচাবারও একটি বড় উপায়। খালি পেটে ধর্মকথা যেমন অমৃতের স্বাদ এনে দেয় না, তেমনি দুর্বল আর্থিক সামর্থ্যও যুদ্ধজয়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। আমরা সবাই কিন্তু জীবনেরও যুদ্ধে লিপ্ত সবসময়। তাই রুটিরুজিকে অবহেলা করার অবকাশ কোথায়? সাম্প্রতিক সমস্যার প্রেক্ষিতে বাংলাসহ দেশের রুগ্ন অর্থনীতি আরও ধসে পড়লে তার শীঘ্র মেরামত সম্ভব হবে কি? তাই আসুন, বিচারের দাবিতে অনড় থেকেই অর্থনীতির চাকাকেও সচল রাখি আমরা।
11th  September, 2024
সাফল্যে গ্রামবাংলার কাছে পিছিয়ে এলিট সমাজ?
সমৃদ্ধ দত্ত 

পশ্চিমবঙ্গের বাবু সমাজ ক্রমেই জাতিগত সাফল্যের বিচারে গ্রামীণ সমাজের কাছে পিছিয়ে পড়ছে কেন? বঙ্গীয় বাবু সমাজের একটি বিশেষ দম্ভ রয়েছে যে, তারাই এই রাজ্যের ওপিনিয়ন মেকার। অর্থাৎ কখন কী নিয়ে আলোচনা হবে, বিশদ

ইলিশের গল্প, ইলিশের রাজনীতি
মৃণালকান্তি দাস

দেশ ভাগ হয়েছে কবেই। সীমান্তে এখন কাঁটাতারের বেড়া। তবু আজও দশমীর সকালে বাংলাদেশের পাবনা থেকে জোড়া ইলিশ নিয়ে সান্যাল বাড়িতে হাজির হন মহম্মদ আব্দুল।
বিশদ

03rd  October, 2024
বাজল তোমার আলোর বেণু, মাতল রে ভুবন
সন্দীপন বিশ্বাস

আকাশজুড়ে যখন ফুটে ওঠে উৎসবের অলৌকিক আলো, ব্রাহ্মমুহূর্তের সেই নৈঃশব্দের মধ্যেই সূচনা হয়ে যায় দেবীপক্ষের। আর তখনই আগমনির সুরে বেতারে বেজে ওঠে আমাদের হৃদয় উৎসারিত শাশ্বত মন্ত্র। বিশদ

02nd  October, 2024
করুণা নয়, অধিকার
শান্তনু দত্তগুপ্ত

খুব দুঃখ হয়েছে মিনতির। ছোট্ট বছর সাতেকের মেয়ে। পুজো এলেই ওর মনে কেমন যেন রেলগাড়ি ছুটতে শুরু করে। পঞ্চমী এলেই ঢাকটাকে কাঁধে ফেলে বেরিয়ে পড়ে বাবা। মুখে একরাশ ভরসার হাসি। ফিরব যখন, নতুন জামা নিয়ে আসব। বিশদ

01st  October, 2024
মুছে যাওয়া ট্রামলাইন
সোমনাথ বসু

‘ও   বাবা, বাড়ি থেকে আসার সময় জাহাজ দেখাবে বললে যে। কিন্তু এটা কী? ছোট ট্রেন?’ বিশদ

01st  October, 2024
অগ্রাধিকারের তালিকা থেকে পড়শিরা বাদ
পি চিদম্বরম

আমাদের প্রতিবেশী অঞ্চলে, ভারতের সঙ্গে চীনের সীমান্ত দৈর্ঘ্য ৩,৪৮৮ কিমি। তবু কেউ চীনকে আমাদের প্রতিবেশী বলে মনে করে না।
বিশদ

30th  September, 2024
পুজো বিরোধী ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করুন
হিমাংশু সিংহ

ছোটবেলা থেকে জেনে এসেছি, যাই ঘটে যাক মাধ্যমিক পরীক্ষা, দুর্গাপুজোয় মিটিং মিছিল অবরোধ অলিখিতভাবে নিষিদ্ধ। এই সময়টা সাধারণ মানুষের সঙ্গে রাজনীতিকদেরও দু’দণ্ড অবকাশের সময়। আন্দোলনের নামে রাজনৈতিক কূটকচালিরও ছুটি। বিশদ

29th  September, 2024
আর জি কর: বিজেপির প্রাপ্তি শূন্য
তন্ময় মল্লিক

‘এতদিন ধরে কেন মানুষকে নাকাল করা হল? মানুষকে খেপিয়ে কী লাভ হল? তাঁরা সমস্যায় পড়লেন। এর জবাব জুনিয়র ডাক্তারদের দিতেই হবে।’ এই বক্তব্যটা রাজ্যের শাসক দলের কোনও নেতার নয়, প্রবীণ বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের। বিশদ

28th  September, 2024
কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির কাঠামো বদল দরকার
সমৃদ্ধ দত্ত 

 

অপরাধীদের কাছে একসময় আতঙ্কের নাম ছিল সিবিআই। শুনলেই ভয় ভয় লাগত তাদের। আর এখন সারাক্ষণ সিবিআই ভয়ে ভয়ে থাকে কোনও রাজ্যে অপরাধ ঘটেছে শুনলেই। ভয়ে ভয়ে থাকার কারণ হল, এখনই সিবিআই তদন্তের দাবি উঠবে। বিশদ

27th  September, 2024
সেভেন সিস্টার্স নয়, চট্টগ্রাম নিয়ে ভাবুন!
মৃণালকান্তি দাস

ক্ষমতা গ্রহণের আগেই নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের বক্তব্যকে বিকৃত করেছিল বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম। যাদের মূল এজেন্ডাই এখন ভারতের বিরুদ্ধে প্রচার চালানো! বিশদ

26th  September, 2024
মোদিতন্ত্রের শিকার স্কুলশিক্ষা
হারাধন চৌধুরী

মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা। পড়াশোনা এবং কর্মসূত্রে ২০০৫ সাল থেকে পাঁশকুড়ায় আছেন। একটি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের‌ ইংরেজির শিক্ষক। আরও দুই যুবকের সঙ্গে হাঁটুজলে দাঁড়িয়ে একটি সেলফি তুলে পোস্ট করেছেন ফেসবুকে। তাঁদের পরনে ট্রাউজারের বদলে গামছা ও জামা, হাতে জুতো এবং পিঠে একটি করে ব্যাগ। বিশদ

25th  September, 2024
ইতিহাসে থেকে যাবে বাংলার অসম্মানটুকুই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

প্রচার আর অপপ্রচারের মধ্যে ফারাকটা একচুলের। দুটোই চিরন্তন। আর দুটোই রাষ্ট্রের হাতিয়ার। তফাৎ? প্রথমটা গণতন্ত্রের অস্ত্র এবং দ্বিতীয়টি হিংসার। স্বৈরতন্ত্রের। সম্প্রতি সিবিআই নামক কেন্দ্রীয় সরকারি ‘যন্ত্র’টি সুপ্রিম কোর্টে বেধড়ক ঝাড় খেয়েছে। বিশদ

24th  September, 2024
একনজরে
আবাস যোজনার টাকা নিয়েও বাড়ি তৈরি করেননি উপভোক্তা—ইতিপূর্বে এমন বহু ঘটনা সামনে এসেছে। বিভিন্ন জেলায় খোঁজখবর করে জানা গিয়েছে, এই উপভোক্তাদের মধ্যে অনেকেই আর বাড়ি তৈরি করতে রাজি নন। অনেকে আবার বাড়ি তৈরির টাকা পেয়ে তা অন্য কাজে খরচ করে ...

বাংলার দুর্গাপুজোর পাশাপাশি গোটা দেশ দশদিন ধরে মাতবে উৎসবে। তার ফলে সামগ্রিকভাবে ভারতে খুচরো ব্যবসা হবে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার। সমীক্ষায় এমনটাই দাবি করল ব্যবসায়ীদের সর্বভারতীয় সংগঠন কনফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স। ...

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক বন্দরে ধর্মঘট শুরু হয়েছে। ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন সেখানকার ডককর্মীরা। তার ফলে অনেকটাই মার খাবে ভারতের রপ্তানি। পাশাপাশি আমেরিকা থেকে কাঁচামাল এনে যেসব ভারতীয় সংস্থা এখানে পণ্য উৎপাদন করে, মারাত্মক ক্ষতি হবে তাদেরও। ...

ফের নবদ্বীপের গৌরাঙ্গ সেতুতে বিপত্তি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নবদ্বীপ গৌরাঙ্গ সেতুর উপর দিয়ে যান চলাচল কিছু সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। পরে হাল্কা যানবাহনগুলিকে একমুখীভাবে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

মেয়াদি সঞ্চয় বা পৈতৃক সম্পত্তি সূত্রে ধনাগম যোগ দেখা যায়। কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও আর্থিক দিক ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব প্রাণী দিবস
১৩৩৭: (৭৫৮ হিজরী) খলিফা মনসুর বাগদাদের ভিত্তি স্থাপন করেন
১৫৩৫: ইংরেজি ভাষার প্রথম বাইবেল ছাপা সম্পন্ন হয়
১৬৬৯: হল্যান্ডের চিত্রশিল্পী রেমব্রান্টের মৃত্যু
১৮১৩: লর্ড ময়রার বাংলার গভর্নর জেনারেল নিযুক্ত হন
১৮৩০: স্বাধীনতা ঘোষণা করল বেলজিয়াম
১৮৫৫: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের উদ্যোগে ও নেতৃত্বে বিধবা বিবাহ আইন প্রবর্তিত হয়
১৮৮৭: কলকাতায় এমারেল্ড থিয়েটার প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯১১: সাধারণের ব্যবহারের জন্য প্রথম লন্ডনের পাতাল রেলস্টেশন চালু হয়
১৯৩১: সঙ্গীতশিল্পী গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৪৭: জার্মানির পদার্থবিজ্ঞানী ম্যাক্স প্লাঙ্কের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৯ টাকা ৮৪.৮৩ টাকা
পাউন্ড ১০৯.৪৭ টাকা ১১৩.০৪ টাকা
ইউরো ৯১.০৬ টাকা ৯৪.২৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৫,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯১,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৮ আশ্বিন, ১৪৩১, শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০২৪। দ্বিতীয়া ৫৯/৫৫ শেষ রাত্রি ৫/৩১। অশ্বিনী নক্ষত্র ৩২/৪৩ রাত্রি ৬/৩২। সূর্যোদয় ৫/৩২/৩৯, সূর্যাস্ত ৫/১৮/১৯। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/২০ মধ্যে পুনঃ ৭/৭ গতে ৯/২৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৯ গতে ২/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/৬ গতে ৯/২৩ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৯ গতে ৩/৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৫ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৯ গতে ১১/২৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৩ গতে ৯/৫৪ মধ্যে। 
১৭ আশ্বিন, ১৪৩১, শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০২৪। দ্বিতীয়া রাত্রি ৩/১১। চিত্রা নক্ষত্র সন্ধ্যা ৫/৫৪। সূর্যোদয় ৫/৩৩, সূর্যাস্ত ৫/২০। অমৃতযোগ দিবা ৬/২৮ মধ্যে ও ৭/১৩ গতে ৯/২৮ মধ্যে ও ১১/৪৩ গতে ২/৪৩ মধ্যে ও ৩/২৮ গতে ৫/২০ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৯ গতে ৯/১৩ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ৩/১০ মধ্যে ও ৪/১ গতে ৫/৩৩ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৯ গতে ১১/২৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৩ গতে ৯/৫৫ মধ্যে। 
৩০ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
কলকাতার আবহাওয়া
শুক্রবার শহরে ফের বৃষ্টির সম্ভাবনা। দিনভর মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে আকাশ। ...বিশদ

08:49:00 AM

সক্রিয় ছত্তিশগড়
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সমস্তরকম পদক্ষেপ করছে ছত্তিশগড়। বৃহস্পতিবার এমনটাই ...বিশদ

08:46:50 AM

ইতিহাসে আজকের দিনে
বিশ্ব প্রাণী দিবস ১৩৩৭: (৭৫৮ হিজরী) খলিফা মনসুর বাগদাদের ভিত্তি স্থাপন ...বিশদ

08:41:09 AM

মার্কিন ভিসার চাহিদা মেটাতে বিশেষ উদ্যোগ
মার্কিন ভিসার ক্রমবর্ধমান চাহিদা সামলাতে বিশেষ উদ্যোগ নিল ইউএস মিশন। ...বিশদ

08:30:00 AM

আপনার আজকের দিনটি
মেষ: মেয়াদি সঞ্চয় বা পৈতৃক সম্পত্তি সূত্রে ধনাগম যোগ দেখা যায়। বৃষ: কোনও ...বিশদ

07:50:00 AM

মহিলা টি-২০ বিশ্বকাপ: শ্রীলঙ্কাকে ৩১ রানে হারিয়ে ম্যাচ জিতল পাকিস্তান

03-10-2024 - 10:57:00 PM