কর্মস্থলে জটিলকর্মে অনায়াস সাফল্য ও প্রশংসালাভ। আর্থিক দিকটি শুভ। ক্রীড়াস্থলে বিশেষ সাফল্য। ... বিশদ
কোচবিহার আর্কাইভের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ঋষিকল্প পাল। তিনি বলেন, কোচবিহার আর্কাইভের নিজস্ব গ্রন্থাগারের উদ্বোধন হল। কোচবিহার, উত্তরবঙ্গ ও উত্তর-পূর্ব ভারত সংক্রান্ত বিষয়ে চর্চা ও গবেষণার জন্য এই বিশেষ গ্রন্থাগার। এতে গবেষক ও পাঠকরা উপকৃত হবেন।
কোচবিহার রয়্যাল ফ্যামিলি সাকসেসার্স ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের মুখপাত্র কুমার মৃদুল নারায়ণ বলেন, এটি অন্যান্য গ্রন্থাগারের মতো নয়। এটি ইতিহাস সংরক্ষণের একটি জায়গা। সেদিক দিয়ে এটি একটি বিশেষ উদ্যোগ।
এই গ্রন্থাগারটি প্রাথমিকভাবে শনি ও রবিবার সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত খোলা থাকবে। অন্যান্য দিন বিশেষ অনুমতি সাপেক্ষে আর্কাইভ ঘুরে দেখা যাবে এবং বই পড়া যাবে। গ্রন্থাগারে কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার জেলা উপবিভাগ থাকছে। ইতিহাস, পুরাতত্ত্ব, লোকসংস্কৃতি উপবিভাগ করা হয়েছে। বিরল সংগ্রহ, সংবাদপত্র, পুস্তিকা, ক্ষুদ্র পত্র-পত্রিকা, জার্নালও রাখা হয়েছে।
কোচবিহার শহরের প্রাণকেন্দ্র হরিশ পাল চৌপথি। এই মোড়েরই এক কোণে আজও দাঁড়িয়ে রয়েছে প্রখ্যাত লোক সংস্কৃতিবিদ হরিশচন্দ্র পালের বাড়ি। ঋষিকল্পবাবু তাঁরই নাতি। তিনিই কয়েক বছর ধরে তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন কোচবিহার আর্কাইভ। এবার তাঁরই গ্রন্থাগারের পথচলা শুরু হল। যা আগামী দিনে এই অঞ্চলের বহু তথ্যকে সংগ্রহ করে রাখার বিষয়ে বড় একটি পদক্ষেপ বলেই মনে করা হচ্ছে। আগামী দিনে গোটা উত্তরবঙ্গ ও অসম থেকে গবেষক ও পড়ুয়ারা এখানে এলে এই গ্রন্থাগার গঠনের উদ্দেশ্য সফল হবে। সেইসঙ্গে এই বিস্তীর্ণ অঞ্চলের ইতিহাস ও সংস্কৃতি সংরক্ষণের ক্ষেত্রে বড় একটি ভূমিকাও পালন করা সম্ভব হবে। নিজস্ব চিত্র