কর্মস্থলে জটিলকর্মে অনায়াস সাফল্য ও প্রশংসালাভ। আর্থিক দিকটি শুভ। ক্রীড়াস্থলে বিশেষ সাফল্য। ... বিশদ
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে, রবিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত প্রায় ১৭৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে আসানসোলে। পাল্লা দিয়ে বৃষ্টি হয়েছে দুর্গাপুর সহ জেলার বাকি অংশেও। সোমবার সকাল পর্যন্ত মাইথন থেকে ৬ হাজার কিউসেক ও পাঞ্চেত থেকে ২০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছিল। দুটি বাঁধের জলস্তর বাড়তে থাকায় জল ছাড়ার পরিমাণ দুপুরে বাড়িয়ে দেয় ডিভিসি। মাইথন থেকে ১০ হাজার কিউসেক ও পাঞ্চেত থেকে ৩৫ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হচ্ছে। অন্যদিকে সোমবার বিকেল ৫টার সময় দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ৮৪ হাজার ৫৫০ কিউসেক হারে জল ছাড়া হচ্ছে। তবে বিকেল থেকে শিল্পাঞ্চলে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক সিরাজ দানেশ্বর বলেন, আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি।
চলতি বছরে অতি বর্ষণে গাড়ুই নদীতে ভেসে গিয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছিল। সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই এবার প্রথম থেকেই বাড়তি সতর্ক পুলিস। আসানসোলের কল্যাণপুরে নদীর উপর জলে ভেসে যাওয়া ব্রিজ পেরতে গিয়ে গাড়ি সহ এক ব্যক্তি তলিয়ে গিয়ে মারা যান। এবার সেই ব্রিজটি গার্ডরেল দিয়ে সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ভয়ানক রূপ নেওয়া গাড়ুই নদী সংলগ্ন বসতিতে পুলিস মাইকিং করছে যাতে কোনওভাবেই মানুষ নদীর কাছে না যায়। এবারও গাড়ুই নদীর জলে আসানসোল রেলপাড়ের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন। বাসিন্দাদের ক্ষোভ, গাড়ুই নদী সংস্কার নিয়ে প্রতিশ্রুতি দেওয়া ছাড়া প্রশাসন কিছু করে না।
নদী দখল করে কারখানা করার অভিযোগে বারবার উত্তপ্ত হয়েছে জামুড়িয়া। জামুড়িয়ার সেই দখল হয়ে যাওয়া নদী ফের ভয়ানক রূপ নিল। বিভিন্ন বেসরকারি কারখানা, শ্মশানঘাট, রাস্তাও ভাসিয়ে দিয়েছে সিঙ্গারণ নদী। রবিবার জামুড়িয়ার কেন্দা এলাকায় ধস নামে। সোমবার ধস নামল জামুড়িয়ার ডোবরানা এলাকায়। অন্যদিকে নিয়ামতপুরের প্রিয়া কলোনির বেশ কিছু বাড়ি জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে। কুলটির কলেজ মোড় এলাকায় জিটি রোডও জলের তলায় চলে গিয়েছে। প্রাণহানির একমাত্র ঘটনাটি ঘটেছে বারাবনিতেই। মৃতের পরিবারের দাবি, অবিবাহিত অশোকবাবু গোরুগুলিকে বাঁচাতে গিয়ে নিজের প্রাণটা দিলেন। দেওয়াল হেলে পড়ায় যাতে গোরুগুলি মারা না যায়, সেই কারণেই গবাদি পশুগুলির দড়ি খুলে দিতে গিয়েছিলেন তিনি। তখনই ভেঙে পড়ে দেওয়াল। তাতেই মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
এদিন গাছ ভেঙে পড়ায় রানিগঞ্জের বিস্তীর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ বিপর্যয় হয়। সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা গাছ কেটে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন। মাইথন জলাধার থেকে জল ছাড়া হচ্ছে।-নিজস্ব চিত্র