Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

‘বিচার’ ও ‘সিবিআই’ এবং ‘মমতা’
হিমাংশু সিংহ

পাঁচ সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। ‘খাঁচাবন্দি তোতাপাখি’ সিবিআইয়ের তদন্ত যেখানেই থমকে থাকুক, জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্নামঞ্চে শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৌঁছে যাওয়া নিঃসন্দেহে সদর্থক রাজনীতিরই পরিচয়। ‘ছোটরা ভিজছে, সারারাত আমিও ঘুমতে পারিনি’, এই মন ছুঁয়ে যাওয়া অভিব্যক্তিই বুঝিয়ে দেয় আন্দোলনের ভিতর দিয়েই তাঁর তিলে তিলে বেড়ে ওঠা। নিজের পদের উচ্চতা ও গরিমাকে পাশে সরিয়ে তিনি যেভাবে সরকারের মানবিক মুখকে সামনে এনেছেন, তাতে ডাক্তারদের উচিত মুখ্যমন্ত্রীর এই ভূমিকাকে সম্মান দিয়ে অবিলম্বে কাজে ফেরা। তাতে চিকিৎসকদের ভাবমূর্তিই উজ্জ্বল হবে। অন্যথায় মানুষের আদালতে কিন্তু তাঁদের জবাবদিহি করতে হবে।
বিচার চাই বলে চেঁচালেই কি বিচার মেলে? শুধু রাস্তার মোড়ে মোড়ে উচ্চকিত স্লোগান তুললেই কি স্বর্গ থেকে বিচার নেমে আসবে? সুপ্রিম কোর্টের শুনানির আগের রাতে নিয়ম করে রাত ও ভোর দখলের কর্মসূচি, গান সঙ্গীত, কবিতা, রাস্তাজুড়ে শিল্পীদের তুলির টান। মানববন্ধন। এই আকাশছোঁয়া আবেগকে নিশ্চিতভাবে সম্মান করি। মনুষ্যত্ব আছে এমন সবাই আমরা বিচার চাই। দ্রুত অপরাধীর কঠোরতম শাস্তি হোক, প্রথম দিন থেকে রাজ্য সরকারও চায়। সেই লক্ষ্যেই নয়া বিলও পাশ হয়েছে রাজ্য বিধানসভায়। এটাও দেখতে হবে কলকাতা পুলিসের হাত থেকে তদন্ত নেওয়ার পর এখনও সামান্যতম কোনও ব্রেক থ্রু কি করতে পেরেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। ১১ বছর পর আবার যে সংস্থাকে ভর্ৎসনা করে দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে বলতে হয়েছে, এবার অন্তত খাঁচা থেকে বেরিয়ে আসুন। স্বভাবতই এ হেন তদন্তকারী সংস্থা মানুষকে কতটা বিচার দিতে পারবে এবং কতদিনে, সেই সংশয় কিন্তু তৈরি হচ্ছে। ভয় একটাই, যদি বিচার না পাওয়া পর্যন্ত হাসপাতালে কর্মবিরতি চলে তাহলে গরিব মানুষের আরও কী শোচনীয় পরিণতি অপেক্ষা করছে! আবেগ স্বাগত, কিন্তু জেদ নয়। বিচার কিন্তু হাসপাতালের প্রতিটা রোগীরও ন্যায্য অধিকার। মুখ্যমন্ত্রী চেষ্টা করেছেন, চিকিৎসকরা সাড়া দেননি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ তাঁরা মানেননি। নির্বাচিত সরকারের উপর এই অবিশ্বাস ও সর্বোচ্চ আদালতের অবমাননার মুখে দাঁড়িয়ে বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে, না প্রকাশ্যে কাঁদবে তার জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া গতি নেই।
এই সংশয়ের কারণ সিবিআইয়ের হাতে ৭ হাজার মামলা ঝুলে। এর মধ্যে ৩৬১টি মামলা ২০ বছরের বেশি পুরনো। ৬৫৮টি আর্থিক দুর্নীতির মামলায় এখনও তদন্ত শেষ করতে পারেনি। এমনিতে ৯০ দিনে তদন্ত শেষ হওয়ার কথা। বহু ক্ষেত্রে বছরের পর বছর ধরপাকড়, চার্জশিট দেওয়ার পরও শেষে অভিযুক্তরা হয় বেকসুর খালাস হয়ে গিয়েছেন কিংবা সিবিআই নিজেই প্রমাণের অভাবে তদন্তে যবনিকা টানতে বাধ্য হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই আবার গুরুত্বপূর্ণ শুনানি। অনেক আশা আমাদের। একটা কিছু হবে। বিচারের দিকে অগ্রসর হওয়ার একটা ইঙ্গিত অন্তত মিলবে। কিন্তু গত ৯ সেপ্টেম্বরের  শুনানিতে সিবিআই যখন সুপ্রিম কোর্টে বলল, তথ্য-প্রমাণ পেতে অসুবিধা হয়েছে। প্লেস অব অকারেন্স এবং অপরাধের সিন আমূল বদলে ফেলা হয়েছে। তথ্য নষ্ট করার চেষ্টা হয়েছে। তখন বুঝতে অসুবিধা হয় না, প্রথম থেকেই তারা তদন্তের চেয়ে ব্যর্থতা ঢাকার অজুহাত খুঁজতেই ব্যস্ত। এধরনের অনুসন্ধানে সিবিআইয়ের পেশাদার গোয়েন্দাদের দক্ষতা প্রমাণিত। সেই জন্যই তাঁদের এত দর। কোনও অপরাধীই সব তথ্য-প্রমাণ পরিপাটি গুছিয়ে রেখে যায় না। সেই প্রতিবন্ধকতাকে অতিক্রম করে বিচার পাইয়ে দেওয়াই কিন্তু সিবিআইয়ের দুঁদে গোয়েন্দাদের বিশেষত্ব। অথচ গত সোমবারের শুনানিতে সিবিআইয়ের স্বনামধন্য কৌঁসুলির গলায় বারবার ব্রেক থ্রুয়ের বদলে অজুহাতের সুরই প্রকাশ পাচ্ছিল। ঘরপোড়া গোরু বলেই বলতে বাধা নেই আর জি কর কাণ্ডে সরাসরি এখনও পর্যন্ত একজনই গ্রেপ্তার হয়েছে কলকাতা পুলিসের হাতে। তিনি সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। সিবিআইয়ের হাতে আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ গ্রেপ্তার হয়েছেন বটে, তবে তা স্রেফ দুর্নীতির মামলায়। তার সঙ্গে খুন কিংবা ধর্ষণের যোগ এখনও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। তাহলে যে বিচারের দাবিতে গোটা নাগরিক সমাজ আজ পথে নেমেছে তারা কবে সুবিচার পাবে। আজ কাল পরশু... পুজোর আগে কিংবা পরে, বছর ঘুরে, কিংবা অর্ধদশক পরে!
অনুরোধ একটাই, প্রতিবাদ চলুক, কিন্তু দয়া করে পুজোর আগের বাজারটা নষ্ট করে দেবেন না। ৮০ হাজার কোটির ব্যবসা। চার বছর আগের কোভিড টানা দু’বছর বিক্রিবাটা স্তব্ধ করে দিয়েছিল। দিন আনা দিন খাওয়ারা এখনও সেই যন্ত্রণা, সেই ক্ষত কাটিয়ে উঠতে পারেনি। তার উপর মিছিল প্রতিবাদে পুজোর কেনাকাটা রোজ ব্যাহত হলে গরিব হকার ভাইদের বিচার দেবে কে? একজনকে বিচার দেওয়া মানে কি অন্যদের সঙ্গে অবিচার! তাও তো আর এক অন্যায়ের জন্ম দেবে! আবেগ থাকতে বাধ্য, নির্যাতিতার বিচারও নিঃসন্দেহে আমাদের সবার অগ্রাধিকার, কিন্তু সুবিচার কোনও মামলাতেই রাতারাতি মেলে না। প্রমাণ থাকলেও না, আর প্রমাণ না থাকলে তো কথাই নেই। বুকে হাত দিয়ে বলুন তো, কবে কোথায় ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে সিবিআই তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে? বিচার চাই। গত পাঁচ সপ্তাহ ধরে এই আওয়াজ তুলেই সমস্ত আবেগ দলা পাকিয়ে বুকে উঠে আসছে। নির্যাতিতার পরিবার, ডাক্তার, শিক্ষানবিশ ছাত্রছাত্রী এবং নাগরিক সমাজের এক সুর। কিন্তু আড়াল থেকে রাজনৈতিক উস্কানি কি নেই? ঘোলাজলে মাছ ধরতে কখনও সামনে, আবার কখনও আড়াল থেকে কারা সক্রিয়। পর পর নির্বাচনী রাজনীতিতে পরাজয়ের হতাশা কাটানোর অবলম্বন যদি একটা পৈশাচিক ঘটনা হয়, তাও কি সমর্থনযোগ্য? ফেসবুকে বেশ কিছু স্বনামধন্য ডাক্তারের প্ররোচনাই প্রমাণ করছে, শুধু বিচার নয়, আরও কিছু চাই! রাজ্যকে অশান্ত করতে পারলেই বিচার মিলবে তো?
১০০ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পর তদন্তভার হস্তান্তর হয়েছে বলে সিবিআই আসল অপরাধীকে ধরতে পারবে না, এই তথ্য মানা যায়? নাকি বিশেষ কিছু করার নেই দেখেই চারদিন পর তদন্তভার নেওয়ার অজুহাত খাড়া করা হচ্ছে সচেতনভাবে। কোন ঘটনায় সিবিআই দু’ঘণ্টার মধ্যে তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে? চাঞ্চল্যকর শিনা বোরা হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছিল ২০১২ সালের এপ্রিল মাসে। সিবিআই তদন্তে যুক্ত হয় তিন বছর পর ২০১৫ সালে। দীর্ঘ তিন বছর পর। এতদিন কি প্লেস অব অকারেন্স (পিও) অক্ষত ছিল? অপরাধের সিন? বাস্তবের মাটিতে এটা হতে পারে? প্রথম চার্জশিট দেওয়া হয় আরও দু’বছর পর ২০১৭ সালে। চার্জশিট দিতে এতটা সময় লাগল কেন? এই মামলায় শিনার বাবা-মা গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তাঁদের গাড়ির ড্রাইভারের দেওয়া বয়ান থেকেই কিনারা করা গিয়েছে বলে সিবিআই দাবি করেছিল। কিন্তু এতকিছুর পরও এখনও দোষী সাব্যস্ত হয়ে কারও ফাঁসি কিংবা যাবজ্জীবন হয়েছে শুনেছেন? উল্টে সিবিআই নিজেই রণেভঙ্গ দিয়েছে যথেষ্ট প্রমাণের অভাবে। একে একে সবাই ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে। দু’বছর আগে শিনার মা ইন্দ্রাণী মুখার্জি ছ’বছর কারাবাসের পর জামিনে মুক্ত হয়ে যান। ফাঁসি তো দূর অস্ত নিদেনপক্ষে কারও যাবজ্জীবন পর্যন্ত হয়নি।
হালের আর এক রোমহর্ষক ধর্ষণ ও খুনের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে যোগীরাজ্যে। হাতরাসে ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০। সিবিআই তদন্তের দায়িত্ব পায় প্রায় সাতাশ দিনের মাথায় ১১ অক্টোবর। চারজন অভিযুক্তই গ্রেপ্তার হন। কিন্তু প্রায় তিন বছর মামলা চলার পর প্রমাণের অভাবে সিংহভাগ অভিযুক্তই বেকসুর খালাস। তাহলে কোন আক্কেলে হাতরাস মামলার তদন্তকারী দুই অফিসার সম্পদ মীনা এবং সীমা আহুজাকে আর জি কর কাণ্ডের তদন্তে যুক্ত করা হল? এই প্রশ্নও কিন্তু উঠছে নাগরিক সমাজে। এরাজ্যে রবীন্দ্রনাথের নোবেল চুরি থেকে শুরু করে হালের শিক্ষা, খাদ্য, গোরু পাচারের মতো গুরুত্বপূর্ণ কোন মামলায় সিবিআই ব্রেক থ্রু করতে সমর্থ হয়েছে? এককথায় উত্তর, একটি ক্ষেত্রেও নয়। কিছু গ্রেপ্তার হয়েছে মাত্র। তারাও একে একে ছাড়া পাচ্ছেন। গত সপ্তাহে অনুব্রত কন্যা ও মানিক ছাড়া পেয়ে গিয়েছেন। সিবিআইয়ের মুখে ঝামা ঘষে জেল থেকে বেরিয়ে এসেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল, হেমন্ত সোরেন, মণীশ সিশোদিয়া। বোফর্স মামলা সম্ভবত এদেশের দুর্নীতির ইতিহাসে সবচেয়ে চর্চিত মামলা। সেখানেও সিবিআইয়ের অগ্রগতি শূন্য। দীর্ঘ প্রায় আড়াই দশক তদন্ত চালানোর পর এজেন্সি নিজেই মামলাটি গুটিয়ে নেওয়ার আবেদন করে আদালতে। ২০১১ সালে আদালতের অনুমতি নিয়ে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে মামলাটিকে ‘ক্লোজ’ করা হয়। এখানেই প্রশ্ন ওঠে, গালভরা তদন্তের নামে সিবিআইয়ের এই ট্র্যাক রেকর্ড সত্যি কি সুবিচার পাওয়ার উপযোগী? মুষ্টিবদ্ধ হাত বারবার আকাশের দিকে ছুড়লেও কোনও বিচার প্রক্রিয়া কিন্তু একদিনে শেষ হওয়ার নয়। তদন্ত হবে। অভিযুক্ত এক বা একাধিক যত জনই হোন তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ হবে। অভিযুক্ত যদি গ্রেপ্তার হয়ে থাকেন তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে চার্জ ফ্রেম হবে। আদালত তা যুক্তিগ্রাহ্য মনে করলে তারপর ট্রায়াল। পক্ষে বিপক্ষে দীর্ঘ সওয়াল। যদি চার্জশিট দুর্বল হয় তাহলে বিচারপর্বেই জাল কেটে বেরিয়ে যাবেন অভিযুক্তরা। আর জি কর কাণ্ডে এখনও তদন্তই শেষ হয়নি। তার আগেই পদে পদে হোঁচট খাচ্ছে তদন্তকারী সংস্থা। এই ব্যর্থতার দায় কার?
কলকাতায়  নাবালিকা হেতাল পারেখ খুন ও ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে ১৯৯০ সালে। গ্রেপ্তার হয় আবাসনের রক্ষী ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়। দীর্ঘ 
মামলা চলে। ধনঞ্জয়ের ফাঁসি হয় ১৪ বছর পর, ২০০৪ সালের ১৪ আগস্ট। এখন বলা হচ্ছে, ধনঞ্জয় নাকি আসল দোষী নন। মিথ্যা মামলা সাজিয়ে তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। তার চেয়েও রোমহর্ষক ধর্ষণের ঘটনা ঘটে ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর। দিল্লিতে চলন্ত বাসের মধ্যে ধর্ষিত ও নির্যাতিত হন নির্ভয়া। সেদিনও গোটা দেশ উত্তাল হয়েছিল। প্রতিবাদের 
ঢেউ দিল্লির সীমানা পেরিয়ে বিদেশেও আলোড়ন ফেলেছিল। কিন্তু বিচার পেতে লেগেছিল আট 
বছর। ওই ঘটনায় চার অভিযুক্তের ফাঁসি হয় ২০২০ সালের মার্চ মাসে। সম্ভবত এটাই ভারতে এখনও পর্যন্ত শেষ ফাঁসির ঘটনা।
ধর্ষণের ঘটনার বাইরে জঙ্গি হামলা এবং দেশবিরোধী নাশকতার ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অপরাধে গত দেড় দশকে তিন-তিনটি ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়েছে। সংসদে হামলায় যুক্ত থাকার ঘটনায় আফজল গুরু, মুম্বই হামলার প্রধান চক্রী পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারী আজমল কাসব এবং ১৯৯৩ সালের মুম্বই হামলায় দোষী সাব্যস্ত ইয়াকুব মেমন। মেমনের ফাঁসি হয় ঘটনার দু’দশক পর, ২০১৫ সালে। আফজল গুরু ছিলেন সংসদে হামলায় অন্যতম প্রধান চক্রী। তাঁর ফাঁসি হয় ঘটনার ১২ বছর পর, ২০১৩ সালে। আর মুম্বই শহরে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনার প্রধান ষড়যন্ত্রী হিসেবে কাসবের ফাঁসি হয় ২০১২ সালে, ঘটনার চার বছর পর। 
এতগুলো ঘটনার উদাহরণ দিলাম একটাই কারণে। কোথাও বিচার কিন্তু রাতারাতি আসেনি। বছর পেরিয়ে দশক, দু’দশক, তারপরও পেরিয়ে গিয়েছে সময়। অনেক ক্ষেত্রেই বিচার যখন এসেছে তখন প্রথম দিনের চোখের জল শুকিয়ে গিয়েছে। রাজনীতির কুশীলবরা বদলে গিয়েছেন বেমালুম। কিন্তু এক্ষেত্রে? একটা বর্বরোচিত ঘটনাকে নাগরিক আন্দোলনের উনুনে তা দিয়ে সরকারকে নাস্তানাবুদ করার ছক। পিছন থেকে ইন্ধন জুগিয়ে বিচার পাওয়া নয়, চেয়ার দখলের ছক কোনওদিন সফল হতে পারে না। সিবিআইয়ের ট্র্যাক রেকর্ড মোটেই আহামরি কিছুই নয়। মনে রাখবেন, কনভিকশনের রেট আধ শতাংশেরও কম।
15th  September, 2024
চিকিৎসা ব্যবসাতেও স্বচ্ছতার দাবি মানুষের
সন্দীপন বিশ্বাস

বর্ধমান, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ বা বীরভূমের ঢাকিপাড়ায় ইতিমধ্যে বোধন হয়ে গিয়েছে। বসন্ত, রসিক কিংবা শ্যামাপদর ঢাকের আওয়াজ ছড়িয়ে পড়ছে গ্রামের বুকে। আর দিনকয়েক পরেই কাঁধে ঢাক নিয়ে ওঁরা বেরিয়ে পড়বেন বিভিন্ন মণ্ডপে।
বিশদ

অচলাবস্থায় ক্ষতি সরকারের নয়, মানুষের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিশ্বাসবাবু কাল মিছিলে গিয়েছিলেন। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই। বেসরকারি এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন তিনি। না গেলে আর হচ্ছিলও না। কলেজের ছেলেমেয়েগুলো বাঁকা চোখে তাকাচ্ছিল। ওরা রোজই প্রায় হাজিরা দিচ্ছে স্বাস্থ্য ভবনের অবস্থানে। বিশদ

17th  September, 2024
এখন মণিপুর যেন চাঁদের অন্ধকার দিক!
পি চিদম্বরম

মণিপুর নিয়ে বার বার লিখিনি। আমার সাপ্তাহিক কলামের পাতা ওল্টাতে বসেই খেয়াল করলাম ব্যাপারটা। এজন্য এখন নিজেকেই তিরস্কার করছি। মণিপুর নিয়ে শেষবার লিখেছিলাম গতবছরের ৩০ জুলাই। অর্থাৎ তারপর ১৩টি মাস পেরিয়ে গিয়েছে! তাই নিজেকেই ক্ষমার অযোগ্য মনে হচ্ছে।
বিশদ

16th  September, 2024
এরপরেও আন্দোলন অরাজনৈতিক!
তন্ময় মল্লিক

অভয়া খুনের জাস্টিস, নাকি প্রশাসনিক কর্তাদের পদত্যাগ? এই মুহূর্তে রাজ্যের আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের লড়াইটা ঠিক কী নিয়ে, সেটাই কেমন যেন গুলিয়ে যাচ্ছে। আন্দোলন ‘অরাজনৈতিক’ প্রমাণে ডাক্তারবাবুরা বিজেপি নেতাদের আন্দোলনস্থলের ত্রিসীমানায় দেখলেই রে রে করে উঠছেন। বিশদ

14th  September, 2024
একক শক্তির জয়যাত্রা
সমৃদ্ধ দত্ত

সমাজে দুই রকম শক্তি আছে। ভিড়ের শক্তি। আর একক শক্তি। ভিড়ের শক্তির মধ্যে অনেক সময় মিশে থাকে একটি বিভ্রান্তি। সেটি হল, ওই দলবদ্ধ শক্তিকেই নিজের শক্তি হিসেবে ভেবে নেওয়া। এবং আমিও খুব শক্তিশালী, এই মনোভাবে নিজেকে নিজে তুষ্ট করা। বিশদ

13th  September, 2024
উৎসব বয়কট বনাম শ্রেণির লড়াই!
মৃণালকান্তি দাস

বোলপুর থেকে শান্তিনিকেতন ছুঁয়ে বেঁকে যায় বিনুড়িয়ার পথ। নীল আকাশ, দু’ধারের ধান জমি, কাশফুল, মেঘ-রোদের লুকোচুরি— এই তল্লাটেই নকশি কাঁথা বিছোন আনসুরা বিবি, কাকলি টুডুরা। বিশদ

12th  September, 2024
বিচার চলুক, বাঁচুক বাংলার অর্থনীতিও
হারাধন চৌধুরী

সহকর্মীদের বেদম প্রহারের ফলে ৬ সেপ্টেম্বর রাজস্থানের জয়পুরে প্রাণ হারালেন বাংলার এক পরিযায়ী শ্রমিক। মোতি আলি নামে ওই যুবক ছিলেন মালদহের বাসিন্দা। এই ঘটনার মাত্র একসপ্তাহ আগে শিরোনাম দখল করে হরিয়ানা। ‘গোমাংস ভক্ষণ’ সন্দেহে বাংলারই এক পরিযায়ী শ্রমিককে পিটিয়ে মারা হয় সেখানে। বিশদ

11th  September, 2024
গোরক্ষার নামে হত্যা! রুখে দাঁড়াক সমাজ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘আহা! পিটিয়ে মারা হয়েছে বলবেন না। গোরক্ষায় কঠোর একটা আইন রয়েছে রাজ্যে। তার সঙ্গে তো আর কোনওরকম সমঝোতা চলে না! ওরা যদি এমন কোনও খবর পায়, কে আটকাবে ওদের?’ খুন হয়েছেন সাবির মল্লিক। প্রকাশ্যে। বিশদ

10th  September, 2024
বেকারত্ব কমাতে মোদি কিছুই করেননি
পি চিদম্বরম

খুব খুশি যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি সম্পূর্ণ ভাষণ আমি ইংরেজিতে পড়তে পেরেছি। এজন্য ইকনমিক টাইমস কাগজকে ধন্যবাদ জানাই। প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দিয়েছিলেন হিন্দিতে। আমার ধারণা, ওই কাগজে প্রকাশিত অনুবাদটি যথাযথই ছিল।
বিশদ

09th  September, 2024
বড় ধাক্কা খেতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি
হিমাংশু সিংহ

হিসেব কিছুতেই মিলছে না প্রধানমন্ত্রীর। তৃতীয়বার শপথ নেওয়া ইস্তক কী দেশে, কী বিদেশে। যত মিলছে না, ততই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে টেনশন ও সঙ্কট। সেই কারণেই উৎসব মরশুম শুরুর আগে নরেন্দ্র মোদির রাতের ঘুম উধাও। দশ বছর পর কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট। বিশদ

08th  September, 2024
প্রতিবাদ যেন ‘শোকের উৎসব’ না হয়
তন্ময় মল্লিক

আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই চলছে আন্দোলন। বিচারের দাবিতে আন্দোলনে শামিল সর্বস্তরের মানুষ। এমনকী অভয়ার বাবা, মাও। পৈশাচিক ঘটনার দ্রুত বিচার চাইছে বাংলা। জাস্টিস দেওয়ার দায়িত্ব এখন সিবিআইয়ের। বিশদ

07th  September, 2024
দুই সমাজের দূরত্ব কমুক
সমৃদ্ধ দত্ত

সমাজে দুটি শ্রেণি আছে। একটি অংশের পরিবারে নবজাতক অথবা বালক বালিকাদের নাম আজও দেওয়া হয় চাঁপা, জবা, শেফালি, বকুল, কনক, মালতী, লতিকা, রতন, সনাতন, বিজয়, অমল, কানাই, কাশীনাথ, শম্ভুচন্দ্র, নিবারণ, উত্তম, সুবল...ইত্যাদি। বিশদ

06th  September, 2024
একনজরে
মেয়ের হেনস্তাকারী যুবককে নিজের হাতেই শাস্তি দিলেন এক মহিলা।  গুজরাতের রাজকোটের এই ঘটনার ভিডিও সামনে এসেছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, দু’জন অভিযুক্তের দু’টি হাত ধরে রয়েছে। আর ওই মহিলা লাঠি দিয়ে তাঁকে নির্মমভাবে পেটাচ্ছেন। ...

জেল থেকে ছাড়া পেয়ে মঙ্গলবার বিধানসভায় এসেছিলেন পলাশীপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। বিধানসভার কমিটির বৈঠকে যাওয়ার জন্য তাঁকে সচিবালয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হয়। ...

সুহেল ভাটের সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান খেলে জেমি ম্যাকলারেনের শট জালে জড়াতেই কোচ হোসে মোলিনার চোখেমুখে তৃপ্তির হাসি। মরশুমের শুরু থেকেই তারকা অজি স্ট্রাইকারের চোট ...

নিউইয়র্কের বিএপিএস স্বামীনারায়ণ মন্দিরে হামলার নিন্দা করলেন মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যরা। এই ঘটনাকে ‘ধর্মান্ধতা এবং নিন্দা’র বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন তাঁরা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মের প্রসার ও উপার্জন বৃদ্ধির যোগ। গৃহ পরিবেশে চাপা উত্তেজনা। পেশার প্রসার। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক সফটওয়্যার স্বাধীনতা দিবস
বিশ্ব নৌ দিবস
১৫০২- কোস্টারিকা আবিষ্কার করেন ক্রিস্টোফার কলম্বাস
১৮৯৯- সাহিত্যিক ও চিন্তাবিদ রাজনারায়ণ বসুর মৃত্যু
১৯০৫- সুয়েডীয়-মার্কিন অভিনেত্রী গ্রেটা গার্বোর জন্ম
১৯২৩- ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের আইন অমান্য আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়
১৯২৪- হিন্দু-মুসলমান সম্প্রীতির জন্য মহাত্মা গান্ধী অনশন শুরু করেন
১৯৫০- অভিনেত্রী শাবানা আজমির জন্ম
১৯৭৬- ব্রাজিলের ফুটবলার রোনাল্ডোর জন্ম
২০০৬- ফুটবলার সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৭ টাকা ৮৪.৮১ টাকা
পাউন্ড ১০৮.৬৫ টাকা ১১২.২০ টাকা
ইউরো ৯১.৫৭ টাকা ৯৪.৭৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
17th  September, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
17th  September, 2024

দিন পঞ্জিকা

২ আশ্বিন, ১৪৩১, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। পূর্ণিমা ৬/৩৩ দিবা ৮/৫ পরে কুম্ভ প্রতিপদ ৫৭/১০ রাত্রি ৪/২০। পূর্ব ভাদ্রপদ নক্ষত্র ১৩/৫০ দিবা ১১/০। সূর্যোদয় ৫/২৭/৪২, সূর্যাস্ত ৫/৩৩/৫৬। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/১৫ মধ্যে পুনঃ ৭/৪ গতে ৭/৫৩ পুনঃ ১০/১৮ গতে ১২/৪৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/২২ গতে ৭/১০ মধ্যে পুনঃ ৮/৪৫ গতে ৩/৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/১৫ গতে ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ১/৩২ গতে ৩/৫৮ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৯ গতে ১০/০ মধ্যে পুনঃ ১১/৩১ গতে ১/১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৯ গতে ৩/৫৮ মধ্যে। 
১ আশ্বিন, ১৪৩১, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। পূর্ণিমা দিবা ৮/৪৮। পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্র দিবা ১২/৫৫। সূর্যোদয় ৫/২৭, সূর্যাস্ত ৫/৩৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/২১ মধ্যে ও ৭/৮ গতে ৭/৫৪ মধ্যে ও ১০/১৪ গতে ১২/৩৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১ গতে ৬/৫১ মধ্যে ও ৮/৩০ গতে ৩/৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/২১ গতে ৭/৮ মধ্যে ও ১/১৯ গতে ৩/৩৯ মধ্যে। কালবেলা ৮/২৯ গতে ১০/১ মধ্যে ও ১১/৩২ গতে ১/৩ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৯ গতে ৩/৫৮ মধ্যে।
১৪ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
উত্তরপ্রদেশের মথুরায় লাইনচ্যুত একটি মালগাড়ি

11:18:00 PM

এখনও এক লক্ষ কুড়ি হাজার কিউসেক জল ছাড়ছে ডিভিসি

10:46:00 PM

বিহারের কৃষ্ণনগরে একাধিক বাড়িতে অগ্নিসংযোগ দুষ্কৃতীদের, হতাহতের খবর নেই

10:36:00 PM

নবান্ন সভাঘরে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বাধীন টাস্ক ফোর্সের সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠক শেষ

09:47:00 PM

এসিএল-২ : মোহন বাগান বনাম রাভশানের ম্যাচ গোলশূন্য ড্র

09:26:00 PM

ইজরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল হিজবুল্লা জঙ্গিগোষ্ঠী

09:25:00 PM