Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

‘বিচার’ ও ‘সিবিআই’ এবং ‘মমতা’
হিমাংশু সিংহ

পাঁচ সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। ‘খাঁচাবন্দি তোতাপাখি’ সিবিআইয়ের তদন্ত যেখানেই থমকে থাকুক, জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্নামঞ্চে শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৌঁছে যাওয়া নিঃসন্দেহে সদর্থক রাজনীতিরই পরিচয়। ‘ছোটরা ভিজছে, সারারাত আমিও ঘুমতে পারিনি’, এই মন ছুঁয়ে যাওয়া অভিব্যক্তিই বুঝিয়ে দেয় আন্দোলনের ভিতর দিয়েই তাঁর তিলে তিলে বেড়ে ওঠা। নিজের পদের উচ্চতা ও গরিমাকে পাশে সরিয়ে তিনি যেভাবে সরকারের মানবিক মুখকে সামনে এনেছেন, তাতে ডাক্তারদের উচিত মুখ্যমন্ত্রীর এই ভূমিকাকে সম্মান দিয়ে অবিলম্বে কাজে ফেরা। তাতে চিকিৎসকদের ভাবমূর্তিই উজ্জ্বল হবে। অন্যথায় মানুষের আদালতে কিন্তু তাঁদের জবাবদিহি করতে হবে।
বিচার চাই বলে চেঁচালেই কি বিচার মেলে? শুধু রাস্তার মোড়ে মোড়ে উচ্চকিত স্লোগান তুললেই কি স্বর্গ থেকে বিচার নেমে আসবে? সুপ্রিম কোর্টের শুনানির আগের রাতে নিয়ম করে রাত ও ভোর দখলের কর্মসূচি, গান সঙ্গীত, কবিতা, রাস্তাজুড়ে শিল্পীদের তুলির টান। মানববন্ধন। এই আকাশছোঁয়া আবেগকে নিশ্চিতভাবে সম্মান করি। মনুষ্যত্ব আছে এমন সবাই আমরা বিচার চাই। দ্রুত অপরাধীর কঠোরতম শাস্তি হোক, প্রথম দিন থেকে রাজ্য সরকারও চায়। সেই লক্ষ্যেই নয়া বিলও পাশ হয়েছে রাজ্য বিধানসভায়। এটাও দেখতে হবে কলকাতা পুলিসের হাত থেকে তদন্ত নেওয়ার পর এখনও সামান্যতম কোনও ব্রেক থ্রু কি করতে পেরেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। ১১ বছর পর আবার যে সংস্থাকে ভর্ৎসনা করে দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে বলতে হয়েছে, এবার অন্তত খাঁচা থেকে বেরিয়ে আসুন। স্বভাবতই এ হেন তদন্তকারী সংস্থা মানুষকে কতটা বিচার দিতে পারবে এবং কতদিনে, সেই সংশয় কিন্তু তৈরি হচ্ছে। ভয় একটাই, যদি বিচার না পাওয়া পর্যন্ত হাসপাতালে কর্মবিরতি চলে তাহলে গরিব মানুষের আরও কী শোচনীয় পরিণতি অপেক্ষা করছে! আবেগ স্বাগত, কিন্তু জেদ নয়। বিচার কিন্তু হাসপাতালের প্রতিটা রোগীরও ন্যায্য অধিকার। মুখ্যমন্ত্রী চেষ্টা করেছেন, চিকিৎসকরা সাড়া দেননি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ তাঁরা মানেননি। নির্বাচিত সরকারের উপর এই অবিশ্বাস ও সর্বোচ্চ আদালতের অবমাননার মুখে দাঁড়িয়ে বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে, না প্রকাশ্যে কাঁদবে তার জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া গতি নেই।
এই সংশয়ের কারণ সিবিআইয়ের হাতে ৭ হাজার মামলা ঝুলে। এর মধ্যে ৩৬১টি মামলা ২০ বছরের বেশি পুরনো। ৬৫৮টি আর্থিক দুর্নীতির মামলায় এখনও তদন্ত শেষ করতে পারেনি। এমনিতে ৯০ দিনে তদন্ত শেষ হওয়ার কথা। বহু ক্ষেত্রে বছরের পর বছর ধরপাকড়, চার্জশিট দেওয়ার পরও শেষে অভিযুক্তরা হয় বেকসুর খালাস হয়ে গিয়েছেন কিংবা সিবিআই নিজেই প্রমাণের অভাবে তদন্তে যবনিকা টানতে বাধ্য হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই আবার গুরুত্বপূর্ণ শুনানি। অনেক আশা আমাদের। একটা কিছু হবে। বিচারের দিকে অগ্রসর হওয়ার একটা ইঙ্গিত অন্তত মিলবে। কিন্তু গত ৯ সেপ্টেম্বরের  শুনানিতে সিবিআই যখন সুপ্রিম কোর্টে বলল, তথ্য-প্রমাণ পেতে অসুবিধা হয়েছে। প্লেস অব অকারেন্স এবং অপরাধের সিন আমূল বদলে ফেলা হয়েছে। তথ্য নষ্ট করার চেষ্টা হয়েছে। তখন বুঝতে অসুবিধা হয় না, প্রথম থেকেই তারা তদন্তের চেয়ে ব্যর্থতা ঢাকার অজুহাত খুঁজতেই ব্যস্ত। এধরনের অনুসন্ধানে সিবিআইয়ের পেশাদার গোয়েন্দাদের দক্ষতা প্রমাণিত। সেই জন্যই তাঁদের এত দর। কোনও অপরাধীই সব তথ্য-প্রমাণ পরিপাটি গুছিয়ে রেখে যায় না। সেই প্রতিবন্ধকতাকে অতিক্রম করে বিচার পাইয়ে দেওয়াই কিন্তু সিবিআইয়ের দুঁদে গোয়েন্দাদের বিশেষত্ব। অথচ গত সোমবারের শুনানিতে সিবিআইয়ের স্বনামধন্য কৌঁসুলির গলায় বারবার ব্রেক থ্রুয়ের বদলে অজুহাতের সুরই প্রকাশ পাচ্ছিল। ঘরপোড়া গোরু বলেই বলতে বাধা নেই আর জি কর কাণ্ডে সরাসরি এখনও পর্যন্ত একজনই গ্রেপ্তার হয়েছে কলকাতা পুলিসের হাতে। তিনি সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। সিবিআইয়ের হাতে আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ গ্রেপ্তার হয়েছেন বটে, তবে তা স্রেফ দুর্নীতির মামলায়। তার সঙ্গে খুন কিংবা ধর্ষণের যোগ এখনও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। তাহলে যে বিচারের দাবিতে গোটা নাগরিক সমাজ আজ পথে নেমেছে তারা কবে সুবিচার পাবে। আজ কাল পরশু... পুজোর আগে কিংবা পরে, বছর ঘুরে, কিংবা অর্ধদশক পরে!
অনুরোধ একটাই, প্রতিবাদ চলুক, কিন্তু দয়া করে পুজোর আগের বাজারটা নষ্ট করে দেবেন না। ৮০ হাজার কোটির ব্যবসা। চার বছর আগের কোভিড টানা দু’বছর বিক্রিবাটা স্তব্ধ করে দিয়েছিল। দিন আনা দিন খাওয়ারা এখনও সেই যন্ত্রণা, সেই ক্ষত কাটিয়ে উঠতে পারেনি। তার উপর মিছিল প্রতিবাদে পুজোর কেনাকাটা রোজ ব্যাহত হলে গরিব হকার ভাইদের বিচার দেবে কে? একজনকে বিচার দেওয়া মানে কি অন্যদের সঙ্গে অবিচার! তাও তো আর এক অন্যায়ের জন্ম দেবে! আবেগ থাকতে বাধ্য, নির্যাতিতার বিচারও নিঃসন্দেহে আমাদের সবার অগ্রাধিকার, কিন্তু সুবিচার কোনও মামলাতেই রাতারাতি মেলে না। প্রমাণ থাকলেও না, আর প্রমাণ না থাকলে তো কথাই নেই। বুকে হাত দিয়ে বলুন তো, কবে কোথায় ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে সিবিআই তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে? বিচার চাই। গত পাঁচ সপ্তাহ ধরে এই আওয়াজ তুলেই সমস্ত আবেগ দলা পাকিয়ে বুকে উঠে আসছে। নির্যাতিতার পরিবার, ডাক্তার, শিক্ষানবিশ ছাত্রছাত্রী এবং নাগরিক সমাজের এক সুর। কিন্তু আড়াল থেকে রাজনৈতিক উস্কানি কি নেই? ঘোলাজলে মাছ ধরতে কখনও সামনে, আবার কখনও আড়াল থেকে কারা সক্রিয়। পর পর নির্বাচনী রাজনীতিতে পরাজয়ের হতাশা কাটানোর অবলম্বন যদি একটা পৈশাচিক ঘটনা হয়, তাও কি সমর্থনযোগ্য? ফেসবুকে বেশ কিছু স্বনামধন্য ডাক্তারের প্ররোচনাই প্রমাণ করছে, শুধু বিচার নয়, আরও কিছু চাই! রাজ্যকে অশান্ত করতে পারলেই বিচার মিলবে তো?
১০০ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পর তদন্তভার হস্তান্তর হয়েছে বলে সিবিআই আসল অপরাধীকে ধরতে পারবে না, এই তথ্য মানা যায়? নাকি বিশেষ কিছু করার নেই দেখেই চারদিন পর তদন্তভার নেওয়ার অজুহাত খাড়া করা হচ্ছে সচেতনভাবে। কোন ঘটনায় সিবিআই দু’ঘণ্টার মধ্যে তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে? চাঞ্চল্যকর শিনা বোরা হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছিল ২০১২ সালের এপ্রিল মাসে। সিবিআই তদন্তে যুক্ত হয় তিন বছর পর ২০১৫ সালে। দীর্ঘ তিন বছর পর। এতদিন কি প্লেস অব অকারেন্স (পিও) অক্ষত ছিল? অপরাধের সিন? বাস্তবের মাটিতে এটা হতে পারে? প্রথম চার্জশিট দেওয়া হয় আরও দু’বছর পর ২০১৭ সালে। চার্জশিট দিতে এতটা সময় লাগল কেন? এই মামলায় শিনার বাবা-মা গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তাঁদের গাড়ির ড্রাইভারের দেওয়া বয়ান থেকেই কিনারা করা গিয়েছে বলে সিবিআই দাবি করেছিল। কিন্তু এতকিছুর পরও এখনও দোষী সাব্যস্ত হয়ে কারও ফাঁসি কিংবা যাবজ্জীবন হয়েছে শুনেছেন? উল্টে সিবিআই নিজেই রণেভঙ্গ দিয়েছে যথেষ্ট প্রমাণের অভাবে। একে একে সবাই ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে। দু’বছর আগে শিনার মা ইন্দ্রাণী মুখার্জি ছ’বছর কারাবাসের পর জামিনে মুক্ত হয়ে যান। ফাঁসি তো দূর অস্ত নিদেনপক্ষে কারও যাবজ্জীবন পর্যন্ত হয়নি।
হালের আর এক রোমহর্ষক ধর্ষণ ও খুনের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে যোগীরাজ্যে। হাতরাসে ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০। সিবিআই তদন্তের দায়িত্ব পায় প্রায় সাতাশ দিনের মাথায় ১১ অক্টোবর। চারজন অভিযুক্তই গ্রেপ্তার হন। কিন্তু প্রায় তিন বছর মামলা চলার পর প্রমাণের অভাবে সিংহভাগ অভিযুক্তই বেকসুর খালাস। তাহলে কোন আক্কেলে হাতরাস মামলার তদন্তকারী দুই অফিসার সম্পদ মীনা এবং সীমা আহুজাকে আর জি কর কাণ্ডের তদন্তে যুক্ত করা হল? এই প্রশ্নও কিন্তু উঠছে নাগরিক সমাজে। এরাজ্যে রবীন্দ্রনাথের নোবেল চুরি থেকে শুরু করে হালের শিক্ষা, খাদ্য, গোরু পাচারের মতো গুরুত্বপূর্ণ কোন মামলায় সিবিআই ব্রেক থ্রু করতে সমর্থ হয়েছে? এককথায় উত্তর, একটি ক্ষেত্রেও নয়। কিছু গ্রেপ্তার হয়েছে মাত্র। তারাও একে একে ছাড়া পাচ্ছেন। গত সপ্তাহে অনুব্রত কন্যা ও মানিক ছাড়া পেয়ে গিয়েছেন। সিবিআইয়ের মুখে ঝামা ঘষে জেল থেকে বেরিয়ে এসেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল, হেমন্ত সোরেন, মণীশ সিশোদিয়া। বোফর্স মামলা সম্ভবত এদেশের দুর্নীতির ইতিহাসে সবচেয়ে চর্চিত মামলা। সেখানেও সিবিআইয়ের অগ্রগতি শূন্য। দীর্ঘ প্রায় আড়াই দশক তদন্ত চালানোর পর এজেন্সি নিজেই মামলাটি গুটিয়ে নেওয়ার আবেদন করে আদালতে। ২০১১ সালে আদালতের অনুমতি নিয়ে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে মামলাটিকে ‘ক্লোজ’ করা হয়। এখানেই প্রশ্ন ওঠে, গালভরা তদন্তের নামে সিবিআইয়ের এই ট্র্যাক রেকর্ড সত্যি কি সুবিচার পাওয়ার উপযোগী? মুষ্টিবদ্ধ হাত বারবার আকাশের দিকে ছুড়লেও কোনও বিচার প্রক্রিয়া কিন্তু একদিনে শেষ হওয়ার নয়। তদন্ত হবে। অভিযুক্ত এক বা একাধিক যত জনই হোন তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ হবে। অভিযুক্ত যদি গ্রেপ্তার হয়ে থাকেন তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে চার্জ ফ্রেম হবে। আদালত তা যুক্তিগ্রাহ্য মনে করলে তারপর ট্রায়াল। পক্ষে বিপক্ষে দীর্ঘ সওয়াল। যদি চার্জশিট দুর্বল হয় তাহলে বিচারপর্বেই জাল কেটে বেরিয়ে যাবেন অভিযুক্তরা। আর জি কর কাণ্ডে এখনও তদন্তই শেষ হয়নি। তার আগেই পদে পদে হোঁচট খাচ্ছে তদন্তকারী সংস্থা। এই ব্যর্থতার দায় কার?
কলকাতায়  নাবালিকা হেতাল পারেখ খুন ও ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে ১৯৯০ সালে। গ্রেপ্তার হয় আবাসনের রক্ষী ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়। দীর্ঘ 
মামলা চলে। ধনঞ্জয়ের ফাঁসি হয় ১৪ বছর পর, ২০০৪ সালের ১৪ আগস্ট। এখন বলা হচ্ছে, ধনঞ্জয় নাকি আসল দোষী নন। মিথ্যা মামলা সাজিয়ে তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। তার চেয়েও রোমহর্ষক ধর্ষণের ঘটনা ঘটে ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর। দিল্লিতে চলন্ত বাসের মধ্যে ধর্ষিত ও নির্যাতিত হন নির্ভয়া। সেদিনও গোটা দেশ উত্তাল হয়েছিল। প্রতিবাদের 
ঢেউ দিল্লির সীমানা পেরিয়ে বিদেশেও আলোড়ন ফেলেছিল। কিন্তু বিচার পেতে লেগেছিল আট 
বছর। ওই ঘটনায় চার অভিযুক্তের ফাঁসি হয় ২০২০ সালের মার্চ মাসে। সম্ভবত এটাই ভারতে এখনও পর্যন্ত শেষ ফাঁসির ঘটনা।
ধর্ষণের ঘটনার বাইরে জঙ্গি হামলা এবং দেশবিরোধী নাশকতার ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অপরাধে গত দেড় দশকে তিন-তিনটি ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়েছে। সংসদে হামলায় যুক্ত থাকার ঘটনায় আফজল গুরু, মুম্বই হামলার প্রধান চক্রী পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারী আজমল কাসব এবং ১৯৯৩ সালের মুম্বই হামলায় দোষী সাব্যস্ত ইয়াকুব মেমন। মেমনের ফাঁসি হয় ঘটনার দু’দশক পর, ২০১৫ সালে। আফজল গুরু ছিলেন সংসদে হামলায় অন্যতম প্রধান চক্রী। তাঁর ফাঁসি হয় ঘটনার ১২ বছর পর, ২০১৩ সালে। আর মুম্বই শহরে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনার প্রধান ষড়যন্ত্রী হিসেবে কাসবের ফাঁসি হয় ২০১২ সালে, ঘটনার চার বছর পর। 
এতগুলো ঘটনার উদাহরণ দিলাম একটাই কারণে। কোথাও বিচার কিন্তু রাতারাতি আসেনি। বছর পেরিয়ে দশক, দু’দশক, তারপরও পেরিয়ে গিয়েছে সময়। অনেক ক্ষেত্রেই বিচার যখন এসেছে তখন প্রথম দিনের চোখের জল শুকিয়ে গিয়েছে। রাজনীতির কুশীলবরা বদলে গিয়েছেন বেমালুম। কিন্তু এক্ষেত্রে? একটা বর্বরোচিত ঘটনাকে নাগরিক আন্দোলনের উনুনে তা দিয়ে সরকারকে নাস্তানাবুদ করার ছক। পিছন থেকে ইন্ধন জুগিয়ে বিচার পাওয়া নয়, চেয়ার দখলের ছক কোনওদিন সফল হতে পারে না। সিবিআইয়ের ট্র্যাক রেকর্ড মোটেই আহামরি কিছুই নয়। মনে রাখবেন, কনভিকশনের রেট আধ শতাংশেরও কম।
15th  September, 2024
কোজাগরীর প্রার্থনা, বাঙালির লক্ষ্মীলাভ হোক
সন্দীপন বিশ্বাস

আমাদের সাধারণ মধ্যবিত্তদের লড়াই সঙ্কুল জীবনে লক্ষ্মীর আশীর্বাদ সেভাবে মেলে না। তবুও আমরা প্রতিদিনের খুদকুঁড়োর মধ্যে বেঁচে থাকার আনন্দটুকু অনুভব করি। মনে হয়, এটাই যেন মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ, নাহলে হয়তো এটুকুও পেতাম না। বিশদ

অবিশ্বাসের শেষ কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ছেলে হওয়ার খবরটা কুবের মাঝিকে প্রথম দিয়েছিল নকুল দাস। স্তিমিত চোখ দুটো উজ্জ্বল হয়ে উঠেও হানা দিয়েছিল আশঙ্কা। পরক্ষণেই। বিরক্ত হয়ে কুবের মাঝি ঘরে ফেরার সঙ্গী গণেশকে বলেছিল, ‘পোলা দিয়া করুম কী? নিজেগোর খাওন জোটে না, পোলা!’ বিশদ

15th  October, 2024
উৎসবের মধ্যেই আনন্দলোকের খোঁজ
মৃণালকান্তি দাস

দুর্গাপূজার সমারোহ নিয়ে ঊনবিংশ শতাব্দীতেই নানা কথা উঠেছিল। কথা উঠেছিল শহর কলকাতার হুজুগেপনা নিয়েও।  বিশদ

10th  October, 2024
বাধার মধ্যেই পুজো, হাতে জোড়া উপহার
হারাধন চৌধুরী

একদিকে যুদ্ধের দামামা, অন্যদিকে বানবন্যা। সঙ্গে দোসর কতিপয় মানুষের বিকৃতি—নারীর সুন্দর কোমল পবিত্র জীবনকে কলুষিত করার অপপ্রয়াস। ফলে চলছে লাগাতার প্রতিবাদ। দুষ্টের দমনে প্রশাসনও যেন নাজেহাল। সব মিলিয়ে মানুষ মোটে ভালো নেই। বিশদ

09th  October, 2024
অশুভের দমন
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সুপ্রিম কোর্ট ‘বিশাখা গাইডলাইন’ ইস্যু করেছিল ১৯৯৭ সালে। লক্ষ্য ছিল, কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের যেন যৌন হয়রানির শিকার হতে না হয়। এই গাইডলাইনের ভিত্তিতে আইন প্রণয়ন হতে সময় লেগে গিয়েছিল আরও ১৫ বছর। মাঠেঘাটে হোক কিংবা অফিস, কাজে যাওয়া নারী সমাজের প্রত্যেক প্রতিনিধি আশ্বস্ত হয়েছিলেন। বিশদ

08th  October, 2024
ভারতীয় বিমানবাহিনীর গৌরবময় ইতিহাস: আত্মনির্ভরতায় অভিযান
ড.বিদ্যুৎ পাতর

৮ অক্টোবর, ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রতিষ্ঠা দিবস—এক ঐতিহাসিক অধ্যায়ের সূচনা। ১৯৩২ সালে যখন মাত্র চারটি পুরনো বিমানের মাধ্যমে এই বাহিনীর যাত্রা শুরু হয়, তখন কেউ কল্পনাও করেনি এটি একদিন বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম বিমানবাহিনী হিসেবে আকাশপথে আধিপত্য বিস্তার করবে। বিশদ

08th  October, 2024
ব্রেকিং নিউজ
পি চিদম্বরম

এটা ব্রেকিং নিউজ, তবে অন্য রকমের। এটা কোনও আইন ভাঙার খবর নয়। খবরটা না মাথা ভাঙার কিংবা ঘরবাড়ি ভাঙারও। অতীতে অনেকবার ফাঁস হওয়া চাঞ্চল্যকর কোনও খবরের মতো নয় এটা। 
বিশদ

07th  October, 2024
বিচার নয়, বাংলার বদনাম করাই লক্ষ্য
হিমাংশু সিংহ

ভাবছিলাম, তেরো পার্বণের দেশে কবে থেকে ‘উৎসব’ নিষিদ্ধ হল? উৎসবে ফেরা আর পাঁকে পড়া যেন সমার্থক হতাশ অতি বামদের প্রতিহিংসার অভিধানে! বাস্তবে কি তা হতে পারে কোনওদিন এই সবুজ ঘেরা বাংলায়? তার জন্য তিন তিনবারের মুখ্যমন্ত্রীর দিকে অবিরাম ঘৃণাবর্ষণ। বিশদ

06th  October, 2024
হঠকারিতার মাশুল দিচ্ছে গণআন্দোলন
তন্ময় মল্লিক

অবশেষে কর্মবিরতি তুলে নিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের অনভিপ্রেত ঘটনাকে সামনে রেখে জুনিয়র ডাক্তাররা আংশিক থেকে পূর্ণ কর্মবিরতিতে চলে গিয়েছিলেন। অভয়ার জাস্টিস গোটা বাংলা চায়। কিন্তু এই কর্মবিরতির সঙ্গে অভয়ার জাস্টিসের সম্পর্ক ছিল না। বিশদ

05th  October, 2024
সাফল্যে গ্রামবাংলার কাছে পিছিয়ে এলিট সমাজ?
সমৃদ্ধ দত্ত 

পশ্চিমবঙ্গের বাবু সমাজ ক্রমেই জাতিগত সাফল্যের বিচারে গ্রামীণ সমাজের কাছে পিছিয়ে পড়ছে কেন? বঙ্গীয় বাবু সমাজের একটি বিশেষ দম্ভ রয়েছে যে, তারাই এই রাজ্যের ওপিনিয়ন মেকার। অর্থাৎ কখন কী নিয়ে আলোচনা হবে, বিশদ

04th  October, 2024
ইলিশের গল্প, ইলিশের রাজনীতি
মৃণালকান্তি দাস

দেশ ভাগ হয়েছে কবেই। সীমান্তে এখন কাঁটাতারের বেড়া। তবু আজও দশমীর সকালে বাংলাদেশের পাবনা থেকে জোড়া ইলিশ নিয়ে সান্যাল বাড়িতে হাজির হন মহম্মদ আব্দুল।
বিশদ

03rd  October, 2024
বাজল তোমার আলোর বেণু, মাতল রে ভুবন
সন্দীপন বিশ্বাস

আকাশজুড়ে যখন ফুটে ওঠে উৎসবের অলৌকিক আলো, ব্রাহ্মমুহূর্তের সেই নৈঃশব্দের মধ্যেই সূচনা হয়ে যায় দেবীপক্ষের। আর তখনই আগমনির সুরে বেতারে বেজে ওঠে আমাদের হৃদয় উৎসারিত শাশ্বত মন্ত্র। বিশদ

02nd  October, 2024
একনজরে
দেশে ক্রমশ বাড়ছে অনলাইন লেনদেনের বহর। সমাজের সব স্তরের মানুষ তাতে উৎসাহিত হচ্ছেন। ডিজিটাল লেনদেনে অংশ নিচ্ছেন শারীরিকভাবে পিছিয়ে পড়া গ্রাহকরাও। ...

দলকে আশানুরূপ লিড দিতে না পারায় ডানা ছাঁটা হল তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতিদের। লোকসভা নির্বাচনে মন্ত্রী গোলাম রব্বানির খাসতালুক গোয়ালপোখর বিধানসভা কেন্দ্রে সন্তোষজনক ফল হয়নি। ...

পূর্ব বর্ধমানের গ্রামাঞ্চলে এমন বহু লক্ষ্মীপুজো হয়, যেগুলি বহু বছরের পুরনো। প্রাচীন রীতি মেনে এখনও সেই পুজো হয়। আউশগ্রামও তার ব্যতিক্রম নয়। এখানকার মিরশা গ্রামের ...

গৃহবধূকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে হাবড়ার এক তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যাকে। এবার তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে তৃণমূল। তারা কোনওভাবেই ধৃত ওই পঞ্চায়েত সদস্যার পাশে থাকবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে হাবড়া ১ নং ব্লকের তৃণমূল নেতৃত্ব। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যা শিক্ষা ও কাজকর্মে দিনটি শুভ। বন্ধুসঙ্গে বিপদ হতে পারে। অধ্যাপনায় অগ্রগতি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব অ্যানেস্থেসিয়া দিবস 
বিশ্ব খাদ্য দিবস
১৭৯৩: ওয়াটারলু যুদ্ধে পরাজয়ের পর নেপোলিয়ন বোনাপাট হেরেনা দ্বীপে নিবার্সন করেন
১৯০৫: বঙ্গভঙ্গ হয়
১৯২৩: দি ওয়াল্ট ডিজনি সংস্থা প্রতিষ্ঠা হয়
১৯২৭: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জার্মান সাহিত্যিক, চিত্রকর, ভাস্কর এবং নাট্যকার গুন্টার গ্রাসের জন্ম
১৯৪৮: অভিনেত্রী হেমা মালিনীর জন্ম
১৯৪৬: ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের জন্ম
১৯৫১: রাওয়ালপিন্ডিতে খুন হন পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলি খান
১৯৬৪: প্রথম পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটাল চীন  
১৯৭৫ :  দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার জ্যাক ক্যালিসের জন্ম
১৯৭৫: বলিউড অভিনেতা রাজীব খান্ডালওয়ালের জন্ম
১৯৮৩: টলিউড অভিনেতা রাহুল ব্যানার্জীর জন্ম
১৯৯১: ভারতীয় ক্রিকেটার শার্দুল ঠাকুরের জন্ম
২০২০: প্রথমবারের মতো কোনও বেসরকারি সংস্থা হিসেবে স্পেস এক্স আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে মহাকাশ যাত্রী পৌঁছে দেয়
২০২০: বিশিষ্ট আবৃত্তিকার ও বাচিক শিল্পী প্রদীপ ঘোষের প্রয়ান
২০২২ - ওআরএস-স্রষ্টা শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ দিলীপ মহলানবিশের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৪ টাকা ৮৪.৯৮ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৮৯ টাকা ১১১.৮৫ টাকা
ইউরো ৮৯.৯১ টাকা ৯৩.৪৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,০৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩০ আশ্বিন, ১৪৩১, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪। চতুর্দশী ৩৭/৪০, রাত্রি ৮/৪১। উত্তর ভাদ্রপদ নক্ষত্র ৩৪/১৩ রাত্রি ৭/১৮। সূর্যোদয় ৫/৩৭/১১, সূর্যাস্ত ৫/৭/১৯। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/২৪ মধ্যে পুনঃ ৭/১০ গতে ৭/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১০/১৩ গতে ১২/৩০ মধ্যে। রাত্রি ৫/৫৭ গতে ৬/৪৬ মধ্যে পুনঃ ৮/২৭ গতে ৩/৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/২৪ গতে ৭/১০ মধ্যে পুনঃ ১/১৭ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩০ গতে ৯/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১১/২৩ গতে ১২/৪৯ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৩০ গতে ৪/৫ মধ্যে। 
২৯ আশ্বিন, ১৪৩১, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪। চতুর্দশী রাত্রি ৭/৪৪। উত্তর ভাদ্রপদ নক্ষত্র রাত্রি ৭/১৮। সূর্যোদয় ৫/৩৮, সূর্যাস্ত ৫/৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৩ মধ্যে ও ৭/১৮ গতে ৮/২ মধ্যে ও ১০/১৪ গতে ১২/২৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৬/৩৫ মধ্যে ও ৮/১৯ গতে ৩/১৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৩৩ গতে ৭/১৮ মধ্যে ও ১/১১ গতে ৩/২৩ মধ্যে। কালবেলা ৮/৩০ গতে ৯/৫৭ মধ্যে ও ১১/২৩ গতে ১২/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৩০ গতে ৪/৪ মধ্যে। 
১২ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
মহিলা টি২০ বিশ্বকাপ: ইংল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারাল ওঃ ইন্ডিজ

15-10-2024 - 10:53:00 PM

এসসিও বৈঠকের আগে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে হাত মেলালেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ

15-10-2024 - 10:32:00 PM

রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা টিমের কাজ খতিয়ে দেখলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন

15-10-2024 - 10:01:00 PM

দিল্লিতে বিজেপির প্রধান কার্যালয়ে বৈঠক, এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

15-10-2024 - 09:53:00 PM

আসানসোল জেলা হাসপাতালে মৃত রোগীর আত্মীয় পরিজনদের জমায়েত

15-10-2024 - 09:50:00 PM

হরিয়ানার নারার গ্রামে জমিতে পড়ে থাকা খড়ের গাদায় আগুন

15-10-2024 - 09:20:00 PM