Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মোদিতন্ত্রের শিকার স্কুলশিক্ষা
হারাধন চৌধুরী

বন্যার কোপ
মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা। পড়াশোনা এবং কর্মসূত্রে ২০০৫ সাল থেকে পাঁশকুড়ায় আছেন। একটি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের‌ ইংরেজির শিক্ষক। আরও দুই যুবকের সঙ্গে হাঁটুজলে দাঁড়িয়ে একটি সেলফি তুলে পোস্ট করেছেন ফেসবুকে। তাঁদের পরনে ট্রাউজারের বদলে গামছা ও জামা, হাতে জুতো এবং পিঠে একটি করে ব্যাগ। কম বয়সি শিক্ষক মহাশয় ওই ছবির সঙ্গে লিখেছেন, ‘এমন ভয়ঙ্কর বন্যা পরিস্থিতির মুখোমুখি আগে কখনও হইনি। বাধ্য হয়ে মেস ছেড়ে স্টেশনের দিকে রওনা দিলাম। বাড়ি ফিরছি। স্কুলে যেতে পারছি না বলে মন ভারাক্রান্ত।’ এবার বন্যার শিকার শুধুমাত্র দক্ষিণবঙ্গেরই ১২টি জেলা। তাই অনেক স্কুলবাড়িও যে জলমগ্ন হয়েছে তা একটি সংগত অনুমান। আবার দুর্গত অঞ্চলের যেসব স্কুলে জল ওঠেনি সেগুলিতে নিশ্চয় চলছে অস্থায়ী ত্রাণ শিবির। হঠাৎ সব হারানো মানুষগুলি কবে বাড়ি ফিরতে পারবেন তার উপর নির্ভর করছে স্কুল খোলার ব্যাপারটা। জল নেমে যাওয়ার পরেও সব স্কুলে পঠনপাঠনের পরিবেশ ফিরবে কি? বিল্ডিং থাকবে স্যাঁতসেঁতে। বেঞ্চ, চেয়ার, টেবিল, ব্ল্যাক বোর্ড, আলমারি—এসব অক্ষত থাকবে না। নষ্ট হয়ে যেতে পারে কিছু বই, খাতাপত্র। স্কুলে যাতায়াতের রাস্তা, খেলার মাঠ প্রভৃতিও বরবাদ হয়ে যেতে পারে অনেকাংশে। এসবের ইনসপেকশন হবে, রিপোর্ট তৈরি হবে, তারপর চলবে রিপোর্টের সত্যাসত্য যাচাইয়ের অসহ্য নাটক। টাকার জন্য চলবে স্কুলের তরফে উপর্যুপরি দরবার এবং কেন্দ্র-রাজ্য দড়ি টানাটানি। শিক্ষক ও স্কুলের অন্য কর্মীরা বেতন নিশ্চয় পেয়ে যাবেন, শুধু পড়াশোনা থেকে বঞ্চিত হবে অসংখ্য ছেলেমেয়ে। বলার অপেক্ষা রাখে না যে তাদের বেশিরভাগই গরিব বাবা-মায়ের সন্তান। 
ভোটের বলি
ভারতীয় গণতন্ত্রকে ‘ভোট বাহাদুর’ বললেই ঠিক বোঝানো যায়। স্কুল কমিটি থেকে লোকসভা গঠন পর্যন্ত ঠিক কত রকমের ভোটের লাইনে যে ভারতবাসীকে দাঁড়াতে হয়, তা গুনে পারা মুশকিল! তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভোটগুলি হল—পঞ্চায়েত/পুরসভা, বিধানসভা ও লোকসভা। এই সমস্ত ভোটের জন্য সবচেয়ে বেশি চাপ দেওয়া হয় স্কুলগুলির উপর। রাজ্য এবং জাতীয় নির্বাচন কমিশন নামে দুটি গালভরা স্বশাসিত সংস্থার মাতব্বরিতে নির্বাচন ও উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় বটে, কিন্তু তাদের কর্মিদল বলে কিছু নেই। সবটাই চলে রাজ্যে রাজ্যে কর্মরত সরকারি কর্মী এবং স্কুল শিক্ষকদের উপর ছড়ি ঘুরিয়ে। ভোটার তালিকা তৈরি, সংশোধন থেকে ভোটের ডিউটি—সবেতে শুধু তাঁরাই। ভোটকেন্দ্র বা বুথ তৈরির জন্য মূলত স্কুলগুলিরই (গুটি কয়েক কলেজও) দখল নেওয়া হয়। ভোটের কাজে আসা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের থাকার বন্দোবস্ত করতেও ভরসা সেই স্কুল। এমনকী নির্বাচন-পরবর্তী হিংসা রুখতেও কিছু এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দীর্ঘদিন রেখে দেওয়া হয়। বলা বাহুল্য, তার জন্য ফের আটকা পড়ে যায় কিছু স্কুলই। সব মিলিয়ে যা দাঁড়ায়, বহু শিক্ষক দীর্ঘদিন স্কুলে থাকার সুযোগ পান না এবং স্কুলগুলিও সবদিন ফাঁকা পাওয়া যায় না। ফলে সিলেবাস শেষ করা সত্যিই অসম্ভব হয়ে পড়ে।  
 উটকো ঝামেলা
লোকসভা ভোটের জন্য এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী স্কুলগুলিতে দীর্ঘদিন ছিল। ফলে দেদার আলো জ্বলেছে, পাখা চলেছে। কোনও কোনও স্কুলে জলের পাম্প চালাবার ক্ষেত্রেও লাগাম ছিল না। বাহিনী পাততাড়ি গোটাবার পর বিদ্যুৎ বিল পেয়ে তো স্কুলগুলির মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড়! দক্ষিণ কলকাতার একটি নামী স্কুলকে তো লাখ টাকার কাছাকাছিই বিল ধরানো হয়েছে! এমন অবাঞ্ছিত বিল আপাতত স্কুলগুলিই মেটাচ্ছে তাদের নিজ নিজ তহবিল থেকে। কিন্তু ওই বিপুল অর্থ তো তাদের মেটাবার কথা নয়। এতে স্কুলগুলির অন্যান্য খরচে টান পড়তে পারে। রাজ্য সরকার দিল্লির কাছ থেকে ওই টাকা আদায়ের চেষ্টায় আছে এখন। কিন্তু দিল্লিওয়ালাদের কাছ থেকে হকের পাওনা আদায় করা কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাঙানোর চেয়েও কঠিন ব্যাপার নয় কি? উত্তরটা আমাদের বাংলার মানুষের চেয়ে ভালো কারাই-বা জানবে!
মোদিতন্ত্রের শিকার
পিএমশ্রী প্রকল্প চালুর জন্য মউ সই করেনি রাজ্য সরকার। প্রধানমন্ত্রীর নাম প্রচারের দায় কেন নেবে রাজ্য? এই সংগত প্রশ্নেই আপত্তি রাজ্যের। তার মাশুল দিতে হচ্ছে বাংলার মানুষকে। সমগ্র শিক্ষা অভিযানের টাকা আটকে দিয়েছে কেন্দ্র। কেননা, এই প্রকল্পের টাকা পাওয়ার পূর্বশর্ত রাখা হয়েছে পিএমশ্রী প্রকল্পে মউ স্বাক্ষর। পিএমশ্রীর অধীনে রাজ্যের দেওয়া জমিতে হবে কেন্দ্রীয় স্কুল। কিন্তু কয়েক বছর পর সেই স্কুলেরই আর্থিক দায় নিতে হবে রাজ্যকে। স্বভাবতই এই উটকো ঝামেলা নিতে বাংলা রাজি হয়নি। অমনি শুরু হয়েছে সবক শেখাবার পাঠ—বন্ধ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থ। ফলে স্কুলগুলিকে কম্পোজিট গ্রান্টের টাকা দিতে পারছে না রাজ্য সমগ্র শিক্ষা মিশন এবং অর্থ সঙ্কটে পড়ে গিয়েছে বহু স্কুল (প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক)। অন্যদিকে স্কুলগুলির খরচ বেড়ে চতুর্গুণ হয়ে গিয়েছে। বিদ্যুৎ বিল স্থানীয় পঞ্চায়েত/পুরসভার দেওয়ার কথা। কিন্তু সেই নিয়ম সবসময় মানা হচ্ছে না। বিল বকেয়ার কারণে জুটছে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার হুঁশিয়ারি। তখন কিছু শিক্ষকই নিজেদের অ্যাকাউন্ট থেকে বিল মেটাতে বাধ্য হচ্ছেন। সাধারণত, স্কুলগুলি এই টাকা রাজ্যের কাছ থেকে এপ্রিলে পায়। ছন্দপতন শুরু হয়েছে গতবছর থেকে। 
এদিকে, সম্প্রতি হুগলি জেলার তিনটি স্কুলে ক্লাস চলাকালেই সিলিং ফ্যান খুলে পড়ার মতো মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটেছে! প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে, পোলবার বেলগরিয়া প্রাইমারি স্কুলের ঘটনায় জখম হয়েছে তিন পড়ুয়া। তাদের মধ্যে একজনের তো মাথাই ফেটে গিয়েছে! অন্য দুটি ঘটনা ঘটেছে চুঁচুড়া ও পাণ্ডুয়ার দুটি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে। এরপর স্কুলশিক্ষাকে মোদিতন্ত্রের শিকার বলা কি অতিরঞ্জন হবে?   
আত্মতুষ্টির অবকাশ নেই
প্রান্তিক মানুষের হাতে নগদের জোগান নিশ্চিত করতে জনকল্যাণমূলক একগুচ্ছ প্রকল্প চালু করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সামাজিক ক্ষেত্রেও এর ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বাংলার কন্যাশ্রী এবং রূপশ্রী প্রকল্পের ভূয়সী প্রশংসা প্রসঙ্গে ইউনিসেফই বলল এই কথা। গত কয়েক বছরে সামাজিক উন্নয়নে প্রকল্প দুটি বড় ভূমিকা নিয়েছে। মত আন্তর্জাতিক সংস্থাটির। সম্প্রতি কলকাতায় এক আলোচনাসভায় ভাষণ প্রসঙ্গে এই দুই প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন পশ্চিমবঙ্গে নিযুক্ত ইউনিসেফের চিফ অব ফিল্ড অফিস মঞ্জুর হোসেন। তাঁর দাবি, ‘এই দুই প্রকল্পের সৌজন্যে স্কুলছুটের সংখ্যা এবং বাল্যবিবাহ কমেছে।’ এই দাবি অবশ্যই সংগত। কেননা এখনও পর্যন্ত তিন কোটির বেশি মেয়ে কন্যাশ্রীর সুবিধা পেয়েছে। অন্যদিকে, রূপশ্রীর সুবিধা পেয়ে উপকৃত তরুণীর সংখ্যা ১৮ লক্ষের বেশি। তবে এই দুই মহৎ উদ্যোগের সীমাবদ্ধতাও ধরা পড়েছে একই সঙ্গে।
সরকারি হাসপাতালের সৌজন্যে সম্প্রতি একটি বাল্যবিবাহের ঘটনা সামনে এসেছে। মাত্র ১৫ বছরের কিশোরীকে চিকিৎসার জন্য ভাঙড়ের ওই 
গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরীক্ষায় ধরা পড়ে যে, ন’মাস আগে বিয়ের পিঁড়িতে বসা মেয়েটি গর্ভবতী! শোনা যাচ্ছে, এই ব্যাপারে মেয়েটির স্বামী এবং বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করছে পুলিস। কিন্তু তাতে মেয়েটির কী লাভ? তার যা সর্বনাশ হওয়ার তা ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। কলকাতা পুলিসের ভাঙড় ডিভিশন সূত্রের আরও খবর, ওই এলাকা থেকে মাসে অন্তত তিন-চারটি বাল্যবিবাহের অভিযোগ তারা পাচ্ছে! 
দেশ তোলপাড় কতিপয় মেডিক্যাল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, আইআইটি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে র‍্যাগিং কিংবা যৌননির্যাতনের কিছু ঘটনা নিয়ে। এসব ক্ষেত্রে জোরালো প্রতিবাদই হওয়া দরকার। কিন্তু ওইসব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দোরগোড়ায় পৌঁছনো আর চন্দ্রাভিযানের আয়োজন যাদের কাছে সমার্থক, তাদের কথা রাষ্ট্র আর একটু ভালো করে কবে ভাববে?  
ইতিহাসে থেকে যাবে বাংলার অসম্মানটুকুই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

প্রচার আর অপপ্রচারের মধ্যে ফারাকটা একচুলের। দুটোই চিরন্তন। আর দুটোই রাষ্ট্রের হাতিয়ার। তফাৎ? প্রথমটা গণতন্ত্রের অস্ত্র এবং দ্বিতীয়টি হিংসার। স্বৈরতন্ত্রের। সম্প্রতি সিবিআই নামক কেন্দ্রীয় সরকারি ‘যন্ত্র’টি সুপ্রিম কোর্টে বেধড়ক ঝাড় খেয়েছে। বিশদ

24th  September, 2024
কোবিন্দ কমিটির রিপোর্ট প্রত্যাখ্যাত হবে
পি চিদম্বরম

একযোগে নির্বাচনের জন্য উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠনে সরকারের প্রকৃত উদ্দেশ্য তার টার্মস অব রেফারেন্স (টিওআর) থেকেই খোলসা হয়ে গিয়েছে। কমিটিকে প্রথম টিওআর ‘বলেছিল, একযোগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য পরীক্ষার পর সুপারিশ করতে ...।’
বিশদ

23rd  September, 2024
বিচারের সামনে দাঁড়াতে হবে সবাইকে!
হিমাংশু সিংহ

গত সপ্তাহে একদিন দুপুরে হাতিবাগানে ঘুরছিলাম। ঝিরঝিরে বৃষ্টিতেও পুজোর মাত্র একমাস আগে এমন বিবর্ণ বিধান সরণি দেখিনি। কয়েকদিন আগে গড়িয়াহাটেও একই অভিজ্ঞতা হয়েছিল। বড় বড় ঝাঁ-চকচকে দোকানে সেলসম্যানের চেয়ে ক্রেতা কম। বিশদ

22nd  September, 2024
বাংলাকে ‘বাংলাদেশ’ করার ছক বানচাল
তন্ময় মল্লিক

জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কি ভুল করলেন? গত কয়েকদিন ধরে এটাই ছিল মূল চর্চিত বিষয়। কলকাতা পুলিসের কমিশনার সহ স্বাস্থ্যকর্তাদের সরিয়ে দেওয়ার পরেও চিকিৎসকরা কর্মবিরতি তুলতে গড়িমসি করছেন। বিশদ

21st  September, 2024
আবেগ, আন্দোলন এবং আইন
সমৃদ্ধ দত্ত

প্রথমে হয়ে উঠেছিল নাগরিক আন্দোলন। কথা ছিল পর্যবসিত হবে গণআন্দোলনে। অথচ মাত্র এক মাসের মধ্যে সেই আন্দোলন আবদ্ধ হয়ে গেল নিছক জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি এবং অবস্থানের আবর্তে। কেন? এর উত্তর সন্ধান করতে হবে নাগরিকদের। বিশদ

20th  September, 2024
বিচার না রাজনীতি, সিবিআই কী চায়?
মৃণালকান্তি দাস

সিবিআই, ইডি, ভিজিলেন্স এজেন্সিকে রাজনৈতিক দাসত্ব ছাড়তে হবে। বলেছিলেন দেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এন ভি রামান্না। বিশদ

19th  September, 2024
চিকিৎসা ব্যবসাতেও স্বচ্ছতার দাবি মানুষের
সন্দীপন বিশ্বাস

বর্ধমান, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ বা বীরভূমের ঢাকিপাড়ায় ইতিমধ্যে বোধন হয়ে গিয়েছে। বসন্ত, রসিক কিংবা শ্যামাপদর ঢাকের আওয়াজ ছড়িয়ে পড়ছে গ্রামের বুকে। আর দিনকয়েক পরেই কাঁধে ঢাক নিয়ে ওঁরা বেরিয়ে পড়বেন বিভিন্ন মণ্ডপে।
বিশদ

18th  September, 2024
অচলাবস্থায় ক্ষতি সরকারের নয়, মানুষের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিশ্বাসবাবু কাল মিছিলে গিয়েছিলেন। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই। বেসরকারি এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন তিনি। না গেলে আর হচ্ছিলও না। কলেজের ছেলেমেয়েগুলো বাঁকা চোখে তাকাচ্ছিল। ওরা রোজই প্রায় হাজিরা দিচ্ছে স্বাস্থ্য ভবনের অবস্থানে। বিশদ

17th  September, 2024
এখন মণিপুর যেন চাঁদের অন্ধকার দিক!
পি চিদম্বরম

মণিপুর নিয়ে বার বার লিখিনি। আমার সাপ্তাহিক কলামের পাতা ওল্টাতে বসেই খেয়াল করলাম ব্যাপারটা। এজন্য এখন নিজেকেই তিরস্কার করছি। মণিপুর নিয়ে শেষবার লিখেছিলাম গতবছরের ৩০ জুলাই। অর্থাৎ তারপর ১৩টি মাস পেরিয়ে গিয়েছে! তাই নিজেকেই ক্ষমার অযোগ্য মনে হচ্ছে।
বিশদ

16th  September, 2024
‘বিচার’ ও ‘সিবিআই’ এবং ‘মমতা’
হিমাংশু সিংহ

একজনকে বিচার দেওয়া মানে কি অন্যদের সঙ্গে অবিচার! তাও তো আর এক অন্যায়ের জন্ম দেবে! আবেগ থাকতে বাধ্য, নির্যাতিতার বিচারও নিঃসন্দেহে আমাদের সবার অগ্রাধিকার, কিন্তু সুবিচার কোনও মামলাতেই রাতারাতি মেলে না। প্রমাণ থাকলেও না, আর প্রমাণ না থাকলে তো কথাই নেই। বিশদ

15th  September, 2024
এরপরেও আন্দোলন অরাজনৈতিক!
তন্ময় মল্লিক

অভয়া খুনের জাস্টিস, নাকি প্রশাসনিক কর্তাদের পদত্যাগ? এই মুহূর্তে রাজ্যের আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের লড়াইটা ঠিক কী নিয়ে, সেটাই কেমন যেন গুলিয়ে যাচ্ছে। আন্দোলন ‘অরাজনৈতিক’ প্রমাণে ডাক্তারবাবুরা বিজেপি নেতাদের আন্দোলনস্থলের ত্রিসীমানায় দেখলেই রে রে করে উঠছেন। বিশদ

14th  September, 2024
একক শক্তির জয়যাত্রা
সমৃদ্ধ দত্ত

সমাজে দুই রকম শক্তি আছে। ভিড়ের শক্তি। আর একক শক্তি। ভিড়ের শক্তির মধ্যে অনেক সময় মিশে থাকে একটি বিভ্রান্তি। সেটি হল, ওই দলবদ্ধ শক্তিকেই নিজের শক্তি হিসেবে ভেবে নেওয়া। এবং আমিও খুব শক্তিশালী, এই মনোভাবে নিজেকে নিজে তুষ্ট করা। বিশদ

13th  September, 2024
একনজরে
ট্রেন চলাচলে সময়ানুবর্তিতার অভাব আর ফ্রেট করিডরের কাজ সম্পূর্ণ না হওয়া। এই দুই ইস্যুতে মঙ্গলবার সংসদের পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (পিএসি) প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ত হল ...

রা‌঩জ্যের মিনি স্টিল প্লান্টের দেড় লক্ষাধিক শ্রমিকের জন্য সুখবর। গতবারের তুলনায় এবছর তারা ০.৬ শতাংশ হারে বাড়তি পুজো বোনাস পাবেন। ওইসঙ্গে গতবারের মতোই মিলবে এক্সগ্রাশিয়া। মঙ্গলবার শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক ও বিশেষ শ্রম কমিশনার তীর্থঙ্কর সেনগুপ্তের উপস্থিতিতে দীর্ঘ বৈঠক হয়। ...

আর জি করের ঘটনার জেরে রাজ্যে বেশ কয়েকটি দুর্গাপুজো কমিটি অনুদান প্রত্যাখ্যান করেছিল। কিন্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র উঠে এল বসিরহাট পুলিস জেলায়। এই পুলিস জেলায় কোনও পুজো কমিটি অনুদান প্রত্যাখ্যান তো করেইনি, উল্টে এবার আরও ১২০টি বেশি পুজো কমিটি রাজ্য ...

কোচবিহারকে হেরিটেজ শহর হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। শহরে চলছে সৌন্দর্যায়নের কাজ। এরই মধ্যে মঙ্গলবার জেলাশাসকের দপ্তরে হেরিটেজ কমিটির বৈঠকে সদস্যদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হল প্রশাসনের আধিকারিকদের। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সামাজিক কল্যাণ কর্মে সাফল্য ও জনখ্যাতি। বাতজ সমস্যায় বিব্রত হতে পারেন। কাজ কারবারে শুভ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস
১৫২৪ - বিশিষ্ট নৌ-অভিযাত্রী ভাস্কো-দা-গামা পর্তুগালের ভাইসরয় হিসেবে তৃতীয় ও শেষবারের মতো ভারতে আসেন
১৬৩৯ - আমেরিকায় প্রথম ছাপাখানা স্থাপিত হয়
১৮৯৭ - প্রথম ব্রিটিশ বাস সার্ভিস চালু হয়
১৯৩৩ - রঙ্গমঞ্চ ও চলচ্চিত্র জগতের বিশিষ্ট অভিনেতা  সত্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম 
১৯৩৯- অভিনেতা ফিরোজ খানের জন্ম
১৯৪৬- ক্রিকেটার বিষেণ সিং বেদির জন্ম
১৯৬৯ - নাট্যকার, নাট্যাভিনেতা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ব্রাত্য বসুর জন্ম
১৯৬৯ - বিখ্যাত বাঙালি চিত্রপরিচালক, অভিনেতা এবং নাট্যব্যক্তিত্ব মধু বসু ওরফে সুকুমার বসুর মৃত্যু
১৯৬৯: দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার  হানসি ক্রনিয়ের জন্ম
১৯৯০- রাজনীতিবিদ,স্বাধীনতা সংগ্রামী গান্ধীবাদি নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গের তৃতীয় মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্লচন্দ্র সেনের মৃত্যু
২০২০ - সঙ্গীতশিল্পী  এস. পি. বালসুব্রহ্মণ্যমের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৭৮ টাকা ৮৪.৫২ টাকা
পাউন্ড ১০৯.৯৪ টাকা ১১৩.৫২ টাকা
ইউরো ৯১.৪৬ টাকা ৯৪.৬৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৮০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৫,২০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৯ আশ্বিন, ১৪৩১, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪। অষ্টমী ১৬/৪৩ দিবা ১২/১১। আর্দ্রা নক্ষত্র ৪২/১৫, রাত্রি ১০/২৪। সূর্যোদয় ৫/২৯/৪৮, সূর্যাস্ত ৫/২৬/৫৬। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/১৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৫ গতে ৭/৫৩ মধ্যে পুনঃ ১০/১৬ গতে ১২/৪০ মধ্যে। রাত্রি ৬/১৪ গতে ৭/২ মধ্যে পুনঃ ৮/৩৯ গতে ৩/৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/১৭ গতে ৭/৫ মধ্যে পুনঃ ১/২৮ গতে ৩/৫০ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৯ গতে ৯/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১১/২৮ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৯ গতে ৩/৫৯ মধ্যে। 
৮ আশ্বিন, ১৪৩১, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪। অষ্টমী অপরাহ্ন ৪/৪০। আর্দ্রা নক্ষত্র রাত্রি ৩/৪৩। সূর্যোদয় ৫/২৯, সূর্যাস্ত ৫/২৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/২১ মধ্যে ও ৭/৮ গতে ৭/৫৪ মধ্যে ও ১০/১৪ গতে ১২/৩৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১ গতে ৬/৫১ মধ্যে ও ৮/৩০ গতে ৩/৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/২১ গতে ৭/৮ মধ্যে ও ১/১৯ গতে ৩/৩৯ মধ্যে। কালবেলা ৮/২৯ গতে ৯/৫৯ মধ্যে ও ১১/২৯ গতে ১২/৫৯ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৯ গতে ৩/৫৯ মধ্যে।
২১ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
কালিয়াচকে উদ্ধার ৫০ হাজার টাকা জাল নোট
কালিয়াচকে এসটিএফের সঙ্গে যৌথ অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার টাকা জাল ...বিশদ

07:45:00 PM

কোন্নগরে ৫ বছরের সন্তানের সামনেই স্ত্রীকে গুলি করে খুন!
৫ বছরের সন্তানের সামনেই স্ত্রীকে গুলি যুবকের! আজ বুধবার সন্ধ্যায় ...বিশদ

07:43:00 PM

আর জি কর কাণ্ড: সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলের জামিন খারিজ করল আদালত, ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজত

07:21:45 PM

পূর্ব বর্ধমানে জেলাশাসক পদে আয়েশা রানি
পূর্ব বর্ধমানে জেলাশাসক পদে বদল। নতুন জেলাশাসক হচ্ছেন আয়েশা রানি। ...বিশদ

07:18:02 PM

বন্যাকবলিত জেলায় ফসলের ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনা করতে বৈঠক কৃষিমন্ত্রীর
অতিবৃষ্টি ও বন্যাকবলিত জেলাগুলিতে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনা করতে আজ নবান্নে ...বিশদ

07:10:00 PM

অভয়া মামলা: সন্দীপ ঘোষের নারকো টেস্ট ও অভিজিৎ মন্ডলের পলিগ্রাফ টেস্টের সম্মতি নেওয়া হবে ৩০ সেপ্টেম্বর, নির্দেশ শিয়ালদহ আদালতের

07:04:00 PM