সামাজিক কল্যাণ কর্মে সাফল্য ও জনখ্যাতি। বাতজ সমস্যায় বিব্রত হতে পারেন। কাজ কারবারে শুভ। ... বিশদ
সাহা বাড়ির সদস্য দেবর্ষি সাহা বলেন, ‘এবার আমাদের বাড়ির পুজো ১১৩ বছরে পদার্পণ করল। হেমচন্দ্র স্ট্রিটের আদি সাহা বাড়িতে স্বর্গীয় ভোলানাথ সাহা প্রথম এই পুজো শুরু করেছিলেন। পরে তিনি পাঁচ সন্তানকে নিয়ে চলে আসেন খিদিরপুরের বাড়িতে। তারপর থেকে এই বাড়িতে পুজো হয়ে আসছে। প্রাচীন রীতি ও প্রথাকে অক্ষত রেখেই পুজো হয়ে আসছে।’ জন্মাষ্টমীর দিন হয় সাহা বাড়ির কাঠামো পুজো। কৃষ্ণনগর থেকে আসেন মৃৎশিল্পীরা। ঠাকুর দালানে তৈরি হয় প্রতিমা। খড় বাঁধা শুরু হতেই বাড়িতে লেগে যায় উৎসবের ছোঁয়া। সাড়ে তিন হাতের তক্তার উপর খড়, মাটি দিয়ে দুর্গার
চেহারা ফুটিয়ে তোলা হয়। ডাকের সাজে এক অন্যন্য মৃন্ময়ী রূপ ধারণ করে দুর্গা। মহালয়ার পরদিন প্রতিপদ থেকে ঘট বসিয়ে ও সংকল্প করে মায়ের পুজো শুরু। পুজোর সময় ১০ মন চাল এবং এক মন চিনির নৈবিদ্য দেওয়া হয়। প্রতিপদ থেকে পঞ্চমী পর্যন্ত ভোগের জন্য বানানো হয় নারকোল ও গুড়ের নাড়ু। ষষ্ঠীর সকালে দুর্গাকে সোনার অলংকার দিয়ে সাজানো হয়। প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর হয় বোধন। সপ্তমীর ভোরে আদিগঙ্গায় নবপত্রিকা স্নান। অষ্টমীতে কুমারী পুজো হয়। বাড়ির মেয়ে ও বউরা কুমারীর পায়ে আলতা পরিয়ে দেন। তারপর তাঁকে পুজো করেন। পদ্ম, অপরাজিতা, জবা ও বেলপাতার মালা দিয়ে সাজানো হয় দেবীকে। সন্ধিপুজোর সময় ঠাকুরদালানে জ্বালানো হয় ১০৮ প্রদীপ। বিসর্জনের দিন দুর্গাকে কাঁধে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় গঙ্গায়। সঙ্গে ঢাক, কাঁসর, ঘণ্টার শব্দ। তারপর আবার অপেক্ষা শুরু পরের বছরের।