সামাজিক কল্যাণ কর্মে সাফল্য ও জনখ্যাতি। বাতজ সমস্যায় বিব্রত হতে পারেন। কাজ কারবারে শুভ। ... বিশদ
সোমবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায় পুলিস। শিক্ষক ব্যবসায়ী সহ ১২ জন জুয়াড়ি ধরা পড়ে। দুই লক্ষেরও বেশি বোর্ড মানি উদ্ধার হয়। মঙ্গলবার তাদের আদালতে তোলা হয়। অভিযুক্তদের তিনদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। হোটেলের রুমে জুয়া খেলার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়েছে শহর। শাসকদলের প্রচ্ছন্ন মদত দেখছে বিরোধীরা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। অবৈধ কার্যকলাপ রুখতে কড়া অভিযান চলবে বলে জানিয়েছে পুলিস।
দিনহাটার অতিরিক্ত বিচারবিভাগীয়-১ আদালতের সরকারি আইনজীবী শুভব্রত বর্মন বলেন, ১২ জনকে জুয়া খেলার অপরাধে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। ২ লক্ষ ২১ হাজার টাকা বোর্ড মানি উদ্ধার হয়েছে। অভিযুক্তদের তিন দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সিপিএমের কোচবিহার জেলা কমিটির সদস্য শুভ্রালোক দাস বলেন, তৃণমূল নেতার হোটেল থেকে জুয়াড়ি উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনায় দিনের আলোর মতো স্পষ্ট করে দিয়েছে অপরাধে মদত জোগাচ্ছে কারা। কাদের হোটেলে নিরাপদে অসামাজিক কার্যকলাপ করা যায়। শাসকদল সহ পুলিসের প্রচ্ছন্ন মদত রয়েছে। এরকম অসামাজিক কার্যকলাপ রুখতে আরও বেশি অভিযান প্রশাসনের চালানো দরকার।
তৃণমূল পরিচালিত দিনহাটা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা ওই হোটেলের লিজের মালিক সাবির সাহা চৌধুরী বলেন, কিছু যুবক হোটেলের রুম ভাড়া নিয়েছিল। রুমের ভিতর চিৎকার চেঁচামেচি হচ্ছিল। তা শুনে ম্যানেজার ওই রুমে যান। অবৈধ কার্যকলাপের প্রতিবাদ করেন। দ্রুত পুলিসকে খবর দেওয়া হয়। পুলিস অভিযুক্তদের ধরে নিয়ে যায়। হোটেলে কোনও অনৈতিক কার্যকলাপকে প্রশ্রয় দেওয়া হয় না।
দিনহাটা মহকুমা পুলিস আধিকারিক ধীমান মিত্র বলেন, গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়েছিল ওই হোটেলে। অবৈধ কার্যকলাপ রুখতে আরও কড়া অভিযান চালানো হবে দিনহাটা শহরজুড়ে। প্রকাশ্যে জুয়া খেলার বিরুদ্ধে পুলিসি অভিযান চলছিল। পুলিসের চোখে ফাঁকি দিতে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজছিল জুয়াড়িরা। শাসকদলের নেতার লিজে নেওয়া হোটেলের রুমকেই তারা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে বেছে নেয়। দিনহাটার একাধিক ব্যবসায়ী, শিক্ষক সহ ১২ জন রংপুর রোডের ওই হোটেলে জুয়ার আসর বসায়। পুলিস খবর পেয়ে অভিযান চালায়। বিপুল বোর্ড মানি সহ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে।