Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

কোবিন্দ কমিটির রিপোর্ট প্রত্যাখ্যাত হবে
পি চিদম্বরম

একযোগে নির্বাচনের জন্য উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠনে সরকারের প্রকৃত উদ্দেশ্য তার টার্মস অব রেফারেন্স (টিওআর) থেকেই খোলসা হয়ে গিয়েছে। কমিটিকে প্রথম টিওআর ‘বলেছিল, একযোগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য পরীক্ষার পর সুপারিশ করতে ...।’ লোকসভা ও ভারতের ২৮টি রাজ্যে এবং বিধানসভা আছে যেসব কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে—এই সমস্ত জায়গায় একযোগে নির্বাচনের সুপারিশ করাই ছিল কমিটির অন্তর্নিহিত রায়। 
কমিটি আরও মনে করে যে কাজটি সম্ভব এবং 
করাই বাঞ্ছনীয়। একযোগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের 
ধারণার বিরুদ্ধে গিয়ে কিছু সুপারিশ করার কোনও হুকুম তার ছিল না। কমিটি বিশ্বস্ততার সঙ্গেই তার দায়িত্ব পালন করেছে।
কমিটিতে উপযুক্ত ব্যক্তির অভাব
কমিটির চেহারা একেবারেই নিরপেক্ষ নয়। চেয়ারম্যান এবং অন্য আটজন সদস্যের মধ্যে মাত্র একজন কনস্টিটিউশনাল এক্সপার্ট বা সংবিধান বিশেষজ্ঞ। অন্য একজন সদস্য কনস্টিটিউশনাল প্রসিডিয়োর বা সংসদীয় রীতিনীতি সম্পর্কে জ্ঞানী ব্যক্তিত্ব হলেও তিনি আইনজীবী নন কিংবা আইনের শিক্ষকও ছিলেন না কখনও। এই গুরুত্বপূর্ণ কমিটির সদস্যদের মধ্যে দু’জন হলেন রাজনীতিক এবং একজন আমলা থেকে পরে রাজনীতির কারবারি হয়ে গিয়েছেন। তিনজন সদস্য তাঁদের গোটা কর্মজীবন সিভিল সার্ভিসেই কাটিয়েছেন। রামনাথ কোবিন্দকে কমিটির শীর্ষে রাখার ব্যাপারটা নিতান্তই আলংকারিক। সম্ভবত, কমিটির গুরুত্ব বৃদ্ধি করতেই তাঁকে ওই চেয়ার দেওয়া হয়েছে। তা এই কমিটির চেহারা যেমনই হোক না কেন, এটাকে কোনোভাবেই সংবিধান বিশেষজ্ঞদের একটি ‘বডি’ বলা যাবে না। 
বিশেষভাবে প্রত্যাশিত সুপারিশই কমিটি করেছে যে, লোকসভা এবং রাজ্য বিধানসভাগুলির নির্বাচন পাঁচ বছর অন্তর একবার এবং একত্রেই হওয়া উচিত। আমার জানা মতে, কোনও বৃহৎ, ফেডারেল বা যুক্তরাষ্ট্র ও গণতান্ত্রিক দেশে এমন নির্বাচন অনুষ্ঠানের একটিও নজির নেই। এই ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং জার্মানির সঙ্গে একটি তুলনামূলক আলোচনা করা যেতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দু’বছরে একবার তাদের প্রতিনিধি পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রেসিডেন্ট এবং গভর্নর পদগুলির জন্য ভোট নেওয়া হয় চার বছরে একবার। তবে শেষোক্ত নির্বাচনগুলি কিন্তু একত্রে অনুষ্ঠিত হয় না। এছাড়া সিনেটের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তিনটি দ্বিবার্ষিক চক্রে, মোট ছ’বছর ধরে। সম্প্রতি, ফেডারেল রিপাবলিক অফ জার্মানির থুরিংগিয়া এবং স্যাক্সনি নামক দুটি রাজ্যে তাদের নিজস্ব নির্বাচনী পর্যায় অনুযায়ী ভোট নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ করার মতো বিষয়টি হল, এই দুই রাজ্যের নির্বাচনের সঙ্গে কিন্তু সে-দেশের ন্যাশনাল পার্লামেন্ট বুন্দেস্তাগের ইলেকশন সাইকেলের কোনও মিল নেই, বরং একেবারেই আলাদা।  
তাহলে এটাই প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে যে, কোবিন্দ কমিটি যেটির অনুসন্ধান করেছে সেটি যুক্তরাষ্ট্র এবং সংসদীয় গণতন্ত্রের ধারণার একটি বিরোধী-তত্ত্ব (অ্যান্টি-থিসিস)। সংসদীয় গণতন্ত্রে একটি নির্বাচিত সরকার প্রতিদিন জনপ্রতিনিধিদের কাছে দায়বদ্ধ এবং সেই সরকারের ‘এগজিকিউটিভ’ যিনি তাঁর জন্য কোনও মেয়াদ নিশ্চিত বা নির্দিষ্ট করা নেই।  আমাদের জন্য কোন রাজনৈতিক মডেল গ্রহণ সর্বোত্তম হবে, সেটা ঠিক করা হয়েছিল গণপরিষদে বিতর্কের মাধ্যমে। সংবিধান প্রণেতারা প্রেসিডেন্সিয়াল সিস্টেম বা রাষ্ট্রপতি-প্রধান ব্যবস্থাকে চূড়ান্তভাবে প্রত্যাখ্যান করেন। তাঁরা সর্বসম্মতিক্রমে বেছে নেন সংসদীয় ব্যবস্থাকে। তার কারণ তাঁদের বিশ্বাস ছিল যে, বৈচিত্র্যে ভরা ভারতের জন্য পার্লামেন্টারি সিস্টেমই হবে সবচাইতে ভালো ব্যবস্থা।
সূত্রগুলি এবং সেগুলির গঠন
কোবিন্দ কমিটির রিপোর্ট হল জটিল বীজগণিত সূত্র এবং সরলীকৃত আইনি সূত্রের মিশ্রণ। এই কমিটি স্বীকার করেছে যে, একযোগে নির্বাচন অনুষ্ঠান প্রস্তাবটির ক্ষেত্রে সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন রয়েছে। ৮২এ, ৮৩(৩), ৮৩(৪), ১৭২(৩), ১৭২(৪), ৩২৪এ, ৩২৫(২), ৩২৫(৩) প্রভৃতি নয়া অনুচ্ছেদ যোগ করতে হবে। তার পাশাপাশি সংশোধন করতে হবে ৩২৭ নম্বর অনুচ্ছেদটিকে। একটি রাজ্য বিধানসভার মেয়াদের শেষ তারিখ এবং লোকসভার অন্তিম তারিখের সঙ্গে সমন্বয় করাই হবে এই নতুন বিধান ও সংশোধনীর কাজ।
সরকারের তরফে দেওয়া ইঙ্গিত থেকে অনুমান করা যায় যে, সাংবিধানিক সংশোধনীগুলি আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরে পাস হবে। তাহলে প্রস্তাবিত একযোগের নির্বাচন হওয়ার কথা ২০২৯ সালে। তাতে ২০২৫, ২০২৬, ২০২৭ ও ২০২৮ সালে নির্বাচিত রাজ্য বিধানসভাগুলির (সর্বমোট ২৪টি রাজ্যে) মেয়াদের উপর এক ধাক্কায় এক থেকে চার বছরের কোপ পড়বে! ভাবুন ব্যাপারটা কী দাঁড়াবে—২০২৭ সালে তৈরি সরকারটির আয়ু হবে মাত্র দু’বছর কিংবা ২০২৮ সালে মাত্র একবছরের জন্য একটি রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে! এমন এক-একটি রাজ্যের মানুষ ও রাজনৈতিক দলগুলি এই অদ্ভুত কারবার কেন মেনে নেবে? এই ব্যাপারে কিছু খারাপ সম্ভাবনার কথাও মাথায় রাখতে হবে। হতেই পারে একটি নির্বাচনে হাং বা ত্রিশঙ্কু বিধানসভা তৈরি হল অথবা কোনও নির্বাচিত রাজ্য সরকার বিধানসভার ভিতরে গরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারল না। আবার এমনও হতে পারে যে একজন মুখ্যমন্ত্রী কোনও কারণে পদত্যাগ করলেন কিন্তু অতঃপর অন্যরাও সংখ্যাগরিষ্ঠতা জোগাড় করতে ব্যর্থ হলেন। প্রস্তাবিত নয়া ব্যবস্থায় এসব পরিস্থিতিতে কী হবে? পাঁচ বছরের বাকি মেয়াদের জন্য নতুন করে ভোটের আয়োজন করতে হবে, কিন্তু সেই নবীন সরকারের হাতে কাজের সুযোগ থাকবে অল্প কিছুদিনই, হয়তো মাত্র কয়েকটি মাস! এসব তো হতেই পারে! এই ধরনের নির্বাচন স্রেফ প্রহসন নয় কি? এসব ভোটে কেবল সেইসব রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীরাই লড়তে পারবেন যাঁদের টাকাকড়ির মা-বাপ নেই! এই প্রসঙ্গে নির্বাচনী-বন্ডের অর্থে ধনাঢ্য দলগুলির কথাই মনে আসে বইকি। সুপারিশগুলি, বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের একটি স্বল্পমেয়াদের জন্য নতুন নির্বাচনের হুমকি দিয়ে আটকে রাখার একটি সুযোগ অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীকে দেবে।
মুফতে কোনও পাস নয়
কোবিন্দ কমিটির সুপারিশ ইতিহাসের মুখে উড়ে যাবে। ১৯৫১ থেকে ২০২১ সাল—নির্বাচনের সাত দশকে স্থিতিশীলতার অভাব ছিল মাত্র দুটি দশকে (১৯৮১-১৯৯০ ও ১৯৯১-২০০০)। পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য স্থিতিশীলতা বজায় রয়েছে ১৯৯৯ সাল থেকে টানা।
আরও উল্লেখ করা দরকার যে, বেশিরভাগ রাজ্য সরকার বা বিধানসভা তাদের পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করেছে। নড়বড়ে নির্বাচনেও আমাদের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি প্রভাবিত হয়নি: ইউপিএ’র দশ বছরে গড় বৃদ্ধির হার ছিল ৭.৫ শতাংশ। এনডিএ দাবি করেছে যে, তাদের দশ বছরে বৃদ্ধি নাকি আরও ভালো হয়েছে।  
সংবিধান সংশোধনী বিল এনডিএ সরকার সংসদে পাস করিয়ে নিতে পারবে, কোবিন্দ কমিটির এটাই একটি ভুল অনুমান। এর বিপরীতে, এই বিলগুলির পাস আটকে দিতে বিরোধীরা সহজেই লোকসভায় ১৮২ জন এবং রাজ্যসভায় ৮৩ জন সদস্যকে পাশে পেয়ে যেতে পারে। একটি বহুত্ববাদী এবং বৈচিত্র্যময় দেশের ঘাড়ে কোনও একমুখী মত (ওয়ান ন্যারেটিভ) চাপিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই ‘ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন’ ভাবনার আমদানি। আমার ধারণা, মোদিজিদের সাধের ‘ওএনওই’ শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়বে।  
• লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত
বিচারের সামনে দাঁড়াতে হবে সবাইকে!
হিমাংশু সিংহ

গত সপ্তাহে একদিন দুপুরে হাতিবাগানে ঘুরছিলাম। ঝিরঝিরে বৃষ্টিতেও পুজোর মাত্র একমাস আগে এমন বিবর্ণ বিধান সরণি দেখিনি। কয়েকদিন আগে গড়িয়াহাটেও একই অভিজ্ঞতা হয়েছিল। বড় বড় ঝাঁ-চকচকে দোকানে সেলসম্যানের চেয়ে ক্রেতা কম। বিশদ

22nd  September, 2024
বাংলাকে ‘বাংলাদেশ’ করার ছক বানচাল
তন্ময় মল্লিক

জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কি ভুল করলেন? গত কয়েকদিন ধরে এটাই ছিল মূল চর্চিত বিষয়। কলকাতা পুলিসের কমিশনার সহ স্বাস্থ্যকর্তাদের সরিয়ে দেওয়ার পরেও চিকিৎসকরা কর্মবিরতি তুলতে গড়িমসি করছেন। বিশদ

21st  September, 2024
আবেগ, আন্দোলন এবং আইন
সমৃদ্ধ দত্ত

প্রথমে হয়ে উঠেছিল নাগরিক আন্দোলন। কথা ছিল পর্যবসিত হবে গণআন্দোলনে। অথচ মাত্র এক মাসের মধ্যে সেই আন্দোলন আবদ্ধ হয়ে গেল নিছক জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি এবং অবস্থানের আবর্তে। কেন? এর উত্তর সন্ধান করতে হবে নাগরিকদের। বিশদ

20th  September, 2024
বিচার না রাজনীতি, সিবিআই কী চায়?
মৃণালকান্তি দাস

সিবিআই, ইডি, ভিজিলেন্স এজেন্সিকে রাজনৈতিক দাসত্ব ছাড়তে হবে। বলেছিলেন দেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এন ভি রামান্না। বিশদ

19th  September, 2024
চিকিৎসা ব্যবসাতেও স্বচ্ছতার দাবি মানুষের
সন্দীপন বিশ্বাস

বর্ধমান, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ বা বীরভূমের ঢাকিপাড়ায় ইতিমধ্যে বোধন হয়ে গিয়েছে। বসন্ত, রসিক কিংবা শ্যামাপদর ঢাকের আওয়াজ ছড়িয়ে পড়ছে গ্রামের বুকে। আর দিনকয়েক পরেই কাঁধে ঢাক নিয়ে ওঁরা বেরিয়ে পড়বেন বিভিন্ন মণ্ডপে।
বিশদ

18th  September, 2024
অচলাবস্থায় ক্ষতি সরকারের নয়, মানুষের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিশ্বাসবাবু কাল মিছিলে গিয়েছিলেন। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই। বেসরকারি এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন তিনি। না গেলে আর হচ্ছিলও না। কলেজের ছেলেমেয়েগুলো বাঁকা চোখে তাকাচ্ছিল। ওরা রোজই প্রায় হাজিরা দিচ্ছে স্বাস্থ্য ভবনের অবস্থানে। বিশদ

17th  September, 2024
এখন মণিপুর যেন চাঁদের অন্ধকার দিক!
পি চিদম্বরম

মণিপুর নিয়ে বার বার লিখিনি। আমার সাপ্তাহিক কলামের পাতা ওল্টাতে বসেই খেয়াল করলাম ব্যাপারটা। এজন্য এখন নিজেকেই তিরস্কার করছি। মণিপুর নিয়ে শেষবার লিখেছিলাম গতবছরের ৩০ জুলাই। অর্থাৎ তারপর ১৩টি মাস পেরিয়ে গিয়েছে! তাই নিজেকেই ক্ষমার অযোগ্য মনে হচ্ছে।
বিশদ

16th  September, 2024
‘বিচার’ ও ‘সিবিআই’ এবং ‘মমতা’
হিমাংশু সিংহ

একজনকে বিচার দেওয়া মানে কি অন্যদের সঙ্গে অবিচার! তাও তো আর এক অন্যায়ের জন্ম দেবে! আবেগ থাকতে বাধ্য, নির্যাতিতার বিচারও নিঃসন্দেহে আমাদের সবার অগ্রাধিকার, কিন্তু সুবিচার কোনও মামলাতেই রাতারাতি মেলে না। প্রমাণ থাকলেও না, আর প্রমাণ না থাকলে তো কথাই নেই। বিশদ

15th  September, 2024
এরপরেও আন্দোলন অরাজনৈতিক!
তন্ময় মল্লিক

অভয়া খুনের জাস্টিস, নাকি প্রশাসনিক কর্তাদের পদত্যাগ? এই মুহূর্তে রাজ্যের আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের লড়াইটা ঠিক কী নিয়ে, সেটাই কেমন যেন গুলিয়ে যাচ্ছে। আন্দোলন ‘অরাজনৈতিক’ প্রমাণে ডাক্তারবাবুরা বিজেপি নেতাদের আন্দোলনস্থলের ত্রিসীমানায় দেখলেই রে রে করে উঠছেন। বিশদ

14th  September, 2024
একক শক্তির জয়যাত্রা
সমৃদ্ধ দত্ত

সমাজে দুই রকম শক্তি আছে। ভিড়ের শক্তি। আর একক শক্তি। ভিড়ের শক্তির মধ্যে অনেক সময় মিশে থাকে একটি বিভ্রান্তি। সেটি হল, ওই দলবদ্ধ শক্তিকেই নিজের শক্তি হিসেবে ভেবে নেওয়া। এবং আমিও খুব শক্তিশালী, এই মনোভাবে নিজেকে নিজে তুষ্ট করা। বিশদ

13th  September, 2024
উৎসব বয়কট বনাম শ্রেণির লড়াই!
মৃণালকান্তি দাস

বোলপুর থেকে শান্তিনিকেতন ছুঁয়ে বেঁকে যায় বিনুড়িয়ার পথ। নীল আকাশ, দু’ধারের ধান জমি, কাশফুল, মেঘ-রোদের লুকোচুরি— এই তল্লাটেই নকশি কাঁথা বিছোন আনসুরা বিবি, কাকলি টুডুরা। বিশদ

12th  September, 2024
বিচার চলুক, বাঁচুক বাংলার অর্থনীতিও
হারাধন চৌধুরী

সহকর্মীদের বেদম প্রহারের ফলে ৬ সেপ্টেম্বর রাজস্থানের জয়পুরে প্রাণ হারালেন বাংলার এক পরিযায়ী শ্রমিক। মোতি আলি নামে ওই যুবক ছিলেন মালদহের বাসিন্দা। এই ঘটনার মাত্র একসপ্তাহ আগে শিরোনাম দখল করে হরিয়ানা। ‘গোমাংস ভক্ষণ’ সন্দেহে বাংলারই এক পরিযায়ী শ্রমিককে পিটিয়ে মারা হয় সেখানে। বিশদ

11th  September, 2024
একনজরে
বর্ধমান থেকে ৬৫কিলোমিটার দূরে রয়েছে কালিকাপুর রাজবাড়ি। গুসকরা থেকে জঙ্গলে ঘেরা পথ দিয়ে সহজেই আসা যায় এই রাজবাড়িতে। সেই রাজা নেই। ...

অভিযানের আগাম খবর পৌঁছে যাচ্ছে চোলাই কারবারিদের কাছে। ‘সর্ষের মধ্যে হন্যে হয়ে ভূত খুঁজতে’ নেমেছে বাঁকুড়া সদর থানা। আগাম খবর পেয়ে চোলাইয়ের কারবারিরা সতর্ক হয়ে ...

কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের আদলে তৈরি হচ্ছে আলিপুরদুয়ার জেলা সদরের শামুকতলা রোডের সুভাষপল্লি কালচারাল ক্লাবের পুজো মণ্ডপ। এবার ৭৪ বছরে পড়ল শহরের এই পুজো। ...

আমেরিকায় ফের বন্দুকবাজের তাণ্ডব। এবার ঘটনাস্থল আলবামার বার্মিংহ্যাম। শনিবার গভীর রাতে একদল বন্দুকবাজ এলোপাথাড়ি হামলা চালাল জনবহুল ফাইভ পয়েন্ট সাউথ এলাকার মঙ্গোলিয়া অ্যাভেনিউয়ে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক ইশারা ভাষা বা সাংকেতিক ভাষা দিবস
১৮৪৬: সোলার সিস্টেমের অষ্টম গ্রহ নেপচুন আবিষ্কার 
১৮৪৭: বাংলার প্রথম র‌্যাংলার ও সমাজ সংস্কারক আনন্দমোহন বসুর জন্ম
১৯৩২: চট্টগ্রাম আন্দোলনের নেত্রী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের মৃত্যু
১৯৩৫: অভিনেতা প্রেম চোপড়ার জন্ম
১৯৪৩: অভিনেত্রী তনুজার জন্ম
১৯৫৬: বিশিষ্ট ইতালীয় ফুটবলার পাওলো রোসির জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৮ টাকা ৮৪.৪২ টাকা
পাউন্ড ১০৯.৫৩ টাকা ১১৩.১১ টাকা
ইউরো ৯১.৭৫ টাকা ৯৪.৯৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
21st  September, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
21st  September, 2024

দিন পঞ্জিকা

৭ আশ্বিন, ১৪৩১, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। ষষ্ঠী ২০/৫৫ দিবা ১/৫১। রোহিণী নক্ষত্র ৪১/৩৮ রাত্রি ১০/৮। সূর্যোদয় ৫/২৯/১২, সূর্যাস্ত ৫/২৮/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ৮/৪১ গতে ১১/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/৫২ গতে ১১/৫ মধ্যে পুনঃ ২/১৭ গতে ৩/৫ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৯ গতে ৮/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/২৮ গতে ৩/৫৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৫৮ গতে ১১/২৮ মধ্যে।   
৬ আশ্বিন, ১৪৩১, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। ষষ্ঠী রাত্রি ৭/২৭। রোহিণী নক্ষত্র শেষরাত্রি ৪/২৩। সূর্যোদয় ৫/২৯, সূর্যাস্ত ৫/৩১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৯ মধ্যে ও ৮/৪১ গতে ১০/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৭ গতে ১০/৫৭ মধ্যে ও ২/১৭ গতে ৩/৭ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫৯ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ২/৩১ গতে ৪/১ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/০ গতে ১১/৩০ মধ্যে। 
১৯ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আরজি কর কাণ্ড: জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিধায়ক নির্মল ঘোষকে তলব, পৌঁছে গিয়েছেন সিবিআই দপ্তরে

11:23:00 AM

পিছিয়ে গেল আর জি কর মামলার শুনানি
ফের একবার সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল আর জি কর মামলার ...বিশদ

10:50:00 AM

নজরে তিরুপতি মন্দিরের লাড্ডু বিতর্ক, বাজার থেকে কেনা প্রসাদে পুজো দেওয়া বন্ধ করল লখনউয়ের মানকামেশ্বর মন্দির কর্তৃপক্ষ

10:45:00 AM

৩০০ পয়েন্ট বেড়ে খুলল সেনসেক্স, চওড়া হাসি বিনিয়োগকারীদের

10:31:00 AM

মুর্শিদাবাদে জাতীয় সড়কের উপর বোমাবাজি!
মুর্শিদাবাদের রেজিনগরে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর বোমাবাজির ঘটনায় চাঞ্চল্য। ...বিশদ

10:29:00 AM

গাজায় শান্তি ফেরাতে ভারত সবসময় পাশে আছে, প্যালেস্টাইনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

10:25:00 AM