বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
গত এক সপ্তাহ ধরে ডিভিসির ছাড়া জল ও অতি বৃষ্টির জেরে বানভাসি হয়েছে আরামবাগ মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা। ইতিমধ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বন্যা কবলিত এলাকা ঘুরে গিয়েছেন। রবিবার মুখ্যসচিব আসেন। এদিন সকালে মনোজবাবু পুরশুড়া বিডিও অফিসে এসে বৈঠক করেন। সেখান থেকে যান হরাদিত্য ত্রাণ শিবিরে। দুর্গতদের ত্রাণ সামগ্রী দেন। সেখান থেকে আসেন খানাকুলের তালিতে। দ্বারকেশ্বর নদের বাঁধের একটি বড় অংশ সেখানে ভেঙে গিয়েছে। বাঁধের কাছে থাকা একাধিক পাকা বাড়িও জলের তোড়ে ভেসে যায়। ধ্বংসবশেষে পড়ে রয়েছে দরজা, জানলার ভাঙা অংশ। বহু ইট পড়ে রয়েছে। মুখ্য সচিব সেই এলাকা পরিদর্শন করেন। সেখানেই একটি বাড়ি ভেসে চলে যাওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়। এদিন পুলিস সুপার কামনাশিস সেন সেই দৃশ্য মুখ্যসচিবকে তাঁর মোবাইল থেকে দেখান। মুখ্যসচিব সেখানে দুর্গতদের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন। অনেককে বই খাতাও দেন। সেই সময়ই দুর্গতরা মুখ্যসচিবের কাছে কান্নায় ভেঙে পড়েন। মহিলারা বলেন, আমাদের সব চলে গিয়েছে। আমাদের আর জমি নেই। কিছু ব্যবস্থা করুন। দুর্গতরা বলেন, এর আগেও ওই এলাকাতেই বাঁধ ভেঙেছিল। তারপর ফের বাঁধ ভেঙে সব তছনছ করে দিল। দুর্গতদের অনেকেই জানান, নতুন করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে, বাড়ি তৈরির জন্য আর্থিক সাহায্য প্রয়োজন।
তবে এক বাসিন্দা মুখ্যসচিবের কাছে বেআইনি নির্মাণ নিয়েও অভিযোগ তোলেন। তিনি জানান, নদী গর্ভের মধ্যে হোটেল, ইট ভাটা ও একটি পার্ক বেআইনিভাবে হয়েছে। এনিয়ে যেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
মুখ্যসচিব বলেন, প্রয়োজনীয় সব সাহায্য করা হবে। জল নামলে দ্রুত বাঁধ নির্মাণের কাজ করতে বলা হয়েছে। তবে কেন বারবার বাঁধ ভাঙছে, আমরা তা দেখব।
মুখ্যসচিব এদিন সেখান থেকে বন্দিপুর এলাকাতেও যান। তারপর আরামবাগ এসডিও অফিসে এসে বৈঠক করে ঘাটাল যান। মুখ্যসচিব বৈঠকে প্রশাসনের সব বিভাগকে একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তারসঙ্গে বন্যা কবলিত গ্রামগুলিতে স্বাস্থ্যদপ্তরকে শিবির করে চিকিৎসার কথা বলেছেন। এদিন তাঁর সঙ্গে পুলিস ও প্রশাসনের অন্যান্য কর্তাদের পাশাপাশি আরামবাগের এমপি মিতালি বাগ, জেলাশাসক মুক্তা আর্য সহ অনেকেই ছিলেন। -নিজস্ব চিত্র