বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
শান্তিপুর ব্লকের গয়েশপুর পঞ্চায়েত। গত সপ্তাহের ভারী বৃষ্টিপাত এবং বিভিন্ন ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার কারণে ভাগীরথীর জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উচ্চতায় বইছে জল। এর ফলে বহু জায়গাতেই নদীপাড় উপচে জল ঢুকে পড়ছে নদীর তীরবর্তী গ্রামে। সম্প্রতি গয়েশপুর পঞ্চায়েত এলাকার কমবেশি পাঁচটি গ্রাম জলে ভেসে গিয়েছে। গঙ্গার সঙ্গে সংযুক্ত একটি খাল রয়েছে। ওই খালে জল ঢুকে তা দু’কূল ছাপিয়ে সংলগ্ন গ্রামগুলিকে ভাসিয়ে দিয়েছে। ফলে, গয়েশপুর এলাকায় বিঘার পর বিঘা চাষের জমি এখন জলের তলায়। যোগাযোগের একমাত্র রাস্তাটিও জলমগ্ন। স্রোত বইছে রাস্তার উপর দিয়ে। অসহায় হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। গয়েশপুরের বাসিন্দা, পেশায় কৃষক বিশ্বজিৎ বিশ্বাস বলেন, ‘পটল, ঝিঙে, উচ্ছে এই তিন ধরনের সব্জির চাষ করেছিলাম। সবকিছু জলের তলায় চলে গিয়েছে। পথে বসার মত অবস্থা হয়েছে আমার। কিছুটা পাট বেঁচে গিয়েছে। বেশ কয়েক হাজার টাকার সব্জি চাষ করেছিলাম। পুজোর আগে সব নষ্ট হয়ে গেল। ধার দেনা বাড়বে। এটাই এখন চিন্তার। সরকারের কাছে আবেদন করব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে।’ গয়েশপুরের বাসিন্দা বিকাশ সিংহ রায় বলেন, ‘আমরা তো চড়া এলাকার বাসিন্দা। মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যোগাযোগের একটিমাত্র রাস্তা রয়েছে। কিন্তু নদীর জলে সেই রাস্তাটি ডুবে গিয়েছে। ফলে সেখান দিয়ে যাতায়াত করা যাচ্ছে না। অগত্যা, নৌকা পথে পারাপার করতে হবে। শুনছি আবার বৃষ্টি হবে। তা হলে ঘরবাড়ি পুরোপুরি ডুবে যাবে।’ সানোয়ার হোসেন মন্ডল বলেন, ‘পাঁচটি গ্রাম ইতিমধ্যেই জলবন্দি। কয়েকটি উঁচু জায়গায় আপাতত মানুষ ঠাঁই নিচ্ছেন। এরপর আর বৃষ্টি হলে, বা অন্য কারণে জল বাড়লে গ্রামের মানুষকে অন্য জায়গায় সরিয়ে যেতে হবে। সরকারি কিছু সাহায্যের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, তা এক কথায় ভয়াবহ।’ - নিজস্ব চিত্র