বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
পুজোর দিনগুলিতে এই গ্রাম যেন আরও জমজমাট হয়ে ওঠে। যে যেখানেই থাকুন না কেন পুজোর দিনগুলিতে তাঁরা ফিরে আসেন। সবার কাছে বাড়তি আকর্ষণ এখানকার রাজবাড়ির পুজো। বোধনের অনেক আগে থেকেই রাজবাড়ি জমজমাট হয়ে ওঠে। গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, ষষ্ঠী বা দশমীর দিনেও গ্রামে সেলিব্রিটিদের ভিড় দেখা যায়। শ্যুটিংও চলে। এখন ইউটিউবারদের দাপটও রয়েছে। কিন্তু সেইসময় গ্রামের প্রতিটি বাসিন্দার মন পড়ে থাকে রাজবাড়িতে। পুজোর দিনগুলিতে এই গ্রামের ছবিটাই যেন বদলে যায়। ঢাকের আওয়াজ শুদ্ধ মন্ত্রোচ্চারণে পরিবেশ যেন বদলে দেয়। রাজবাড়ি থেকে কিছুটা দূরে গড়জঙ্গলে দাঁড়িয়ে কথা হচ্ছিল এলাকার বাসিন্দা রতন চক্রবর্তীর সঙ্গে। তিনি বলেন, পুজোর সময় একটু অন্যরকমভাবে কাটাতে হলে এই গ্রামের বিকল্প পাওয়া ভার। রাজবাড়ি থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে রয়েছে ঘন জঙ্গল। জঙ্গলে ঘুরতে ঘুরতে দেখা মিলতে পারে বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর। শাল, পলাশ এবং মহুয়ার আহ্বানে কোথাও যেন হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে। অষ্টমীর দুপুরে জঙ্গলে ভেসে আসে ঢাকের আওয়াজ। স্থানীয়রা আরও বলেন, কালিকাপুর রাজবাড়ির পুজো প্রায় ৪০০ বছরের পুরনো। এখানকার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বর্ধমানের রাজাদের ইতিহাস। রাজবাড়িতে কান পাতলে শোনা রাজাদের নানা কাহিনী।
রাজ পরিবারের অনেকেই গ্রামের বাইরে থাকেন। পুজোর সময় পরিবারের সদস্যরা ফিরে আসেন। পুজো হয় নিষ্ঠাভরে। এখানকার পুজোর ছবি দেখা যায় রুপোলি পর্দাতেও। গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, আগে সিনেমার শ্যুটিং দেখার জন্য অনেকে ভিড় করতেন। এখন হামেশাই সেলিব্রিটিরা আসায় তাঁরা যেন আমাদের ঘরের লোক হয়ে উঠেছেন। অনেক নায়ক নায়িকা গ্রামবাসীদের নামে চেনেন। তবে পুজোর দিনগুলিতে লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশন শুনতে ভালো লাগে না। ওইসময় রাজবাড়িতে বসে শুদ্ধ মন্ত্রোচ্চারণ শুনে শান্তি পাওয়া যায়। শহরের পুজোর মতো থিম বা আলোর রোশনাই এখানে নেই। তারপরও এখানকার পুজোকে কেন্দ্র করে অন্যরকম টান রয়েছে জেলার বাসিন্দাদের। নিজস্ব চিত্র