বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
রবিবার সকালে পার্টি অফিসের একাংশ জ্বলছিল। স্থানীয়দের নজরে বিষয়টি এলে তাঁরাই আগুন নিভিয়ে ফেলেন। এদিকে আগুন লাগার খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়তেই অন্যান্য এলাকার তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা পার্টি অফিস চত্বরে এসে ভিড় জমাতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় বক্সিরহাট থানার পুলিস।
সম্প্রতি, বারোকোদালি-১ গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের থেকে হাতছাড়া হওয়ার পর থেকে গত একসপ্তহে পরপর এমন রাজনৈতিক সন্ত্রাসে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে গ্রাম। তৃণমূলের দাবি, এর আগেও দু’বার ১৫৬ নম্বর বুথ অফিসে হামলা চালিয়েছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতী বাহিনী। ওই সময় টিভি, চেয়ার, টেবিল সহ অন্যান্য আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছিল। এবারে সরাসরি আগুন লাগিয়ে পার্টি অফিস পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। যদিও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা।
কোচবিহার জেলা পরিষদ সদস্য তথা তৃণমূলের তুফানগঞ্জ-২ ব্লক সহ সভাপতি নিরঞ্জন সরকার বলেন, গ্রাম পঞ্চায়েত দখলের পর থেকেই বিজেপি আমাদের কর্মীদের ভয় দেখাতে একের পর এক সন্ত্রাস করে চলেছে। এলাকায় সুষ্ঠু পরিবেশকে অশান্ত করতে চাইছে ওরা। রবিবার ভোরে পার্টি অফিসে অগ্নি সংযোগ করে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। স্থানীয়রা আগুন না নেভালে পার্টি অফিস পুরোটাই পুড়ে যেত। এনিয়ে বক্সিরহাট থানায় আমরা লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। পুলিসকে বলেছি, যাতে দ্রুত এব্যাপারে তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
এব্যাপারে বিজেপির ২ নম্বর মণ্ডল সাধারণ সম্পাদক দিবাকর অধিকারী বলেন, এটা পুরোপুরি তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের ফল। পার্টি অফিসে আগুন লাগানোর ঘটনার সঙ্গে বিজেপি কোনওভাবেই যুক্ত নয়। আসলে বিজেপি কর্মীদের ফাঁসাতে মিথ্যা অভিযোগ আনছে তৃণমূল। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে বক্সিরহাট থানার পুলিস জানিয়েছে।
( তৃণমূলের এই পার্টি অফিসের ভেতরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। - নিজস্ব চিত্র।)