সামাজিক কল্যাণ কর্মে সাফল্য ও জনখ্যাতি। বাতজ সমস্যায় বিব্রত হতে পারেন। কাজ কারবারে শুভ। ... বিশদ
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ধারাশর্মাদের আদি বাড়ি হুগলির চণ্ডীতলার বড়া গ্রামে। সেখানেও দুর্গাপুজো হতো। ৩১৮ বছর আগে এই পরিবারের একজন অরবিন্দ রোডে এসে বসতি স্থাপন করেন। তাঁর হাত ধরেই এখানকার পুজো শুরু হয়। ব্রিটিশ আমলেও এই পুজোয় ছেদ পড়েনি। এক সময় হতো যাত্রা ও নানা ধরণের অনুষ্ঠান। আশপাশ থেকে মানুষ এসে যোগ দিতেন। এই পরিবারের সদস্য প্রখ্যাত তবলাবাদক দিলীপ ধারাশর্মা। দিলীপবাবুর আমন্ত্রণে বহু শিল্পী এই বাড়িতে পুজো দেখতে আসতেন। এই পরিবারের জিতেন্দ্রনাথ ধারাশর্মা ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী। সেই সূত্রে বহু স্বাধীনতা সংগ্রামী আসতেন পুজোতে। দুর্গাকে প্রণাম জানিয়ে স্বাধীনতার সংগ্রামে যুক্ত হতেন।
এই পুজোর অন্যতম মাহাত্ম্য হল, দশমীর দিন ঘটের সুতো কাটার পর পরিবারের সদস্যরা দুর্গার পায়ে প্রণাম করে দর্পণে ঠাকুরকে দেখেন। পরিবারের বাইরে অন্য কেউ দেখলে তাঁদের ছিটকে ফেলে দেন। গত কয়েকবছর আগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তৃতীয়া বা চতুর্থীতে দুর্গা আসেন। আগে বাড়িতে মন্দিরের দালানে প্রতিমা তৈরি হতো। ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমীতে খই, কদমা ভোগ দেওয়া হয়। সন্ধ্যায় লুচি, সুজি, মিষ্টির শীতল ভোগ দেওয়ার রীতি। শুধু নবমীতে হয় খিচুড়ি ভোগ। সেদিনই প্রসাদ বিতরণ করা হয় এলাকার মানুষদের মধ্যে। পরিবারের অন্যতম সদস্য দেবকুমার ধারাশর্মা বলেন, ‘আমাদের পুজোতে প্রচুর মানুষ সামিল হন। আত্মীয়স্বজনরা পুজোর ক’দিন এখানে থাকেন। ঐতিহ্য ও রীতি মেনেই পুজো করে আসছি।