সামাজিক কল্যাণ কর্মে সাফল্য ও জনখ্যাতি। বাতজ সমস্যায় বিব্রত হতে পারেন। কাজ কারবারে শুভ। ... বিশদ
গোবরডাঙা পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের জল নিকাশির অন্যতম মাধ্যম হল যমুনা খাল। কিন্তু এই খাল মজে গিয়েছে। এছাড়া যমুনা খালের বেশ কিছু অংশ জবরদখল করে তৈরি হয়েছে মেছো ভেড়ি। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির জেরে যমুনা নদী উপচে পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে জল ঢুকে পড়েছিল। সেই এলাকাগুলির কিছু অংশ এখনও জলমগ্ন। কোথাও জল হাঁটু পর্যন্ত, কোথাও কিছুটা কম। জল যখন আরও বেশি ছিল, তখন অনেকেই পুরভার ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছিলেন। জল কিছুটা নামায় তাঁরা ফের বাড়িতে ফিরে গেলেও জমা জলের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাননি। জমা জল পেরিয়েই তাঁদের রোজকার কাজ করতে হচ্ছে। তবে ছোটরা স্কুলে যেতে পারছে না। বেহাল নিকাশি জন্য ফি বছরেই এই অবস্থা হয় বলে অভিযোগ এলাকার বাসিন্দাদের।
সামনেই দুর্গাপুজো। তার আগে আরও একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের ভ্রুকুটি। ফলে আশঙ্কার মধ্যে রয়েছে জলমগ্ন গোবরডাঙার মানুষ। বাঙালির শ্রেষ্ট উৎসব দুর্গাপুজোয় তাঁরা শামিল হতে পারবেন কি না, সেই দুশ্চিন্তা ক্রমশ বাড়ছে। সুভাষপল্লির বাসিন্দা স্বপ্না দাস বলেন, নিকাশি ব্যবস্থা ভালো না থাকায় এই করুণ অবস্থা প্রতিবছরই হয়। আরেক বাসিন্দা শিউলি দাস বলছেন, বৃষ্টি হলে দুর্ভোগ আরও বাড়বে। আমাদের সবাইকে গৃহবন্দি হয়ে থাকতে হবে। ঠাকুর দেখতে যেতে পারব না। কান্নাকাটি শুরু করবে ছোটরা! এনিয়ে গোবরডাঙা পুরসভার চেয়ারম্যান শঙ্কর দত্ত বলেন, নিকাশির সমস্যা আছে। পুজোর মুখে ফের নিম্নচাপের বৃষ্টি হলে এলাকার বাসিন্দাদের সমস্যা আরও বাড়বে। এটা চিন্তার বিষয়। তবে আমরা প্রস্তুত। পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।