Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সেভেন সিস্টার্স নয়, চট্টগ্রাম নিয়ে ভাবুন!
মৃণালকান্তি দাস

ক্ষমতা গ্রহণের আগেই নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের বক্তব্যকে বিকৃত করেছিল বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম। যাদের মূল এজেন্ডাই এখন ভারতের বিরুদ্ধে প্রচার চালানো!
দায়িত্ব গ্রহণের ঠিক দু’দিন আগে এনডি টিভি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইউনুস বলেছিলেন, ‘আপনি (বা অন্য কেউ) যদি বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করে তোলেন, তাহলে সেই অস্থিরতার আঁচ কিন্তু বাংলাদেশের বাইরেও মায়ানমার, সেভেন সিস্টার্স, পশ্চিমবঙ্গ—সর্বত্রই অগ্ন্যুৎপাতের মতো ছড়িয়ে পড়বে।’ আর সেই বক্তব্যকে বিকৃত করে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল, ‘বাংলাদেশের দিকে চোখ-রাঙালে ভারতের সেভেন সিস্টারের অস্তিত্ব থাকবে না: ইউনুস’।
তারপর থেকেই বাংলাদেশে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেভেন সিস্টার্স নিয়ে নানা ধরনের মিম, স্লোগান ও মন্তব্যের বন্যা। সেইসব মন্তব্য দেখলে মনে হবে, যেন যেকোনও দিন সেভেন সিস্টার্স যুক্ত হয়ে যাবে বাংলাদেশের ম্যাপে। এই নিয়ে বাংলাদেশের মূল ধারার সংবাদমাধ্যমও পিছিয়ে নেই। নতুন অন্তর্বর্তী সরকার ও কট্টর ভারত-বিরোধী মৌলবাদী শক্তিকে খুশি করতে প্রতিদিন শোনানো হচ্ছে—সেভেন সিস্টার্স ভাঙছে। আগুন জ্বলছে পশ্চিমবঙ্গে। এমনকী বাংলাদেশে আকস্মিক বন্যার পর কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসে ছাত্রদের স্লোগান দিতে শোনা গিয়েছিল, ‘বন্যায় যদি মানুষ মরে, সেভেন সিস্টার্স থাকবে না রে!’ ফেসবুকের সৌজন্যে সেই ছাত্রদের ভিডিও প্রবল বেগে ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়েছিল ভারতেও।
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যে চার হাজার কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ স্থলসীমান্ত রয়েছে তার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই এই সেভেন সিস্টার্সের সঙ্গে যুক্ত। প্রায় ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটার। সাতটি রাজ্যের মধ্যে চারটি রাজ্য— অসম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরামের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত বাংলাদেশ। ইতিহাস জানাচ্ছে, সেভেন সিস্টার্স-ভুক্ত এই রাজ্যগুলির বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী অতীতে বাংলাদেশের ভূখণ্ড থেকেই অবাধে তাদের কাজকর্ম চালিয়েছে। আবার যখন ওই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের বাংলাদেশ সরকার ভারতের হাতে তুলে দিয়েছে, তাদের সক্রিয়তাতেও দেখা গিয়েছে ভাটার টান! প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, তাহলে কী ভারত ভূমিকে অগ্নিগর্ভ করতে ফের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীদের মদত দেবে বাংলাদেশ? বাংলাদেশে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভেসে উঠছে তারই ইঙ্গিত। তাতে উস্কানি দিচ্ছে বাংলাদেশের মৌলবাদী দলগুলির নেতারাও।
মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্টের (এমএনএফ) বিদ্রোহীরা প্রায় তাদের জন্মলগ্ন থেকেই বাংলাদেশের ভূখণ্ডে (পূর্ব পাকিস্তান) আশ্রয় পেয়েছিলেন। ষাটের দশকের শেষ থেকে প্রায় দীর্ঘ দু’দশক ধরে সেখান থেকেই চালিয়েছে যাবতীয় অপারেশন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রায় পুরোটা সময় বর্তমান রাঙামাটির জেলা পুলিস সুপারের বাসভবনের কাছে (তৎকালীন সড়ক ও জনপথ বিভাগের ডাকবাংলো) সপরিবার ছিলেন এমএনএফের নেতা লালদেঙ্গা। লালদেঙ্গার বাহিনী পাকিস্তানি বাহিনীকেই সাহায্য করত। শুধু তা–ই নয়, মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র অবস্থান ছিল তাদের। ওই গোষ্ঠীর প্রশিক্ষণ শিবিরগুলি ছিল পার্বত্য চট্টগ্রামের সাজেক ভ্যালি ও তার আশপাশের এলাকায়। ১৯৭১–এর ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হলে দ্রুততার সঙ্গে লালদেঙ্গা তাঁর বাহিনীসহ রাঙামাটি থেকে চলে যান মায়ানমারে। জোরামথাঙ্গা ছিলেন লালদেঙ্গার বিশ্বস্ত অনুচর ও ছায়াসঙ্গী। ১৯৮৭-তে ভারতে মিজো শান্তি চুক্তির মাধ্যমে পৃথক মিজোরাম গঠনের পথ প্রশস্ত হওয়ার আগে পর্যন্ত তিনি ও তাঁর বহু সতীর্থ জীবনের বেশিটা সময় বাংলাদেশেই কাটিয়েছেন। সেই জোরামথাঙ্গা এখন মূলধারার রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। মিজোরামের দু’বারের মুখ্যমন্ত্রীও।
একই তথ্য রয়েছে অসমের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী উলফা-র পরেশ বড়ুয়া, অনুপ চেটিয়া বা অরবিন্দ রাজখোয়ার মতো সর্বোচ্চ নেতাদের ক্ষেত্রেও। তাঁদের সশস্ত্র আন্দোলনের অনেকটা সময়ই তাঁরা আত্মগোপনে ছিলেন বাংলাদেশের মাটিতে। ত্রিপুরার সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী এনএলএফটি কিংবা ত্রিপুরা ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার্সের (যার নেতা বিজয় কুমার রাংখল। এখন একজন মূল ধারার রাজনীতিক) সদস্যরাও অনেকেই বাংলাদেশের মাটিতে আশ্রয় পেয়েছিলেন, সেখান থেকেই পরিচালিত হতো 
তাঁদের অপারেশন।
বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন বাংলাদেশ সরকার অবশ্য কখনওই তাদের দেশের মাটিতে এইসব গোষ্ঠীর অস্তিত্ব স্বীকার করেনি। ফলে এই ইস্যুতে ঢাকা-দিল্লির দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে চরম তিক্ততার জন্ম দিয়েছিল। ২০০৯-এ শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রিত্বের দ্বিতীয় মেয়াদে এই দৃশ্যপটে একটা নাটকীয় পরিবর্তন ঘটে। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণা করে হাসিনা সরকার। একের পর এক বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাকে গোপনে বা প্রকাশ্যে ভারতের হাতে তুলে দিতে শুরু করে। বাংলাদেশের মাটিতে ওই সব গোষ্ঠীর প্রশিক্ষণ শিবিরও একে একে বন্ধ হতে থাকে। উলফা নেতা পরেশ বড়ুয়া অবশ্য তার আগেই বাংলাদেশ ছেড়ে অন্যত্র পাড়ি দিয়েছিলেন। কিন্তু অনুপ চেটিয়া বা অরবিন্দ রাজখোয়ার মতো গোষ্ঠীর অন্য নেতারা ততদিনে ভারতে ফিরে এসে সরকারের সঙ্গে ‘শান্তি আলোচনা’ও শুরু করে দিয়েছেন। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল তথা সেভেন সিস্টার্স গত এক দশকে অনেকটাই স্থিতিশীল ও শান্তিপূর্ণ থাকার পিছনে শেখ হাসিনা সরকারের অবদান নয়াদিল্লি আজও স্বীকার করে। সেভেন সিস্টার্সের জন্য শেখ হাসিনা সরকারের আর একটি বড় উপহার ছিল বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ভারতকে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া। এই দু’টি বন্দর ব্যবহারের সুযোগ সেভেন সিস্টার্সকে শুধু সামুদ্রিক বাণিজ্যের নতুন দিগন্তই খুলে দেয়নি, ভারতের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে ভৌগোলিক দূরত্বও অনেক কমিয়ে দিয়েছে। মাতারবাড়ি বন্দর চালু হলে সেই সুযোগ আরও বাড়বে। আসলে ‘সেভেন সিস্টার্সে’র সার্বিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির নেপথ্যে বিশেষ করে গত দেড় দশকে বাংলাদেশের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তী সরকার কি সেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে ধাক্কা দিতে চায়? এমন প্রশ্ন শুধু ভারতের নয়, জানতে চায় গোটা দুনিয়াও!
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমগুলি বলা শুরু করেছে, সাম্প্রতিক সময়ে মণিপুর ও মায়ানমারের চিন প্রদেশের ঘটনাবলি আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক সমীকরণের হিসেব নিকেশ সব পাল্টে দিচ্ছে। বিশেষ করে গত বছর থেকে শুরু হওয়া মণিপুর দাঙ্গায় হিন্দু মেইতেইদের হাতে খ্রিস্টান কুকিরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঘটনা এই জনপদে একটি নীরব জাগরণের ঢেউ তৈরি করেছে। আবার মায়ানমারের সামরিক শাসকের বিরুদ্ধে চিন প্রদেশের যুদ্ধরত স্বাধীনতা সংগ্রামী গোষ্ঠীর সঙ্গে মিজোদের সহানুভূতির ডালি সৃষ্টি করেছে নানা রহস্যের। ভূরাজনীতিতে ঘুরে ফিরে আসছে পুরনো মডেলের রসায়ন।
ব্রিটিশরা ভারত ছেড়ে যাওয়ার আগে ভারতের বৃহৎ ভূ-খণ্ডকে এমনভাবে ভাগ করে যায়, যাতে জিইয়ে থাকে দ্বন্দ্ব, সংঘাত। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সমস্যার বীজ আসলে নিহিত, জনজাতিদের জমি ও প্রাকৃতিক সম্পদের উপর অধিকার এবং সরকারি চাকরি-সহ অন্য লাভজনক পেশায় সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের একাধিপত্যের ধারণায়। শুধু কি মণিপুরই অগ্নিগর্ভ ঘটনার সাক্ষী? ত্রিপুরাতেও জনজাতি সম্প্রদায়গুলি উচ্চশিক্ষা বা সরকারি চাকরিতে একে অন্যকে আটকানোর চেষ্টা করে। ১৯৬০-এর দশকে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে যখন চাকমা, হাজংরা পালিয়ে এসে ত্রিপুরায় আশ্রয় নিয়েছিল, সবচেয়ে বিরোধিতা করেছিল টিইউজেএস নামে এক জনজাতি সংগঠন। অরুণাচলেও একই চিত্র— স্থানীয় জনজাতিরা অভিবাসী চাকমা, হাজংদের রাজ্য থেকে তাড়াতে চেষ্টা করছে। তাই মণিপুরের ঘটনা কেবল মণিপুরের নয়— বহু জায়গার, বহু মানুষের ভাগ্য নির্ধারণকারী। ১৯৭২ সালের পরে ‘সেভেন সিস্টার্স’ তৈরি হওয়ার পর জাতিগত সংঘর্ষ এই রাজ্যগুলির অস্তিত্বের সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে। মেনল্যান্ডের সমাজে এই শব্দের মানে, বিভিন্ন জনজাতি গোষ্ঠীর আদিম লড়াই। আর এই লড়াইকে কেন্দ্র করে উস্কে দেওয়া হচ্ছে খ্রিষ্টান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার সুপ্রাচীন দাবিও। বাংলাদেশের একাংশ এখন যে ভারত ভাঙার স্বপ্নে বিভোর, তা টের পাওয়া যায় সে দেশের সংবাদমাধ্যমগুলির মন্তব্যেই!
অথচ, বাংলাদেশ কি ভুলে গিয়েছে, তাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের কিছু কিছু ক্ষুদ্র আদিমগোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে ‘জুম্মল্যান্ড’ নামে একটি পৃথক রাষ্ট্রের। তাছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা কেএনএফের মতো গেরিলা সংগঠনও কিন্তু খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী। কেএনএফের হিংসার মাত্রা কেমন, তা কিছুদিন আগেই প্রত্যক্ষ করেছেন বাংলাদেশের মানুষ। ফলে সেভেন সিস্টার্স অগ্নিগর্ভ হলে তার রেশ গিয়ে পড়বে বাংলাদেশেও। বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে এখন কেএনএফের একচ্ছত্র আধিপত্য। এর বাইরে সেভেন সিস্টার্সে এবং পাশের মায়ানমারের চার রাজ্য গেরিলা সংস্কৃতিতে ভরপুর। এর মধ্যে কাচিন ইন্ডিপেনডেন্ট আর্মি (কেআইএ), আরাকান আর্মি, নাগাদের ন্যাশনালিস্ট সোশ্যালিস্ট কাউন্সিল অব নাগাল্যান্ড (এনএসসিএন), চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের সশস্ত্র বাহিনী এই মুহূর্তে গোটা পাহাড়ি তল্লাটের সবচেয়ে বড় গেরিলা দল। সমমনা হওয়ায় তাদের সঙ্গে কেএনএফের যোগাযোগ থাকাও অস্বাভাবিক নয়। কেএনএফ প্রধান নাথান বম এখন কোথায়, সেটাই কেউ জানে না!
কেএনএফের দাবি— বাঘাইছড়ি, জুরাছড়ি, বরকল, বিলাইছড়ি, রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানচি নিয়ে স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গঠন। এই অঞ্চলের নামও তারা দিয়ে দিয়েছে, ‘কুকি–চিন টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল’ বা কেটিসি। কেএনএফ দাবি করে, কুকি–চিন তথা বম, পাংখোয়া, লুসাই, খুমি, ম্রো ও খিয়াং জনগোষ্ঠীর মানুষ পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমিপুত্র। কুকি জঙ্গিরা তাদের দীর্ঘদিনের পুরনো এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায়। কুকি-চিনদের নিশানা বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলও। আসলে কুকি জঙ্গিরা সেভেন সিস্টার্স অগ্নিগর্ভ করলে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম কোনওভাবে তা সামাল দিতে পারবে না। অনেকটা ‘নগর পুড়িলে দেবালয় কি এড়ায়’ এই নীতির মতো। কারণ, বাংলাদেশের কোনও সরকারই পাহাড়িদের সুরক্ষায় তেমন কোনও কাজ করেনি। বরং জিইয়ে রেখেছে পাহাড়ি-বাঙালি সংঘাত। যুগ যুগ ধরে তারা হয়ে এসেছে বৈষম্যের শিকার। রাষ্ট্রের বাহিনী দিয়ে তাদেরকে করা হয়েছে প্রতিঘাত। তাদের আন্দোলনকে চেষ্টা করা হয়েছে বারবার দমিয়ে রাখার। বাংলাদেশ এখনও জানে না, কুকি জঙ্গিদের নিয়ে তাদের অবস্থান কী হবে? ভারত বিরোধিতার মধ্যেও অনেকে প্রশ্ন তোলা শুরু করেছেন, নিজেদের পার্বত্য অঞ্চল অশান্ত করে কি অন্যের যাত্রাভঙ্গ করা আদৌ মোক্ষম কাজ হবে?
যদি বাংলাদেশের একমাত্র লক্ষ্য হয়, বিচ্ছিন্নবাদীদের আশ্রয় দিয়ে যেকোনও মূল্যে ভারতকে কোণঠাসা করা, তাহলে অন্তর্ঘাতে পড়তে হবে তাদেরও। কে না জানে, আগুন নিয়ে খেললে একদিন সেই আগুনেই পুড়ে মরতে হয়। ইতিহাস তার সাক্ষী!
26th  September, 2024
এরপরেও বিজেপি গরিবের ভোট চাইবে?
তন্ময় মল্লিক

বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা দেওয়ামাত্র বিরোধীরা একযোগে সমালোচনা শুরু করে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ‘ছাব্বিশের ভোটের জন্য এসব করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাছের তেলে মাছ ভাজছেন। কারণ এটা সাধারণ মানুষের করের টাকা।’ বিরোধীরা একেবারে হক কথা বলছেন। বিশদ

জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে অথচ অপুষ্টি কমছে না
সমৃদ্ধ দত্ত

সরকার জনসংখ্যা নীতি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি যাতে কমে যায় সেই কঠোর নীতি কি নেওয়া দরকার? নাকি জনসংখ্যা নীতির প্রয়োজন নেই? এই জল্পনা এখন সরকারের অন্দরে অন্যতম প্রধান একটি বিতর্ক। সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু যে রাষ্ট্র আর কিছু বছরের মধ্যে নাকি তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে সেখানে এত শিশুমৃত্যু কেন? এত অপুষ্টি কেন?
বিশদ

20th  December, 2024
আল-কায়েদা জঙ্গি জোলানি এখন হিরো
মৃণালকান্তি দাস

প্রচণ্ড গরমের এক দুপুর। ইরাক আর সিরিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে দু’টি পিকআপ ভ্যান। স্থানীয়রা জানত, এসব গাড়ি কাদের এবং কী উদ্দেশ্যে এখানে চলাচল করে। সিরিয়ার বাজার থেকে অস্ত্র কিনে এই রুট দিয়ে সেগুলি ইরাকে নিয়ে যায় আল-কায়েদা। বিশদ

19th  December, 2024
পাকিস্তান নয়, ভারতই পাশে থাকবে
হারাধন চৌধুরী

অনেক সংশয় কাটিয়ে সোমবার ঢাকাতেও পালিত হল ‘বিজয় দিবস’। এমনকী, কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ামের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানেও যোগ দিল বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। ‌গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতন হয় এবং ৮ আগস্ট বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয় মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিশদ

18th  December, 2024
সিবিআইকে নিয়ে গদগদ হওয়ার কিছু আছে কি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

১) ময়নাতদন্ত নিয়ে প্রশ্ন। কল্যাণী এইমস এবং দিল্লির গঙ্গারামপুর হাসপাতালে পাঠানোর পরও কিন্তু খুঁত মিলল না। বিশদ

17th  December, 2024
প্রত্যাশিত ভারত মোদির ‘বিকশিত’ ভারত নয়
পি চিদম্বরম

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব—দু’জনেই শহুরে, সুশিক্ষিত ও মৃদুভাষী মানুষ। এস জয়শঙ্কর ফরেন সার্ভিসে একটি উল্লেখযোগ্য কর্মজীবন কাটিয়েছেন। সেখানে তাঁকে একজন উদারপন্থী ব্যক্তি হিসেবেই বিবেচনা করা হতো।
বিশদ

16th  December, 2024
এক দেশ এক নির্বাচন ও মমতার চ্যালেঞ্জ
হিমাংশু সিংহ

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছাব্বিশে, না তারও আড়াই বছর বাদে উনত্রিশের সম্মিলিত নির্বাচনে, তা ভবিষ্যৎ বলবে। কিন্তু ইতিমধ্যেই রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে জাতীয় ক্ষেত্রেও তাঁকে প্রধান মুখ করে লড়ার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে পাটনা থেকে মুম্বই, লখনউ থেকে দিল্লির প্রধান বিরোধী দলগুলির মধ্যে। বিশদ

15th  December, 2024
মৌলবাদ: চক্রান্ত রুখছেন রাজ্যের মুসলিমরাই
তন্ময় মল্লিক

‘কোটা’র বিরুদ্ধে আন্দোলনকে সামনে রেখেই বাংলাদেশে ঘটেছিল তথাকথিত ‘গণঅভ্যুত্থান’। কোটাপ্রথার বিলোপই যদি লক্ষ্য হতো, তাহলে ৫আগস্ট  আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটত। শেখ হাসিনা দেশত্যাগী হয়েছেন। কিন্তু দেশে শান্তি ফেরেনি। বিশদ

14th  December, 2024
বিজেপি-সখ্যে আঞ্চলিক দলের ক্ষতি হচ্ছে
সমৃদ্ধ দত্ত

বিগত ১০ বছর ধরে দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের শাসক দল বিজেপির সঙ্গে যে আঞ্চলিক দলই সখ্য স্থাপন করেছে, তাদেরই চরম রাজনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। হয় তারা নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক হারিয়েছে অথবা সরকার থেকে পদচ্যুত হয়েছে। কিংবা নিজেদের রাজ্যে গুরুত্বহীন হয়ে গিয়েছে। বিশদ

13th  December, 2024
দেশে এবার ‘কৃষ্ণ বিপ্লব’ আসন্ন!
মৃণালকান্তি দাস

দেশের এক আইআইটি (ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি) অধিকর্তা দাবি করেছিলেন, তিনি নাকি মন্ত্রবলে ‘ভূত ছাড়াতে’ পারেন। বেশ কয়েক বছর আগে একটি পরিবারকে তিনি ‘অশুভ আত্মার কবল থেকে মুক্ত’ করেছিলেন বলে দাবি করেন প্রযুক্তিবিদ্যার ওই বিশেষজ্ঞ। বিশদ

12th  December, 2024
কাজ ও প্রচারের নিরিখে মোদি বনাম মনমোহন
সন্দীপন বিশ্বাস

আপনারে বড় বলে, বড় সেই নয়, / লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়। কোন বালক বয়সে পড়া ‘বড় কে’ নামের এই কবিতার লাইনটি আজও মানুষ ভুলে যাননি। অনেকে সেই কবির নামই জানেন না বা ভুলে গিয়েছেন, কিন্তু লাইন দু’টির মধ্যে যে ঘোর বাস্তবতা রয়েছে, সেটা আমরা মাঝে মাঝেই টের পাই। বিশদ

11th  December, 2024
হাতে টাকা নেই, সোনা বন্ধকই ভরসা ভারতের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আজকের বাজারে সোনার দাম কত? প্রতি ১০ গ্রামে ৭৮ হাজার ৪০০ টাকার আশপাশে। চলতি মাসের হিসেব ধরলে একবারই এই দর নেমেছিল ৭১ হাজারে। আর গোটা বছরের গড়ও সেটাই। অথচ বছর দুয়েক আগেও অঙ্কটা এমন ছিল না। বিশদ

10th  December, 2024
একনজরে
শনিবার তেলেঙ্গানায় সন্তোষ ট্রফির মূল পর্বের গ্রুপ লিগে বাংলার প্রতিপক্ষ মণিপুর। সম্প্রতি ভারতীয় ফুটবলের সাপ্লাই লাইন এই রাজ্য। একাধিক ফুটবলার আইএসএলে বিভিন্ন দলের হয়ে মাঠ কাঁপাচ্ছেন। ...

সম্প্রতি শহরে তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিসের নতুন ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের এই সাফল্যকে সামনে এনে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র দাবি করলেন, বাংলায় পড়াশোনোর বহর বাড়ছে। সেই কারণেই মেধার বিস্তৃতি সম্ভব হচ্ছে। ...

শুক্রবার ভোরে কালীগঞ্জের বড়চাঁদঘর পঞ্চায়েতের তেজনগর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি মোবাইল দোকানে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। দোকানের শাটার ভেঙে দুষ্কৃতীরা লক্ষাধিক টাকার মোবাইল চুরি করে ...

শুক্রবার সকালে স্কুটারের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষে মৃত্যু হল এক যুবকের। মৃতের নাম মুজাফফর বিশ্বাস (৪২)। ঘটনাটি ঘটে দেগঙ্গার কামদেবকাটিতে। পুলিস রক্তাক্ত অবস্থায় স্কুটার চালককে উদ্ধার করে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলেও শেষরক্ষা হয়নি। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮০১: শিক্ষাবিদ ও সমাজসংস্কারক প্রসন্নকুমার ঠাকুরের জন্ম
১৯১১: প্রতিষ্ঠিত হল সেন্ট্রাল ব্যাংক অব ইন্ডিয়া
১৯৫৯: ক্রিকেটার কৃষ্ণমাচারী শ্রীকান্তের জন্ম
১৯৬৩: অভিনেতা গোবিন্দার জন্ম
১৯৯৮: নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকে ‘দেশিকোত্তম’ দিল বিশ্বভারতী
২০১২: পরিচালক যীশু দাশগুপ্তের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.১৩ টাকা ৮৫.৮৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.২৭ টাকা ১০৭.৯৮ টাকা
ইউরো ৮৬.৪২ টাকা ৮৯.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,০০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৪০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৬০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৭,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৭,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৬ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী ১৫/১৫, দিবা ১২/২২। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র ৫৯/৫৫ শেষ রাত্রি ৬/১৪। সূর্যোদয় ৬/১৬/১৭, সূর্যাস্ত ৪/৫৩/১১। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৭/৪২ গতে ৯/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৭ গতে ২/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৩/২৯ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৫৬ গতে ২/৪৩ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৩ গতে ২/১৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৩ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৬ গতে উদয়াবধি। 
৫ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী দিবা ১/৫৮। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৬/১৯, সূর্যাস্ত ৪/৫২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে ও ৭/৪৯ গতে ৯/৫৭ মধ্যে ও ১২/৫ গতে ২/৫৬ মধ্যে ও ৩/৮ গতে ৪/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ১/৪ গতে ২/৫০ মধ্যে। কালবেলা ৭/৩৮ মধ্যে ও ১২/৫৫ গতে ২/১৪ মধ্যে ও ৩/৩৩ গতে ৪/৫২ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩৩ মধ্যে ও ৪/৩৮ গতে ৬/২০ মধ্যে।
১৮ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইএসএল: মুম্বই সিটি ১-চেন্নাই ০ (৩৭ মিনিট)

05:41:00 PM

উজ্জয়নীতে জনসভা মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদবের

05:39:00 PM

জয়পুরে রিভিউ মিটিংয়ে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা

05:36:00 PM

দিল্লিতে জরুরি বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা

05:29:00 PM

আইএসএল: মুম্বই সিটি ১-চেন্নাই ০ (১০ মিনিট)

05:13:00 PM

গুজরাতের রণ উৎসব সবাইকে যোগদানের আহ্বান মোদির

05:11:00 PM