মুম্বই: মহারাষ্ট্র সচিবালয়ের চারতলা থেকে ঝাঁপ দিলেন বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার তথা এনসিপি (পাওয়ার গোষ্ঠী) বিধায়ক নরহরি জিরওয়াল। তবে নরহরি একা নন, তাঁর সঙ্গে আরও চার জনপ্রতিনিধিও ঝাঁপ দেন। তাঁদের মধ্যে দু’জন বিধায়ক ও একজন বিজেপির সাংসদ। তবে, ভাগ্যক্রমে নীচে জাল পাতা থাকায় বড় অঘটন ঘটেনি। চারজনকেই অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। বিধানসভা নির্বাচনের মুখে ধাঙড় জনগোষ্ঠীর ভোটকে গুরুত্ব দিয়ে তাদের তফসিলি জনজাতির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে একনাথ সিন্ধের সরকার। তারই বিরোধিতা করে শুক্রবার সকালে প্রতিবাদে নামেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের সাংসদ ও বিধায়করা। মুখ্যমন্ত্রী একনাথ সিন্ধে, উপ মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার ও দেবেন্দ্র ফড়নবিশের উপস্থিতিতে ক্যাবিনেট বৈঠক চলাকালীনও বিক্ষোভ চলে। এরপরই আচমকা সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দিতে সচিবালয়ের চারতলা থেকে ঝাঁপ দেন নরহরি। তাঁর দেখাদেখি ঝাঁপ দেন বিজেপি সাংসদ হেমন্ত সাভারা, এনসিপি বিধায়ক কিরণ লাহামাতে, কংগ্রেস বিধায়ক হিরামান খোসকার ও বহুজন বিকাশ আঘাড়ির রাজেশ পাতিল। যদিও, জাল পাতা থাকায় কারওরই চোট-আঘাত লাগেনি। সচিবালয়ে আত্মহত্যার ঘটনা ঠেকাতে ২০১৮ সালে ওই জাল লাগানো হয়েছিল।
পশ্চিম মহারাষ্ট্র এবং মারাঠাওয়াড়া অঞ্চলে ধাঙড় গোষ্ঠীর বাস। কয়েক বছর ধরেই তাঁরা তফসিলি জনজাতির তকমা চেয়ে আন্দোলন চালাচ্ছেন। ধাঙড় গোষ্ঠীর এক নেতা মুখ্যমন্ত্রী সিন্ধেকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, দাবি পূরণ না হলে তাঁদের ভোট পাবেন না তিনি। এদিকে, এদিনই এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ার আবার মহারাষ্ট্রে শিক্ষা ও সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের সীমা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের কাছে।
জাল থেকে উঠে আসছেন ডেপুটি স্পিকার ও অন্য জনপ্রতিনিধিরা -পিটিআই