কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
হাসপাতালের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘গত বছর সেপ্টেম্বরের ঘটনা। একদিন আশিস ঘরে এল। বলল, স্যর, বুঝতেই তো পারছেন অনেক খরচ। আপনাকে বেশি চাপ দেব না। ৮ লক্ষ টাকার মতো স্পনসরশিপ তুলে দিলেই হবে!’ ওই কর্তার কথায়, ‘আমার মাথায় তো তখন বজ্রাঘাত হওয়ার জোগাড়। এত টাকার বিজ্ঞাপন কীভাবে জোগাড় করব? কাকে বলব? শুধু এ কথা বলেই নিরস্ত হয়নি সে। ওর চাপা হুমকির জন্য সেবার আমায় লোবেলিয়ার জন্য চাঁদা দিতে হয়েছিল ১৫ হাজার টাকা!’
সিনিয়র ফ্যাকাল্টি, অধ্যাপক, বিভাগীয় প্রধান বা কোনও কেষ্টবিষ্টু স্বাস্থ্যকর্তা না হলেও এঁদের সবার উপর হুমকির ছড়ি ঘোরাতেন ডাঃ পান্ডে। এমবিবিএস পাশ এই ডাক্তারের ‘দাদাগিরি’তে অতিষ্ঠ মানুষজন এখন মুখ খুলতে শুরু করেছেন। হাসপাতালের এক কর্মীর অভিযোগ, ‘মার্চ-এপ্রিল মাসের ঘটনা। হাউসস্টাফদের ভাতা, ছুটিছাটা সহ বিভিন্ন বিষয় দেখার দায়িত্ব অ্যাকাউন্টস শাখার যে হেড ক্লার্কের উপর, তাঁর কাছে গিয়েছিলেন আশিস। ছুটির সময় হয়ে যাওয়ায় ওই হেড ক্লার্ক তাঁকে অনুরোধ করে পরের দিন আসতে বলেন। অভিযোগ, সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় আশিসের তড়পানি। বলেন, ‘বেশি বাড় বেড়েছেন? আমাকে ঘোরানো? একটা ফোন করব, একেবারে উত্তরবঙ্গে বদলি হয়ে যাবেন?’
আরও কিছুদিন পিছিয়ে যাওয়া যাক। এক চিকিৎসক বললেন, ‘রাস্তা দিয়ে হাঁটতে গিয়ে এক সাফাইকর্মীর সঙ্গে ধাক্কা লেগে গিয়েছিল। তাঁকে সেখানেই দাঁড় করিয়ে কুৎসিত অঙ্গভঙ্গি করে যাচ্ছেতাই ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন আশিস।’