কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে খবর, জরুরি বিভাগের সামনে সাড়ে তিন বছর বয়সি একটি ছোট শিশুকে কাঁদতে দেখেন হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় নির্মল কুমার বিশ্বাস। দেখেই তিনি বোঝেন কারও শিশু কোনওভাবে হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে। তৎক্ষণাৎ শিশুটিকে কোলে নিয়ে হাসপাতালের নিরাপত্তা কর্মীদের হাতে তুলে দেন ওই ওয়ার্ড বয়। নিরাপত্তারক্ষীরাও শিশুটিকে তাঁর বাবা মায়ের কাছে ফেরাতে নানাভাবে চেষ্টা চালাতে থাকেন। হাসপাতাল জুড়ে মাইকিং করা শুরু হয়। মেডিক্যালের পুলিস ক্যাম্পেও এক শিশু কন্যা উদ্ধার হয়েছে বলে মৌখিকভাবে জানানো হয়। শেষে ঘণ্টাখানেক বাদে শিশুটির বাবা মায়ের খোঁজ মেলে। গুলাপসা নামে ওই শিশুটিকে অভিভাবকের হাতে তুলে দেন নিরাপত্তারক্ষীরা। তাঁদের এই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন শিশুটির বাবা মা।
শিশুটির বাবা হেমতাবাদের বাজিতপুরের বাসিন্দা গুলজার আলি বলেন, মেডিক্যালের নিরাপত্তারক্ষী, ওয়ার্ড বয়দের জন্যই আমাদের কন্যা সন্তানকে ফিরে পেলাম। আমার দুই মেয়ে। বড় মেয়ের চিকিৎসার জন্য এদিন মেডিক্যালে আসি। বড় মেয়ের কাছেই ছোট মেয়েকে বসিয়ে রেখে হাসপাতালের টিকিট সংগ্রহ করতে যাই। তখনই বড় মেয়ের কাছছাড়া হয়ে যায় গুলাপসা। শেষে জানতে পারি হাসপাতালে বেশ কয়েকবার মাইকিং হয়েছে। তারপর নিরাপত্তা রক্ষীদের কাছে আসতেই মেয়েকে ফিরে পাই।
এদিকে, হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা মানব নাগ, বাপন চক্রবর্তী, কুনাল সাহা, মিঠুন সরকাররা বলেন, অসাবধানতাবশত: শিশুটি পরিজন ছাড়া হয়ে পড়েছিল। আমরা পাওয়া মাত্রই সর্বত্র শিশুটির ব্যাপারে মাইকিং করাই। পুলিসকে জানাই। শেষ পর্যন্ত শিশুটি বাবা মায়ের কোলে ফিরল, এটাই স্বস্তির।