Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সরকার গড়েও মুষড়ে কেন বিজেপি
হিমাংশু সিংহ

এত বড় জয়, টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার অতুল কীর্তি, তবু বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবারের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এত ডিফেন্সিভ কেন? শপথ নিয়েও শাসকের অন্দরে উল্লাস নেই, স্বতঃস্ফূর্ত হাসিটুকুও উধাও, উপর থেকে নিচুস্তর পর্যন্ত সবাই ব্যস্ত আত্মরক্ষায়। সবাই সবাইকে সন্দেহের চোখে দেখছেন। তাড়া করছে অর্ন্তঘাত তত্ত্বও। ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তনের পরও কোনও রাজ্যে খুলেআম চোখ ধাঁধানো বিজয় উৎসবে মাততে দেখেছেন কি দলটাকে? কংগ্রেসকে মুছে ফেলার হুঙ্কার দিতে আর শোনা গিয়েছে কি গত দেড় সপ্তাহে? ঠোঁটে বাঁকা হাসি ঝুলিয়ে ‘পাপ্পু’ কিংবা ‘রাহুল বাবা’ বলে মশকরায় মাততে দেখেছেন কি অমিত শাহদের? 
জয়ী শাসকের অন্দরেই এত টানাপোড়েন আর আত্মসমালোচনার ধুম শেষ কবে দেখেছে দেশ? এক্স হ্যান্ডেল থেকে একদা প্রধানমন্ত্রীরই আহ্বানে গড়ে ওঠা ‘মোদি কা পরিবার’ বাদ দেওয়ার আবেদনই-বা কীসের ইঙ্গিত? এ কি ‘আমিত্বে’র পাপক্ষালন কিংবা নৈতিক পরাজয় মেনে নিয়ে শুভবুদ্ধির উদয়? ১৯৬২ সালের পর তাঁর টানা তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার অভাবনীয় কীর্তিকে দুয়ো দিয়ে নিজেই ভক্তদের বলছেন, ‘মোদি পরিবার’ লেখা বন্ধ করুন। বাস্তবের মাটিতে গোত্তা খেয়ে নামা চারশো পারের প্রকাণ্ড বেলুনের কী নির্মম পরিণতি! এক ঝটকায় ‘মোদির গ্যারান্টি’ খোলস ছেড়ে আজ এনডিএ’র প্রতিশ্রুতি! উল্টোদিকে দেখুন, সরকার গড়তে না পারলেও কংগ্রেস বিজয় উৎসব পালনে বেরিয়ে পড়েছে। সেঞ্চুরিও হয়নি, জুটেছে মাত্র ৯৯! তবু যেন কিছুই হারাবার নেই। পুরোদস্তুর লাভই হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ আর মহারাষ্ট্র থেকেই দলটার পুনরুজ্জীবন ঘটেছে এমন ভাব। সঙ্গী পাঞ্জাব আর হরিয়ানার কৃষক বিক্ষোভ। অনুগত মাঝারি মাপের এক অপরিচিত নেতাকে দিয়ে আমেথি পুনরুদ্ধার করে মৃগয়ায় মেতেছে গান্ধী পরিবার। ওয়েনাড়ের সঙ্গে রায়বেরিলিও অক্ষুণ্ণ। ব্যবধান যথাক্রমে ৩ লক্ষ ৬০ হাজার এবং ৩ লক্ষ ৯০ হাজার। উত্তরপ্রদেশের ৪০৩ বিধানসভা আসন ছুঁয়ে জনসংযোগ যাত্রায় বেরবার এই তো সঠিক সময়। সে-কথাই ঘোষণা করা হয়েছে এআইসিসির পক্ষ থেকে। দলিত, ওবিসি, আদিবাসী ও মুসলিমরা ইন্ডিয়া জোটের দিকে হাত বাড়িয়েছে। আর গেরুয়া শিবির হতোদ্যম, কতদিন পাল্টুরাম জোট শরিকদের দিয়ে-থুয়ে তাঁবে রাখা যাবে, তা নিয়েই কাটাকুটি খেলা চলছে। ভয় এতটাই যে অযথা কাউকে কোনও বিষয়ে মন্তব্য করতে পর্যন্ত নিষেধ করেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। ছোট-বড় সবার মুখে তালা। এমনকী, প্রথম কলিঙ্গ জয়ের সাফল্য তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করার মনটাও যেন মরে গিয়েছে। এর শিক্ষা একটাই, বেলুন বেশি ফোলাতে নেই। তাতে বিপদ দুই প্রকার—হয় লোক হাসিয়ে সশব্দে ফাটবে, না-হয় তো হাতের সুতো ছিঁড়ে তা আকাশের দু’শো অচেনা তারার মধ্যিখানে হারিয়ে যাবে! বিজেপির ঠিক সেই দশা, অতিদর্পে হাতের রশিটাই কখন চুরি হয়ে গিয়েছে। এখন আদর্শের চুলোচুলি চলছে দল ও আরএসএসের থিঙ্কট্যাঙ্কের মধ্যে। সঙ্ঘ এতদিন চুপ ছিল। এখন ঘোমটা নামিয়ে সরাসরি বলছে, ভগবান রাম ঔদ্ধত্যের শাস্তি দিয়েছেন, অযোধ্যা থেকে সীতাপুর, দক্ষিণে রামেশ্বরম কোথাও প্রসন্ন হননি রামসেবকদের ওপর। ২৪০ আসনে থেমে যাওয়া তারই প্রমাণ!
কে না জানে, দিল্লি দখল করার চাবিকাঠি লুকিয়ে উত্তরপ্রদেশের ফলাফলেই। গত দশবছর উত্তরপ্রদেশে একাধিপত্যের জোরেই সরকার ও দল সর্বত্র বিরোধীদের থোড়াই কেয়ার মনোভাব ছিল মোদিজির। সেই ‘বাস্তিল’ দুর্গের পতন হয়েছে দীর্ঘ একদশক পর। ৪০ বছর পর সবাইকে চমকে এলাহাবাদ আসনে আবার জয়ী হয়েছে রাহুল ও সোনিয়ার কংগ্রেস। ১৯৮৪ সালে শেষবার কংগ্রেসের টিকিটে এলাহাবাদে জয়ী হয়েছিলেন মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চন। তারপর দীর্ঘ শূন্যতা। নেহরুর স্মৃতিবিজড়িত শহরটি শুধু হাতছাড়াই হয়নি, কংগ্রেসের আধিপত্যও গোটা রাজ্যে ধীরে ধীরে অস্তমিত হয়ে যায়। এবার কংগ্রেসের উজ্জ্বল রামন সিং ৫৮ হাজার ভোটে হারিয়েছেন বিজেপির নীরজ ত্রিপাঠীকে। গান্ধী পরিবারের গড় বলে পরিচিত আমেথি ও রায়বেরিলিতেও বিজয় উৎসব করছে কংগ্রেস। পাঁচবছর আগে রাহুল গান্ধীকে হারিয়ে আমেথির দখল নেন বিজেপির স্মৃতি ইরানি। অসুস্থতার কারণে রায়বেরিলিতে এবার সোনিয়াজি দাঁড়াননি। শেষ মুহূর্তে নেমেও আসনটি পুনরুদ্ধার করেছেন রাহুল। অনেক টানাপোড়েনের পর আমেথিতে প্রার্থী করা হয় ১০ জনপথের একান্ত অনুগত কিশোরীলাল শর্মাকে। কিশোরী জেতেন ১ লক্ষ ৬০ হাজার ভোটে। কংগ্রেসিরা সেই দেখেই আশায় বুক বাঁধছেন। বলছেন যদি প্রিয়াঙ্কা দাঁড়াতেন তাহলে শুধু আমেথি নয় বারাণসী আসনটিও দখলে চলে আসত—নির্ঘাত হারতেন ৫৬ ইঞ্চি! এমনই দাবি উজ্জীবিত কংগ্রেসের। উত্তরপ্রদেশে জাগলেই তা সংক্রামিত হবে সারা দেশে।
এবার কংগ্রেসের সরকার গড়া হয়নি ঠিকই, কিন্তু দলের আসzন সংখ্যা একলাফে ৫২ থেকে বেড়ে ৯৯ হয়েছে, সঞ্জীবনী বটিকা এটাই। তারও আগে চোদ্দো সালে কংগ্রেস পেয়েছিল ৪৪টি আসন। আর বিভিন্ন রাজ্যে সার্বিক আসন সমঝোতা না-হলেও ইন্ডিয়া জোট ২৩৫ আসন জিতে বিজেপির ঘাড়ে ক্রমাগত নিঃশ্বাস ফেলছে। রাজ্যে রাজ্যে আসন সমঝোতা করে একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী দাঁড় করানো গেলে ২৪০ আসনও পেত না গেরুয়া শিবির। জাতীয় রাজনীতির সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ রাজ্য উত্তরপ্রদেশে জোট গড়ে লড়ে বিজেপিকে অনেক পিছনে ফেলে দিতে সমর্থ হয়েছে কংগ্রেস ও অখিলেশ জোট। তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হলেও এই নৈতিক পরাজয়টাকে কিছুতেই অস্বীকার করতে পারছেন না মোদিজি। 
সভা-সমিতি, চায়ের আড্ডা ও সান্ধ্য আলোচনায় গত ছ’মাস ধরে একমাত্র আলোচ্য ছিল—উত্তরপ্রদেশের ৮০টি লোকসভা আসনের মধ্যে বিজেপি গতবারের ৬২ আসন ছাপিয়ে ঠিক কত-য় থামবে? ফল বেরতে দেখা গেল, ৬২ পেরনো দূর, ৯ শতাংশ ভোট হারিয়ে বিজেপি থেমে গিয়েছে ৩৩ আসনে! আর অখিলেশ-কংগ্রেস জোট সবাইকে তাক লাগিয়ে পেয়েছে ৪৩টি আসন। এইটুকু পড়ে অনেকে ভাবতেই পারেন ফল বেরনোর ১২ দিন পর এই তথ্য তো ইতিমধ্যেই বাসি হওয়ার পথে। কিন্তু এখানেই শেষ নয়, যদি মায়াবতী ভোট কেটে অখিলেশের যাত্রাভঙ্গ না করতেন তাহলে আরও অন্তত ১৬টি আসন বিজেপিকে হারতে হতো, থামতে হতো ১৭-য়! সেক্ষেত্রে সরকার গড়ার স্বপ্ন পরিণত দুঃস্বপ্নে। যেমন ধরুন, ফতেপুর সিক্রিতে বিজেপি জিতেছে ৪৩,৪০৫ ভোটে। অথচ ওই আসনে মায়াবতীর বিএসপি পেয়েছে ১ লক্ষ ২০ হাজার ভোট। একই অবস্থা আলিগড়, ফারুকাবাদ ও আমরোহার। আলিগড়ে বিজেপি জিতেছে মাত্র ১৫,৬৪৭ ভোটে। ওই কেন্দ্রেও বিএসপি পেয়েছে ১ লক্ষ ২৩ হাজার ভোট। ফারুকাবাদের চিত্র আরও কঠিন। মাত্র আড়াই হাজারের সামান্য কিছু বেশি ভোটে বিজেপি আসনটি দখল করেছে। হাড্ডাহাড্ডি সেই লড়াইয়ে মায়াবতীর দলের প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট ৪৫ হাজার। বিজেপির কাছে এই ভোট কাটাকুটি নিঃসন্দেহে আশীর্বাদ? সব অর্থেই উত্তরপ্রদেশে বিজেপিকে বড় লজ্জার হাত থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন মায়াবতী। না-হলে তৃতীয়বার শপথ নেওয়াই সম্ভব হতো না মোদি-অমিত শাহ বাহিনীর। উত্তরপ্রদেশে হেরে কুর্সির দৌড় থেকে ছিটকেই যেতেন ‘বিশ্বগুরু’।
সেক্ষেত্রে ইতালিতে চলতি জি-৭ গোষ্ঠীর বৈঠকে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করতেন কে, তা কোটি টাকার প্রশ্ন।
পাঁচবছর আগে ২০১৯ সালের রাজ্যওয়াড়ি ভোটের ফলে উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্র দুই রাজ্যেই একটি, দুটি করে আসন পেয়ে কংগ্রেস প্রায় আইসিইউতে চলে গিয়েছিল। এবার উত্তরপ্রদেশে ৬টি এবং মহারাষ্ট্রে ১৩টি আসন মিলেছে তাদের। অখিলেশ জিতেছেন ৩৭টি। সব মিলিয়ে উত্তরপ্রদেশে ৪৩টি আসন জিতে অমিত শাহদের মুখে ঝামা ঘষে দিয়েছে ইন্ডিয়া জোট। আর বিজেপির সৌজন্যে বত্রিশভাজা মহারাষ্ট্র রাজনীতিও মুখ ফিরিয়েছে। হরিয়ানাতেও ইন্ডিয়া জোট ভালো করেছে। কেরলেও কংগ্রেসের অভূতপূর্ব সাফল্যে প্রায় নিশ্চিহ্ন বামেরা। মূলত বিহার, ওড়িশা, অন্ধ্র ও তেলেঙ্গানাই এবার মুখরক্ষা করেছে নরেন্দ্র মোদির। তা না-হলে দু’দশক পর বাজপেয়ি আমলের ‘শাইনিং ইন্ডিয়া’র মুখ থুবড়ে পড়ার রিপ্লে দেখতে হতো আম জনতাকে। এই দেওয়াল লিখনটাই বিজেপিকে জয় উপভোগ করতে বাধা দিচ্ছে। কোথায় যেন পা টেনে ধরছে। তামিলনাড়ুতে প্রায় প্রতি সপ্তাহে গিয়েও আস্ত অশ্বডিম্ব প্রসব করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আসন তো মেলেইনি, উল্টে রাজ্য বিজেপি প্রধান আন্নামালাইয়ের সঙ্গে আর এক হেভিওয়েট নেতা তামিলসাইয়ের বিরোধ সামনে চলে এসেছে। উত্তরপ্রদেশের এই ফল সরাসরি মোদিজির প্রতি অনাস্থা, না পদে পদে উপেক্ষিত হয়ে যোগীজির প্রতিশোধ, সেই জল্পনাও চলছে দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গের সাতমহলা পার্টি অফিসে।
বহুমুখী চাপ আর অস্বস্তির মুখে দেশে নানা কারণে বিজয় উৎসব করার সুযোগ না পেলেও প্রধানমন্ত্রী বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন। ইতালির জি-৭ মঞ্চে তাঁর বিশ্বগুরু ভাবমূর্তি কতটা উজ্জ্বল হবে জানি না। তবে বিশ্বনেতা জেলেনস্কি, মেলোনি, সুনাকের সঙ্গে করমর্দনে মিলিত হয়েও তাঁর মন নির্ঘাত পড়ে রয়েছে দেশে, সাউথ ব্লকের অলিন্দে। আধো অন্ধকারে তিনি ভূত দেখছেন গিরিধর গোমাংয়ের। ১৯৯৯ সালে গিরিধরজির একটি ভোটেই ১৩ মাসের মাথায় পড়ে গিয়েছিল অটলজির সরকার। গিরিধর তখন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সাংসদ পদে ইস্তফা দেননি। সটান সংসদে গিয়ে বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে বাজপেয়ি সরকার ফেলে সেদিন অনর্থ ঘটিয়েছিলেন তিনি। মোদিজি কি গিরিধরের ছায়া দেখছেন শরিকদের মধ্যে? বছর শেষে মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা ও ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা ভোট। অন্তত দুটি রাজ্যে জিততে না-পারলে বিজেপির রাজনৈতিক কর্তৃত্ব খতম হতে বাধ্য। তাই সরকার গড়লেও মোদিজি স্বস্তিতে নেই মোটেই। হিন্দুত্বের এজেন্ডা, এক দেশ এক নির্বাচন, দেশকে বিশ্বের তৃতীয় অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত করার চেয়েও তাঁর সামনে সরকার টিকিয়ে রাখাই এই মুহূর্তে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। আপাতত বেলুনওয়ালার বিদায়, গেরুয়া রাজনীতির ধ্রুবপদ একটাই—আপনি বাঁচলে বাপের নাম!
16th  June, 2024
সংসদে বিরোধীদের সামনে দুর্লভ সুযোগ
পি চিদম্বরম

ষোড়শ এবং সপ্তদশ লোকসভায় শক্তিশালী সংসদীয় বিরোধী বলে কিছু ছিল না। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল সেই অভাব পূরণ করেছে। ২০১৪ ও ২০১৯—পূর্ববর্তী পর পর দুটি নির্বাচনে কংগ্রেস যথাক্রমে মাত্র ৪৪টি ও ৫২টি আসনে জিতেছিল। বিশদ

পরীক্ষা দুর্নীতির মাথা খুঁজে বের করুন মোদিজি
হিমাংশু সিংহ

এত বড় জোড়া দুর্নীতির দায় কার? প্রধানমন্ত্রীও কি এর নৈতিক দায়িত্ব এড়াতে পারেন? ইডি, সিবিআই, আয়কর, ছোটবড় সব কেন্দ্রীয় এজেন্সি যুদ্ধে ঝাঁপাতে প্রস্তুত তো! কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী, তাঁর মন্ত্রকের তাবৎ অফিসারকুল থেকে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির (এনটিএ) পদস্থ কর্তারা, রাজ্যে রাজ্যে শাসক দলের কেষ্টবিষ্টুরা সবাই আতসকাচের তলায়। বিশদ

23rd  June, 2024
মিথ্যে ফানুস ওড়ানোতেই ক্ষতি বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

রাখালের গোরুর পালে বাঘ পড়ার গল্পটা মনে আছে? রাখাল মাঠে গোরু চরাতে গিয়ে অন্যদের ঠকিয়ে মজা নেওয়ার জন্য বাঘ, বাঘ বলে চিৎকার করত। তারপর একদিন সত্যি সত্যিই গোরুর পালে বাঘ হানা দিল। রাখাল তখন প্রাণভয়ে চিৎকার করলেও কেউ এল না। বিশদ

22nd  June, 2024
জুটির লড়াই: মোদি-শাহ বনাম রাহুল-প্রিয়াঙ্কা
সমৃদ্ধ দত্ত

নেহরু-প্যাটেল থেকে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। বাজপেয়ি-আদবানি থেকে মোদি-শাহ। স্বাধীনতার পর থেকে ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম চিত্তাকর্ষক প্রবণতা হল একটি করে রাজনৈতিক জুটির আবির্ভাব হওয়া এবং তাঁদের একজোট হয়ে দেশ পরিচালনা অথবা রাজনীতিকে প্রভাবিত করা।
বিশদ

21st  June, 2024
মোদির চ্যালেঞ্জ এখন ত্রিমুখী!
মৃণালকান্তি দাস

জওহরলাল নেহরুর মন্ত্রিসভার শেষ দিকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী ছিলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রী। নেহরু তাঁকে একবার অসমে পাঠাতে চাইলেন। সফরের সবকিছু বুঝে নিয়ে শাস্ত্রী নেহরুর রুম থেকে বেরিয়ে আসেন। নেহরুর হঠাৎ খেয়াল হল, অসমে তো এখন হাড় কাঁপানো শীত।
বিশদ

20th  June, 2024
বাংলা দখলের গেরুয়া স্বপ্ন, লক্ষ্য অতীত
হারাধন চৌধুরী

সমস্যা ভিতর থেকে বুঝতে হলে ফিরে যেতে হবে সাতচল্লিশে। স্বাধীনতার লড়াইয়ে পূর্ববঙ্গের মানুষের ভূমিকা দেশের বাকি অংশের তুলনায় কম ছিল না। সকলেই লড়াই করেছিলেন স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন নিয়ে। সে-বছর আগস্ট মাসের ১৫ তারিখের মধ্য রাত্রি তাঁদের সেই স্বপ্ন চুরমার করে দিয়েছিল।
বিশদ

19th  June, 2024
মোদির ভোট-দিদির ভোট
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ব্রাজিলের ওয়ার্কার্স পার্টি পোর্তো আলেগ্রেতে ক্ষমতায় আসে ১৯৯০ সালে। তখন শহরের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ মানুষই ঝুপড়িবাসী। রাস্তা নেই, জল নেই। বিদ্যুৎ বলে একটা বস্তু আছে বটে, কিন্তু তার সংযোগ নেই। বাড়িতে শৌচাগার বা নিকাশি ব্যবস্থাও নেই। পোর্তো আলেগ্রের অধিকাংশই নিরক্ষর।
বিশদ

18th  June, 2024
প্রত্যাখ্যাত নীতিতেই ফের আস্থা মোদির
পি চিদম্বরম

গত ৯ জুন যে নতুন সরকার শপথ নিল, তার গল্পটি অল্প কয়েকটি শব্দে বেঁধে ফেলা যেতে পারে: মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দিয়েছে, কিন্তু নরেন্দ্র মোদি বেছে নিয়েছেন তাঁর ধারাবাহিকতা। 
বিশদ

17th  June, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিছক ভোটব্যাঙ্ক নয়
তন্ময় মল্লিক

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কি শুধুই ভোটব্যাঙ্ক? লোকসভা ভোটে বাংলায় জোর ধাক্কা খাওয়ার পর বিজেপির অনেক নেতা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে ‘ঢাল’ করে ব্যর্থতা ঢাকতে চাইছেন। তাঁরা এমন ভাব করছেন যেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্যই বিজেপির বাংলায় ভরাডুবি হয়েছে। বিশদ

15th  June, 2024
মানুষকে অপমান করা হচ্ছে কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা আউশগ্রামের প্রেমগঞ্জ অথবা বাবুইসোল কিংবা প্রতাপপুরে থাকি। সকাল ৬টার মধ্যে বাড়ির সব কাজ সেরে জঙ্গলে চলে যাই। খেজুর পাতা আনতে। ব্যাপারটা কঠিন। সেই পাতা রোদে শুকাতে দেওয়া হয়। ঝাঁটা তৈরি হবে। বিশদ

14th  June, 2024
গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় বিনোদন!
মৃণালকান্তি দাস

চার্চিল নাকি বলেছিলেন, ‘পাবলিক ওপিনিয়ন’ বলে কিছু হয় না, পুরোটাই ‘পাবলিশড ওপিনিয়ন’! বিশদ

13th  June, 2024
পরমাত্মা এখন পরজীবী, প্রণত শরিক পদে
সন্দীপন বিশ্বাস

হে পরমাত্মা, হে নন বায়োলজিক্যাল প্রাণ, ধ্যানের খেলা যখন ভাঙল, তখন আপনি উঠে দেখলেন আপনার একচ্ছত্র সাম্রাজ্য চুরমার, আপনার শৌর্যের ঢক্কানিনাদ মাটিতে লুটোপুটি খাচ্ছে। দীর্ঘ ভোটপর্বের সমাপ্তি হয়েছে। আপনিও শপথ নিয়ে ফের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। বিশদ

12th  June, 2024
একনজরে
মালদহের আম চিনতে কিউআর কোড লাগাতে শুরু করেছে উদ্যান পালন দপ্তর। এজেলার আম যখন আধুনিকতার ছোঁয়া পেয়ে অর্থনীতি চাঙ্গা করছে, ঠিক তখনই আমগাছ নিধনে ব্যস্ত জমি মাফিয়ারা। ...

১৭ মার্চ থেকে ২১ জুন— তিন মাসের বেশি সময় অতিক্রান্ত। এতদিনেও পুরোপুরি সাফ করা গেল না গার্ডেনরিচে ভেঙে পড়া নির্মীয়মাণ বেআইনি বহুতলের ভগ্নস্তূপ। ফলে কলকাতা পুরসভার নিযুক্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি তাদের অনুসন্ধান চালাতে পারছে না। ...

ফের বন্দুকবাজের তাণ্ডবে রক্তাক্ত আমেরিকা। এবারের ঘটনাস্থল আরকানসাস প্রদেশ। শুক্রবার সেখানকার শপিং মলে হামলা চালায় আততায়ী। দোকান লাগোয়া পার্কিং লটেও গুলি চালায় সে। ঘটনায় মৃত্যু ...

সামনেই বর্ষার মরশুম। বৃষ্টির সময় ইষ্টনাম যপেই মাটির বাড়িতে প্রায় দেড় লক্ষ পরিবার দিন-রাত কাটাবেন। তবে আশঙ্কার মধ্যেই তাঁরা আশার আলো দেখছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পরিবারের সদস্যদের পারস্পরিক মতান্তর, কলহে মনে হতাশা। কাজকর্ম ভালো হবে। আয় বাড়বে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

 
১৭৬৩ - ব্রিটিশ সৈন্যরা মুর্শিদাবাদ দখল করে মীরজাফরকে বাংলার নবাব নিযুক্ত করে
১৭৯৩ - ফ্রান্সে প্রথম গণতান্ত্রিক সংবিধান গৃহীত হয়।
১৮১৯ - শিল্পপ্রেমী লোকহিতৈষী তথা কলকাতার মার্বেল প্যালেস প্রতিষ্ঠাতা রাজেন্দ্র মল্লিকের জন্ম
 ১৮৮৩- অস্ট্রিয়-মার্কিন পদার্থ বিজ্ঞানী ভিক্টর ফ্রান্সিস হেসের জন্ম
১৮৯৭ - সংগীত শিক্ষক, সঙ্গীতজ্ঞ ও গোয়ালিয়র ঘরানার হিন্দুস্থানী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী পণ্ডিত ওমকারনাথ ঠাকুরের জন্ম
১৯০৮ - সঙ্গীত-নাটক আকাদেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত বিশিষ্ট কথাকলি নৃত্যশিল্পী ও অভিনেতা গুরু গোপীনাথের জন্ম
১৯০৮- প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট গ্রোভার ক্লিভল্যান্ডের মৃত্যু
১৯১৮ - কানাডায় প্রথম এয়ার মেইল সার্ভিস শুরু হয়- মনট্রিল থেকে টরন্টো
১৯৭০- অভিনেত্রী জুন মালিয়ার জন্ম
১৯৮০ -ভারতের চতুর্থ রাষ্ট্রপতি ভারতরত্ন বরাহগিরি ভেঙ্কট গিরির মৃত্যু
১৯৮৭- আর্জেন্তিনার ফুটবলার লিওনেল মেসির জন্ম
২০০২ - আফ্রিকার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ংকর রেল দুর্ঘটনা ঘটে তাঞ্জানিয়ায়। ২৮১ জন মারা যায়।
২০১০ - জুলিয়া গিলার্ড অস্ট্রেলিয়ার প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৭৭ টাকা ৮৪.৫১ টাকা
পাউন্ড ১০৪.১৬ টাকা ১০৭.৬৩ টাকা
ইউরো ৮৮.০৭ টাকা ৯১.১৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
22nd  June, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,২৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
22nd  June, 2024

দিন পঞ্জিকা

৯ আষাঢ়, ১৪৩১, সোমবার, ২৪ জুন, ২০২৪। তৃতীয়া ৫১/৮ রাত্রি ১/২৪। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র ২৭/২৩ দিবা ৩/৫৪। সূর্যোদয় ৪/৫৭/২৩, সূর্যাস্ত ৬/২০/২৫। অমৃতযোগ দিবা ৮/৩১ গতে ১০/১৮ মধ্যে। রাত্রি ৯/১০ গতে ১২/০ মধ্যে পুনঃ ১/২৫ গতে ২/৫০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৩/৩৩ গতে ৪/১৫ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৮ গতে ৮/১৯ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৪/৪০ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/২০ গতে ১১/৪০ মধ্যে।  
৯ আষাঢ়, ১৪৩১, সোমবার, ২৪ জুন, ২০২৪। তৃতীয়া রাত্রি ২/৫৭। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র অপরাহ্ন ৫/৪৫। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/২৪। অমৃতযোগ দিবা ৮/৩৫ গতে ১০/২২ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/১৩ গতে ১২/৩ মধ্যে ও ১/২৮ গতে ২/৫৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৩/৩৬ গতে ৪/১৯ মধ্যে। কালবেলা ৬/৩৭ গতে ৮/১৮ মধ্যে ও ৩/২ গতে ৪/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/২১ গতে ১১/৪০ মধ্যে। 
১৭ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
টি-২০ বিশ্বকাপ: অস্ট্রেলিয়াকে ২৪ রানে হারিয়ে ম্যাচ জিতল ভারত

11:52:27 PM

টি-২০ বিশ্বকাপ: ১৫ রানে আউট টিম ডেভিড, অস্ট্রেলিয়া ১৬৬/৭ (১৭.৫ ওভার) টার্গেট ২০৬

11:40:59 PM

টি-২০ বিশ্বকাপ: ১ রানে আউট ম্যাথু ওয়েড, অস্ট্রেলিয়া ১৫৩/৬ (১৭.১ ওভার) টার্গেট ২০৬

11:35:15 PM

টি-২০ বিশ্বকাপ: ৭৬ রানে আউট ট্রাভিস হেড, অস্ট্রেলিয়া ১৫০/৫ (১৬.৩ ওভার) টার্গেট ২০৬

11:30:48 PM

টি-২০ বিশ্বকাপ: ২ রানে আউট মার্কাস স্টোইনিস, অস্ট্রেলিয়া ১৩৫/৪ (১৪.১ ওভার) টার্গেট ২০৬

11:18:26 PM

টি-২০ বিশ্বকাপ: ২০ রানে আউট ম্যাক্সওয়েল, অস্ট্রেলিয়া ১২৮/৩ (১৩.১ ওভার) টার্গেট ২০৬

11:13:37 PM