Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

পাওয়ারের শক্তিপরীক্ষা
শান্তনু দত্তগুপ্ত

এখন সত্যিই জানতে ইচ্ছে হচ্ছে, বালাসাহেব থ্যাকারে বেঁচে থাকলে কী করতেন! আগের রাতে শুনে ঘুমাতে গেলেন, শিবসেনার জোট সরকার হচ্ছে এবং ছেলে উদ্ধব সেখানে মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু পরদিন সাতসকালে ঘুম ভেঙে দেখলেন, দেবেন্দ্র ফড়নবিশ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে ফেলেছেন। মন্ত্রিসভার বৈঠক ছাড়াই শুধু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সুপারিশে সকাল ৫টা ৪৭ মিনিটে রাষ্ট্রপতি শাসন তুলে নেওয়া হয়েছে। এবং বিজেপির সঙ্গে কে হাত মিলিয়েছে? এনসিপি। অজিত পাওয়ার। শারদ পাওয়ারের ভাইপো। প্রথম প্রথম সবারই মনে হয়েছিল, এই খেলার নেপথ্যে নিশ্চয়ই শারদ পাওয়ার নিজে আছেন। আর তাঁর পক্ষে এটা খুব বেমানানও নয়! সরকার এবং দল ডোবানোয় তিনি যুগ যুগ ধরে হাত পাকিয়েছেন। নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর বৈঠকের পর সবাই মোটামুটি কনফার্ম হয়ে গিয়েছিল, ডিল কমপ্লিট। কিন্তু বেলা বাড়তে দেখা গেল, শারদ পাওয়ার কিছুই জানেন না। অজিত পাওয়ার নাকি দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন এবং এনসিপি বিধায়কদের সই করা যে চিঠি কংগ্রেস-শিবসেনার সঙ্গে জোটের জন্য তৈরি করা হয়েছিল, সেটাই জমা করে দিয়েছেন রাজ্যপালের কাছে। প্রতিদানে? তিনি হয়েছেন মহারাষ্ট্রের উপ মুখ্যমন্ত্রী।
প্রথম প্রশ্ন হল, দলের বিরুদ্ধে অজিত পাওয়ারের এই অভ্যুত্থানের কারণটা কী? উত্তরটা জলের মতো পরিষ্কার। তাঁর বিরুদ্ধে সেচ দুর্নীতির অভিযোগ এবং মহারাষ্ট্র স্টেট কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের চার্জশিট। সেই চার্জশিটে শারদ পাওয়ারের নামও রয়েছে। অজিত পাওয়ার অবশ্য নিজেরটাই দেখলেন। সেপ্টেম্বর মাসে বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে শারদ পাওয়ারের জন্য কাঁদুনি গেয়েছিলেন, ‘এই বয়সে আমার জন্য ওঁকে এত অপদস্থ হতে হল! মানতে পারছি না।’ শনিবার ভোরে শপথ নেওয়ার সময় অবশ্য তাঁর আর কাকার কথা মনে পড়ল না। এর অবশ্য আর একটা কারণ রয়েছে। উত্তরাধিকার। শারদ পাওয়ারের পর দলের সুপ্রিম কমান্ড কার হাতে যাবে? দীর্ঘদিনের পোড় খাওয়া রাজনীতিক অজিত ধরেই নিয়েছিলেন, তিনিই দলের দু’নম্বর ব্যক্তি। এবং এক নম্বর হওয়াটা সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু নির্বাচনী রাজনীতিতে শারদ-কন্যা সুপ্রিয়া সুলের উত্থান এবং অবশ্যই তৃতীয় প্রজন্ম অর্থাৎ রোহিত পাওয়ারের ‘বেড়ে ওঠা’টা তাঁর কাছে অশনিসঙ্কেত হয়ে দাঁড়িয়েছে। অজিত পাওয়ার বুঝে গিয়েছেন, বোধহয় তাঁকে দু’নম্বর হয়েই থেকে যেতে হবে। ইগো এবং নিরাপত্তাহীনতার জাঁতাকলে পিষে যদি তিনি এমন কাজ করে থাকেন, তাহলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই।
তার উপর তিনি সাফ বুঝে গিয়েছিলেন, দুর্নীতি মামলায় তাঁর বাঁচার আশা খুব একটা নেই। সরকার যদি বিজেপির হয়, তাহলে শাসক দল অবশ্যই তাঁর বিরুদ্ধে তেড়েফুঁড়ে নামবে। এটাও ‘অভ্যুত্থানে’র আর একটা কারণ হতেই পারে। প্রতিদানে? ইতিমধ্যেই সেচ দুর্নীতির ন’টি ফাইল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দাবি, তার মধ্যে একটিতেও অজিত পাওয়ার নেই। তাঁর অভিযোগের ফাইলগুলি এখনও সচল রয়েছে। কিন্তু আগে যে ঘোষণা করা হয়েছিল, সেচ দুর্নীতির ১১টি মামলাতেই অজিতের নাম রয়েছে? সে সব এখন কোথায় গেল? তার মানে কি এরপর ‘আনুগত্যে’র উপহার মিলবে? অর্থাৎ, এই দু’টি থেকেও রেহাই পেয়ে যাবেন অজিত?
বরং দুর্নীতির অভিযোগের বিরুদ্ধে ‘হিমশীতল’ মানসিকতা দেখিয়েছিলেন শারদ পাওয়ার। প্রথমে দাবি করেছিলেন, ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারিতে তাঁর নাম জড়ানোটা মোটেও আইনসঙ্গত নয়। কারণ, তিনি কোনওদিনই ব্যাঙ্কের বোর্ড অব ডিরেক্টরদের একজন ছিলেন না। তারপরও যখন ইডি বিষয়টা গা করল না, পাওয়ার বললেন ‘আমি ইডির দপ্তরে গিয়ে হাজিরা দেব’। ততদিনে রাজ্যে নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হয়ে গিয়েছে। শারদ পাওয়ার যদি ব্যাপারটাকে ইস্যু করে ইডি দপ্তরে যান, আইন-শৃঙ্খলাজনিত সমস্যা হতে পারে। তাই ইডি আধিকারিকরা বাড়ি গিয়ে শারদ পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করলেন এবং অনুরোধ করলেন, এমন কিছু করবেন না। ভোট মিটলে কথা বলা যাবে। এখানেই শারদ পাওয়ারের মুন্সিয়ানা। ভোটের মুখে চূড়ান্ত নেগেটিভ একটা প্রচার পর্যন্ত ইতিবাচক মোড়কে মুড়ে দিতে পারেন তিনি। এটা অভিজ্ঞতার ফসল। আর সেই কারণেই তিনি ‘মারাঠা স্ট্রংম্যান’। আর সেই স্ট্রংম্যানের আজ অগ্নিপরীক্ষা।
কেন অগ্নিপরীক্ষা? প্রথমত, ‘মুখ্যমন্ত্রী’ দেবেন্দ্র ফড়নবিশ দাঁড়িয়েছেন অজিত পাওয়ারের পাশে। কোন অজিত পাওয়ার? যাঁর নামে এই সেদিনও উঠতে বসতে গাল পাড়তেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথম আক্রমণই ছিল তাঁর কংগ্রেস-এনসিপির বিরুদ্ধে। ২০১৩ সালে ফড়নবিশ ট্যুইট করেছিলেন, ‘আদর্শ কেলেঙ্কারির রিপোর্ট বেরিয়েছে। কংগ্রেস এবং এনসিপির দুর্নীতির মুখোশটা বেরিয়ে পড়েছে। বিজেপি একজনকেও ছাড়বে না।’ পরের বছর... ‘কংগ্রেস-এনসিপি শুধুই কৃষকদের কষ্ট দিতে পারে’, কিংবা ‘কংগ্রেস-এনসিপি একে অপরের কেলেঙ্কারি ঢাকা দিতেই ব্যস্ত’... একের পর এক আক্রমণ। এমনকী সরকারে আসার পরই তিনি অজিত পাওয়ারের বিরুদ্ধে সেচ দুর্নীতির অভিযোগে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই অজিত পাওয়ারই নাকি উপ মুখ্যমন্ত্রী? হজম করা সত্যিই কঠিন। তাও করতেই হচ্ছে। অমিত শাহের চালে। তাহলে এটাই ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্ল্যান বি? ভূপেন্দর যাদবকে কাজে লাগিয়ে অজিত পাওয়ারকে হাত করা। তারপর এনসিপির বিধায়কদের হাইজ্যাক। তবে সেটা কি সত্যিই হয়েছে? এই প্রশ্ন তুলতেই হচ্ছে। কারণ, উল্টোদিকে শারদ পাওয়ার। রাজনীতির দুই চাণক্যের লড়াই মহারাষ্ট্রে। বিধানসভা নির্বাচনে ৫৪টি আসনে জিতেছে এনসিপি। যদি এই সংখ্যার পুরোটাই বিজেপির দিকে চলে যায়, তাহলে বিজেপির শক্তি হবে ১৫৯। হাসতে হাসতে ম্যাজিক ফিগার ১৪৫ পার করে যাবে বিজেপি জোট। বিজেপি অবশ্য দাবি করছে, তাদের কাছে ১৭০ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। অজিত পাওয়ারের দাবি সত্যি হলে বিজেপির জোট সরকার সত্যিই ‘স্থিতিশীল’। অজিত পাওয়ার রীতিমতো ঘোষণা করে রেখেছেন, পার্টি তিনি ছাড়েননি এবং শারদ পাওয়ারই তাঁর একমাত্র নেতা। তাঁর কাকাবাবুর উল্টো দাবি সত্ত্বেও। সেই কাকাবাবু কী বলছেন? তাঁর বক্তব্য, এনসিপির ৫২ জন বিধায়ক রয়েছেন কংগ্রেস ও শিবসেনার জোটের সমর্থনে। মোট সংখ্যা ১৬২। কোনটা সত্যি? এক্ষেত্রে পাল্লা কিছুটা ভারী বিরোধী জোটের দিকে। কেন? কারণ, রবিবার সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার তাদের একটাই উদ্দেশ্য ও আর্জি ছিল—২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিধানসভায় শক্তিপরীক্ষা চাই। যে বা যারা এই দাবি করছে, ধরে নেওয়া যেতে পারে, তাদের কাছে সংখ্যা আছে। তাই তারা তাড়াহুড়ো করছে। শুধু তাই নয়, সোমবার রাতে ১৬২ জন বিধায়ককে জনসমক্ষে এনে তারা দেখিয়েও দিয়েছে। উল্টোদিকে বিজেপি দাবি করেছিল, দু’-তিনদিন সময় লাগবে। বিরোধীরা সঙ্গে সঙ্গে একটা বাঁকা হাসি দিয়েছিল... তার মানে কি ঘোড়া কেনাবেচার জন্য আরও একটু সময় চেয়ে নিচ্ছে তারা?
সে যাই হোক, কিছুটা সময় বিজেপি পেয়েই গিয়েছে। কারণ, সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, আজ, মঙ্গলবার মহারাষ্ট্র সংক্রান্ত রায়দান হবে। অর্থাৎ আজ যদি শক্তিপরীক্ষা হয়, তাহলে বোঝা যাবে শেষ বাজি কে মারল। যদিও তাতে বিজেপি খুব একটা সুবিধা করতে পারবে বলে মনে হচ্ছে না। কারণ, শারদ পাওয়ার সবদিক মোটামুটি বেঁধে ফেলেছেন বলেই সাদা চোখে অন্তত দেখা যাচ্ছে। যে বিধায়কদের হাইজ্যাক করে বিজেপি নিয়ে গিয়েছিল, তাঁদেরও উদ্ধার করে ফেলেছেন তিনি। সেই বিধায়কদের কেউ কেউ তো ফিরে এসে যেন হাঁফ ছাড়ছেন। বলছেন, এমন অবস্থায় পড়ে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।
শারদ পাওয়ার আসলে পাবলিকের পালসটা সত্যিই বোঝেন। পাবলিকের সামনে তাঁর উচ্চতার একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যদি ভুল স্বীকার করেন, তার প্রভাবটা কোন জায়গায় পৌঁছয়? উত্তরটা ভোটযন্ত্রে। বেশিদিনের কথা নয়। পুনের একটি জনসভায় বলেছিলেন, ‘আমাকে ক্ষমা করুন। যাঁকে আপনাদের প্রতিনিধি হিসেবে নিয়ে এসেছিলাম, তিনি আপনাদের ভালোবাসাকে মর্যাদা দেননি। আমাকে ভুল শুধরে নেওয়ার আর একটা সুযোগ দিন।’ কী সেই ভুল? গত লোকসভা ভোটে সাতারা কেন্দ্রে এনসিপি প্রার্থী ছিলেন উদয়নরাজে ভোঁসলে। ছত্রপতি শিবাজির বংশধর। যুগের পর যুগ সাতারা আসনটি শিবাজির উত্তরসূরিদের জন্যই অলিখিতভাবে নির্ধারণ করা রয়েছে। লোকসভা ভোটে জিতে এনসিপি ছেড়ে বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন ভোঁসলে। দলত্যাগ বিরোধী আইনের প্যাঁচে পড়ে সাতারা আসনটিতে উপনির্বাচন করায় কমিশন। সেখানে বিজেপির ভোঁসলের বিরুদ্ধে প্রার্থী হিসেবে শ্রীনিবাস পাতিলকে দাঁড় করান পাওয়ার। শিবাজির বংশধর কিন্তু আর জিততে পারেননি!
তাই আজ সবচেয়ে বড় প্রশ্নটাই হল, পাওয়ার নিজে কি তাঁর ভাইপোর পাশে রয়েছেন? ১৬২ জন এমএলএকে দিয়ে প্যারেড করানোর পরও এই প্রশ্নটা বাতাসে ঘুরছে। কারণ, নামটা শারদ পাওয়ার। কিন্তু যদি অমিত শাহ তাঁকে ম্যানেজ করতে অসফল হয়ে থাকেন, তাহলে এবার বিজেপির মুখ পুড়তে চলেছে। অর্থাৎ আবার কর্ণাটকের পুনরাবৃত্তি।
রাজনীতির যে দাবাখেলায় শারদ পাওয়ারের হাতে ঘুঁটি থাকে, তাতে কিস্তিমাতটাও তিনিই করতে পছন্দ করেন। এতকাল করেও এসেছেন। মারাঠা স্ট্রংম্যান উপাধিটা এই শেষ বয়সে এসে অন্তত তিনি আর হারাতে চাইবেন না। আর পাল্টা দাপটে তাঁকে সত্যিকারের টক্কর দেওয়ার মতো যিনি ছিলেন, তিনি আজ আর নেই। বেঁচে থাকলেও অবশেষে আজ হয়তো হাত মেলাতেন পুরনো বন্ধুর সঙ্গে। কে তিনি? বালাসাহেব থ্যাকারে।
26th  November, 2019
আগামী ভোটেও বিজেপির গলার কাঁটা এনআরসি
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

রাজ্যের তিন বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির বিপর্যয় বিশ্লেষণ করতে গিয়ে যখন ওই প্রার্থীদের পরাজয়ের ব্যাপারে সকলেই একবাক্যে এনআরসি ইস্যুকেই মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, তখনও বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এনআরসিতে অটল। তিন বিধানসভা কেন্দ্রের বিপর্যয়ের পর আবারও অমিত শাহ এনআরসি কার্যকর করবার হুংকার ছেড়েছেন।  
বিশদ

সিঁদুরে মেঘ ঝাড়খণ্ডেও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভারতের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে একটা কথা বেশ প্রচলিত... এদেশের ভোটাররা সাধারণত পছন্দের প্রার্থীকে নয়, অপছন্দের প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে থাকেন। ২০১৪ সালে যখন নরেন্দ্র মোদিকে নির্বাচনী মুখ করে বিজেপি আসরে নামল, সেটা একটা বড়সড় চমক ছিল। 
বিশদ

আচ্ছে দিন আনবে তুমি এমন শক্তিমান!
সন্দীপন বিশ্বাস

আমাদের সঙ্গে কলেজে পড়ত ঘন্টেশ্বর বর্ধন। ওর ঠাকুর্দারা ছিলেন জমিদার। আমরা শুনেছিলাম ওদের মাঠভরা শস্য, প্রচুর জমিজমা, পুকুরভরা মাছ, গোয়ালভরা গোরু, ধানভরা গোলা সবই ছিল। দেউড়িতে ঘণ্টা বাজত। ছিল দ্বাররক্ষী। কিন্তু এখন সে সবের নামগন্ধ নেই। ভাঙাচোরা বাড়ি আর একটা তালপুকুর ওদের জমিদারির সাক্ষ্য বহন করত। 
বিশদ

02nd  December, 2019
বিজেপির অহঙ্কারের পতন
হিমাংশু সিংহ

সবকিছুর একটা সীমা আছে। সেই সীমা অতিক্রম করলে অহঙ্কার আর দম্ভের পতন অনিবার্য। সভ্যতার ইতিহাস বারবার এই শিক্ষাই দিয়ে এসেছে। আজও দিচ্ছে। তবু ক্ষমতার চূড়ায় বসে অধিকাংশ শাসক ও তার সাঙ্গপাঙ্গ এই আপ্তবাক্যটা প্রায়শই ভুলে যায়।  বিশদ

01st  December, 2019
উপনির্বাচনের ফল ও বঙ্গ রাজনীতির অভিমুখ
তন্ময় মল্লিক

জনতা জনার্দন। ফের প্রমাণ হয়ে গেল। মাত্র মাস ছয়েক আগে লোকসভা নির্বাচনে ১৮টি আসন দখল করে গেরুয়া শিবির মনে করেছিল, গোটা রাজ্যটাকেই তারা দখল করে নিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদায় শুধু সময়ের অপেক্ষা। সেই বঙ্গেই তিন বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে একেবারে উল্টো হওয়া বইয়ে দিল মানুষ।
বিশদ

30th  November, 2019
ওভার কনফিডেন্স
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহের সব থেকে প্রিয় হবি হল পরিবর্তন। তাঁরা স্থিতাবস্থায় বিশ্বাস করেন না। তাঁরা বদলের বন্দনাকারী। পরিবর্তন কি খারাপ জিনিস? মোটেই নয়। বরং পরিবর্তনই তো সভ্যতার স্থাণু হয়ে না থেকে এগিয়ে চলার প্রতীক।   বিশদ

29th  November, 2019
উপনির্বাচনী ফল: বঙ্গজুড়ে পারদ চড়ছে কৌতূহলের
মেরুনীল দাশগুপ্ত

আজ রাজ্যের তিন বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনী ফল বেরচ্ছে। কথায় বলে, ফলেই পরিচয়। ফলেন পরিচীয়তে। আজ সেই ফলের জন্য উদ্‌গ্রীব বাংলা, বাংলার রাজনৈতিকমহল। নানান জনের নানা প্রত্যাশা চতুর্দিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অবশ্য সেজন্য আসমুদ্রহিমাচল বাংলা টানটান উত্তেজনায় কাঁপছে বললে হয়তো অত্যুক্তি হবে। বিশদ

28th  November, 2019
মহারাষ্ট্রে টানটান সিরিয়ালের নায়ক কে
সন্দীপন বিশ্বাস

কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের অবসান হয়েছে। যুধিষ্টিরের অভিষেক পর্বও হয়ে গিয়েছে। রাজনীতি, রাজধর্ম নিয়ে শিক্ষা নিতে তিনি গেলেন শরশয্যায় শায়িত ভীষ্মের কাছে। ভীষ্ম তাঁকে সেদিন যে উপদেশ দিয়েছিলেন তা আদর্শ রাজধর্ম এবং রাজনীতি বলেই বিবেচিত হয়। কিন্তু আজকের যুগের স্বার্থসর্বস্ব রাজনীতি দেখলে মনে হয় এই রাজনীতি যেমন নীতির রাজা নয়, তেমনই রাজার নীতিও নয়। 
বিশদ

25th  November, 2019
নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে প্রতি মুহূর্তে সংঘাতে জড়িয়ে পড়া কি রাজভবনের দায়বদ্ধতা?
হিমাংশু সিংহ

 ভেবেছিলাম লিখব শুধু পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচিত সরকার ও রাজভবনের বিগত দু’মাসের অবাক করা ভূমিকা নিয়ে। কিন্তু শনিবার ভোর হতে না হতেই সুদূর মহারাষ্ট্রের রাজভবনের ‘সার্জিকাল স্ট্রাইক’ স্পষ্ট করে প্রমাণ করল, আজকের রাজ্যপালরা কেন্দ্রের শাসক দলের হাতের পুতুল ছাড়া আর কিছুই নন। বিশদ

24th  November, 2019
তিন বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন: মিলবে লোকসভা-উত্তর রাজ্য-রাজনীতির মতিগতি
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের পর রাজ্যে প্রথম তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণ আগামী ২৫ নভেম্বর,ফলাফল ২৮ নভেম্বর। খড়্গপুর সদর করিমপুর এবং কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলাফল থেকে বিবাদমান রাজ্য-রাজনীতির একাধিক প্রশ্নের উত্তর মিলতে পারে। 
বিশদ

23rd  November, 2019
ব্যাঙ্কের রাহুমুক্তি কবে? তাকিয়ে দেশের মানুষ
মৃণালকান্তি দাস

 সাম্প্রতিক কালে দেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্কে একের পর এক প্রতারণার অভিযোগ সামনে আসার পরে অস্বস্তি বেড়েছে মোদি সরকারের। সেই অস্বস্তি আরও কয়েক দফা বাড়িয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বার্ষিক রিপোর্ট জানিয়েছে, গত অর্থবর্ষে বিভিন্ন ব্যাঙ্কে প্রতারণা-জালিয়াতির ঘটনা বেড়েছে আরও অনেকখানি। প্রায় ১৫ শতাংশ। শুধু তাই নয়, প্রতারণা সবচেয়ে বেশি হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতেই। জানা গিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ছ’মাসে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতে ৯৫,৭০০ কোটি টাকার বেশি প্রতারণা হয়েছে। এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতারণার ঘটনা ছুঁয়েছে ৫,৭৪৩টি। সম্প্রতি এই কথা জানিয়েছেন খোদ অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। যেখানে তার আগের বছর ২,৮৮৫টি ঘটনায় নয়ছয়ের অঙ্ক ছিল ৩৮,২৬০ কোটি। প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, কেন্দ্র বার বার নজরদারিতে জোর দেওয়ার কথা বললেও, প্রতারণা এতখানি বাড়ছে কী করে? কে বা কারা করছে এই প্রতারণা?
বিশদ

22nd  November, 2019
তিন বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন: মিলবে লোকসভা-উত্তর রাজ্য-রাজনীতির মতিগতি
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

 ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের পর রাজ্যে প্রথম তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণ আগামী ২৫ নভেম্বর,ফলাফল ২৮ নভেম্বর। খড়্গপুর সদর করিমপুর এবং কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলাফল থেকে বিবাদমান রাজ্য-রাজনীতির একাধিক প্রশ্নের উত্তর মিলতে পারে। বিশদ

21st  November, 2019
একনজরে
 নয়াদিল্লি, ২ ডিসেম্বর (পিটিআই): কমিশন এজেন্টের কাছ থেকে ১০০ টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে ডাক বিভাগের সংশ্লিষ্ট অফিসারদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। ঘটনাটি উত্তপ্রদেশের প্রতাপগড় জেলার কুন্দা সাব পোস্ট অফিসের। ...

সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর: কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ্যভাতা, সংশোধিত বেতনক্রম চালু সহ মোট ৯ দফা দাবিতে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সদস্যরা সোমবার বাঁকুড়া জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসে অবস্থান ও প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করেন। এদিন সকাল ১০টা থেকে অফিসের সামনে শিক্ষকরা ধর্নায় বসেন। ...

সংবাদদাতা, কুমারগ্রাম: উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর আলিপুরদুয়ার শহরের ইন্ডোর স্টেডিয়ামের পাশে অত্যাধুনিক ব্যায়ামাগার তৈরির কাজ শুরু করছে। এই কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এটির কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে আলিপুরদুয়ার জেলা ক্রীড়া সংস্থার হাতে তা তুলে দেওয়া হবে।  ...

সংবাদদাতা, গাজোল: শীত এখনও সেভাবে না পড়লেও মাল্টার জন্য এখন থেকেই অপেক্ষা শুরু হয়ে গিয়েছে মালদহে। অনেকটা কমলালেবুর মতোই দেখতে এই ফল বিগত দুয়েকবছর ধরে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব এইডস দিবস
১৯৪১: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আক্রমণে চূড়ান্ত অনুমোদন দিলেন জাপানের সম্রাট হিরোহিতো
১৯৫৪: সমাজকর্মী মেধা পাটেকরের জন্ম
১৯৬৩: ভারতের ১৬তম রাজ্য হিসাবে ঘোষিত হল নাগাল্যাণ্ড
১৯৬৫: প্রতিষ্ঠিত হল বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)
১৯৭৪: স্বাধীনতা সংগ্রামী সুচেতা কৃপালিনীর মৃত্যু
১৯৮০: ক্রিকেটার মহম্মদ কাইফের জন্ম
১৯৯৭: বিহারের লক্ষ্মণপুর-বাথে অঞ্চলে ৬৩জন নিম্নবর্গীয়কে খুন করল রণবীর সেনা
১৯৯৯: গায়ক শান্তিদেব ঘোষের মৃত্যু

01st  December, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৯৪ টাকা ৭২.৬৫ টাকা
পাউন্ড ৯১.০৫ টাকা ৯৪.৩৪ টাকা
ইউরো ৭৭.৬১ টাকা ৮০.৬১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৪৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৫১০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,০৬০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৪,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৪,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৬ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ৩ ডিসেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, সপ্তমী ৪২/৫৩ রাত্রি ১১/১৪। ধনিষ্ঠা ২০/২৯ দিবা ২/১৭। সূ উ ৬/৪/৫৩, অ ৪/৪৭/২৯, অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে পুনঃ ৭/২৯ গতে ১১/৪ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৭ গতে ৮/২০ মধ্যে পুনঃ ৯/১৩ গতে ১১/৫২ মধ্যে পুনঃ ১/৩৯ গতে ৩/২৫ মধ্যে পুনঃ ৫/৫২ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৭/২৫ গতে ৮/৪৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ২/৭ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৬ মধ্যে। 
১৬ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ৩ ডিসেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, সপ্তমী ৪২/৪৮/৩২ রাত্রি ১১/১৩/৪৯। ধনিষ্ঠা ২২/৪৯/২৩ দিবা ৩/১৪/৯, সূ উ ৬/৬/২৪, অ ৪/৪৭/৫২, অমৃতযোগ দিবা ৭/০ মধ্যে ও ৭/৪২ গতে ১১/১৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৮/২৬ মধ্যে ও ৯/২০ গতে ১২/১ মধ্যে ও ১/৪৯ গতে ৩/৩৬ মধ্যে ও ৫/২৪ গতে ৬/৭ মধ্যে, কালবেলা ১২/৪৭/১৯ গতে ২/৭/৩০ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৭/৪১ গতে ৮/৭/৩০ মধ্যে। 
৫ রবিয়স সানি  

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। বৃষ: বন্ধুস্থানীয় কোনও ব্যক্তির সাহায্যে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস১৮৮২: চিত্রশিল্পী নন্দলাল বসুর জন্ম১৮৮৯: বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর ...বিশদ

07:03:20 PM

শহরে এটিএম জালিয়াতি, আরও ১৪টি অভিযোগ দায়ের 
যাদবপুরের পর এবার চারু মার্কেট থানা এলাকা। শহরে ফের জাঁকিয়ে ...বিশদ

05:13:00 PM

বাংলায় এনআরসি হবে না, ধর্মের ভিত্তিতে ভাগাভাগি করা যাবে না: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 

04:06:10 PM

বুলবুল: রাজ্যকে আর্থিক সাহায্য পাঠাল কেন্দ্র
বুলবুল-এ ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য হিসাবে পশ্চিমবঙ্গকে আর্থিক সাহায্য পাঠাল কেন্দ্র। রাজ্যকে ...বিশদ

03:42:00 PM

আগামী ২ দিন বসবে না বিধানসভা অধিবেশন
রাজভবনে আটকে রয়েছে বিল । সেখান থেকে বিল না আসায় ...বিশদ

03:36:00 PM