Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

উপনির্বাচনী ফল: বঙ্গজুড়ে পারদ চড়ছে কৌতূহলের
মেরুনীল দাশগুপ্ত

আজ রাজ্যের তিন বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনী ফল বেরচ্ছে। কথায় বলে, ফলেই পরিচয়। ফলেন পরিচীয়তে। আজ সেই ফলের জন্য উদ্‌গ্রীব বাংলা, বাংলার রাজনৈতিকমহল। নানান জনের নানা প্রত্যাশা চতুর্দিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অবশ্য সেজন্য আসমুদ্রহিমাচল বাংলা টানটান উত্তেজনায় কাঁপছে বললে হয়তো অত্যুক্তি হবে। তবে সদ্য অনুষ্ঠিত তিনটি উপনির্বাচনের ফলাফল নিয়ে গত কয়েকদিন রাস্তাঘাটে যে আগ্রহের বহিঃপ্রকাশ দেখেছি তাতে এটুকু বলাই যায়—পারদ চড়েছে যথেষ্ট। চড়া স্বাভাবিক। তার প্রথম এবং প্রধান কারণ— লোকসভা ভোটের পর রাজ্যে এই প্রথম রাজ্যবাসীর রাজনৈতিক পছন্দ প্রকাশ্যে আসতে চলেছে। মাত্র তিনটি কেন্দ্রে হলেও বিগত লোকসভা ফলের পরিপ্রেক্ষিতে তার গুরুত্ব কেউই অস্বীকার করতে পারছেন না।
মহারাষ্ট্রীয় রাজনীতিতে আজ বিজেপির ভূমিকা ও তার পরিণতি যাই হোক কেন্দ্রে এখনও তাদের একাধিপত্য অটুট। সর্বভারতীয় রাজনীতিতেও এই মুহূর্তে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো শক্তিশালী বিরোধীর দেখা মেলেনি। কংগ্রেস মাঝেমধ্যে ঘুরে দাঁড়ানোর আসা জাগালেও সে যেন অনেকটা দপ করে জ্বলে উঠে হারিয়ে যাওয়ার মতো ব্যাপার। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিগত লোকসভা ভোটের সময় প্রাণপণ চেষ্টা করেও সর্বভারতীয় স্তরে পদ্ম-বিরোধীদের এককট্টা করতে পারেননি। প্রথামিকভাবে যাঁরা পাশে দাঁড়ানোর কথা বলেছিলেন, হাতে হাত ধরে ছবি তুলেছিলেন— কার্যকালে তাঁদের অনেকেই নিজ নিজ দলীয় স্বার্থ চরিতার্থ করতে গাছাড়া দিয়েছিলেন বা বেসুরো গেয়েছিলেন। ভোটফল প্রকাশের পর প্রধানমন্ত্রী ঠিক হবে বলেও তৎকালের কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী তাঁদের বিজেপি বিরোধী, বলা ভালো মোদি বিরোধী জোটশক্তি ধরে রাখতে পারেননি। ফলে মমতাকেও বাংলায় কার্যত একলা চলো রে বলে ভারত শাসকের বিরুদ্ধে শেষঅব্দি যুদ্ধে নেমে পড়তে হয়েছিল। এবং সেই লড়াইতে উত্তরবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলকে ধরাশায়ী করে এই রাজ্যে লোকসভার ৪২ আসনের ১৮টিতে পদ্ম ফুটিয়েছিল বিজেপি!
লোকসভা ভোটের আগে অবশ্য এই রাজ্যে বিজেপি দ্বিতীয় শক্তি হিসেবে উঠে আসবে এটা মোটামুটি রাজনৈতিক মহলের সকলেই বুঝতে পারছিলেন, সাধারণ জনতার আন্দাজও ছিল তেমনই। কিন্তু, এতটা যে উঠবে এবং আরও বেশ কয়েকটা আসনে যে একচ্ছত্র তৃণমূলের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলবে—মুখে যে যাই বলুন এটা বিজেপির অন্দর বাহিরে কেউই প্রত্যাশা করেননি, হলফ করেই তা বলা যায়। রাজ্যবাসী বা রাজ্য রাজনীতির তাবড় পণ্ডিতও না। সংখ্যাটা ঘোরাঘুরি করছিল ১০ থেকে ১২ (অতি বিশ্বাসীদের হিসেবে ১৪)—ব্যস, ওই পর্যন্ত! ভোটফলের দিন শেষ পর্যন্ত ১৮ এবং ভোট শতাংশে ২২ উন্নতি দেখার পর গেরুয়া শিবিরের নেতানেত্রী সমর্থকদের মুখ ও প্রতিক্রিয়া আবেগ ও উল্লাসের বিস্ফারিত দৃশ্যগুলিতে তাই ঝলকে উঠেছিল অসম্ভবকে সম্ভব করার অপার আনন্দ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘাসফুল-সবুজ বাংলায় এত পদ্ম! অবিশ্বাস্য মনে হয়েছিল বঙ্গজনতারও। পথেঘাটে সে প্রমাণও মিলেছিল। কিন্তু, ওই যে বলে—ফলেন পরিচীয়তে—ফলের কাছে সবাইকেই নতজানু হতে হয়।
তারপর এই আজ ফের একটা ফল প্রকাশ হতে যাচ্ছে। হোক না উপনির্বাচনী ফল, মোট ২৯৪ আসনের রাজ্য বিধানসভার মাত্র তিনটির ফল— আমজনতার মতামত তো, আজকের পরিস্থিতির বিচারে তাকে কি উপেক্ষা করা যায়? লোকসভা ভোটের পর এই তো প্রথম জনতার মতামত জানার আবার একটা সুযোগ মিলছে। শাসক তৃণমূলই হোক, কি রাজ্যে প্রধান বিরোধী বিজেপি উভয়ের কাছেই আজ তাই খড়্গপুর, করিমপুর আর কালিয়াগঞ্জ উপনির্বাচনের ফলাফল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। মমতার রাজ্যব্যাপী সার্বিক উন্নয়ন, ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের ক্যারিশমা নাকি বিজেপির গেরুয়া ঝড় মোদি ম্যাজিকের চমক—কোনটা শেষ পর্যন্ত বিজয়নিশান তোলে তা দেখার এই তো সুযোগ। ১৮ আসন জয়ের গৌরবের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে নাকি প্রশান্ত দাওয়াইতে পশ্চিমবঙ্গে ফিকে হচ্ছে গেরুয়ার ক্রমবর্ধমান আধিপত্য তার আভাস মিলবে— শাসক বিরোধী উভয় সমাজেই আজ সেও এক উৎকণ্ঠ জিজ্ঞাসা। ২০২১ সালে বিধানসভা মহারণের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে এই জিজ্ঞাসার ইতিবাচকতা বিশেষ মাত্রা যোগ করবেই। কলকাতা সমেত রাজ্যের পুরসভা নির্বাচনও তো আর বেশি দূরে নয়। মোদ্দা কথা, পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সর্বব্যাপী প্রভাব প্রতিপত্তিতে এই মুহূর্তে গেরুয়া ছোপ কতটা ধরে আছে, ১৮ আসন প্রাপ্তির মহালগ্নের পর নরেন্দ্র মোদি সরকারের এনআরসি, নাগরিকত্ব বিল ৩৭০ ধারা লোপ শিল্পবিলগ্নীকরণ ইত্যাদি সংস্কারী পদক্ষেপের প্রভাবে এই রাজ্যে সেটা বাড়ছে, না কিছুটা হলেও ফিকে হয়েছে তার জরিপ করার একটা উপায় হয়ে আসছে আজকের ফল।
শুধু কি তাই? করিমপুর কালিয়াগঞ্জের মতো মুসলিম ও দলিতপ্রধান এলাকায় মমতার উন্নয়নমুখী সহমর্মী ভাবমূর্তি সাধারণজনের মাঝে আজও অটুট আছে না হায়দরাবাদি ‘মিম’-এর প্ররোচনা তাতে ভাঙনের ইন্ধন জোগাতে শুরু করেছে—তারও একটা প্রাথমিক ইঙ্গিত ওই দুই কেন্দ্রের ফলে মিলতে পারে। একথা অনেকেই জানেন, সাম্প্রতিকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে সর্বভারতীয় মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (মিম) হয়ে আসাদউদ্দিন ওয়াইসি প্রচার চালিয়ে চলেছেন। হায়দরাবাদের এই সংসদ সদস্য ওয়াইসি এখন বাংলার রাজনৈতিক মহলে তথা সাধারণ জনমধ্যে বিশেষ আলোচিত। অনেক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞের ধারণা, ওয়াইসির দল আসন্ন বিধানসভায় মুসলিমপ্রধান আসনগুলিতে প্রার্থী দেবে এবং জিততে না পারলেও ভোট কেটে বিজেপির এগিয়ে যাওয়ার রাস্তা সহজতর করবে। রাজ্যে ৭০-৭৫ খানা এমন আসন আছে যেখানে ভোটফলের নির্ণায়ক হয়ে ওঠেন মুসলিম ভোটাররা। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওয়াইসির বিরুদ্ধে উস্কানিমূলকতার অভিযোগ এনে তোপ দেগেছেন। তবে, ২০২১ সালে ওয়াইসি তৃণমূলের পক্ষে কতটা বিপজ্জনক হয়ে উঠবেন বা তাঁর জন্য প্রধান প্রতিপক্ষ পদ্মশিবির কতটা সুবিধে পাবে তার হিসেব এখনই করা মুশকিল।
তার কারণ, এ রাজ্যে বিধানসভা ভোট এখনও বছর দূরে, তার মধ্যে গঙ্গার জল অনেক গড়াবে। এবং, তার চেয়েও বড় কথা এরাজ্যে বাম-কংগ্রেস এবার আগেভাগেই জোট করার কথা ঘোষণা করে দিয়েছে। বলা বাহুল্য, মুসলিম ও দলিত ভোটের একটা অংশ এখনও বাম-কংগ্রেসের ঘরে যায়। কট্টররা হয়তো ওয়াইসির কথায় প্রভাবিত হবে কিন্তু সাধারণ শান্তিপ্রিয় মুসলমান ভোটার ভিন রাজ্যের এক নেতার কথা কতটা আস্থাভরে মানবেন—তা নিয়ে সংশয় থেকেই যায়। বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতার উন্নয়নমূলক কাজকর্মের যে সুবিধা এরাজ্যের সংখ্যালঘুরা পেয়েছেন, পেয়ে চলেছেন, এত তাড়াতাড়ি সেসব বেমালুম ভুলে ওয়াইসির বক্তৃতায় প্রভাবিত হয়ে ভিন্ন সিদ্ধান্ত নেবেন—এমনটা কতদূর ঘটবে তা নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
তবু, সাবধানের মার নেই। কণ্টক যতই ক্ষুদ্র হোক তার বিদ্ধ করিবার ক্ষমতা থাকে— আর সে কাঁটা যদি বিষাক্ত হয় তাতে প্রাণসংশয়ও অস্বাভাবিক নয়। একথা মমতার মতো পোড়খাওয়া লড়াকু নেত্রী জানেন। সে জন্যই উন্নয়নে আরও আরও গতি আনতে তিনি ইতিমধ্যেই দিনরাত একাকার করে জেলাসফরে নেমে পড়েছেন। একের পর এক প্রশাসনিক বৈঠক করছেন। উন্নয়নকাজে গাফিলতি দেখলে রেয়াত করছেন না কাউকে। পাশাপাশি এনআরসির বিপদ মিম-এর বিপদ থেকে নানান কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের কুফল জনতাকে বোঝাচ্ছেন। তার কিছু ফল যে মিলতে শুরু করেছে—ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের প্রথম রিপোর্টে তার ইতিবাচক আভাস বেশ স্পষ্টভাবেই মিলেছে। রিপোর্ট নাকি বলছে, উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি জেলার অধিকাংশ সিটে মমতার তৃণমূল জমি ফিরে পেয়েছে, চা বাগান এলাকায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হটিয়ে জমি শক্ত করতে তৃণমূলের পুরনো কর্মকর্তাদের হটিয়ে পিকের সুপারিশ মতো নতুন কমিটি হয়েছে। গত ২৯ জুলাই থেকে চালু ‘দিদিকে বলো’ উদ্যোগেরও নাকি ফল বেশ ভালো। সব মিলিয়ে ১৮ আসনের ধাক্কাক্ষত খানিকটা হলেও মেরামত করা গেছে—এমনটাই বক্তব্য পিকের। পিকের এই ভাবনার সঙ্গে আজকের ভোটফল কতটা সঙ্গতিপূর্ণ হয়— সেটাও দেখার।
আসলে, উপনির্বাচন পুরনির্বাচন পঞ্চায়েত নির্বাচন আর লোকসভা বিধানসভা চরিত্রগতভাবে এক নয়। আকারে প্রকারে বড়ত্বেই শুধু নয়, লোকভাবনার দিক থেকেও ভিন্ন। লোকসভার কথা বাদ দিচ্ছি। বিধানসভায় মানুষ সরকারের বিগত কর্মকালের হিসেব করেই ভোটটা দেয়। সঙ্গে থাকে রাজনৈতিক পছন্দ। এর মধ্যে একটা অ্যান্টি-ইনকামবেন্সি ফ্যাক্টার থাকে ঠিকই, তবে নিতান্ত অন্ধবধির ছাড়া বাকি জনের কাছে সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচি রূপায়ণের বাস্তবতা ব্যাপ্তি ও সাফল্যও ভোট-বিবেচনার সময় বিশেষ গুরুত্ব পায়। এই রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতার উন্নয়নকামী ভাবমূর্তি এখনও রীতিমতো উজ্জ্বল। সেই ঔজ্জ্বল্য ছাপিয়ে পদ্মদল কতটা এতে পারে, ওয়াইসির মিম কতটা বাগড়া হয়ে দাঁড়াতে পারে—বলবে সময়। কিন্তু, আজ খড়্গপুর করিমপুর এবং কালিয়াগঞ্জ যে সেসবের একটা
ইঙ্গিত অন্তত দিয়ে যাবে—তাতে সন্দেহ নেই। আর সে জন্যই তো বঙ্গ জুড়ে পারদ চড়ছে কৌতূহলের। নয় কি?
28th  November, 2019
আগামী ভোটেও বিজেপির গলার কাঁটা এনআরসি
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

রাজ্যের তিন বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির বিপর্যয় বিশ্লেষণ করতে গিয়ে যখন ওই প্রার্থীদের পরাজয়ের ব্যাপারে সকলেই একবাক্যে এনআরসি ইস্যুকেই মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, তখনও বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এনআরসিতে অটল। তিন বিধানসভা কেন্দ্রের বিপর্যয়ের পর আবারও অমিত শাহ এনআরসি কার্যকর করবার হুংকার ছেড়েছেন।  
বিশদ

সিঁদুরে মেঘ ঝাড়খণ্ডেও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভারতের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে একটা কথা বেশ প্রচলিত... এদেশের ভোটাররা সাধারণত পছন্দের প্রার্থীকে নয়, অপছন্দের প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে থাকেন। ২০১৪ সালে যখন নরেন্দ্র মোদিকে নির্বাচনী মুখ করে বিজেপি আসরে নামল, সেটা একটা বড়সড় চমক ছিল। 
বিশদ

আচ্ছে দিন আনবে তুমি এমন শক্তিমান!
সন্দীপন বিশ্বাস

আমাদের সঙ্গে কলেজে পড়ত ঘন্টেশ্বর বর্ধন। ওর ঠাকুর্দারা ছিলেন জমিদার। আমরা শুনেছিলাম ওদের মাঠভরা শস্য, প্রচুর জমিজমা, পুকুরভরা মাছ, গোয়ালভরা গোরু, ধানভরা গোলা সবই ছিল। দেউড়িতে ঘণ্টা বাজত। ছিল দ্বাররক্ষী। কিন্তু এখন সে সবের নামগন্ধ নেই। ভাঙাচোরা বাড়ি আর একটা তালপুকুর ওদের জমিদারির সাক্ষ্য বহন করত। 
বিশদ

02nd  December, 2019
বিজেপির অহঙ্কারের পতন
হিমাংশু সিংহ

সবকিছুর একটা সীমা আছে। সেই সীমা অতিক্রম করলে অহঙ্কার আর দম্ভের পতন অনিবার্য। সভ্যতার ইতিহাস বারবার এই শিক্ষাই দিয়ে এসেছে। আজও দিচ্ছে। তবু ক্ষমতার চূড়ায় বসে অধিকাংশ শাসক ও তার সাঙ্গপাঙ্গ এই আপ্তবাক্যটা প্রায়শই ভুলে যায়।  বিশদ

01st  December, 2019
উপনির্বাচনের ফল ও বঙ্গ রাজনীতির অভিমুখ
তন্ময় মল্লিক

জনতা জনার্দন। ফের প্রমাণ হয়ে গেল। মাত্র মাস ছয়েক আগে লোকসভা নির্বাচনে ১৮টি আসন দখল করে গেরুয়া শিবির মনে করেছিল, গোটা রাজ্যটাকেই তারা দখল করে নিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদায় শুধু সময়ের অপেক্ষা। সেই বঙ্গেই তিন বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে একেবারে উল্টো হওয়া বইয়ে দিল মানুষ।
বিশদ

30th  November, 2019
ওভার কনফিডেন্স
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহের সব থেকে প্রিয় হবি হল পরিবর্তন। তাঁরা স্থিতাবস্থায় বিশ্বাস করেন না। তাঁরা বদলের বন্দনাকারী। পরিবর্তন কি খারাপ জিনিস? মোটেই নয়। বরং পরিবর্তনই তো সভ্যতার স্থাণু হয়ে না থেকে এগিয়ে চলার প্রতীক।   বিশদ

29th  November, 2019
পাওয়ারের শক্তিপরীক্ষা
শান্তনু দত্তগুপ্ত

এখন সত্যিই জানতে ইচ্ছে হচ্ছে, বালাসাহেব থ্যাকারে বেঁচে থাকলে কী করতেন! আগের রাতে শুনে ঘুমাতে গেলেন, শিবসেনার জোট সরকার হচ্ছে এবং ছেলে উদ্ধব সেখানে মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু পরদিন সাতসকালে ঘুম ভেঙে দেখলেন, দেবেন্দ্র ফড়নবিশ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে ফেলেছেন।
বিশদ

26th  November, 2019
মহারাষ্ট্রে টানটান সিরিয়ালের নায়ক কে
সন্দীপন বিশ্বাস

কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের অবসান হয়েছে। যুধিষ্টিরের অভিষেক পর্বও হয়ে গিয়েছে। রাজনীতি, রাজধর্ম নিয়ে শিক্ষা নিতে তিনি গেলেন শরশয্যায় শায়িত ভীষ্মের কাছে। ভীষ্ম তাঁকে সেদিন যে উপদেশ দিয়েছিলেন তা আদর্শ রাজধর্ম এবং রাজনীতি বলেই বিবেচিত হয়। কিন্তু আজকের যুগের স্বার্থসর্বস্ব রাজনীতি দেখলে মনে হয় এই রাজনীতি যেমন নীতির রাজা নয়, তেমনই রাজার নীতিও নয়। 
বিশদ

25th  November, 2019
নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে প্রতি মুহূর্তে সংঘাতে জড়িয়ে পড়া কি রাজভবনের দায়বদ্ধতা?
হিমাংশু সিংহ

 ভেবেছিলাম লিখব শুধু পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচিত সরকার ও রাজভবনের বিগত দু’মাসের অবাক করা ভূমিকা নিয়ে। কিন্তু শনিবার ভোর হতে না হতেই সুদূর মহারাষ্ট্রের রাজভবনের ‘সার্জিকাল স্ট্রাইক’ স্পষ্ট করে প্রমাণ করল, আজকের রাজ্যপালরা কেন্দ্রের শাসক দলের হাতের পুতুল ছাড়া আর কিছুই নন। বিশদ

24th  November, 2019
তিন বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন: মিলবে লোকসভা-উত্তর রাজ্য-রাজনীতির মতিগতি
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের পর রাজ্যে প্রথম তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণ আগামী ২৫ নভেম্বর,ফলাফল ২৮ নভেম্বর। খড়্গপুর সদর করিমপুর এবং কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলাফল থেকে বিবাদমান রাজ্য-রাজনীতির একাধিক প্রশ্নের উত্তর মিলতে পারে। 
বিশদ

23rd  November, 2019
ব্যাঙ্কের রাহুমুক্তি কবে? তাকিয়ে দেশের মানুষ
মৃণালকান্তি দাস

 সাম্প্রতিক কালে দেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্কে একের পর এক প্রতারণার অভিযোগ সামনে আসার পরে অস্বস্তি বেড়েছে মোদি সরকারের। সেই অস্বস্তি আরও কয়েক দফা বাড়িয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বার্ষিক রিপোর্ট জানিয়েছে, গত অর্থবর্ষে বিভিন্ন ব্যাঙ্কে প্রতারণা-জালিয়াতির ঘটনা বেড়েছে আরও অনেকখানি। প্রায় ১৫ শতাংশ। শুধু তাই নয়, প্রতারণা সবচেয়ে বেশি হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতেই। জানা গিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ছ’মাসে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতে ৯৫,৭০০ কোটি টাকার বেশি প্রতারণা হয়েছে। এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতারণার ঘটনা ছুঁয়েছে ৫,৭৪৩টি। সম্প্রতি এই কথা জানিয়েছেন খোদ অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। যেখানে তার আগের বছর ২,৮৮৫টি ঘটনায় নয়ছয়ের অঙ্ক ছিল ৩৮,২৬০ কোটি। প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, কেন্দ্র বার বার নজরদারিতে জোর দেওয়ার কথা বললেও, প্রতারণা এতখানি বাড়ছে কী করে? কে বা কারা করছে এই প্রতারণা?
বিশদ

22nd  November, 2019
তিন বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন: মিলবে লোকসভা-উত্তর রাজ্য-রাজনীতির মতিগতি
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

 ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের পর রাজ্যে প্রথম তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণ আগামী ২৫ নভেম্বর,ফলাফল ২৮ নভেম্বর। খড়্গপুর সদর করিমপুর এবং কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলাফল থেকে বিবাদমান রাজ্য-রাজনীতির একাধিক প্রশ্নের উত্তর মিলতে পারে। বিশদ

21st  November, 2019
একনজরে
 নয়াদিল্লি, ২ ডিসেম্বর (পিটিআই): কমিশন এজেন্টের কাছ থেকে ১০০ টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে ডাক বিভাগের সংশ্লিষ্ট অফিসারদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। ঘটনাটি উত্তপ্রদেশের প্রতাপগড় জেলার কুন্দা সাব পোস্ট অফিসের। ...

 ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে যেসব সংস্থার শেয়ার গতকাল লেনদেন হয়েছে শুধু সেগুলির বাজার বন্ধকালীন দরই নীচে দেওয়া হল। ...

সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর: কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ্যভাতা, সংশোধিত বেতনক্রম চালু সহ মোট ৯ দফা দাবিতে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সদস্যরা সোমবার বাঁকুড়া জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসে অবস্থান ও প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করেন। এদিন সকাল ১০টা থেকে অফিসের সামনে শিক্ষকরা ধর্নায় বসেন। ...

সংবাদদাতা, গাজোল: শীত এখনও সেভাবে না পড়লেও মাল্টার জন্য এখন থেকেই অপেক্ষা শুরু হয়ে গিয়েছে মালদহে। অনেকটা কমলালেবুর মতোই দেখতে এই ফল বিগত দুয়েকবছর ধরে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব এইডস দিবস
১৯৪১: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আক্রমণে চূড়ান্ত অনুমোদন দিলেন জাপানের সম্রাট হিরোহিতো
১৯৫৪: সমাজকর্মী মেধা পাটেকরের জন্ম
১৯৬৩: ভারতের ১৬তম রাজ্য হিসাবে ঘোষিত হল নাগাল্যাণ্ড
১৯৬৫: প্রতিষ্ঠিত হল বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)
১৯৭৪: স্বাধীনতা সংগ্রামী সুচেতা কৃপালিনীর মৃত্যু
১৯৮০: ক্রিকেটার মহম্মদ কাইফের জন্ম
১৯৯৭: বিহারের লক্ষ্মণপুর-বাথে অঞ্চলে ৬৩জন নিম্নবর্গীয়কে খুন করল রণবীর সেনা
১৯৯৯: গায়ক শান্তিদেব ঘোষের মৃত্যু

01st  December, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৯৪ টাকা ৭২.৬৫ টাকা
পাউন্ড ৯১.০৫ টাকা ৯৪.৩৪ টাকা
ইউরো ৭৭.৬১ টাকা ৮০.৬১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৪৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৫১০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,০৬০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৪,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৪,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৬ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ৩ ডিসেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, সপ্তমী ৪২/৫৩ রাত্রি ১১/১৪। ধনিষ্ঠা ২০/২৯ দিবা ২/১৭। সূ উ ৬/৪/৫৩, অ ৪/৪৭/২৯, অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে পুনঃ ৭/২৯ গতে ১১/৪ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৭ গতে ৮/২০ মধ্যে পুনঃ ৯/১৩ গতে ১১/৫২ মধ্যে পুনঃ ১/৩৯ গতে ৩/২৫ মধ্যে পুনঃ ৫/৫২ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৭/২৫ গতে ৮/৪৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ২/৭ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৬ মধ্যে। 
১৬ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ৩ ডিসেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, সপ্তমী ৪২/৪৮/৩২ রাত্রি ১১/১৩/৪৯। ধনিষ্ঠা ২২/৪৯/২৩ দিবা ৩/১৪/৯, সূ উ ৬/৬/২৪, অ ৪/৪৭/৫২, অমৃতযোগ দিবা ৭/০ মধ্যে ও ৭/৪২ গতে ১১/১৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৮/২৬ মধ্যে ও ৯/২০ গতে ১২/১ মধ্যে ও ১/৪৯ গতে ৩/৩৬ মধ্যে ও ৫/২৪ গতে ৬/৭ মধ্যে, কালবেলা ১২/৪৭/১৯ গতে ২/৭/৩০ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৭/৪১ গতে ৮/৭/৩০ মধ্যে। 
৫ রবিয়স সানি  

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। বৃষ: বন্ধুস্থানীয় কোনও ব্যক্তির সাহায্যে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস১৮৮২: চিত্রশিল্পী নন্দলাল বসুর জন্ম১৮৮৯: বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর ...বিশদ

07:03:20 PM

শহরে এটিএম জালিয়াতি, আরও ১৪টি অভিযোগ দায়ের 
যাদবপুরের পর এবার চারু মার্কেট থানা এলাকা। শহরে ফের জাঁকিয়ে ...বিশদ

05:13:00 PM

বাংলায় এনআরসি হবে না, ধর্মের ভিত্তিতে ভাগাভাগি করা যাবে না: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 

04:06:10 PM

বুলবুল: রাজ্যকে আর্থিক সাহায্য পাঠাল কেন্দ্র
বুলবুল-এ ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য হিসাবে পশ্চিমবঙ্গকে আর্থিক সাহায্য পাঠাল কেন্দ্র। রাজ্যকে ...বিশদ

03:42:00 PM

আগামী ২ দিন বসবে না বিধানসভা অধিবেশন
রাজভবনে আটকে রয়েছে বিল । সেখান থেকে বিল না আসায় ...বিশদ

03:36:00 PM