Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মহারাষ্ট্রে টানটান সিরিয়ালের নায়ক কে
সন্দীপন বিশ্বাস

কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের অবসান হয়েছে। যুধিষ্টিরের অভিষেক পর্বও হয়ে গিয়েছে। রাজনীতি, রাজধর্ম নিয়ে শিক্ষা নিতে তিনি গেলেন শরশয্যায় শায়িত ভীষ্মের কাছে। ভীষ্ম তাঁকে সেদিন যে উপদেশ দিয়েছিলেন তা আদর্শ রাজধর্ম এবং রাজনীতি বলেই বিবেচিত হয়। কিন্তু আজকের যুগের স্বার্থসর্বস্ব রাজনীতি দেখলে মনে হয় এই রাজনীতি যেমন নীতির রাজা নয়, তেমনই রাজার নীতিও নয়। রামায়ণে মেঘনাদ বধের সময় লক্ষ্মণ যেমন সমস্ত রণনীতি বিসর্জন দিয়ে বলেছিলেন, ‘মারি অরি পারি যে কৌশলে’। রামায়ণের সেই অপনীতিকেই শিরোধার্য করে আজকের রাজনীতিকরা যেন বলেন, ‘কর ক্ষমতা দখল, হোক সে যতই হীন কৌশল’।
এসব কথার পরিপ্রেক্ষিত যে অবশ্যই মহারাষ্ট্রের সাম্প্রতিক ঘটনা, তা নিশ্চয় বুদ্ধিমান পাঠককে বুঝিয়ে বলতে হবে না। মধ্যরাতে সেখানে চমক। একমাস ধরে চলা টানটান সিরিয়ালের ক্লাইম্যাক্স এবং কুর্সিদখল আমরা দেখলাম। এই ঘটনা মহারাষ্ট্র সহ দেশের মানুষকে আরও একবার বুঝিয়ে দিল রাজনীতিকদের কাছে ক্ষমতা দখলই আসল মধু। নীতির কথা বলে যখন দলনেতারা ভোটভিক্ষা করেন, সেটা তাঁদের মুখোশ আর মাঝরাতের কুনাট্যটাই আসল সত্যি। ভোর হওয়ার আগেই সাঙ্গ কর খেলা। দখল কর কুর্সি। রাতের অন্ধকারেই হোক ক্ষমতা দখলের গেরিলাযুদ্ধ। হাঃ হাঃ হাঃ। যাত্রাপালা হলে শহপগ্রহণের পর এমনই হতে পারত দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সংলাপ।
একমাসের টানটান সিরিয়াল বৈকি! অথচ একমাস আগে যখন হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্রের ফল প্রকাশিত হল, দেখা গেল বিজেপি এককভাবে কোথাও ক্ষমতাদখলের মতো জায়গায় নেই। অনেকেই মনে করেছিলেন, মহারাষ্ট্রে বিজেপি-শিবসেনার সরকার হবে। কেননা সেখানে ঘোষিত জোট। সঙ্কটের কোনও প্রশ্নই নেই। বরং মাথাব্যথার কারণ হতে পারে হরিয়ানা। কিন্তু সেখানে সঙ্কট তৈরি হল না। অমিত শাহের সুপার ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে গেলেন জননায়ক জনতা পার্টির নেতা দুষ্যন্ত চৌতালা। দশটি আসনে জয়ী হয়ে তিনি বিজেপিকে সরকার গড়তে সাহায্য করলেন এবং নিজে উপ মুখ্যমন্ত্রী হয়ে গেলেন। উল্টোদিকে মহারাষ্ট্রে খুব সহজেই সরকার গড়া হয়ে যাবে বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু ফল ঘোষণার পর রাত পোহাতেই বেঁকে বসল শিবসেনা। তারা দাবি করল। আমরা আধাআধি ভাগ চাই। আড়াই বছর মুখ্যমন্ত্রী হবেন বিজেপির কেউ। আর বাকি আড়াই বছর মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি থাকবে শিবসেনার হাতে। নরমসরম রাজনীতিক উদ্ধব হঠাৎই ছেলেকে মুখ্যমন্ত্রী করার জন্য নাছোড় হয়ে উঠলেন। শিবসেনা প্রধান উদ্ধব থ্যাকারেকে যাঁরা চেনেন, তাঁরা জানেন তিনি এতটা আগ্রাসী নন। হঠাৎ কী এমন হল যে তিনি এমন মরিয়া হয়ে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি দখলের জন্য। শিবসেনার অন্দরের খবর যাঁরা রাখেন, তাঁদের ঝুলিতে আছে অনেক গোপন কথা। সেসব ছড়াচ্ছে মহারাষ্ট্রের অলিতে গলিতে। ফলপ্রকাশের পরই হঠাৎ সক্রিয় হয়ে ওঠেন উদ্ধব থ্যাকারের স্ত্রী রশ্মি থ্যাকারে। তিনিও দীর্ঘদিন রাজনীতিকে অনেক কাছ থেকে দেখেছেন। একটা সময় শিবসেনায় সঙ্কট তৈরি হয়েছিল। বালাসাহেব-পরবর্তী সময়ে দলের নিয়ন্ত্রণ কার দিকে যাবে? ছেলে উদ্ধব, নাকি ভাইপো রাজ? রাজ অনেক বেশি রাজনীতি সচেতন। দলের কর্মীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতাও বেশি। আর উদ্ধবের রাজনীতিতে তেমন মন নেই জাঙ্গল ফোটোগ্রাফি করে বেড়ান। বিভিন্ন দুর্গে ঘুরে ঘুরে ছবি তোলেন। সেটাই তাঁর ভালোলাগার জগৎ। কিন্তু রশ্মি সেদিন প্রভাব খাটিয়ে দলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এলেন উদ্ধবের দিকে। শিবসেনা ভাঙল। রাজ থ্যাকারে নতুন দল গড়লেন। রশ্মি একজন রাজনীতিক হিসেবে গড়ে তুলতে লাগলেন উদ্ধবকে। বালাসাহেবের অনুগতদের বেরতে দিলেন না রাজের দিকে। নিজে আড়ালেই থেকে গেলেন। কিন্তু শিবসেনার সকলেই জানেন আড়ালে থাকলেও তিনি দলের একজন বড় নীতিনির্ধারক। রাজনীতির অনেক ক্ষেত্রেই লক্ষ্য করা গিয়েছে তাঁর অনায়াস পদক্ষেপ। দলের সবাই তাঁকে ডাকেন ‘বহিনি-সাহিব’ বলে। কিন্তু আসলে তিনি দ্বিতীয় ‘মা-সাহিব’। প্রথম মা ছিলেন বাল থ্যাকারের স্ত্রী মীনা থ্যাকারে। আর এখন তিনিই দ্বিতীয় মা। বহুক্ষেত্রেই দল তাঁর নীতি অনুসরণ করে চলে। ফলপ্রকাশের পর থেকেই দলের সমস্ত রাশ তাঁর হাতেই। তিনিই ঠিক করছেন কী হবে, কার সঙ্গে দল কথা বলতে হবে ইত্যাদি। তিনিই প্রথম আড়াই বছর করে ক্ষমতা দখলের কথা বলেন। বিজেপি তা অস্বীকার করলে রশ্মিই ঠিক করেন, পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতায় বসবেন তাঁর স্বামী উদ্ধব থ্যাকারে। এর জন্য যে সংখ্যার দরকার, তা নেওয়া হবে কংগ্রেস ও এনসিপির কাছ থেকে। দলের সকলকে বলে দেওয়া হল, প্রেসের কাছে কেউ মুখ খুলবেন না। যা বলার একা সঞ্জয় রাউতই বলবেন। সঞ্জয় দলের খুবই বিশ্বস্ত, অনুগত। ঘটনার দু’দিন আগে মাত্র তাঁর অ্যাঞ্জিওপ্ল্যস্টি হয়েছিল। সেই অবস্থায় দলের নির্দেশে নেমে পড়লেন তিনি। কেন্দ্রে বিজেপি মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করলেন শিবসেনার অরবিন্দ সাওয়ান্ত। রশ্মির কাছে এটা ছিল ‘নাউ অর নেভার’। তিনি বুঝেছিলেন মহারাষ্ট্রে বিজেপিকে ধাক্কা দিয়ে ক্ষমতা দখল করে শিবসেনার এক নম্বর হয়ে ওঠার এটাই মোক্ষম সময়।
শুরু হয়ে গেল সরকার গড়ার নানা নাটক। দু’পক্ষই তৎপর হল। কিছু খেলা চলল প্রকাশ্যে, আবার কিছু খেলা চলল গোপনে। সাধারণ মানুষ তার কিছুটা জানতে পারল আর কিছুটা জানতে পারল না। কিন্তু যেভাবে কুর্সি দখল নিয়ে গেম চলতে লাগল, তাতে ভোটাররা কার্যতই অসন্তুষ্ট। বিভিন্ন দলের মধ্যে আলোচনা যেটুকু চলতে লাগল, সবটাই দলীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখে। মানুষ যে সমীকরণ দেখে ভোট দিয়েছিলেন। ভোটের পর সেই সমীকরণ বজায় রাখার ইচ্ছে বা মানসিকতা কারও দেখা গেল না। পক্ষের ভোট এবং বিরোধী ভোট জট পাকিয়ে ফায়দা তুলে ক্ষমতা দখলের সেই পুরনো খেলা চলতেই লাগল। যাঁরা পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন, তাঁরা অপমানিত হলেন। যাঁরা বিপক্ষে ভোট দিয়েছিলেন, তাঁরাও অপমানিত হলেন। অথচ কী আশ্চর্যের কথা, এসব মান-অপমান, অভিমানের হিসেব কষার সময় রাজনীতিকদের নেই।
আমরা দেখছি ঘটা করে শিবসেনা, কংগ্রেস, এনসিপি আলোচনার পর আলোচনা করেই চলেছে। যাঁরা মাছ ধরেন তাঁরা বলেন, বড়সড় মাছকে বেশি ছিপে খেলাতে যেও না। কখন যে ছিপ ছিঁড়ে পালিয়ে যাবে, কেউ জানতেও পারবে না। মহারাষ্ট্রেও সেটাই হল। শারদ পাওয়ারকে যাঁরা চেনেন, তাঁরা অনেক আগেই শিবসেনাকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন। কিন্তু বিজেপির দিকে হাতের তির ছুঁড়ে দেওয়ার পর শিবসেনার আর কিছুই করার ছিল না। সে নিজেই ক্রীড়নক হয়ে গিয়েছিল। অনেকেরই মনে আছে দিন কয়েক আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শারদ পাওয়ারের বৈঠকের কথা। মুখোমুখি শুধু দু’জন। পাওয়ারের দলের মাস্টার স্ট্রোক মারার কথাটা রটেছিল সেদিন থেকেই। কেননা সেদিন সেই মিটিং থেকে বেরিয়ে পাওয়ার বলেছিলেন, ‘আমাদের আলোচনা হয়েছে কৃষি সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে।’ আশ্চর্য, এমন একটা মিটিং হল, অথচ সেখানে পাওয়ারের দলের কেউ নেই। মোদির সঙ্গেও কেউ ছিলেন না। এমনকী কৃষি নিয়ে আলোচনায় ডাকা হয়নি দেশের কৃষিমন্ত্রীকেও। অনেকেরই ভ্রু কুঁচকে গিয়েছিল। কেননা পাওয়ার রাজনীতিতে এমন এক ব্যক্তিত্ব যিনি কখন যে কী বল করবেন, কেউই জানেন না। তার আগে সংসদের অধিবেশনের শুরুতে মোদি উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করলেন দুটি দলের। নবীনের বিজেডির এবং শারদের এনসিপি’র। এমনও হতে পারে যে তখন গোপনে বিজেপি শিবিরের সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং অন্যদিকে মিটিংয়ের পর মিটিং চলছে শিবসেনার সঙ্গে। এসব কি তবে সময় নষ্টের খেলা ছিল?
এর মধ্যে উঠে আসছে অনেক অজানা তথ্য। রামদাস আটওয়ালে ইতিমধ্যেই শারদ পাওয়ারের দিকে একটা টোপ ছুঁড়ে দিয়েছেন। বলেছেন, ‘এনডিএতে আসুন। অনেক উপহার আপনার জন্য অপেক্ষা করছে।’ অনেকে কানাঘুষো করে বলছেন, আগামীদিনে পাওয়ার-কন্যা সুপ্রিয়া সুলে যদি কেন্দ্রে মন্ত্রী হয়ে যান, তাহলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। ভিতরে ভিতরে নাকি খেলা সেদিকেই এগচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন, এই খেলায় অজিত পাওয়ার নাকি বোড়ে। আসল খেলা পাওয়ারেরই হতে পারে। বহুযুদ্ধের, বহু ওলোটপালোটের ঘোড়া হলেন পাওয়ার। অজিত রাতারাতি ডিগবাজি খেলেন আর পাওয়ার তার কিছু জানতে পারলেন না, এটা মোটেই বিশ্বাসযোগ্য নয়। মহারাষ্ট্রে কোন গাছের পাতা কখন পড়ল, তার খবরও চলে আসে পাওয়ারের কাছে। আর এমন অতর্কিত চালে পাশা উলটে দেওয়ার ইতিহাস পাওয়ারের আছেই। সেটা ১৯৭৮ সাল। তখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বসন্তদাদা পাতিল। উপমুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নাসিকরাও তিরপুরে। আর এই সরকারের মন্ত্রিসভায় শ্রমমন্ত্রী ছিলেন শারদ পাওয়ার। কাকপক্ষী টেরও পেল না, একদিন হঠাৎ করে দান পালটে সরকার ফেলে পাওয়ার হয়ে গেলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। অনেকেই বলছেন, এখন সেই খেলাই পাওয়ার ভাইপোকে দিয়ে খেললেন নাতো!
এই পুরো সিরিয়ালের নায়ক কে তা অবশ্য জানা গেল না! তবে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে হেরে গেলেও আশা ছাড়ছেন না রশ্মি থ্যাকারে। তিনি অপেক্ষায় থাকছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, পাঁচ বছর অনেকটাই সময়। এর মধ্যে ফের পাশার দান উল্টে যেতে পারে। উদ্ধবকে মহারাষ্ট্রের কুর্সিতে বসানোর পণ করেছেন তিনি। বলেছেন, ‘শেষ পর্যন্ত যাব’।
অনেকেই বলেন, অমিত শাহের বিরুদ্ধে খেলতে যেও না। কূটনীতি এবং পাওয়ার পলিটিক্সে তাঁকে হারানো খুব শক্ত। মহারাষ্ট্র জয় করে তিনি সেটা আবার সবাইকে বুঝিয়ে দিলেন। তবে মহারাষ্ট্রে বিজেপিকে এবার অনেক বেশি সতর্ক হয়ে খেলতে হবে। কেননা খেলাটা এখন সেয়ানে সেয়ানে। বিজেপির একটা ভুল পদক্ষেপ ফের বাজি উল্টে দিতে পারে। অজিত পাওয়ারের জেলে ঢোকানোর হুঙ্কার বাস্তবে ঘটবে কি না, তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আমাদের। আর পাওয়ার সবকিছুর আড়ালে থেকে হয়তো বলবেন, খেলো খেলো আই অ্যাম ওয়াচিং। 
25th  November, 2019
আগামী ভোটেও বিজেপির গলার কাঁটা এনআরসি
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

রাজ্যের তিন বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির বিপর্যয় বিশ্লেষণ করতে গিয়ে যখন ওই প্রার্থীদের পরাজয়ের ব্যাপারে সকলেই একবাক্যে এনআরসি ইস্যুকেই মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, তখনও বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এনআরসিতে অটল। তিন বিধানসভা কেন্দ্রের বিপর্যয়ের পর আবারও অমিত শাহ এনআরসি কার্যকর করবার হুংকার ছেড়েছেন।  
বিশদ

সিঁদুরে মেঘ ঝাড়খণ্ডেও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভারতের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে একটা কথা বেশ প্রচলিত... এদেশের ভোটাররা সাধারণত পছন্দের প্রার্থীকে নয়, অপছন্দের প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে থাকেন। ২০১৪ সালে যখন নরেন্দ্র মোদিকে নির্বাচনী মুখ করে বিজেপি আসরে নামল, সেটা একটা বড়সড় চমক ছিল। 
বিশদ

আচ্ছে দিন আনবে তুমি এমন শক্তিমান!
সন্দীপন বিশ্বাস

আমাদের সঙ্গে কলেজে পড়ত ঘন্টেশ্বর বর্ধন। ওর ঠাকুর্দারা ছিলেন জমিদার। আমরা শুনেছিলাম ওদের মাঠভরা শস্য, প্রচুর জমিজমা, পুকুরভরা মাছ, গোয়ালভরা গোরু, ধানভরা গোলা সবই ছিল। দেউড়িতে ঘণ্টা বাজত। ছিল দ্বাররক্ষী। কিন্তু এখন সে সবের নামগন্ধ নেই। ভাঙাচোরা বাড়ি আর একটা তালপুকুর ওদের জমিদারির সাক্ষ্য বহন করত। 
বিশদ

02nd  December, 2019
বিজেপির অহঙ্কারের পতন
হিমাংশু সিংহ

সবকিছুর একটা সীমা আছে। সেই সীমা অতিক্রম করলে অহঙ্কার আর দম্ভের পতন অনিবার্য। সভ্যতার ইতিহাস বারবার এই শিক্ষাই দিয়ে এসেছে। আজও দিচ্ছে। তবু ক্ষমতার চূড়ায় বসে অধিকাংশ শাসক ও তার সাঙ্গপাঙ্গ এই আপ্তবাক্যটা প্রায়শই ভুলে যায়।  বিশদ

01st  December, 2019
উপনির্বাচনের ফল ও বঙ্গ রাজনীতির অভিমুখ
তন্ময় মল্লিক

জনতা জনার্দন। ফের প্রমাণ হয়ে গেল। মাত্র মাস ছয়েক আগে লোকসভা নির্বাচনে ১৮টি আসন দখল করে গেরুয়া শিবির মনে করেছিল, গোটা রাজ্যটাকেই তারা দখল করে নিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদায় শুধু সময়ের অপেক্ষা। সেই বঙ্গেই তিন বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে একেবারে উল্টো হওয়া বইয়ে দিল মানুষ।
বিশদ

30th  November, 2019
ওভার কনফিডেন্স
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহের সব থেকে প্রিয় হবি হল পরিবর্তন। তাঁরা স্থিতাবস্থায় বিশ্বাস করেন না। তাঁরা বদলের বন্দনাকারী। পরিবর্তন কি খারাপ জিনিস? মোটেই নয়। বরং পরিবর্তনই তো সভ্যতার স্থাণু হয়ে না থেকে এগিয়ে চলার প্রতীক।   বিশদ

29th  November, 2019
উপনির্বাচনী ফল: বঙ্গজুড়ে পারদ চড়ছে কৌতূহলের
মেরুনীল দাশগুপ্ত

আজ রাজ্যের তিন বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনী ফল বেরচ্ছে। কথায় বলে, ফলেই পরিচয়। ফলেন পরিচীয়তে। আজ সেই ফলের জন্য উদ্‌গ্রীব বাংলা, বাংলার রাজনৈতিকমহল। নানান জনের নানা প্রত্যাশা চতুর্দিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অবশ্য সেজন্য আসমুদ্রহিমাচল বাংলা টানটান উত্তেজনায় কাঁপছে বললে হয়তো অত্যুক্তি হবে। বিশদ

28th  November, 2019
পাওয়ারের শক্তিপরীক্ষা
শান্তনু দত্তগুপ্ত

এখন সত্যিই জানতে ইচ্ছে হচ্ছে, বালাসাহেব থ্যাকারে বেঁচে থাকলে কী করতেন! আগের রাতে শুনে ঘুমাতে গেলেন, শিবসেনার জোট সরকার হচ্ছে এবং ছেলে উদ্ধব সেখানে মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু পরদিন সাতসকালে ঘুম ভেঙে দেখলেন, দেবেন্দ্র ফড়নবিশ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে ফেলেছেন।
বিশদ

26th  November, 2019
নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে প্রতি মুহূর্তে সংঘাতে জড়িয়ে পড়া কি রাজভবনের দায়বদ্ধতা?
হিমাংশু সিংহ

 ভেবেছিলাম লিখব শুধু পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচিত সরকার ও রাজভবনের বিগত দু’মাসের অবাক করা ভূমিকা নিয়ে। কিন্তু শনিবার ভোর হতে না হতেই সুদূর মহারাষ্ট্রের রাজভবনের ‘সার্জিকাল স্ট্রাইক’ স্পষ্ট করে প্রমাণ করল, আজকের রাজ্যপালরা কেন্দ্রের শাসক দলের হাতের পুতুল ছাড়া আর কিছুই নন। বিশদ

24th  November, 2019
তিন বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন: মিলবে লোকসভা-উত্তর রাজ্য-রাজনীতির মতিগতি
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের পর রাজ্যে প্রথম তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণ আগামী ২৫ নভেম্বর,ফলাফল ২৮ নভেম্বর। খড়্গপুর সদর করিমপুর এবং কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলাফল থেকে বিবাদমান রাজ্য-রাজনীতির একাধিক প্রশ্নের উত্তর মিলতে পারে। 
বিশদ

23rd  November, 2019
ব্যাঙ্কের রাহুমুক্তি কবে? তাকিয়ে দেশের মানুষ
মৃণালকান্তি দাস

 সাম্প্রতিক কালে দেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্কে একের পর এক প্রতারণার অভিযোগ সামনে আসার পরে অস্বস্তি বেড়েছে মোদি সরকারের। সেই অস্বস্তি আরও কয়েক দফা বাড়িয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বার্ষিক রিপোর্ট জানিয়েছে, গত অর্থবর্ষে বিভিন্ন ব্যাঙ্কে প্রতারণা-জালিয়াতির ঘটনা বেড়েছে আরও অনেকখানি। প্রায় ১৫ শতাংশ। শুধু তাই নয়, প্রতারণা সবচেয়ে বেশি হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতেই। জানা গিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ছ’মাসে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতে ৯৫,৭০০ কোটি টাকার বেশি প্রতারণা হয়েছে। এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতারণার ঘটনা ছুঁয়েছে ৫,৭৪৩টি। সম্প্রতি এই কথা জানিয়েছেন খোদ অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। যেখানে তার আগের বছর ২,৮৮৫টি ঘটনায় নয়ছয়ের অঙ্ক ছিল ৩৮,২৬০ কোটি। প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, কেন্দ্র বার বার নজরদারিতে জোর দেওয়ার কথা বললেও, প্রতারণা এতখানি বাড়ছে কী করে? কে বা কারা করছে এই প্রতারণা?
বিশদ

22nd  November, 2019
তিন বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন: মিলবে লোকসভা-উত্তর রাজ্য-রাজনীতির মতিগতি
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

 ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের পর রাজ্যে প্রথম তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণ আগামী ২৫ নভেম্বর,ফলাফল ২৮ নভেম্বর। খড়্গপুর সদর করিমপুর এবং কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলাফল থেকে বিবাদমান রাজ্য-রাজনীতির একাধিক প্রশ্নের উত্তর মিলতে পারে। বিশদ

21st  November, 2019
একনজরে
 নয়াদিল্লি, ২ ডিসেম্বর (পিটিআই): পশ্চিম জর্ডনের খামারে একটি অস্থায়ী ধাতব বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আট শিশু সহ ১৩ জন পাকিস্তানির মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর জখম হয়েছে তিনজন। উদ্ধারকারীদের পক্ষে জানানো হয়েছে যে, এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ শোনার (পশ্চিম আম্মান থেকে ৫০ ...

সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর: কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ্যভাতা, সংশোধিত বেতনক্রম চালু সহ মোট ৯ দফা দাবিতে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সদস্যরা সোমবার বাঁকুড়া জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসে অবস্থান ও প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করেন। এদিন সকাল ১০টা থেকে অফিসের সামনে শিক্ষকরা ধর্নায় বসেন। ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র চালানোর খরচের ৯০ শতাংশ আগে কেন্দ্রীয় সরকার দিত। এখন দিচ্ছে ৪০ শতাংশ। ফলে রাজ্য সরকারকে দিতে হচ্ছে বাকি ৬০ শতাংশ টাকা। পরিস্থিতি এরকম হলেও রাজ্য সরকার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি চালিয়ে যাবে বলে সোমবার বিধানসভায় জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ...

সংবাদদাতা, কুমারগ্রাম: উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর আলিপুরদুয়ার শহরের ইন্ডোর স্টেডিয়ামের পাশে অত্যাধুনিক ব্যায়ামাগার তৈরির কাজ শুরু করছে। এই কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এটির কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে আলিপুরদুয়ার জেলা ক্রীড়া সংস্থার হাতে তা তুলে দেওয়া হবে।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব এইডস দিবস
১৯৪১: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আক্রমণে চূড়ান্ত অনুমোদন দিলেন জাপানের সম্রাট হিরোহিতো
১৯৫৪: সমাজকর্মী মেধা পাটেকরের জন্ম
১৯৬৩: ভারতের ১৬তম রাজ্য হিসাবে ঘোষিত হল নাগাল্যাণ্ড
১৯৬৫: প্রতিষ্ঠিত হল বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)
১৯৭৪: স্বাধীনতা সংগ্রামী সুচেতা কৃপালিনীর মৃত্যু
১৯৮০: ক্রিকেটার মহম্মদ কাইফের জন্ম
১৯৯৭: বিহারের লক্ষ্মণপুর-বাথে অঞ্চলে ৬৩জন নিম্নবর্গীয়কে খুন করল রণবীর সেনা
১৯৯৯: গায়ক শান্তিদেব ঘোষের মৃত্যু

01st  December, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৯৪ টাকা ৭২.৬৫ টাকা
পাউন্ড ৯১.০৫ টাকা ৯৪.৩৪ টাকা
ইউরো ৭৭.৬১ টাকা ৮০.৬১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৪৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৫১০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,০৬০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৪,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৪,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৬ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ৩ ডিসেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, সপ্তমী ৪২/৫৩ রাত্রি ১১/১৪। ধনিষ্ঠা ২০/২৯ দিবা ২/১৭। সূ উ ৬/৪/৫৩, অ ৪/৪৭/২৯, অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে পুনঃ ৭/২৯ গতে ১১/৪ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৭ গতে ৮/২০ মধ্যে পুনঃ ৯/১৩ গতে ১১/৫২ মধ্যে পুনঃ ১/৩৯ গতে ৩/২৫ মধ্যে পুনঃ ৫/৫২ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৭/২৫ গতে ৮/৪৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ২/৭ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৬ মধ্যে। 
১৬ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ৩ ডিসেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, সপ্তমী ৪২/৪৮/৩২ রাত্রি ১১/১৩/৪৯। ধনিষ্ঠা ২২/৪৯/২৩ দিবা ৩/১৪/৯, সূ উ ৬/৬/২৪, অ ৪/৪৭/৫২, অমৃতযোগ দিবা ৭/০ মধ্যে ও ৭/৪২ গতে ১১/১৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৮/২৬ মধ্যে ও ৯/২০ গতে ১২/১ মধ্যে ও ১/৪৯ গতে ৩/৩৬ মধ্যে ও ৫/২৪ গতে ৬/৭ মধ্যে, কালবেলা ১২/৪৭/১৯ গতে ২/৭/৩০ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৭/৪১ গতে ৮/৭/৩০ মধ্যে। 
৫ রবিয়স সানি  

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। বৃষ: বন্ধুস্থানীয় কোনও ব্যক্তির সাহায্যে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস১৮৮২: চিত্রশিল্পী নন্দলাল বসুর জন্ম১৮৮৯: বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর ...বিশদ

07:03:20 PM

শহরে এটিএম জালিয়াতি, আরও ১৪টি অভিযোগ দায়ের 
যাদবপুরের পর এবার চারু মার্কেট থানা এলাকা। শহরে ফের জাঁকিয়ে ...বিশদ

05:13:00 PM

বাংলায় এনআরসি হবে না, ধর্মের ভিত্তিতে ভাগাভাগি করা যাবে না: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 

04:06:10 PM

বুলবুল: রাজ্যকে আর্থিক সাহায্য পাঠাল কেন্দ্র
বুলবুল-এ ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য হিসাবে পশ্চিমবঙ্গকে আর্থিক সাহায্য পাঠাল কেন্দ্র। রাজ্যকে ...বিশদ

03:42:00 PM

আগামী ২ দিন বসবে না বিধানসভা অধিবেশন
রাজভবনে আটকে রয়েছে বিল । সেখান থেকে বিল না আসায় ...বিশদ

03:36:00 PM