Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ব্যাঙ্কের রাহুমুক্তি কবে? তাকিয়ে দেশের মানুষ
মৃণালকান্তি দাস

নীরব মোদির প্রতারণাকাণ্ড ফিকে হয়নি। পিএনবিতে নীরবের জালিয়াতির অঙ্ক ছিল প্রায় ১৩ হাজার কোটিরও বেশি। ভুয়ো লেটার অব আন্ডারটেকিং ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছিল ওই হিরে ব্যবসায়ীর সংস্থা। প্রতারণা কাণ্ডে নীরবের মামা মেহুল চোকসিও সঙ্গী হয়েছিলেন। এই মুহূর্তে নীরব লন্ডনের জেলে বন্দি। আর মেহুল নাগরিকত্ব নিয়েছেন অ্যান্টিগায়। এখনও উদ্ধার করা যায়নি সেই বিপুল টাকা। তার দেড় বছরের মাথায় জানা গেল আরও এক ঋণ জালিয়াতির ঘটনা। জানা গেল, নতুন ঋণ জালিয়াতির শিকার হয়েছে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (পিএনবি)। গত জুলাইয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কটি স্টক এক্সচেঞ্জকে জানিয়েছিল, ৩,৮০০ কোটি টাকারও বেশি অঙ্কের জালিয়াতি হয়েছে। ভূষণ পাওয়ার অ্যান্ড স্টিলকে (বিপিএসএল) যা দেওয়া হয়েছিল। ব্যাঙ্কের অভিযোগ, সংস্থাটি সেই তহবিলই নয়ছয় করেছে। হিসেবের খাতায় গরমিল করেছে ঋণদাতাদের গোষ্ঠীর কাছ থেকে ধার নেওয়ার জন্য। গোটা বিষয়টি রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে জানিয়েছিল পিএনবি। এখানেই শেষ নয়!
পিএনবি-র পর জালিয়াতির শিকার হয় পিএমসি! টানা ছ’-সাত বছর ধরে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের চোখে ধুলো দিয়ে হিসেবে গরমিল দেখিয়ে গিয়েছে পাঞ্জাব-মহারাষ্ট্র কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক। আরবিআই-এর পাশাপাশি ব্যাঙ্কের পরিচালন বোর্ড বা সংশ্লিষ্ট কাউকে কিছু না জানিয়েই হাউজিং ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড (এইচডিআইএল)-এর কয়েক হাজার কোটি টাকা ঋণকে নন প্রফিটেবল অ্যাসেট (এনপিএ) হিসেবে দেখাননি ব্যাঙ্কের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জয় টমাস। আর্থিক সঙ্কটে ভুগছে রিয়েল এস্টেট সংস্থা এইচডিআইএল। পিএমসি ব্যাঙ্কের কাছে এই সংস্থার দেনা গত কয়েক বছরে বাড়তে বাড়তে প্রায় ৪,৩৫৫ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। যোগসাজশে ৪৪টি ঋণ অ্যাকাউন্টকে ২১,০০০টি ভুয়ো অ্যাকাউন্টে বদলানো হয়। চাপা দেওয়া হয় ঋণ খেলাপের ঘটনাও। কিন্তু আগে থেকে তার বিন্দু-বিসর্গও আঁচ করতে পারেনি আরবিআই। কারণ, বছরের পর বছর ধরে ব্যাঙ্কের এমডি এই সংস্থার অ্যাকাউন্টকে সন্দেহের তালিকায় রাখেননি। বরং আরবিআই-কে ভালো অ্যাকাউন্ট হিসেবেই দেখিয়ে এসেছে। ফলে এইডিআইএল চরম আর্থিক সঙ্কটে পড়ে। ওই ঋণও ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা কার্যত শেষ। ফলে সঙ্কট ঘনিয়ে আসে পিএমসি ব্যাঙ্কেও।
পিএমসি ব্যাঙ্কে ৪,৫০০ কোটি টাকার আর্থিক কেলেঙ্কারির জেরে কী হয়েছে জানেন? আর্থিক কেলেঙ্কারিতে চোট খাওয়া পাঞ্জাব অ্যান্ড মহারাষ্ট্র কোঅপারেটিভ (পিএমসি) ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলায় বিধিনিষেধ বসিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। গ্রাহকদের অভিযোগ, তার পর থেকে তাঁদের দুর্দশা শুধুই বেড়েছে। টালমাটাল পরিস্থিতি নিয়ে ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের মধ্যে এক রকম আতঙ্ক তৈরি হয়ে গিয়েছে। কেউ জমা টাকা তুলতে না পেরে আত্মঘাতী হয়েছেন, তো কেউ অস্ত্রোপচারের টাকা ব্যাঙ্ক থেকে তুলতে না পেরে কার্যত বিনা চিকিৎসায় মারা গিয়েছেন। সেই মৃত্যু মিছিল চলছেই। কেউ ছেলেমেয়ের স্কুলের ফি দিতে পারছেন না। কারও আটকে গিয়েছে চিকিৎসা। টাকা তুলতে না পেরে কারও আবার সংসারের খরচ চালানোই কঠিন হয়ে পড়েছে। ওই ব্যাঙ্কে সেভিংস অ্যাকাউন্ট বা ফিক্সড ডিপোজিট আছে যাঁদের, তাঁদের অনেকেরই আশঙ্কা সারা জীবন ধরে জমানো টাকা হয়তো হারাতে হবে। ক্ষুব্ধ গ্রাহকদের প্রশ্ন, অডিটে এত বড় আর্থিক নয়ছয় ধরতে পারল না কেন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক? তাতে দেশের মানুষের ব্যাঙ্কের প্রতি ভরসা কমছে। বাড়ছে অবিশ্বাসের আবহও।
সাম্প্রতিক কালে দেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্কে একের পর এক প্রতারণার অভিযোগ সামনে আসার পরে অস্বস্তি বেড়েছে মোদি সরকারের। সেই অস্বস্তি আরও কয়েক দফা বাড়িয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বার্ষিক রিপোর্ট জানিয়েছে, গত অর্থবর্ষে বিভিন্ন ব্যাঙ্কে প্রতারণা-জালিয়াতির ঘটনা বেড়েছে আরও অনেকখানি। প্রায় ১৫ শতাংশ। শুধু তাই নয়, প্রতারণা সবচেয়ে বেশি হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতেই। জানা গিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ছ’মাসে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতে ৯৫,৭০০ কোটি টাকার বেশি প্রতারণা হয়েছে। এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতারণার ঘটনা ছুঁয়েছে ৫,৭৪৩টি। সম্প্রতি এই কথা জানিয়েছেন খোদ অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। যেখানে তার আগের বছর ২,৮৮৫টি ঘটনায় নয়ছয়ের অঙ্ক ছিল ৩৮,২৬০ কোটি। প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, কেন্দ্র বার বার নজরদারিতে জোর দেওয়ার কথা বললেও, প্রতারণা এতখানি বাড়ছে কী করে? কে বা কারা করছে এই প্রতারণা? শীর্ষ ব্যাঙ্কের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত অর্থবর্ষে যে সব প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে, তার সিংহভাগ জুড়েই আছে ঋণ। এ পোড়া দেশে এ বড় লক্ষ্মীছাড়া সময়!
এখন প্রশ্ন হল, ব্যাঙ্ক দেউলিয়া হলে আপনার সঞ্চয়ের টাকার কী হবে?
কে না জানে, বিভিন্ন ব্যাঙ্কে প্রতারণা-জালিয়াতির ঘটনার দায় এসে পড়ছে গ্রাহকদের উপর। পাঞ্জাব ও মহারাষ্ট্র সমবায় (পিএমসি) ব্যাঙ্ক ফেল পড়ার পর দেশে ব্যাঙ্কে জমা টাকার উপর কম পরিমাণ বিমা নিয়ে বিতর্ক ফের শুরু হয়েছে। বর্তমান সময়ে যদি ভারতে কোনও ব্যাঙ্ক ফেল পড়ে, তাহলে কোনও গ্রাহক তাঁর জমা একলক্ষ টাকার বিমা দাবি করতে পারেন। তাঁর জমা যদি এক লক্ষ টাকার বেশি হয়, তাহলেও ঊর্ধ্বসীমা ওই এক লক্ষ টাকাই থাকবে। ব্যাঙ্ক ফেল পড়লে এক লক্ষ টাকার বেশি উদ্ধার করার কোনও আইনি উপায় গ্রাহকের কাছে নেই। এই পরিমাণ অর্থ ডিপোজিট ইনশিওরেন্স বলা হয়ে থাকে। এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত জমা টাকা ফেরত দেবে ডিপোজিট ইনশিওরেন্স অ্যান্ড ক্রেডিট গ্যারান্টি কর্পোরেশন (ডিআইসিজিসি)। এই সংস্থা সম্পূর্ণ ভাবে ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মালিকানাধীন ভর্তুকিপ্রাপ্ত সংস্থা।
প্রশ্ন উঠেছে, আরবিআই কেন ইনস্যুরেন্স মানির উর্ধ্বসীমা বাড়াচ্ছে না?
১৯৬৮ সাল থেকে প্রথম এই ইনস্যুরেন্স চালু হয়। তখন ঊর্ধ্বসীমা ছিল পাঁচ হাজার টাকা। ১৯৭০ সালে আইনের সংস্কার হয়। ঊর্ধ্বসীমা পাঁচ হাজার থেকে বেড়ে হয় ১০ হাজার টাকা। এর ছ’বছর পর ১৯৭৬ সালে ফের আইনের সংস্কার হয়। ১০ হাজার টাকা থেকে ইনস্যুরেন্সের ঊর্ধ্বসীমা বেড়ে হয় ২০ হাজার টাকা। অর্থাত্ ব্যাঙ্ক দেউলিয়া হলে গ্রাহক সর্বাধিক ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত টাকা ফেরত পেতেন। তারপর ১৯৮০ সালে ঊর্ধ্বসীমা ৩০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। আর শেষবার আইন সংস্কার হয়েছিল ১৯৯৩ সালে। যখন এই ঊর্ধ্বসীমা ৩০ হাজার থেকে বাড়িয়ে এক লাখ টাকা করে আরবিআই। কিন্তু তার পর ২৬ বছর অতিক্রান্ত হলেও নতুন করে আর এই ঊর্ধ্বসীমার সংস্কার করা হয়নি। ফলে গ্রাহকদের ইনস্যুরেন্সের ঊর্ধ্বসীমা একই রয়ে গিয়েছে। আইনে অবশ্য এই ঊর্ধ্বসীমা আরও বাড়ানোর প্রস্তাব রয়েছে। সর্বাধিক পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত করা যেতেই পারে এই ঊর্ধ্বসীমা। যদিও এখনও আরবিআই সেই প্রস্তাব মেনে নেয়নি এখনও। ভয়ঙ্কর এই আতঙ্ক নিয়ে কোথায় যাবেন এদেশের মধ্যবিত্ত, গরিব মানুষ? অন্যদিকে, প্রবীণদের মূল আয় হল ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসের সুদ। দুর্ভাগ্যের হল, সুদের হার ক্রমশ কমছে। অন্য দিকে বাড়ছে খরচখরচা। বিপাকে পড়েছেন সুদ-নির্ভর মানুষরা। তাহলে কি বাজারশাসিত এই সমাজে অন্য কেউ আমার-আপনার কথা ভাববে না?
তার উপর সম্প্রতি জল্পনা ছড়িয়েছে, কেন্দ্র নাকি ফের এফআরডিআই বিল আনার কথা ভাবছে। অরুণ জেটলি অর্থমন্ত্রী থাকার সময় যে আমানত বিল আনার চেষ্টা করেছিল কেন্দ্র। তাতে প্রস্তাব ছিল, কোনও ব্যাঙ্ক দেউলিয়া ঘোষণার মুখে দাঁড়ালে গ্রাহকের অনুমতি ছাড়াই তাঁর জমা টাকা ব্যাঙ্ক চাঙ্গা করতে ব্যবহার করা যাবে। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় ওঠায় শেষে বিলটি প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয় কেন্দ্র।
প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, অনাদায়ী বিপুল পরিমাণ ঋণের টাকা আদায়ের দায়িত্ব কার? ব্যাঙ্কের বোর্ডগুলির—যারা এই ঋণ মঞ্জুর করেছে, সরকারের রিজার্ভ ব্যাঙ্কের—যাদের তত্ত্বাবধানে ব্যাঙ্কগুলি চলে, সবার উপরে দায়িত্ব সরকারের। এরা কেউই তাদের দায়িত্ব পালন কেন করে না? শিল্পপতিরা বিপুল ঋণ নিয়ে তা মেটাচ্ছেন না কেন? তাদের অজুহাত, শিল্প রুগ্ন, তাই ঋণ অনাদায়ী। বাস্তবে কোনও শিল্পপতিকেই রুগ্ন দেখা যাচ্ছে না। তাদের  মুনাফার পরিমাণ বেড়েই চলেছে। তা ছাড়া কোনও শিল্প রুগ্ন হলে তার দায় কি সাধারণ মানুষের? মালিকরা যখন শত–সহস্র কোটি টাকা মুনাফা করে তার ভাগ তো তারা জনগণকে দেয় না! তাহলে তাদের দায় সাধারণ মানুষ নেবে কেন?
এফআরডিআই বিলে প্রস্তাব করা হয়েছিল, আর্থিক সঙ্কটে ব্যাঙ্ক দেউলিয়ার মুখে থাকলে, আমানতের টাকা গ্রাহকের অনুমতি না নিয়েই বাড়তি সময় আটকে রাখতে পারবে ব্যাঙ্ক। গ্রাহকের সঙ্গে সবরকম চুক্তি অস্বীকার করে জমা টাকার উপর সুদের হার কমাতেও পারবে। এমনকী প্রয়োজনে তা বদলে দিতে পারবে শেয়ার, ডিবেঞ্চার বা বন্ডে। বিরোধীদের তোপ, আসলে এফআরডিআই বিল তথা ফিনান্সিয়াল রেজলিউশন অ্যান্ড ডিপোজিট ইনসিওরেন্স বিল মানে, ঋণ নেবে ধনকুবেররা, শোধ করবে জনগণ।
দেশে ব্যাঙ্কের এই রাহুমুক্তি কবে? তাকিয়ে দেশের মানুষ।
22nd  November, 2019
আগামী ভোটেও বিজেপির গলার কাঁটা এনআরসি
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

রাজ্যের তিন বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির বিপর্যয় বিশ্লেষণ করতে গিয়ে যখন ওই প্রার্থীদের পরাজয়ের ব্যাপারে সকলেই একবাক্যে এনআরসি ইস্যুকেই মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, তখনও বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এনআরসিতে অটল। তিন বিধানসভা কেন্দ্রের বিপর্যয়ের পর আবারও অমিত শাহ এনআরসি কার্যকর করবার হুংকার ছেড়েছেন।  
বিশদ

সিঁদুরে মেঘ ঝাড়খণ্ডেও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভারতের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে একটা কথা বেশ প্রচলিত... এদেশের ভোটাররা সাধারণত পছন্দের প্রার্থীকে নয়, অপছন্দের প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে থাকেন। ২০১৪ সালে যখন নরেন্দ্র মোদিকে নির্বাচনী মুখ করে বিজেপি আসরে নামল, সেটা একটা বড়সড় চমক ছিল। 
বিশদ

আচ্ছে দিন আনবে তুমি এমন শক্তিমান!
সন্দীপন বিশ্বাস

আমাদের সঙ্গে কলেজে পড়ত ঘন্টেশ্বর বর্ধন। ওর ঠাকুর্দারা ছিলেন জমিদার। আমরা শুনেছিলাম ওদের মাঠভরা শস্য, প্রচুর জমিজমা, পুকুরভরা মাছ, গোয়ালভরা গোরু, ধানভরা গোলা সবই ছিল। দেউড়িতে ঘণ্টা বাজত। ছিল দ্বাররক্ষী। কিন্তু এখন সে সবের নামগন্ধ নেই। ভাঙাচোরা বাড়ি আর একটা তালপুকুর ওদের জমিদারির সাক্ষ্য বহন করত। 
বিশদ

02nd  December, 2019
বিজেপির অহঙ্কারের পতন
হিমাংশু সিংহ

সবকিছুর একটা সীমা আছে। সেই সীমা অতিক্রম করলে অহঙ্কার আর দম্ভের পতন অনিবার্য। সভ্যতার ইতিহাস বারবার এই শিক্ষাই দিয়ে এসেছে। আজও দিচ্ছে। তবু ক্ষমতার চূড়ায় বসে অধিকাংশ শাসক ও তার সাঙ্গপাঙ্গ এই আপ্তবাক্যটা প্রায়শই ভুলে যায়।  বিশদ

01st  December, 2019
উপনির্বাচনের ফল ও বঙ্গ রাজনীতির অভিমুখ
তন্ময় মল্লিক

জনতা জনার্দন। ফের প্রমাণ হয়ে গেল। মাত্র মাস ছয়েক আগে লোকসভা নির্বাচনে ১৮টি আসন দখল করে গেরুয়া শিবির মনে করেছিল, গোটা রাজ্যটাকেই তারা দখল করে নিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদায় শুধু সময়ের অপেক্ষা। সেই বঙ্গেই তিন বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে একেবারে উল্টো হওয়া বইয়ে দিল মানুষ।
বিশদ

30th  November, 2019
ওভার কনফিডেন্স
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহের সব থেকে প্রিয় হবি হল পরিবর্তন। তাঁরা স্থিতাবস্থায় বিশ্বাস করেন না। তাঁরা বদলের বন্দনাকারী। পরিবর্তন কি খারাপ জিনিস? মোটেই নয়। বরং পরিবর্তনই তো সভ্যতার স্থাণু হয়ে না থেকে এগিয়ে চলার প্রতীক।   বিশদ

29th  November, 2019
উপনির্বাচনী ফল: বঙ্গজুড়ে পারদ চড়ছে কৌতূহলের
মেরুনীল দাশগুপ্ত

আজ রাজ্যের তিন বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনী ফল বেরচ্ছে। কথায় বলে, ফলেই পরিচয়। ফলেন পরিচীয়তে। আজ সেই ফলের জন্য উদ্‌গ্রীব বাংলা, বাংলার রাজনৈতিকমহল। নানান জনের নানা প্রত্যাশা চতুর্দিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অবশ্য সেজন্য আসমুদ্রহিমাচল বাংলা টানটান উত্তেজনায় কাঁপছে বললে হয়তো অত্যুক্তি হবে। বিশদ

28th  November, 2019
পাওয়ারের শক্তিপরীক্ষা
শান্তনু দত্তগুপ্ত

এখন সত্যিই জানতে ইচ্ছে হচ্ছে, বালাসাহেব থ্যাকারে বেঁচে থাকলে কী করতেন! আগের রাতে শুনে ঘুমাতে গেলেন, শিবসেনার জোট সরকার হচ্ছে এবং ছেলে উদ্ধব সেখানে মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু পরদিন সাতসকালে ঘুম ভেঙে দেখলেন, দেবেন্দ্র ফড়নবিশ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে ফেলেছেন।
বিশদ

26th  November, 2019
মহারাষ্ট্রে টানটান সিরিয়ালের নায়ক কে
সন্দীপন বিশ্বাস

কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের অবসান হয়েছে। যুধিষ্টিরের অভিষেক পর্বও হয়ে গিয়েছে। রাজনীতি, রাজধর্ম নিয়ে শিক্ষা নিতে তিনি গেলেন শরশয্যায় শায়িত ভীষ্মের কাছে। ভীষ্ম তাঁকে সেদিন যে উপদেশ দিয়েছিলেন তা আদর্শ রাজধর্ম এবং রাজনীতি বলেই বিবেচিত হয়। কিন্তু আজকের যুগের স্বার্থসর্বস্ব রাজনীতি দেখলে মনে হয় এই রাজনীতি যেমন নীতির রাজা নয়, তেমনই রাজার নীতিও নয়। 
বিশদ

25th  November, 2019
নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে প্রতি মুহূর্তে সংঘাতে জড়িয়ে পড়া কি রাজভবনের দায়বদ্ধতা?
হিমাংশু সিংহ

 ভেবেছিলাম লিখব শুধু পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচিত সরকার ও রাজভবনের বিগত দু’মাসের অবাক করা ভূমিকা নিয়ে। কিন্তু শনিবার ভোর হতে না হতেই সুদূর মহারাষ্ট্রের রাজভবনের ‘সার্জিকাল স্ট্রাইক’ স্পষ্ট করে প্রমাণ করল, আজকের রাজ্যপালরা কেন্দ্রের শাসক দলের হাতের পুতুল ছাড়া আর কিছুই নন। বিশদ

24th  November, 2019
তিন বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন: মিলবে লোকসভা-উত্তর রাজ্য-রাজনীতির মতিগতি
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের পর রাজ্যে প্রথম তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণ আগামী ২৫ নভেম্বর,ফলাফল ২৮ নভেম্বর। খড়্গপুর সদর করিমপুর এবং কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলাফল থেকে বিবাদমান রাজ্য-রাজনীতির একাধিক প্রশ্নের উত্তর মিলতে পারে। 
বিশদ

23rd  November, 2019
তিন বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন: মিলবে লোকসভা-উত্তর রাজ্য-রাজনীতির মতিগতি
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

 ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের পর রাজ্যে প্রথম তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণ আগামী ২৫ নভেম্বর,ফলাফল ২৮ নভেম্বর। খড়্গপুর সদর করিমপুর এবং কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলাফল থেকে বিবাদমান রাজ্য-রাজনীতির একাধিক প্রশ্নের উত্তর মিলতে পারে। বিশদ

21st  November, 2019
একনজরে
সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর: কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ্যভাতা, সংশোধিত বেতনক্রম চালু সহ মোট ৯ দফা দাবিতে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সদস্যরা সোমবার বাঁকুড়া জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসে অবস্থান ও প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করেন। এদিন সকাল ১০টা থেকে অফিসের সামনে শিক্ষকরা ধর্নায় বসেন। ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র চালানোর খরচের ৯০ শতাংশ আগে কেন্দ্রীয় সরকার দিত। এখন দিচ্ছে ৪০ শতাংশ। ফলে রাজ্য সরকারকে দিতে হচ্ছে বাকি ৬০ শতাংশ টাকা। পরিস্থিতি এরকম হলেও রাজ্য সরকার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি চালিয়ে যাবে বলে সোমবার বিধানসভায় জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ...

 নয়াদিল্লি, ২ ডিসেম্বর (পিটিআই): কমিশন এজেন্টের কাছ থেকে ১০০ টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে ডাক বিভাগের সংশ্লিষ্ট অফিসারদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। ঘটনাটি উত্তপ্রদেশের প্রতাপগড় জেলার কুন্দা সাব পোস্ট অফিসের। ...

 ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে যেসব সংস্থার শেয়ার গতকাল লেনদেন হয়েছে শুধু সেগুলির বাজার বন্ধকালীন দরই নীচে দেওয়া হল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব এইডস দিবস
১৯৪১: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আক্রমণে চূড়ান্ত অনুমোদন দিলেন জাপানের সম্রাট হিরোহিতো
১৯৫৪: সমাজকর্মী মেধা পাটেকরের জন্ম
১৯৬৩: ভারতের ১৬তম রাজ্য হিসাবে ঘোষিত হল নাগাল্যাণ্ড
১৯৬৫: প্রতিষ্ঠিত হল বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)
১৯৭৪: স্বাধীনতা সংগ্রামী সুচেতা কৃপালিনীর মৃত্যু
১৯৮০: ক্রিকেটার মহম্মদ কাইফের জন্ম
১৯৯৭: বিহারের লক্ষ্মণপুর-বাথে অঞ্চলে ৬৩জন নিম্নবর্গীয়কে খুন করল রণবীর সেনা
১৯৯৯: গায়ক শান্তিদেব ঘোষের মৃত্যু

01st  December, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৯৪ টাকা ৭২.৬৫ টাকা
পাউন্ড ৯১.০৫ টাকা ৯৪.৩৪ টাকা
ইউরো ৭৭.৬১ টাকা ৮০.৬১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৪৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৫১০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,০৬০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৪,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৪,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৬ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ৩ ডিসেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, সপ্তমী ৪২/৫৩ রাত্রি ১১/১৪। ধনিষ্ঠা ২০/২৯ দিবা ২/১৭। সূ উ ৬/৪/৫৩, অ ৪/৪৭/২৯, অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে পুনঃ ৭/২৯ গতে ১১/৪ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৭ গতে ৮/২০ মধ্যে পুনঃ ৯/১৩ গতে ১১/৫২ মধ্যে পুনঃ ১/৩৯ গতে ৩/২৫ মধ্যে পুনঃ ৫/৫২ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৭/২৫ গতে ৮/৪৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ২/৭ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৬ মধ্যে। 
১৬ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ৩ ডিসেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, সপ্তমী ৪২/৪৮/৩২ রাত্রি ১১/১৩/৪৯। ধনিষ্ঠা ২২/৪৯/২৩ দিবা ৩/১৪/৯, সূ উ ৬/৬/২৪, অ ৪/৪৭/৫২, অমৃতযোগ দিবা ৭/০ মধ্যে ও ৭/৪২ গতে ১১/১৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৮/২৬ মধ্যে ও ৯/২০ গতে ১২/১ মধ্যে ও ১/৪৯ গতে ৩/৩৬ মধ্যে ও ৫/২৪ গতে ৬/৭ মধ্যে, কালবেলা ১২/৪৭/১৯ গতে ২/৭/৩০ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৭/৪১ গতে ৮/৭/৩০ মধ্যে। 
৫ রবিয়স সানি  

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। বৃষ: বন্ধুস্থানীয় কোনও ব্যক্তির সাহায্যে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস১৮৮২: চিত্রশিল্পী নন্দলাল বসুর জন্ম১৮৮৯: বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর ...বিশদ

07:03:20 PM

শহরে এটিএম জালিয়াতি, আরও ১৪টি অভিযোগ দায়ের 
যাদবপুরের পর এবার চারু মার্কেট থানা এলাকা। শহরে ফের জাঁকিয়ে ...বিশদ

05:13:00 PM

বাংলায় এনআরসি হবে না, ধর্মের ভিত্তিতে ভাগাভাগি করা যাবে না: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 

04:06:10 PM

বুলবুল: রাজ্যকে আর্থিক সাহায্য পাঠাল কেন্দ্র
বুলবুল-এ ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য হিসাবে পশ্চিমবঙ্গকে আর্থিক সাহায্য পাঠাল কেন্দ্র। রাজ্যকে ...বিশদ

03:42:00 PM

আগামী ২ দিন বসবে না বিধানসভা অধিবেশন
রাজভবনে আটকে রয়েছে বিল । সেখান থেকে বিল না আসায় ...বিশদ

03:36:00 PM