Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

কেন তেরোজন অর্থনীতিবিদ অখুশি হবেন?
পি চিদম্বরম

প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. অরবিন্দ সুব্রামনিয়ন পাঁচ বছর আগে তাঁর প্রথম অর্থনৈতিক সমীক্ষা (ইকনমিক সার্ভে ২০১৪-১৫) পেশ করে বলেছিলেন, ‘‘ভারত একটা সুন্দর জায়গায় (সুইট স্পট) পৌঁছে গিয়েছে—জাতির ইতিহাসে এটা বিরল—এইভাবে শেষমেশ দুই সংখ্যার মধ্যমেয়াদি বৃদ্ধির কৌশলে ভর করে এগনো যাবে।’’ ওই প্রতিজ্ঞা রক্ষায় সরকার যে ব্যর্থ হয়েছিল সেটা মেনে নেওয়ার জন্য প্রথম মোদি সরকারের পুরো মেয়াদ ওই দায়িত্বে তিনি থাকেননি। তাঁর দায়িত্ব অর্পিত হয়েছিল ড. কৃষ্ণমূর্তি সুব্রামনিয়নের উপর। ড. কৃষ্ণমূর্তিকে স্বীকার করে নিতে হয়েছে প্রথম মোদি সরকার তার পাঁচ বছরে গড় জিডিপি বৃদ্ধি অর্জন করেছিল মাত্র ৭.৫ শতাংশ।
৭.৫ শতাংশ বৃদ্ধির হার সন্তোষজনক, কিন্তু দুই সংখ্যার বৃদ্ধির লক্ষ্যের ধারেকাছেও যে পৌঁছানো গেল না। পাশাপাশি এটাও দেখতে হবে গত পাঁচ বছরের বিকাশ-পথরেখাটা ছিল এইরকম—বৃদ্ধির হার ৭.৪, ৮.০, ৮.২, ৭.২ এবং ৬.৮ শতাংশ। প্রথম তিন বছরে ৭.৪ থেকে ৮.২ শতাংশে উন্নীত হওয়ার ঘটনায় ড. অরবিন্দ সুব্রামনিয়ন নিশ্চয় প্রীত হয়ে থাকবেন, কিন্তু আমার সন্দেহ হয় যে, ২০১৬-র নভেম্বরে ডিমনিটাইজেশনের আঘাতটা দেশের উপর এসে পড়াতেই সেটা নিশ্চিতরূপে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তারপর থেকেই অর্থনীতির বিকাশ-পথরেখাটি ৮.২ থকে ৭.২ এবং সেখান থেকে ৬.৮ শতাংশে নেমে গিয়েছে।
অর্থনৈতিক অবনমনটা যখন আরও বেশি তখনই দ্বিতীয় মোদি সরকার দায়িত্বভার নিয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে বৃদ্ধির হারের ত্রৈমাসিক হিসেবটা ছিল এইরকম: ৮.০,৭.০, ৬.৬ এবং ৫.৮ শতাংশ। আজকের শোচনীয় পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় মোদি সরকারের জন্য নতুন প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা নিম্নরূপ লক্ষ্য স্থির করে দিয়েছেন:
‘‘২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের ভিতর ভারত ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থনীতি রূপে বিকাশলাভের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে, যে লক্ষ্য ভারতকে পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি করে তুলবে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের জন্য মনিটারি পলিসি ফ্রেমওয়ার্ক হিসেবে ৪ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতি সরকার নির্দিষ্ট করে দিয়েছে, এর জন্য প্রয়োজন জিডিপির ৮ শতাংশ প্রকৃত বার্ষিক বৃদ্ধির হার।’’
এটা একটা ঠিকঠাক লক্ষ্য। কিন্তু আমাদের সামনে যে প্রশ্নটা এসে পড়ছে, তা হল, অর্থনৈতিক সমীক্ষা যে লক্ষ্য স্থির করে দিয়েছে নির্মলা সীতারামনের প্রথম বাজেট সেটাকে কতটা এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হবে?
আমরা প্রত্যেকে কয়েকটি বক্সের তালিকা বানিয়ে ফেলতে পারি এবং নিজেদেরকে জিজ্ঞাসা করতে পারি, বাজেট বিবৃতির ভিত্তিতে, অর্থমন্ত্রী ক’টা বক্সে টিক চিহ্ন দিয়েছেন।
২০১৮-র অক্টোবরে আন্তর্জা঩তিক খ্যাতিসম্পন্ন তেরোজন অর্থনীতিবিদ, তাঁদের কেউ ভারতীয় অথবা ভারত-বংশোদ্ভব, তাঁদের লেখা ১৪টি নিবন্ধ ২০১৯-এ ‘অর্থনীতি এখন কী চায়’ (হোয়াট দ্য ইকনমি নিডস নাও) শিরোনামের একটি বইতে ছাপা হয়েছে। ড. অভিজিত ব্যানার্জি এবং ড. রঘুরাম রাজন বেশকিছু আইডিয়া বের করেছেন এবং তারপর ‘ভারত যে আটটি মস্ত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি’ নামে একটি সংযোজন তালিকা দিয়েছেন। সবগুলোই প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে অর্থনীতি নিয়ে ভাবিত। ওই বই থেকে ধার করা পাঁচটি আইডিয়া নিয়ে আমি আমার বক্সগুলির তালিকা তৈরি করেছি।
নীচে বক্সগুলোতে দেখুন কেন ‘টিক’ অথবা ‘ক্রস’ চিহ্ন দিলাম:
ý ফিসকাল ঘাটতি শাসন: ফিসকাল ঘাটতি শাসনে মোদি সরকারের রেকর্ড মোটে ভালো না। প্রথম পাঁচ বছরের ভিতর এই সরকার ফিসকাল ঘাটতি ৪.৫ শতাংশ থেকে ৩.৪ শতাংশে নামিয়ে আনতে পেরেছিল। সত্যি বলতে কী, ফিসকাল ঘাটতিটা বছর চারেক ৩.৪ থেকে ৩.৫ শতাংশের ভিতর আটকে ছিল এবং ২০১৯-২০ সালের বাজেট সেটাকে ৩.৩ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ২০১৮-১৯ সালের সংখ্যাটি সন্দেহজনক, কেননা, ওই বছরে রাজস্বের যে ক্ষতি হয়েছিল
এবং বাজেটবহির্ভূত ঋণ নেওয়া হয়েছিল তার পরিমাণটা বিপুল।
ý চাপে যেসব ক্ষেত্র (কৃষি, বিদ্যুৎ, ব্যাঙ্ক): কৃষিক্ষেত্রের উদ্বেগ কমানোর কোনও সূত্র দিশা বাজেট ভাষণে পাওয়া গেল না। বিদ্যুৎ প্রসঙ্গে তিনি স্রেফ চালু কর্মসূচির কথারই পুনরাবৃত্তি করে গেলেন, ‘উদয়’, এটার লক্ষ্য হল বণ্টন সংস্থাগুলির আর্থিক এবং চালনা সংক্রান্ত দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া। এটাতে যোগ করেছে ‘পুরনো এবং অদক্ষ প্ল্যান্টগুলোর অবসর’ এবং ‘প্রাকৃতিক গ্যাসসঙ্কটের কারণে গ্যাস প্ল্যান্টগুলির ক্ষমতার চেয়ে কম ব্যবহারের উপর জোর দেওয়া হয়েছে’। ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে কী প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে: রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে নতুন করে মূলধন জোগানোর (রিক্যাপিটালাইজেশন) জন্য ৭০ হাজার কোটি টাকার ব্যবস্থা করা হবে, মনে রাখতে হবে যে অঙ্কটা একেবারেই যথেষ্ট নয় এবং আর্থিক দিক থেকে ভালো অবস্থায় আছে এমন নন-ব্যাঙ্কিং ফিনান্সিয়াল কোম্পানিগুলির (এনবিএফসি) ‘পুলড অ্যাসেটস’ কিনে নেওয়ার জন্য কিছু ব্যাঙ্ককে ‘এককালীন ছয় মাসের জন্য আংশিক ক্রেডিট গ্যারান্টি’ দেওয়া হবে—লিকুইডিটির অপ্রতুলতার বিষয়টি কিন্তু পুরোপুরি ভুলে যাওয়া হয়েছে।
ý আরও উন্নত বাণিজ্য পরিবেশ: বাণিজ্য পরিবেশ (বিজনেস এনভায়রনমেন্ট) আরও উন্নত বা ‘বেটার’ করার জন্য সামনে অনেকগুলি আইডিয়া ছিল। কোন ভালোটা হবে যদি ব্যবসা একই ধরনে একই কাজটিই করে এবং শুধু সেটা ‘করা’ মানেই ব্যবসা বাণিজ্য বেশি সহজ সরল হয়ে গেল? বিশেষ শিল্পাঞ্চলগুলোতে (এসআইজেড) অবধারিতরূপে রপ্তানিতে লক্ষ্য স্থির করা নয়; শ্রম আইন পাল্টে ফেলা, স্রেফ বিধিবদ্ধ করা নয়; স্টার্ট-আপ’দের শুরু করতে দেওয়া এবং তিন বছরের জন্য ব্যবসাটা তাদের করতে দেওয়া অনুমতি বা লাইসেন্স নেওয়ার জোরাজুরি ছাড়াই; এই আইডিয়াগুলো গ্রহণ করা যেতেই পারত।
ý কম পীড়াদায়ক নিয়মকানুন: সর্বোত্তম সমাধান হল ব্যাপক বিকেন্দ্রীকরণ। শুরু করতে হলে স্কুলশিক্ষাটাকে অবশ্যই রাজ্যগুলির হাতে ছেড়ে দিতে হবে—যেহেতু মূল সংবিধানে এমনই সংস্থান ছিল—এরপর যুগ্ম তালিকা থেকে আরও কিছু বিষয় রাজ্য তালিকায় হস্তান্তর করা জরুরি। উল্টোদিকে, অর্থমন্ত্রী কেন্দ্রের তরফে স্কুল এবং কলেজ শিক্ষার জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণের কথা শুনিয়েছেন! আরবিআই, সেবি, কম্পিটিশন কমিশন অফ ইন্ডিয়া, সিবিডিটি, সিবিআইসি প্রভৃতি নিয়ন্ত্রক সংস্থায় রূপান্তরিত হয়েছে এবং নিয়ন্ত্রণ বেড়ে গিয়েছে, হ্রাসের পরিবর্তে, যা বোঝাস্বরূপ।
þ আরও নগদ হস্তান্তর (ক্যাশ ট্রান্সফার): ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার আরও প্রসারের লক্ষ্যে সরকার বেশি উৎসাহ দিচ্ছে এবং মোটা অঙ্কের নগদ অর্থ তোলার (লার্জ ক্যাশ উইথড্রালস) অভ্যাসটাকে নিরুৎসাহিত করছে। এটাই স্বাভাবিক যে আরও বেশি ভর্তুকি এবং নগদ প্রাপ্য (ক্যাশ বেনিফিট) সরাসরি হস্তান্তর ব্যবস্থার মাধ্যমে (ডাইরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার রুট) প্রকৃত প্রাপকদের হাতে পৌঁছাবে। যদিও এই ‘সংস্কার’টি সাত বছরের পুরনো, তবুও আমি এই বক্সটাতে টিক চিহ্নই দিলাম। ১৯৯১-৯৬ পর্বে যে-ধরনের আমূল সংস্কারের (র‌্যাডিক্যাল রিফর্মস) পথ গ্রহণ করা হয়েছিল আজকের অর্থনীতির জন্য সেটাই দরকার। সরকারের এই ধরনের সংস্কার চালিয়ে যাওয়ারই নির্দেশ ছিল। সেখানে কোনও যুক্তি ছাড়াই সরকার কেবল ‘ইন্টারনাল রিফর্মস’-এর পথ বেছে নিয়েছে। এতে তেরোজন অর্থনীতিবিদ—যাঁরা সকলেই ভারতীয় অথবা ভারত-বংশোদ্ভব—হতাশ হবেন। সুতরাং হতাশ হবেন আমূল সংস্কারপন্থী অন্য অনেকেও।
08th  July, 2019
ঘোষণা ও বাস্তব
সমৃদ্ধ দত্ত

ভারত সরকারের অন্যতম প্রধান একটি প্রকল্পই হল নদী সংযোগ প্রকল্প। দেশের বিভিন্ন নদীকে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হবে। যাতে উদ্বৃত্ত জলসম্পন্ন নদী থেকে বাড়তি জল শুকনো নদীতে যেতে পারে। প্রধানমন্ত্রী বারংবার এই প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। গোটা প্রকল্প রূপায়ণ করতে অন্তত ১ লক্ষ কোটি টাকা দরকার। এদিকে আবার বুলেট ট্রেন করতেও ১ লক্ষ ৮০ হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে! আধুনিক রাষ্ট্রে অবশ্যই দুটোই চাই। কিন্তু বাস্তব প্রয়োজনের ভিত্তিতে বিচার করলে? কোনটা বেশি জরুরি? বিশদ

মোদি সরকারের নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি দেশকে কোন দিকে নিয়ে চলেছে
তরুণকান্তি নস্কর

 কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন দপ্তর থেকে সম্প্রতি জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১৯-এর যে খসড়া প্রকাশিত হয়েছে তার যে অংশ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে হই চই পড়েছিল তা হল বিদ্যালয় স্তরে ত্রি-ভাষা নীতির মাধ্যমে অ-হিন্দিভাষী রাজ্যে জোর করে হিন্দি চাপানোর বিষয়টি। তামিলনাড়ুর মানুষের প্রবল আপত্তিতে তা কেন্দ্রীয় সরকার প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
বিশদ

11th  July, 2019
জলের জন্য হাহাকার আমাদের কি একটুও ভাবাচ্ছে!
শুভা দত্ত

আমাদের এখনও তেমন অসুবিধে হচ্ছে না। কারণ, কলকাতা মহানগরীতে এখনও পানীয় হোক কি সাধারণ কাজকর্ম সারার জলের অভাব ঘটেনি। ঘটেনি কারণ আমাদের জল জোগান যে মা গঙ্গা, তিনি এখনও বহমান এবং তাঁর বুকের ঘোলা জলে এখনও নিয়ম করে বান ডাকে, জোয়ার-ভাটা খেলে।
বিশদ

07th  July, 2019
এক বাস্তববাদী রাজনীতিকের নাম শ্যামাপ্রসাদ
হারাধন চৌধুরী

 নরেন্দ্র মোদির দ্বিতীয় সরকার নিয়ে বিজেপি তিন দফায় ভারত শাসনের দায়িত্ব পেল। কংগ্রেসকে বাদ দিলে ভারতের আর কোনও রাজনৈতিক দল এই কৃতিত্ব অর্জন করতে পারেনি। ২০১৯-এর লোকসভার ভোটে বিজেপি ক্ষমতা অনেকখানি বাড়িয়ে নিয়েছে। ২০১৪-র থেকে বেশি ভোট পেয়েছে এবং তিনশোর বেশি আসন দখল করেছে।
বিশদ

06th  July, 2019
চাকরি ও পরিকাঠামো উন্নয়নে প্রত্যাশিত দিশা দেখাতে পারল না নির্মলা সীতারামনেরও বাজেট
দেবনারায়ণ সরকার

 লোকসভা নির্বাচনের আগে গত ফেব্রুয়ারিতে বর্তমান বছরের (২০১৯-২০) অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করা হয়েছিল। নির্বাচনে বিপুল জয়ের পরে বর্তমান অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন দ্বিতীয় মোদি সরকারের বর্তমান অর্থবর্ষের পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করলেন। এই বাজেটে আয় ও ব্যয় অন্তর্বর্তী বাজেটে যা ধরা হয়েছিল সেটাই অপরিবর্তিত রইল।
বিশদ

06th  July, 2019
চীনা ঋণের ‘নাগপাশ’
মৃণালকান্তি দাস

বৈদেশিক ঋণের পাহাড় কীভাবে একটা দ্রুত বিকাশশীল অর্থনীতির চাকাকে স্তব্ধ করে দিতে পারে, শ্রীলঙ্কা তার ক্ল্যাসিক দৃষ্টান্ত। হামবানতোতা বন্দরকে ৯৯ বছরের লিজে চীনের কাছে হস্তান্তরে বাধ্য হওয়ার পর সেই ধারণাই আরও জোরালো হয়েছে। শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিবিদ উমেশ মোরামুদালি লিখেছেন, শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক ঋণের চেহারা আসলে যা ভাবা হচ্ছে, তার চেয়েও অনেক বেশি সাঙ্ঘাতিক। চীনের ঋণ একা দায়ী নয়। হামবানতোতা বন্দর নির্মাণের জন্য চীনের এক্সিম ব্যাঙ্ক থেকে শ্রীলঙ্কা যে ঋণ নিয়েছিল তার জন্য প্রতিবছর যে টাকা শোধ করতে হচ্ছে, সেটা শ্রীলঙ্কার মোট বার্ষিক ঋণ পরিশোধের ৫ শতাংশও নয়। অন্যভাবে বললে, হামবানতোতা আসলে হিমশৈলের চূড়ামাত্র।
বিশদ

05th  July, 2019
জি-টোয়েন্টির মঞ্চে ভারতের সফল কূটনীতি
গৌরীশঙ্কর নাগ 

বাস্তবিকই তাই। দ্বিতীয়বার জিতে প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর বিপুল জনসমর্থনকে ভারতের বহির্বাণিজ্য ও কূটনৈতিক নেটওয়ার্ককে মজবুত করার কাজে নিযুক্ত করেছেন। ইতিমধ্যে তাঁর দ্বিতীয়বার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে বিমস্টেকের অন্তর্গত সকল সদস্য রাষ্ট্র ও সাংহাই কোয়াপারেশন অর্গানাইজেশনের এখনকার সভাপতি কিরঘীজ রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণ জানিয়ে তিনি মোক্ষম চাল দিয়েছেন। 
বিশদ

04th  July, 2019
অ্যাঞ্জি, আয়লান ও মানবিকতার হত্যা
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 আরও একটা ছবি...। মর্মান্তিক বললেও কম। আর সেটাই গোটা দুনিয়ার চোখে আঙুল দিয়ে ফের দেখিয়ে দিল, মানবিকতার থেকে অর্থনীতির গুরুত্ব আজ অনেক বেশি। কালো টি-শার্ট, কালো শর্টস পরা শরীরটা মুখ থুবড়ে পড়ে রয়েছে কাদায়। আগাছার মধ্যে। টি-শার্টটা একটু উঠে। তার ফাঁক থেকে দেখা যাচ্ছে ছোট্ট আর একটা শরীর। ২৩ মাসের অ্যাঞ্জির।
বিশদ

02nd  July, 2019
রাজ্য মেধাতালিকা ও প্রান্তিক সুন্দরবন
সুব্রত চট্টোপাধ্যায়

 অনেকেই বলাবলি করেন: রাজ্যের মেধাতালিকায় কোথায় আর সুন্দরবন। কথাটা ঠিক নয়। ক্ষেত্রসমীক্ষা বলছে—মেধাতালিকায় সে-মাথায় দার্জিলিং তো এ-মাথায় সুন্দরবন। সদ্য বের হল জয়েন্টের মেধাতালিকা। পঞ্চম স্থানে অর্ক দাস। অর্কের শিকড় আসলে সুন্দরবন সন্নিহিত অঞ্চলে। খোদ সুন্দরবনের জ্ঞানপীঠ বিদ্যায়তনে ওর প্রাথমিক শিক্ষাগ্রহণ।
বিশদ

01st  July, 2019
এক জাতি, এক নির্বাচন, অনেক ভীতি
পি চিদম্বরম

 প্রধানমন্ত্রীকে আপনার বাহবা দিতে হবে যে সাধারণ মানুষের চিত্তবিক্ষেপ ঘটিয়ে দেওয়ার মতো ইস্যুগুলো তিনি খাড়া করে দিতে পারেন। তিনি এই বিষয়ে বাজি ধরেন যে বিরোধীরা বহু কণ্ঠে প্রতিক্রিয়া জানাবে এবং সেগুলি সবসময় অকাট্য বা যুক্তিনির্ভর হবে না।
বিশদ

01st  July, 2019
অশান্তি ঠেকাতে পুলিসের একাংশের ভূমিকা অশান্তি বাড়িয়ে দিচ্ছে না তো?
শুভা দত্ত

  পুলিসি দক্ষতা এবং সময়ানুগ সক্রিয়তা বজায় থাকলে অনায়াসে অনেক কিছুই সহজে মিটে যায় বা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। প্রাণও বাঁচে। কিন্তু, মার ঠেকাতে গিয়ে যদি পুলিসই প্রাণঘাতী মারমুখী হয়ে ওঠে তবে তো বিপদ। সেই বিপদের আভাস মিলেছে। যতদূর খবর, বিপদ যাতে বাড়তে না পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নিচ্ছে মমতা সরকার।
বিশদ

30th  June, 2019
কাটমানি ও শুদ্ধিকরণ
তন্ময় মল্লিক

এক ফোঁটা গোচোনা যেভাবে গোটা বালতির দুধ নষ্ট করে দেয়, তেমনই তৃণমূলের মাতব্বরদের কাটমানি খেয়ে ফুলে ফেঁপে ঢোল হয়ে ওঠা মুখ্যমন্ত্রীর সমস্ত ভালো কাজে কেরোসিন ঢেলে দিয়েছে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাটমানির মূলেই কুঠারাঘাত করেছেন। তাঁর এই ‘শুদ্ধিকরণ’ প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলে ২০২১ সালটা হবে ইতিহাস সৃষ্টির বছর। রচিত হবে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ের ইতিহাস।
বিশদ

30th  June, 2019
একনজরে
  সংবাদদাতা, ইসলামপুর: বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে ইসলামপুর পুরসভার বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে যায়। এদিন দুপুরের পর বৃষ্টি কমলেও আকাশ মেঘলাই ...

লখনউ, ১১ জুলাই (পিটিআই): দেশের বিরোধী-শাসিত রাজ্যগুলিতে সরকারকে ফেলার চেষ্টা করছে বিজেপি। বৃহস্পতিবার ট্যুইটারে এই অভিযোগ করলেন বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতী। একই সঙ্গে ‘দলবদলু’ বিধায়কদের সদস্যপদ ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রাজ্যের প্রতি বঞ্চনার প্রতিবাদ জানাতে দিল্লিতে বিধায়কদের সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল পাঠানোর বিষয়টি সরকার বিবেচনা করছে। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প সংস্থা বিক্রি করে দেওয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের পরিবর্তনের দাবিতে আনা একটি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার সময় পরিষদীয়মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই ...

 বিএনএ, চুঁচুড়া: ডাক্তারের গাফিলতিতে রোগীর মৃত্যু হয়েছে, এই অভিযোগে বৃহস্পতিবার রোগীর বাড়ির লোকজন বিক্ষোভ দেখালেন পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে। অবিলম্বে ডাক্তারকে গ্রেপ্তার করতে হবে বলে তাঁরা দাবি করেন। পরে বিশাল পুলিস বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস
১৮২৩ সালের এই দিনে ভারতের তৈরি প্রথম জাহাজ ডায়না কলকাতা বন্দর থেকে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে।
১৮৮৯ সালের এই দিনে অবিভক্ত ভারতের কলকাতায় প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হয়।
১৯২১: মঙ্গোলিয়ায় গণপ্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করল লাল ফৌজ
১৯৩০ সালের এই দিনে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার ডন ব্রাডম্যান এক দিনে ৩০৯ রান করার রেকর্ড করেন, পরে টেস্ট ম্যাচে তা ৩৩৪ রানের সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়েছিল।
১৯৫৬: সাহিত্যিক অমিতাভ ঘোষের জন্ম
১৯৬২: প্রথম ট্রান্সআতলান্তিক স্যাটেলাইট টেলিভিশনের সম্প্রচার শুরু হল
১৯৬৭: সাহিত্যিক ঝুম্পা লাহিড়ির জন্ম
১৯৭২: বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম খেলা ববি ফিশার ও বরিস স্পাসকির মধ্যে শুরু হল
১৯৭৯: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম মহাকাশ স্টেশন স্কাইল্যাব পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে। সেটিকে ভারত মহাসাগরে ফেলে ধ্বংস করা হয়।
২০০৬: মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ২০৯জনের মৃত্যু
২০১২: আবিষ্কার হল প্লুটোর পঞ্চম উপগ্রহ এস/২০১২ পি ১

11th  July, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৭.৫৫ টাকা ৬৯.২৪ টাকা
পাউন্ড ৮৪.১০ টাকা ৮৭.২৪ টাকা
ইউরো ৭৫.৬৬ টাকা ৭৮.৫৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৫,২০৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৩,৪০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৩,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,৩০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৪০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৭ আষা‌ঢ় ১৪২৬, ১২ জুলাই ২০১৯, শুক্রবার, একাদশী ৪৮/৪০ রাত্রি ১২/৩১। বিশাখা ২৭/১৪ দিবা ৩/৫৭। সূ উ ৫/৩/১৩, অ ৬/২০/৫৩, অমৃতযোগ দিবা ১২/৮ গতে ২/৪৮ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৬ গতে ২/৫৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৮ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৮/২২ গতে ১১/৪২ মধ্যে, কালরাত্রি ৯/১ গতে ১০/২১ মধ্যে।
২৬ আষাঢ় ১৪২৬, ১২ জুলাই ২০১৯, শুক্রবার, একাদশী ৫৩/৮/৩৭ রাত্রি ২/১৮/৩৩। বিশাখানক্ষত্র ৩৪/৮/৪১ সন্ধ্যা ৬/৪২/৩৪, সূ উ ৫/৩/৬, অ ৬/২৩/৬, অমৃতযোগ দিবা ১২/৯ গতে ২/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৩০ মধ্যে ও ১২/৪৬ গতে ২/৫৫ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৫/৩ মধ্যে, বারবেলা ৮/২৩/৬ গতে ১০/৩/৬ মধ্যে, কালবেলা ১০/৩/৬ গতে ১১/৪৩/৬ মধ্যে, কালরাত্রি ৯/৩/৬ গতে ১০/২৩/৬ মধ্যে।
৮ জেল্কদ
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বৃষ: কোনও উচ্চতর পদের জন্য ডাক আসবে। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮২৩: কলকাতা বন্দর থেকে ছাড়ল ভারত নির্মিত প্রথম বাষ্পচালিত জাহাজ ...বিশদ

07:03:20 PM

রাজাবাজারে গুলি চালনার ঘটনায় ধৃত ১ 

06:47:00 PM

চৌবাগা খালে বাস উল্টে জখম বেশ কয়েকজন 

06:32:34 PM

মুর্শিদাবাদের প্রদীপপাড়ায় তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীকে গুলি করে খুন

04:06:59 PM

৮৭ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স 

03:59:16 PM