বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
শিলিগুড়ি যেতে ডুয়ার্সের জঙ্গলের ভিতর দিয়ে যাওয়া উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের এই রেলপথকে বলা হয় ডুয়ার্সের মানুষের লাইফলাইন। সেই রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ হওয়ায় ডুয়ার্সের যোগাযোগ ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়েছে। তাই বিভিন্ন মহল থেকে দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করার দাবি উঠেছে। এদিকে ধস আটকাতে রেল কর্তৃপক্ষ আলিপুরদুয়ার জংশন ও নিউ কোচবিহার থেকে এদিন সকালেই বোল্ডার নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আন্ডারপাসের পিলার ও রেল লাইনের পাশে মাটির ধস আটকানোর কাজ করছেন রেলের ইঞ্জিনিয়ানিয়ারিং বিভাগের লোকজন।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার অমরমোহন ঠাকুর বলেন, ধস আটকাতে রেলের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ইঞ্জিনিয়ারদের ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার মধ্যে এই ধস মেরামতের। কিন্তু ঘিস নদীর জল ক্রমশ বেড়েই চলেছে। ফলে নির্দিষ্ট সময়ের আগে ধস মেরামত করার কাজ শেষ করা যাবে কিনা তা এখনই নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়।
রেলের কথাতেই পরিষ্কার বৃহস্পতিবার বিকালে বা সন্ধ্যার মধ্যে ধস মেরামত না হলে আজ শুক্রবারও ডুয়ার্সের জঙ্গলের ভিতর দিয়ে যাওয়া উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের ১৬৪ কিমি এই রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকতে পারে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘিস নদীর জল উত্তরোত্তর বেড়ে যাওয়ায় বাগরাকোট ও ডামডিমের মাঝে রেল লাইনের পাশে মাটির ওই ধস আটকানো খুবই মুশকিল হয়ে পড়েছে। ধস আটকাতে হিমশিম অবস্থা হচ্ছে রেলের ইঞ্জিনিয়ারদের। তবুও ধস আটকাতে রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। ফলে ওই রুটে কবে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে তা এখনই বলা মুশকিল। বাগরাকোট ও ডামডিমের মাঝে এই ধসের কারণে ইন্দোর এক্সপ্রেস, মহানন্দা এক্সপ্রেস, ক্যাপিটাল এক্সপ্রেস ও কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসকে নিউ কোচবিহার-ফালাকাটা-নিউ জলপাইগুড়ি দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। রেললাইনে ধসের কারণে আলিপুরদুয়ার জংশন ও শিলিগুড়ি জংশনের মধ্যে চলা পাঁচটি ডিইএমইউ ও দু’টি প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। বাতিল হওয়া প্যাসেঞ্জার ট্রেন ও ডিইএমইউ ট্রেনগুলির মধ্যে আছে শিলিগুড়ি-আলিপুরদুয়ার জংশন, শিলিগুড়ি জংশন-দিনহাটা, শিলিগুড়ি জংশন-ধুবুরি ও শিলিগুড়ি-বামনহাট।