বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
বিপ্লব মিত্র বলেন,পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে যেভাবে আমাদের বিজেপির সদস্যদের ভয় দেখানো হচ্ছে তা অত্যন্ত নোংরা রাজনীতি। যখন সময় বদলাবে তখন এই পুলিসরা কোথায় যাবে? আমাদের সঙ্গে ১০ জন সদস্যই আছেন। তাঁদের ভয় দেখানো হচ্ছে। যার কারণে এদিন অনেকে আসেননি। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তৃণমূলের জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ বলেন, ভয় এবং টাকার লোভ দেখিয়ে আমাদের দল থেকে জেলা পরিষদ সদস্যদের বিজেপিতে নিয়ে গিয়েছেন বিপ্লববাবু। তাঁরা দিল্লি গিয়ে সেটা বুঝতে পেরেছেন। আজকে ছয়জন ছিলেন। আগামীতে কেউই থাকবে না। শুধু সময়ের অপেক্ষা।
বৃহস্পতিবার জেলা বিজেপির তরফে বিপ্লববাবু ও নবাগত জেলা পরিষদের সদস্যদের সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। এদিন নাট্য মন্দিরে কয়েকশো বিজেপির কর্মীর উপস্থিতিতে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়। সভার শুরুতেই সকলের চোখে পড়ে সেখানে জেলা পরিষদের ১০ জন সদস্যর মধ্যে অনেকেই নেই। এনিয়ে চর্চা, গুঞ্জন শুরু হয়ে যায়। পরিস্থিতি বুঝতে পেরে মঞ্চ থেকে ঘোষণা করা হয় ১০ জন সদস্যই উপস্থিত রয়েছেন। যদিও এদিন ওই নবাগতদের মধ্যে ছয়জনের বেশি কাউকে দেখা যায়নি। সেখানে সভাধিপতি লিপিকা রায়, মফিজউদ্দিন মিঁয়া, চিন্তামণি বিহা, প্রতিভা মণ্ডল, শঙ্কর সরকার, শিপ্রা নিয়োগীকেই শুধু দেখা যায়। বাকি চারজন গৌরী মালি, ইরা রায়, পঞ্চানন বর্মন ও বিশ্বনাথ পাহানকে দেখা যায়নি। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে গরহাজির সদস্যরা কি তাহলে পুরনো প্যাভিলিয়নেই ফিরছেন?
এদিকে বিপ্লববাবুকে অনুষ্ঠান স্থলে দেখতে পেয়েই উপস্থিত অনেক বিজেপি কর্মী বেরিয়ে যান। তাঁরা বলেন, তাঁদের জানানো হয়েছিল কর্মিসভা রয়েছে। বিপ্লববাবুকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে জানলে তাঁরা এখানে আসতেন না। এদিন গঙ্গারামপুর থেকে বিপ্লব মিত্রের সঙ্গে আসা তাঁর অনুগামীদের বিজেপির কর্মীদের সঙ্গে বসতে দেওয়া হয়নি। তাদের নাট্য মন্দিরের উপরে থাকা চেয়ারে বসতে দেওয়া হয়। সংবধর্না শেষ করে বিপ্লববাবু সভাধিপতি লিপিকা রায় ও আরও পাঁচ সদস্যকে নিয়ে জেলা পরিষদে ঢোকেন। সেখানে বিপ্লববাবু দাবি করেন, সাত জন সদস্য উপস্থিত আছেন। কিন্তু সেখানেও জেলা পরিষদের ছয়জন সদস্যকেই দেখা যায়।