বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের ট্রাফিক বিভাগের সহকারী পুলিস কমিশনার প্রবীর মণ্ডল বলেন, বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি শহরে যানজট কিছুটা বেশি ছিল। বৃষ্টির জন্য যানবাহনের গতি কম থাকায় এই সমস্যা হয়েছে। তাছাড়া দার্জিলিং মোড়ের সেতুতে বেশ কয়েকটি বড় মাপের গর্ত হওয়ার যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সমস্যা সমাধানের জন্য রেলের ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে কথা হয়েছে। যদিও বৃষ্টি কমার পর কিছু কাজ হয়েছে। শুধুমাত্র সিভিক ভলান্টিয়ারদের দিয়েই আমরা ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করিনি। প্রতিটি পয়েন্টেই দক্ষ ট্রাফিক কর্মীরা ছিলেন।
বৃষ্টির কারণে ছাতা হাতে নিয়ে ট্রাফিক কর্মীদের সেভাবে বিভিন্ন ট্রাফিক পয়েন্টে দেখা যায়নি। সবক’টি জায়গাতেই সিভিক ভলান্টিয়াররা ময়দানে ছিলেন। হাসমিচক থেকে সেভক মোড় হয়ে পানিট্যাঙ্কি ট্রাফিক গার্ড কিংবা জংশন বা দার্জিলিং মোড় যেতে গিয়ে এদিন থমকে গিয়েছে গাড়ির চাকা। বৃষ্টির মধ্যেও ট্রাফিকের সবুজ সিগন্যালের জন্য ঠাঁই দাঁড়িয়ে থেকে অনেকেই উষ্মা প্রকাশ করেছেন। তাঁদের দাবি, ট্রাফিক বিভাগের কনস্টেবল কিংবা এএসআই’দের একাংশ বৃষ্টিতে ভিজবেন এই ভয়ে নিজেরা রাস্তায় না নেমে ট্রাফিক আইল্যান্ডে বসে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করেছেন। আর ছাতা মাথায় রাস্তায় নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল সিভিকদের। প্রশিক্ষণহীন ওই সিভিক কর্মীরা তাই যানজট সামলাতে গিয়ে নাকানিচোবানি খেয়েছেন। বৃষ্টিতে যানজটে দীর্ঘক্ষণ ফেঁসে মোটর বাইক, স্কুটার চালক কিংবা টোটো, অটো চালকদের ভিজতে হয়েছে। যদিও ট্রাফিক বিভাগের শীর্ষকর্তারা এমন অভিযোগ মানতে নারাজ। তাঁরা মেনে নিয়েছেন এদিন অন্যদিনের থেকে বেশি যানজট হয়েছে। তবে ট্রাফিকের দায়িত্ব সামলানো পুলিস কর্মীরা রাস্তাতেই ছিলেন। ট্রাফিক পুলিস কর্তাদের দাবি, বৃষ্টির জন্যই বিভিন্ন যানবাহনের গতি কম থাকায় যানজট হয়েছে।
এদিকে বৃষ্টির জন্যই নয়, প্রায়ই রাত ৯টার পর জংশন, হাসমিচকে যানজট হয়। জংশন চত্বরে বিহার, কলকাতাগামী বাসগুলি যাত্রী তোলার জন্য রাস্তার একাংশজুড়ে দাঁড়িয়ে থাকায় এই সমস্যা প্রকট হয়। জংশনের দু’টি লেনেই এক সমস্যা ধরা পড়ে। হাসমিচক এলাকায় রাত ৯টার পর থেকে ট্রাফিক পুলিস চলে গেলে সিটি অটো, টোটো, বাস যেযার মতো করে দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলায় এই সমস্যা দেখা দেয়। এর জেরে অফিস ফেরত যাত্রীদের চরম দুর্ভোগের মুখে পড়তে হয়। একই অবস্থা হয় মাটিগাড়ার একটি উপনগরী এলাকার অটো স্ট্যান্ডে। সেখানে জাতীয় সড়কের উপরেই সিটি অটো, টোটো, বাস দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে। ফলে ওই রাস্তায় যানবহনের গতি রাত সাড়ে ৮টার পর থেকে থমকে যায়। বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী লোকেরা একাধিকবার বিভিন্ন মহল সরব হলেও কাজ কিছুই হয়নি বলে অভিযোগ তাঁদের।