বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
এদিন ঘরে ফেরা কাউন্সিলারদের সাংবাদিকদের সামনে দাঁড় করিয়ে পুরমন্ত্রী বলেন, কাউকে প্রাণনাশের, কাউকে ছেলে অপহরণের হুমকি দিয়ে এই সব কাউন্সিলারদের অনেককে বিজেপিতে যোগ দেওয়ানো হয়েছিল। মানসিক যন্ত্রণায় এঁরা তখন দলবদলে বাধ্য হয়েছিলেন। দলের ‘মোটাবাবু’ (ইঙ্গিত অমিত শাহ’র প্রতি)-র কাছে কাঁচরাপাড়ার ‘বাপ-ছেলে’ (ইঙ্গিত মুকুল রায় ও শুভ্রাংশু রায়ের প্রতি) নম্বর বাড়ানোর জন্য এই কাজে নেমেছিলেন। কিন্তু এই কাউন্সিলারদের হৃদয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম লেখা রয়েছে। বিজেপিতে যাওয়ার পর পানমশলা আর গাঁদা ফুলের গন্ধে ওঁদের দমবন্ধ হয়ে এসেছিল এই ক’দিনেই। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়েই তাঁরা আবার ফিরে এসেছেন পুরনো দলে। আমরাও তাঁদের সাদরে বরণ করে নিয়েছি। দু’-একদিনের মধ্যে আরও তিনজন কাউন্সিলার ফিরে আসবেন বলে কথা দিয়েছেন। তখন আমরা ফের সংখ্যাগরিষ্ঠতার জেরে হালিশহরের মতো এই পুরবোর্ডও দখল করব। তৃণমূল সূত্রের খবর, এরপর নৈহাটি ও গারুলিয়া পুরসভার ক্ষেত্রেও একইভাবে দলছুটদের দলে ফেরানোর অপারেশনে নামছে ঘাসফুল নেতৃত্ব।
লোকসভা ভোটের ফল বেরনোর এক সপ্তাহের মধ্যে দিল্লিতে গিয়ে বারাকপুর মহকুমার বিভিন্ন পুরসভার বহু তৃণমূল কাউন্সিলার একসঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদির দলে। মাস দেড়েকের মধ্যেই যে কোনও কারণেই হোক তাঁদের মোহভঙ্গ ঘটায় তাঁরা পুরনো দলে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিলেন। ঘরে ফিরে আসা এই পাঁচ কাউন্সিলার হলেন অলকানন্দা চৌধুরী, সঞ্জীব সাহা, বাণীব্রত মণ্ডল, কল্পনা দে ও আশাকুমারী। এঁদের মধ্যে অলকানন্দাদেবী আবার সম্পর্কে এলাকার বিধায়ক শুভ্রাংশু’র মামীশাশুড়ি হন। দলবদলের হিড়িক সত্ত্বেও যে পাঁচজন কাউন্সিলার শেষমেশ তৃণমূলেই থেকে গিয়েছিলেন সেই উৎপল দাশগুপ্ত, অলোকময় লাহিড়ি, সুভাষ চক্রবর্তী, সুজিত দাস ও সান্ত্বনা বিশ্বাসও এদিন সাংবাদিক বৈঠকে হাজির ছিলেন। তাঁদের দাবি, সব মিলিয়ে কাঁচরাপাড়া পুরসভায় তৃণমূলের শক্তি এই মুহূর্তে ১০ জন। আজকালের মধ্যে আরও তিনজন কাউন্সিলার যোগ দেবেন। ‘ঘর ওয়াপসি’র পর্ব আরও লম্বা হবে ভবিষ্যতে। যাই হোক না কেন, ২১ জুলাইয়ের আগে পুরসভা পুনর্দখল হবেই।
বিজেপি অবশ্য এই ঘর ওয়াপসিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছে না। তাই খাসতালুকে ধাক্কা খেলেও সেই অস্বস্তি সামনে আনতে চাইছেন না শুভ্রাংশুরা। শুভ্রাংশু এদিন বলেন, পরিস্থিতি, প্রশাসন এবং দাগী অপরাধীদের ত্রিফলা চাপে পড়ে ওই পাঁচজন তৃণমূলে ফিরেছেন। আমরা চাই, ওঁরা ভালো থাকুন। তবে এও জানি, আগামীদিনে ওঁরা আমাদের সঙ্গেই থাকবেন। তবে পুরসভার চেয়ারম্যান সুদামা রায়ের আক্ষেপ, বুধবার রাতেই মুকুলদার বাড়িতে আমরা সব কাউন্সিলার মিলে বৈঠক করলাম। সেখানেও ওঁরাও ছিলেন। তারপর কী এমন ঘটল যে, ওঁরা তৃণমূলে চলে গেলেন, তা আমিও বুঝছি না।