বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক দীপাপ প্রিয়া পি বলেন, পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হয়েছে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট রাস্তা পরিষ্কার করার কাজ করছে। শীঘ্রই শিলিগুড়ির সঙ্গে সিকিমের যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছি।
শিলিগুড়ি থেকে সেভক হয়ে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কটি সিকিমের লাইফ লাইন বলে পরিচিত। এই রুটের অধিকাংশ এলাকা ধসপ্রবণ। কয়েক দিনের বৃষ্টির জেরে বুধবার সেভকের বাঘপুলের কাছে ধস নামে। ফের বৃহস্পতিবার ভোরে সেভক কালী মন্দিরের কাছে ও শ্বেতীঝোরায় ব্যাপক ধস নামে। বিশাল বিশাল পাথর, নুরিপাথর, কাদামাটি, গাছ পড়ে রাস্তাটি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এরফলে এদিন সিকিমের অনেক পর্যটক শিলিগুড়ি আসতে গিয়ে আটকে পড়েন। কেউ কেউ অনেকটা ঘুরপথে কালিম্পং, দার্জিলিং হয়ে শিলিগুড়ি নেমে আসেন।
শুধু সেভক নয়, ধসের জেরে তিনধারিয়া হয়ে দার্জিলিং যাওয়ার রাস্তাও বন্ধ। ওই পথে টয়ট্রেনের লাইন ও রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে, টয়ট্রেন পরিষেবা আপাতত বন্ধ রয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পাহাড়ি শহর কার্শিয়াং ও মিরিকের কয়েকটি এলাকাতেও ধস নেমেছে। এর ফলে প্রায় ৮০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেসরকারি হিসাবে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীর সংখ্যা প্রায় ২৫০ জন। পরিস্থিতি নিয়ে দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলা প্রশাসনের কর্তারা এদিন দফায় দফায় বৈঠক করেন। দ্রুত জাতীয় সড়ক খোলার জন্য সবরকম চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন রকম সরঞ্জাম নিয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ ও বর্ডার রোডস অরগাইজেশন রাস্তা সাফাইয়ের কাজে নেমেছে। দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক বলেন, দ্রুত যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা হচ্ছে।
অন্যদিকে, বৃষ্টি ও ধসের জেরে শিলিগুড়ি থেকে ডুয়ার্সেও যেতে হচ্ছে ঘুরপথে। তাতে সময় অনেকটাই লাগছে। এমন আবহাওয়ায় শৈল শহর দার্জিলিং, জঙ্গলে ঘেরা ডুয়ার্স ও সিকিম ঘুরতে এসে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন পর্যটকরা। তাঁদের কেউ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে, আবার কেউ কেউ অন্যান্য রাজ্য থেকে এখানে এসেছেন। ওই পর্যটকদের একাংশ বলেন,দক্ষিণবঙ্গে এখন তীব্র গরম চলছে। তাই কিছুটা অন্যরকম আবহাওয়া উপভোগ করতে দু’-তিনদিনের জন্য দার্জিলিং পাহাড়ে এসেছি। কিন্তু, প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে ফেঁসে গিয়েছি।
এদিকে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে পাহাড়ে পর্যটকদের নিয়ে যেতে চাইছে না বেসরকারি ট্যুর অপারেটররা। শিলিগুড়ির একটি ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেল কোম্পানির পক্ষে দেবাশিষ মৈত্র বলেন, এটা পর্যটনের মরশুম নয়। তা হলেও বিভিন্ন জায়গা থেকে কিছু পর্যটক আসছেন। তবে, বৃষ্টি ও ধসের জেরে এখন পাহাড়ের রাস্তা বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। তাই প্রশাসনের পরামর্শ মতো এখন আর পাহাড়ে পর্যটকদের নিয়ে যাচ্ছি না।