বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
পুরুলিয়া সদর হাসপাতালের তিনতলায় রয়েছে মহিলা শল্য বিভাগ। লিফ্ট থেকে উঠেই বাঁদিকে থাকা ওই ওয়ার্ডে ঢোকার মুখে গেটের প্রায় পাঁচ ফুট এবং ওয়ার্ডের ভিতরেই পাঁচফুটের বেশি এলাকা জল থইথই অবস্থা। জমা জলের দুর্গন্ধে সমস্যায় পড়ছেন রোগী ও তাঁদের আত্মীয় থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা। দুমদুমি গ্রামের বাসিন্দা নিয়তি বাউরি বলেন, বেশ কয়েকদিন রোগীর সঙ্গে হাসপাতালে রয়েছি। চারদিনেরও বেশি সময় ধরে ওয়ার্ডে ঢোকার মুখেই ছাদ থেকে অনবরত জল পড়ে যাচ্ছে। ওয়ার্ডে ঢোকার ওই জায়গায় জল কাদায় ভর্তি। একাধিক রোগী ও রোগীর আত্মীয়ও ওই জলে পড়ে গিয়েছেন। কিন্তু, আমরা এসব কথা কাকে বলব বলুন। ওয়ার্ডের ভিতরে থাকা শৌচালয়ের অবস্থাও শোচনীয়। পুরুলিয়া শহরের নডিহা এলাকার বাসিন্দা গীতা কুণ্ডু বলেন, রোগীর সঙ্গে দু’দিন রয়েছি। আগে কেমন ছিল জানি না। তবে এসে থেকে দেখছি, জলে থইথই করছে। কোথা থেকে কীভাবে জল আসছে কিছুই জানি না।
ওই ওয়ার্ডেই ভর্তি বৈশাখী কুমারের স্বামী রাখহরি কুমার বলেন, সকাল থেকেই অনবরত জল ছাদ থেকে চুঁইয়ে পড়ছে। কখনও কম আবার কখনও বেশি। সকালে পরিষ্কার করার পর কিছুক্ষণ একটু ভালো থাকলেও পরে সেই একই অবস্থা। সাবধানে হাঁটাচলা করেও পড়ে যাচ্ছেন কেউ কেউ। ওয়ার্ডে ঢোকার মুখে একরম হওয়ায় রোগীকে নিয়ে যেতে গিয়েও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। সেই সঙ্গে ওই জলের দুর্গন্ধে টেকা দায় হয়ে উঠছে।
ওই ওয়ার্ডের ভিতরে গেটের একবারে সামনের দিকে ভর্তি থাকা কল্যাণী কুমার বলেন, ওয়ার্ডে জল তো রয়েছেই। বেড থেকে নামলেই জলে নামতে হচ্ছে। একবারে চূড়ান্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ।
আর এক রোগীর আত্মীয় ধনঞ্জয় মাহাত বলেন, এক আত্মীয় ভর্তি রয়েছেন। বৃষ্টি ছাড়া একরম জল জমে থাকতে দেখে চারতলায় গিয়েও বোঝার চেষ্টা করেছিলাম কোথা থেকে জল পড়ছে। স্পষ্টভাবে বুঝতে পারিনি। যেটুকু বুঝতে পারলাম চারতলার শৌচালয় থেকেই কোনওভাবে জল ছাদ চুঁইয়ে চুঁইয়ে পড়ছে তিনতলার ওয়ার্ডে। শল্য বিভাগে এভাবে রোগীদের একাংশকে থাকতে হচ্ছে। এতে তো আরও অসুস্থ হয়ে পড়বেন রোগীরা।
এবিষয়ে সদর হাসপাতালে কর্মরত নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক নার্স বলেন, শুধু ওয়ার্ডে নয়, ড্রেসিং রুমেও ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ছে গত কয়েকদিন ধরে। কীভাবে ওয়ার্ডে ঢুকতে হয় তা কেউ না দেখলে বিশ্বাস করবেন না। তাছাড়া শৌচালয়ের নোংরা জলের উপর দিয়ে গিয়েই কাজ করতে হচ্ছে।
রোগীর আত্মীয়রা আরও জানান, ওই ওয়ার্ডের শৌচালয়ের অবস্থাও শোচনীয়। রোগীর আত্মীয়দের একাংশ শৌচালয়ে নোংরা আবর্জনা থেকে শুরু করে বাড়তি খাবার ফেলে দিয়ে আরও অস্বাস্থ্যকর করে ফেলেছে। সদর হাসপাতালের শৌচালয়গুলি দিনে একাধিকবার পরিষ্কার করা না হলে সমস্যা মেটানো সম্ভব নয়।
ওয়ার্ডের সামনে ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ার বিষয়ে সদর হাসপাতালের কোয়ালিটি ম্যানেজার দেবদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, ওয়ার্ডের সামনে জল জমে থাকার বিষয়টি ঠিক নয়। কোনও ছাদ থেকে জল পড়ছে না। কয়েকদিন আগে একটা জায়গায় সমস্যা থাকলেও বর্তমানে কোথাও এরকম সমস্যা নেই।