বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা যাচ্ছে, বুধবার দুপুরে হাওড়ার ফোরশোর রোড দিয়ে বাইক চালিয়ে যাচ্ছিলেন আন্দুলের বাসিন্দা নীলোৎপল চক্রবর্তী। তিনি পেশায় কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। একটি বহুজাতিক সংস্থায় কর্মরত। বাইক চালানোর সময় চাকা পিছলে পড়ে যান নীলোৎপলবাবু। বাইকটি উল্টে যায়। ক্লাচের ফাঁকে পড়ে তাঁর বাঁ হাতের মধ্যমা থেঁতলে যায়। ওই অবস্থায় তিনি হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে যান। সেখানে কর্তব্যরত এক চিকিৎসক জানান, অপারেশন করে আঙুল জোড়া লাগাতে হবে। তা করা হয় সিএমআরআই হাসপাতালে। ঘটনাচক্রে ওই চিকিৎসক এই হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত। আঙুলটি বরফে মুড়ে একটি প্লাস্টিকে ভরে একবালপুর এলাকার ওই নার্সিংহোমে আসেন নীলোৎপলবাবু। সঙ্গে ছিলেন তাঁর পরিবারের লোকজনও।
তাঁর স্ত্রী পুলিসের কাছে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, হাসপাতালে আসার পর এই আঙুলটি তাঁরা দেন সেখানকার চিকিৎসকদের। তাঁদের জানানো হয়, বুধবার অপারেশন হবে না। বৃহস্পতিবার সকালেই অপারেশন করা হবে। এজন্য সমস্ত ব্যবস্থা করে রাখা হচ্ছে। সেইমতো এদিন সকালে তাঁরা হাসপাতালে পৌঁছে যান। আটটা নাগাদ নীলোৎপলবাবুকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। অপারেশন টেবিলে তোলার পর কাটা আঙুল চান চিকিৎসক। কিন্তু দেখা যায়, সেটি নেই। তন্ন তন্ন করে খোঁজ শুরু হয়। সিসিটিভি ফুটেজও দেখা হয়। কিন্তু কোথাও আঙুলের খোঁজ মেলেনি। দুপুর দুটো পর্যন্ত আঙুল না মেলায় চিকিৎসক জানিয়ে দেন এরপর অপারেশন সম্ভব নয়। কারণ সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে। নীলোৎপলবাবুর পরিবার দ্বারস্থ হন আলিুপুর থানায়। তাঁরা লিখিত অভিযোগ করেন হাসপাতালের বিরুদ্ধে। গাফিলতির অভিযোগ আনা হয়। তার ভিত্তিতে খোঁজখবর শুরু করে পুলিস। যোগাযোগ করা হয় হাসপাতালের সঙ্গে। ঘটনার পর হাসপাতালের তরফে একটি প্রেস রিলিজ প্রকাশ করা হয়। তাতে আঙুল খোওয়া যাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি। কেবল বলা হয়েছে, তাঁর বাঁ হাতের মধ্যমা আঘাতপ্রাপ্ত ছিল। কিন্তু আঙুলটি কোথায় গেল, তা নিয়ে একটি শব্দও খরচ করা হয়নি। শেষ লাইনে বলা হয়েছে, বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখছে। কিন্তু কী খতিয়ে দেখছে, তা স্পষ্ট নয়।