বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
এব্যাপারে জানার জন্য কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ লক্ষ্মীকান্ত রায়কে ফোন করা হলেও তিনি তা ধরেননি। মেসেজেরও উত্তর দেননি। তাই তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই এই কলেজে তৃণমূল ছাত্রপরিষদ ও অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সদস্যদের মধ্যে প্রায়ই গণ্ডগোল হচ্ছে। বুধবারের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে এদিনের গণ্ডগোলের সূত্রপাত হয়। এবিভিপি নেতা অনুভব মিশ্র বলেন, ওইদিন কলেজের সামনে রাখা আমাদের সংঠনের সমস্ত পতাকা ও মোদিজির বড় ফেস্টুন ছিঁড়ে কলেজের মধ্যেই পুড়িয়ে দেয় টিএমসিপির সদস্যরা। তা নিয়ে এদিন আমাদের কিছু সদস্য ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষর কাছে অভিযোগ জানাতে যান। তখন থেকেই গণ্ডগোল শুরু হয়। অধ্যক্ষের ঘরে আমাদের প্রতিনিধিরা ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা বহিরাগতদের কলেজের মধ্যে ঢুকিয়ে আমাদের সংগঠনের সদস্যদের মারধর শুরু করে। কলেজে বর্তমানে বিএ দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা চলছে। নাড়াজোল রাজ কলেজ ও চাঁইপাট কলেজের ছাত্রছাত্রীদের এখানে সিট পড়েছে। কলেজের মধ্যে মারধর শুরু হতেই পরীক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তাঁরা ভালোভাবে পরীক্ষা দিতে পারেননি বলে অভিযোগ।
গণ্ডগোলের সময়ই ঘাটাল কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক তথা ঘাটালের বিধায়কের পুত্র অংশুমান দোলই বাইকে করে কলেজে আসছিলেন। কলেজের গেট থেকে কিছুটা দূরে তাঁকে বাইক থেকে নামিয়ে বিজেপির যুব মোর্চার সদস্যরা বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। অংশুমানকে গুরুতর জখম অবস্থায় ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, বিজেপি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ঘাটাল কলেজে গণ্ডগোল করছে। এদিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা কোনও গণ্ডগোলের সঙ্গেই যুক্ত ছিল না। তবুও এবিভিপি বহিরাগতদের নিয়ে এসে কলেজের সামনে সন্ত্রাস চালিয়েছে।
এদিকে টিএমসিপি নেতাকে মারধরের পর থেকেই পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হতে শুরু করে। কলেজ চত্বরে বিভিন্ন এলাকা থেকে তৃণমূল ও বিজেপির দলীয় কর্মীরা জড়ো হতে শুরু করে। অভিযোগ, পুলিসের সামনেই বেশ কয়েকজন বিজেপির যুব মোর্চার সদস্যকে মারধর করে তৃণমূল। কয়েকটি বাইক ভেঙে দেয়। কয়েকটি ওষুধের দোকানে ভাঙচুর চালায় বলে বেঙ্গল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের কয়েকজন সদস্য অভিযোগ করেছেন। তাঁরা বলেন, আমাদের কোনও কথাই শোনা হয়নি। তৃণমূলের কর্মীরা লাঠি নিয়ে পুলিসের সামনেই আমাদের দোকানে ভাঙচুর চালায়। তবুও পুলিস নিষ্ক্রিয় ছিল। বিষয়টি মহকুমা শাসককেও জানানো হয়েছে। এদিকে, দুপুরের পর থেকে কলেজ চত্বরে র্যা ফ নামানো হলে বহিরাগতরা ছত্রভঙ্গ হয়। ঘাটাল থানার পুলিস জানিয়েছে, বিকেলের পর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এনিয়ে এসএফআইয়ের জেলা কমিটির সদস্য সায়ন শীল বলেন, টিআইসির ইচ্ছা থাকলেও কিছু করতে পারবেন না। কারণ কলেজটি ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে। টিআইসি ওই ওয়ার্ডেরই তৃণমূল কাউন্সিলার। কলেজে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। আই কার্ড ছাড়া কলেজের মধ্যে যাতে কেউ প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য নিরাপত্তা কর্মী ও সিসি ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। অথচ তৃণমূলের বহিরাগতরা কলেজের মধ্যে বড় বড় লাঠি, রড, হকিস্টিক নিয়ে প্রবেশ করে বর্তমান ছাত্রদের মারধর করছে।
যদিও এব্যাপারে তৃণমূলের টাউন সভাপতি অরুণ মণ্ডল বলেন, বিজেপি বেশ কয়েকদিন ধরে বহিরাগতদের নিয়ে এসে কলেজে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এদিনও বিজেপির লোকজন আমাদের জিএসকে মারধর করেছে। দোকান ভাঙচুরে তৃণমূলের কেউ যুক্ত নয়।