বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
সাধারণ ডিগ্রি কলেজে এই হাজিরা নিয়ে নানা সময় সমস্যা দেখা দেয়। সিবিসিএস চালু হওয়ায় গুরুত্ব বেড়েছে হাজিরার উপর। তবুও একাধিক কলেজের ছাত্রছাত্রীরা ঠিক মতো ক্লাস করেন না। পরে পরীক্ষার সময় ঘেরাও-বিক্ষোভ করে দাবি আদায়ের চেষ্টা করেন। আবার কোথাও ঝামেলা এড়াতে কলেজ কর্তৃপক্ষ কম হাজিরা থাকা সত্ত্বেও পড়ুয়াদের পরীক্ষায় বসার অনুমতি দিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে কোনও আপস করতে রাজি নয় এনসিটিই। প্রত্যেক হবু শিক্ষকের হাজিরার উপর নজর রাখতে এবার প্রযুক্তির সাহায্য নিচ্ছে তারা। জানা গিয়েছে, বিভিন্ন শিক্ষক-শিক্ষণ কেন্দ্রে হবু শিক্ষকরা নিয়মিত ক্লাস করছেন না। নিয়ম মতো পরীক্ষায় বসার জন্য ন্যূনতম হাজিরা থাকতে হয়। তবে বহু ক্ষেত্রেই তা মানা হচ্ছে না। অথচ, তাঁদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার ছাড়পত্র দিয়ে দিচ্ছে কলেজগুলি। এটা কোনওভাবেই কাম্য নয়। এইসব মেনে নেওয়া হবে না। কলেজে কলেজে বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
এনসিটিই’র কর্তারা জানিয়েছেন, শিক্ষকের মানোন্নয়নে যথেষ্ট জোর দেওয়া হচ্ছে। যাঁরা আগামীদিনে ছাত্রছাত্রীদের পড়াবেন, তাঁদের মানই যদি উন্নত না হয়, তাহলে যে উদ্দেশ্য নিয়ে পড়ানো হচ্ছে, তা সফল হবে না। তাছাড়া ভবিষ্যৎ গড়ার কারিগরদের নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করবে। সেটা যাতে না হয়, তার জন্য শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলির উপর জোরদার নজরদারি চালানো হচ্ছে। সব নিয়ম না মানলে, তাদের হয় বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে বা শাস্তি স্বরূপ অনুমোদন বাতিল করা হচ্ছে। এতদিন পরিকাঠামোর দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এবার সেখানে পড়তে আসা পড়ুয়াদের হাজিরা নিয়ে যে দুর্নীতি হচ্ছে, সেদিকে নজর পড়েছে এই নিয়ামক সংস্থার।
প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দিয়ে এনসিটিই জানিয়েছে, এই বিজ্ঞপ্তি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে কলেজগুলিকে বায়োমেট্রিক মেশিন বসাতে হবে। শুধু যে হবু শিক্ষকদের হাজিরা রেকর্ড করা হবে, তা নয়। শিক্ষকদেরও এই বায়োমেট্রিকের মাধ্যমে হাজিরা নথিভুক্ত করতে হবে। প্রত্যেক সপ্তাহে এই হাজিরার রেকর্ড ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে। সেটি ঠিক মতো করা হচ্ছে কি না, তার নজরদারি করবেন এনসিটিই মনোনীত প্রতিনিধি বা কোনও সংস্থা।