লখনউ, ১১ জুলাই (পিটিআই): দেশের বিরোধী-শাসিত রাজ্যগুলিতে সরকারকে ফেলার চেষ্টা করছে বিজেপি। বৃহস্পতিবার ট্যুইটারে এই অভিযোগ করলেন বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতী। একই সঙ্গে ‘দলবদলু’ বিধায়কদের সদস্যপদ খারিজ করতে কঠোর আইন প্রণয়নেরও দাবি জানান তিনি। কর্ণাটক এবং গোয়ায় যে ‘রাজনৈতিক নাটক’ চলছে, তারই প্রেক্ষিতে এদিন এই মন্তব্য করেন মায়াবতী। কর্ণাটকের শাসক জোট কংগ্রেস-জেডি(এস)-এর ১৬ জন বিধায়ক ইতিমধ্যেই ইস্তফা দিয়েছেন। আবার গোয়ায় ১০ কংগ্রেস বিধায়ক দল বদলে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। মায়াবতী ট্যুইট করেন, ‘অর্থবল ও ইভিএমে কারচুপি করে কেন্দ্রে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। আর এখন তারা বিরোধী-শাসিত রাজ্যগুলিতে সরকার ভাঙার চেষ্টা করছে। ২০১৮ ও ২০১৯-এর বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের গ্লানি ঢাকতেই এটা করা হচ্ছে। বিএসপি এর কঠোর নিন্দা করছে।’ এখানেই না থেমে তাঁর আরও সংযোজন, ‘যেভাবে অর্থ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে কর্ণাটক এবং গোয়ায় বিধায়ক ভাঙার চেষ্টা করছে বিজেপি, তা দেশের গণতন্ত্রের উপর কলঙ্ক। যাঁরা এভাবে দলবদল করেন তাঁদের সদস্যপদ খারিজ করার বিষয়ে কড়া আইন আনার সময় এসে গিয়েছে।’
কর্ণাটকে বিধায়কদের গণ-ইস্তফার জেরে একেবারে খাদের কিনারে পৌঁছে গিয়েছে কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকার। বিধানসভার অধ্যক্ষ যদি ওই ইস্তফাগুলি গ্রহণ করে নেন, তাহলে শাসক জোট তার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাবে। ২২৪ সদস্যের বিধানসভায় শাসক জোটের বর্তমানে ১১৬ জন বিধায়ক রয়েছেন। অন্যদিকে, গত বুধবার গোয়া বিধানসভার বিরোধী দলনেতা চন্দ্রকান্ত কাভলেকরের নেতৃত্বে ১০ কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপিতে যোগদান করেন। যার ফলে ৪০ সদস্যের বিধানসভায় বিজেপির শক্তি বেড়ে ২৭ হয়ে যায়। ২০১৭ সালের বিধানসভা ভোটে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে উঠে এসেছিল যে কংগ্রেস, বর্তমানে তারা মাত্র ৫ জন বিধায়কে এসে ঠেকেছে।