বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
তৃণমূল কংগ্রেসের মালদহ জেলা সভাপতি মৌসম বেনজির নুর বলেন, আমাদের দলনেত্রী প্রশান্ত কিশোরজির সঙ্গে বৈঠক করার নির্দেশ দিয়েছেন। মালদহ জেলা নিয়ে তাঁর সঙ্গে রাজনৈতিক চর্চা হবে। শুক্রবার আমরা বৈঠক করব। দলনেত্রী বরাবরই মালদহের প্রতি সংবেদনশীল। আমাদের জেলাকে নিয়ে তাঁর আলাদা উদ্যোগ আমাদের দায়িত্ব যেমন বাড়িয়ে দিয়েছে, তেমনি আমি ব্যক্তিগতভাবে দলনেত্রীর কাছে কৃতজ্ঞও বটে। সম্প্রতি আমাদের জেলা নেতৃত্বর সঙ্গেও দলনেত্রী বৈঠক করেছিলেন। সেখানে আমরা বলেছি এবার জেলায় ভালো ফল করতে আমরা সকলে আরও বেশি পরিশ্রম করব।
রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মালদহ জেলাকে নিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংগঠনিক বিস্তারের বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিলেন। নিজে নিজে বারবার মালদহ সফরে যেমন এসেছেন তেমনি অন্যান্য জেলা সফর করতে গেলেও মালদহকে কেন্দ্র করেই সফরসূচি তৈরি করেছেন। দলের মাত্র দু’জন বিধায়কের দু’জনকেই মন্ত্রী করে জেলার রাজনীতিতে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছেন। রাজনৈতিক মহলের একটি বড় অংশ বলছে, উন্নয়নে নিরিখে বিচার করলে মালদহ জেলার প্রতি নেত্রীর সংবেদনশীলতার নানা পরিচয় পাওয়া যায়। গোটা রাজ্যের অন্যতম বৃহত্তম উন্নয়ন কর্মসূচি ভূতনি সেতুর নির্মাণকাজ মালদহেই শুরু হয়েছে। এছাড়াও জেলার জন্য নানা উন্নয়ন কর্মসূচি সরকার নিয়েছে। কিন্তু সেভাবে নির্বাচনী সাফল্য তৃণমূলের ভাগ্যে জোটেনি। ২০১৪ সালে মালদহের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কে পর্যুদস্ত হতে হয়। দু’বছর পরে বিধানসভা নির্বাচনে মালদহের ১২টি বিধানসভার মধ্যে একটিও তৃণমূলের দখলে যায়নি। মালদহে দলের দুই দাপুটে মন্ত্রীও হেরে যান। সম্প্রতি পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাফল্য এলেও তা প্রশ্নাতীত নয়। কারণ তারপরপরই লোকসভা নির্বাচনে দলের দুই প্রার্থীকে তৃণমূল জেতাতে ব্যর্থ হয়েছে। মৌসমের মত দাপুটে সংসদ সদস্যও তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হতে পারেননি। যা তৃণমূল সুপ্রিমোকে মালদহ নিয়ে বিশেষ ভাবে ভাবতে বাধ্য করছে। সাম্প্রতিক সময়ে তৃণমূলের তেমন সাফল্য না জুটলেও তরতরিয়ে এগিয়েছে বিজেপি। নানান সমীকরণের উপর ভর করে এই মুহূর্তে মালদহে বিজেপি নেতৃত্ব তাদের অবস্থান অনেকটাই সুদৃঢ় করেছে। সেটিও বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তৃণমূল সুপ্রিমোর কাছে চিন্তার কারণ।
এই অবস্থায় দলের সাংগঠনিক রদবদল করে জেলা সভাপতি পদে নবীননেত্রী মৌসমকে বসিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে দলের পর্যবেক্ষক পদেও বদল এনেছেন। আর এবার দেশব্যাপী চর্চিত ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোরকে দিয়ে মালদহের জন্য বিশেষ রণকৌশল তৈরি করতে চাইছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেই পরিকল্পনার প্রেক্ষিতেই ভোটগুরুর সঙ্গে মালদহ জেলা সভাপতির আলাদা বৈঠকের ব্যবস্থা করা হয়েছে।