বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
এদিন গৌড়বঙ্গ জুড়েই আকাশ ভার হয়ে ছিল সঙ্গে বৃষ্টি। টানা ও মুষলধারে কখনও হালকা মাঝারি। বৃষ্টির কারণে জল জমে যাওয়ায় বেহাল নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে শহরবাসীরা পুরসভাকেই দুষছেন। এদিকে বৃষ্টির কারণে জেলায় জেলায় নদীর জল বৃদ্ধি হওয়ায় সেচ দপ্তর ও প্রশাসন নজরদারি শুরু করেছে।
এবিষয়ে মালদহের জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, নদীগুলিতে এখনও সর্তকতা জারি করা হয়নি। তবে নদীর জলের দিকে আমরা নজর রাখছি। ইংলিশবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূল কংগ্রেসের নীহার ঘোষ বলেন, মালদহের বাইরে রয়েছি। সুতরাং বৃষ্টি কেমন হয়েছে তা বলতে পারব না। তবে বৃষ্টি পড়লেও শহরে জল জমার মতো পরিস্থিতি আর নেই। নিকাশি ব্যবস্থার আগের থেকে অনেকটা উন্নতি হয়েছে।
মালদহ কৃষি দপ্তরের আবহাওয়া বিভাগের আধিকারিক কামাখ্যানাথ বসু বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলাজুড়ে ৩৪.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। তাতে স্বাভাবিকভাবেই কিছু নিচু অংশে জল জমতে পারে। ইসলামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান কানাইলাল আগারওয়ালা বলেন, শহরের নিকাশি নালাগুলি আগে থেকে পরিষ্কার করা হয়েছিল। জল জমলেও পরে তা নেমে গিয়েছে। বালুরঘাট পুরসভার প্রশাসক ইশা মুখোপাধ্যায় বলেন, জল নিকাশির বিষয়টি নজরে আছে। সমস্যা সমাধানের জন্য পদক্ষেপ করা হবে।
এদিন সকাল থেকে উত্তর দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় হালকা মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। পুরাতন মালদহ এবং ইংলিশবাজার শহরে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ভারী বর্ষণ হয়েছে। ইংলিশবাজার শহরের বেলতলা, আন্ধারুপাড়া, সর্বমঙ্গলাপল্লি, মালদহ মেডিক্যাল কলেজ চত্বর, রামকৃষ্ণপল্লি, সারদাপল্লি সহ বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির জল জমে। বেশকিছু এলাকায় রাস্তার উপর হাঁটু জল জমে যায়। পরে ধীরে ধীরে জল নামে। পুরাতন মালদহ শহরের কর্মকার পাড়া, গান্ধী কলোনি, খইখাট্টা, রসিলাদহ কলোনি, লক্ষ্মী কলোনি, মালদহ কোর্ট স্টেশন সহ বিভিন্ন এলাকায় জল জমে। বালুরঘাট শহরে অধিকাংশ এলাকায় বৃষ্টিতে জল জমে যায় পুরসভার বেহাল নিকাশির জেরে একাধিক এলাকায় ঘরবন্দি হয়ে যান নাগরিকরা। অল্প বৃষ্টিতেই শহরে এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়ায়। এদিকে বৃষ্টির কারণে ইসলামপুর পুরসভার শান্তিনগর, লোকনাথ পাড়ায় জল জমে দুর্ভোগ বাড়ে। রামকৃষ্ণপল্লিতে দীর্ঘক্ষণ জল দাঁড়িয়ে ছিল। পথচলতি মানুষ সমস্যায় পড়েন। এলাকার নিকাশি বেহাল থাকার কারণে ড্রেনের জল উপচে বাড়ি ঘরে ঢুকে যায় তাতে নাগরিকদের আরও দুর্ভোগ বাড়ে। রায়গঞ্জ শহরেও বৃষ্টিতে নাকাল হন বাসিন্দারা। শহরের বেশকিছু এলাকায় জল জমে যায়। নিকাশি সমস্যার জেরে ড্রেনের নোংরা জল রাস্তায় উঠে আসে। অনেক এলাকায় তা ঘরদোড়ে ঢুকে পড়ে। পরিস্থতির জন্য এদিন বাসিন্দারা শহরের নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে পুরসভার উদাসীনতাকেই দুষছেন।