বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
লাগাতার বর্ষণের জেরে জলপাইগুড়িতে তিস্তার জল বেড়েছে। এজন্য বৃহস্পতিবারও জলপাইগুড়ির দোমোহনি থেকে বাংলাদেশ সীমান্তে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ পর্যন্ত তিস্তায় হলুদ সংকেত জারি করা হয়েছে। বৃষ্টিতে জলপাইগুড়ি জেলা সদর, ময়নাগুড়ি ব্লক সদর ও শিলিগুড়ি শহরের বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এদিকে, সংকোশ নদীর ভাঙন ও জলোচ্ছ্বাসে কুমারগ্রামের অসম সীমান্তে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ভুটানের ফুন্টশোলিংয়ে তোর্সা নদীর উৎসস্থলে ভাঙন শুরু হওয়ায় তোর্সার জলে জয়গাঁ শহর প্লাবিত হওয়ার বড় আশঙ্কা করছে সেচ দপ্তর।
তুফানগঞ্জের কিছু এলাকা বাদ দিলে কোচবিহারে কোথাও নদী ভাঙন বা প্লাবনের কোনও খবর নেই। কোচবিহারের নদীগুলিতে অবশ্য জল বাড়ছে। এজন্য জেলাশাসক কৌশিক সাহা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বৃহস্পতিবার সরকারি সব দপ্তরকে নিয়ে বৈঠক করেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার সেচ দপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় কোচবিহারে ২৮.৮০ মিলিমিটার, তুফানগঞ্জে ৪৭.৪০, শিলিগুড়িতে ৫৭, আলিপুরদুয়ারে ৩৮.২০, হাসিমারাতে ১১৩, বানারহাটে ১৩৭, মালবাজারে ১৪২.২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। জলপাইগুড়ির জলঢাকা, করলা ও ডায়নাসহ জলপাইগুড়ির অন্যান্য নদীতেও জল বাড়ছে। ভারী বর্ষণে করলার জল উপচে জলপাইগুড়ি শহরে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। দিনভর বৃষ্টিতে জলপাইগুড়ির পবিত্রপাড়া, সেনপাড়া, পান্ডাপাডা, কংগ্রেসপাড়া ও নতুনপাড়া জলমগ্ন হয়।
বর্ষণে ময়নাগুড়ি পুরাতন বাজার, বিডিও অফিস পাড়া, ময়নাগুড়ি কৃষক বাজার, ঝাঝাঙ্গি, মধ্য খাগড়াবাড়ি ও তিস্তা নদীর চর সংলগ্ন পদমতী চর জলমগ্ন হয়েছে। ময়নাগুড়ি-ধূপগুড়ি ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের খানাখন্দ ইতিমতো ডোবায় পরিণত হয়েছে। মালবাজারে গত ২৪ ঘণ্টায় ভালো বৃষ্টি হলেও কোথাও প্লাবিত হওয়ার খবর নেই।
দিনভর বর্ষণে বিপর্যস্ত হয়েছে কোচবিহারের জনজীবনও। লাগাতার ভারী বর্ষণে জেলার তুফানগঞ্জ ব্লকের বেশকিছু এলাকা জলমগ্ন হয়েছে।
আলিপুরদুয়ারের নদীগুলিতে অবশ্য জল তেমন বাড়েনি। ভুটান লাগাতার বৃষ্টি হওয়ায় কুমারগ্রামের সংকোশ নদীতে জল বেড়েছে। সেচ দপ্তরের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের নির্বাহী বাস্তুকার নীরজ সিং বলেন, সংকোশ বাদে জেলার অন্য নদীগুলিতে জল বাড়েনি।
বৃহস্পতিবার সংকোশের জলোচ্ছ্বাসে ও অসংরক্ষিত এলাকায় ভাঙনের জেরে কুমারগ্রামের পূর্ব শালবাড়ি, বিষ্ণুপুর, মাঝেরডাবরি, বারুই পাড়া ও বারাবিশা চৌপথি জলমগ্ন হয়। তবে দুপুরের পর সব জায়গা থেকেই জল নেমে যায়।
লাগাতার বর্ষণে মাদারিহাটে পাহাড়ি খরস্রোতা নদী হাউড়ি, বাংরি ও তিতি ফুঁসছে। তিন নদীর জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মাদারিহাট-টোটোপাড়া ২২ কিমি রাজ্য সড়কের অনেক অংশ। ফলে মাদারিহাট থেকে টোটোপাড়া ও হান্টাপাড়া বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। টোটোপাড়ার ট্রলি লাইনে ৫০ মিটার অসংরক্ষিত এলাকা তোর্সার ভাঙনে উড়ে গিয়েছে।
দিনভর বর্ষণে শিলিগুড়ির কাওয়াখালি, সমরনগর, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের দেবাশিস কলোনী ও অম্বিকানগর এলাকাও জলমগ্ন হয়। দুপুরের দিকে অবশ্য এলাকাগুলি থেকে জল নেমেও যায়। শিলিগুড়িতে মহানন্দার জল বাড়ছে।