Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

কাটমানি ও শুদ্ধিকরণ
তন্ময় মল্লিক

সুশান্ত শীটের কথা মনে আছে? বাঁকুড়া জেলার জগদল্লা ১ নম্বর পঞ্চায়েতের সেই লরিচালক, যিনি পঞ্চায়েত ভোটে মাত্র আধবেলা নিজের বুথে প্রচার করে তৃণমূল কংগ্রেসের দশ বছরের পঞ্চায়েত সদস্যকে ৩৪৯ ভোটে হারিয়ে দিয়েছিলেন। লরির স্টিয়ারিং ধরে কড়া পড়া সুশান্তবাবুর সেই হাতেই এলাকার মানুষ তুলে দিয়েছিলেন পঞ্চায়েত পরিচালনার স্টিয়ারিং। আর উপপ্রধান হয়েছিলেন মিনি লরির চালক। রাজনীতির সঙ্গে দু’জনেরই বিন্দুমাত্র সম্পর্ক ছিল না। তবুও ভোটাররা তাঁদেরই জিতিয়ে দিয়েছিলেন। বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, রাজনীতিকে যারা কারবারে পরিণত করেছে মানুষ তাদের পছন্দ করে না। রাজনীতির কারবারিরা প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল। পঞ্চায়েত ভোটেই ছিল ঈঙ্গিত, সুযোগ পেলে মানুষ ধাক্কা দিতে তৈরি। আর সব কিছুর অভাব যতই থাক, গ্রামের রাজাদের মাটিতে আছড়ে ফেলে খান খান করে দিতে দড়ি ধরে টান মারার লোকের কিন্তু অভাব হবে না।
পরাধীন ভারতে রাজনীতির উদ্দেশ্য ছিল দেশসেবা। তখন যাঁরা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাঁরা দেশকে, সমাজকে জীবন দেওয়ার জন্য জীবনধারণ করতেন। স্বাধীনতা লাভের পরেও যাঁরা রাজনীতিতে ছিলেন তাঁদের বেশিরভাগের চোখে ছিল দেশ ও সমাজ গড়ার স্বপ্ন। তাই গ্রামেগঞ্জে স্কুল, কলেজ করতে, হাসপাতাল গড়তে কেউ দিয়েছেন অর্থ, কেউ দিয়েছেন জমি। আর যাঁদের দেওয়ার মতো কিছুই ছিল না, তাঁরা দিতেন স্বেচ্ছাশ্রম। সকলের লক্ষ্য ছিল একটাই, দেশকে নতুন করে গড়তে হবে।
আর এখন? রাজনীতি যেন আক্ষরিক অর্থেই পেশা। গ্রামবাংলায় অনেকে একটা কথা বিদ্রুপ করে বলে, ‘যার নেই কোনও গতি, সে করে রাজনীতি।’ বিনা পুঁজির রমরমা কারবার। আর অধুনা কাটমানি ইস্যু সেই বিনা পুঁজির ব্যবসার মূলেই হেনেছে আঘাত।
এই মুহূর্তে রাজ্যের সব চেয়ে জ্বলন্ত ইস্যু কাটমানি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাটমানি ইস্যু প্রকাশ্যে আনতেই রাজ্যজুড়ে ঝড় বয়ে যাচ্ছে। এই ঝড়ের মধ্যে দিয়েই কি একটা সার্বিক শুদ্ধিকরণের জোরদার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল? প্রশ্নটা কিন্তু মানুষের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, বাম জামানার শেষদিকে সিপিএম নেতৃত্ব যখন উপলব্ধি করেছিলেন, ‘গ্রামের মিনি রাইটার্স বিল্ডিং’ পঞ্চায়েতের হাত ধরে রন্ধ্রে রন্ধ্রে বাসা বেঁধেছে দুর্নীতি, ক্ষমতা আর অর্থের দম্ভে পার্টির কেষ্টবিষ্টুরা ক্রমশ হচ্ছেন জনবিচ্ছিন্ন, ঠিক তখনই দলের কয়েকজন শীর্ষ নেতা শুদ্ধিকরণের আওয়াজ তুলেছিলেন। কারণ তাঁরা বুঝেছিলেন, শুদ্ধিকরণ না করতে পারলে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে বামশাসনের ইমারত। সেই কথা মাথায় রেখে লোকাল কমিটি থেকে রাজ্য সম্মেলন সর্বত্রই শুদ্ধিকরণ ছিল চর্চার বিষয়। নেতারা মুখে শুদ্ধিকরণের বুলি আওড়ালেও কাজে করে দেখানোর সাহস পাননি। কারণ বুঝেছিলেন, ঠগ বাছতে গেলে গাঁ উজাড় হয়ে যাবে। কিন্তু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় কাউন্সিলারদের সভায় ‘অন ক্যামেরা’ কাটমানির প্রসঙ্গ তুলে দলীয় নেতাদের জনগণের কাছ থেকে নেওয়া কাটমানি ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
যাঁরা আবাস যোজনা, ১০০ দিনের কাজ, পঞ্চায়েতের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের জন্য কমিশন বা কাটমানি খেয়েছেন তাঁরা টাকা ফেরত দেবেন কি না, বা আদৌ দিতে পারবেন কি না, তা নিয়ে বিতর্কের অবকাশ থাকলেও তাঁর এই হুঁশিয়ারিতে নতুন করে কাটমানি খাওয়ার রাস্তা আপাতত বন্ধ। তাঁর এই ভাষণকে হাতিয়ার করে প্রধান বিরোধী শক্তি বিজেপির ছত্রচ্ছায়ায় চারিদিকে একটা মার মার, কাট কাট ব্যাপার শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণে কাটমানি-প্রিয় অনেক নেতা যে রুষ্ট হয়েছেন তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। অনেক জায়গায় ব্যক্তিগত ঝাল মেটানোর পালা শুরু হয়ে গিয়েছে। তারই মাঝে রাস্তাঘাটে, চায়ের দোকানে, পাড়ার মোড়ে এখন একটাই চর্চা, কাটমানি। অনেকেই বলছেন, দিদি ঠিক করেছে। কথায় কথায় কাটমানি খাওয়ার রাস্তাটা বন্ধ করে দিয়েছে। এত কাজের পরেও যাদের জন্য দলের ভরাডুবি হয়েছে তাদের শাস্তি পাওয়াই উচিত। সব চেয়ে বড় কথা, মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পর কাটমানি খাওয়ার সাহস এই মুহূর্তে কেউ দেখাবে না। কেউ কেউ বলছেন, লোকসভা ভোটের ধাক্কায় বেসামাল তৃণমূলকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে এই দহনের জ্বালাটুকু সহ্য করতেই হবে। দহনজ্বালা সহ্য করতে পারলেই খাদটুকু বেরিয়ে যাবে। তাতে অন্তত খাঁটি হওয়ার একটা সুযোগ অন্তত তৈরি হবে। আদিরা থেকে যাবে, ২০১১ সালের মুখে যারা মৌরসিপাট্টা গেড়ে বসেছিল, তারা নতুন করে পাওয়ার আশায় বেরিয়ে যাবে।
রাজা আসে, রাজা যায়। রাজা বদলায়। ২০২১সালে রাজ্যের রাজা বদলাবে কি না, সেটা সময় বলবে। তবে, লোকসভা ভোটের ফলাফলকে মাপকাঠি ধরে যাঁরা আগামী বিধানসভা ভোটের ভবিষ্যৎ
গণনা করতে চাইছেন তাঁদের কয়েকটি বিষয় ভেবে দেখা দরকার। প্রথমত, ২০১৯ সালে হয়েছে লোকসভা অর্থাৎ দেশের সরকার গড়ার ভোট, আর ২০২১ সালে হবে রা঩জ্যে সরকার গড়ার ভোট।
যোগ্য বিরোধী মুখ না থাকায় প্রধানমন্ত্রিত্বের
প্রশ্নে নরেন্দ্র মোদি যে অ্যাডভান্টেজ পেয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রিত্বের প্রশ্নে সেই একই বেনিফিট
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
দ্বিতীয়ত, রাজ্যের গ্রামীণ এলাকায় রাস্তাঘাট, পানীয় জল, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো, সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রভূত উন্নতি সত্ত্বেও লোকসভা ভোটে তৃণমূলের বিপুল পরাজয়ের অন্যতম প্রধান কারণ ছিল কাটমানি। বহু জায়গায় তৃণমূলের মাতব্বররা আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরি থেকে শুরু করে নির্লজ্জভাবে সমব্যথী প্রকল্পে পর্যন্ত হাত পেতে টাকা নিয়েছে। তাতে মাতব্বরদের বাড়ি, গাড়ি, ব্যাঙ্ক ব্যালান্স লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। কিন্তু, নিজের প্রাপ্যের টাকা অন্যের হাতে তুলে দেওয়ার যন্ত্রণায় আপনজনও যে পর হয়ে গিয়েছে, সেটা উপলব্ধি করার মতো বোধশক্তি মাতব্বররা হারিয়ে ফেলেছিল। মাতব্বররা বুঝতে পারেনি, ভোটের দিন তাদের পয়সায় যারা বিরিয়ানি, মাংস ভাত খেয়েছে তারাই চটের আড়ালে বোতাম টিপেছে পদ্মফুলে। তৃণমূলের খারাপ ফলের কারণ বিশ্লেষণে কাটমানির বিষয়টি সবচেয়ে বড় বলে ধরা পড়েছে। কোনওভাবে কাটমানি ক্ষোভ দূর করতে পারলেই উন্নয়নের বেনিফিট ঘরে তুলতে তৃণমূলকে খুব একটা বেগ পেতে হবে না।
নতুন দল গঠন করে সিপিএমের পাথর জমাট সংগঠনকে যিনি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন, তাঁকে খুব সাধারণ ভাবাটা বোকামি ছাড়া কিছুই নয়। সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভা ভোটের পর খুব ভালো করে বুঝেছেন, রাজ্যে যতই উন্নয়ন করা হোক না কেন, মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত যতই পরিষেবা দেওয়া হোক না কেন, হাসপাতালে যতই বিনা পয়সায় পরিষেবা দেওয়া হোক না কেন, কাটমানির পায়ে বেড়ি পরাতে না পারলে কোনও লাভ হবে না। এক ফোঁটা গোচোনা যেভাবে গোটা বালতির দুধ নষ্ট করে দেয়, তেমনই তৃণমূলের মাতব্বরদের কাটমানি খেয়ে ফুলে ফেঁপে ঢোল হয়ে ওঠা মুখ্যমন্ত্রীর সমস্ত ভালো কাজে কেরোসিন ঢেলে দিয়েছে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাটমানির মূলেই কুঠারাঘাত করেছেন। তাঁর এই ‘শুদ্ধিকরণ’ প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলে ২০২১ সালটা হবে ইতিহাস সৃষ্টির বছর। রচিত হবে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ের ইতিহাস।
এখানে একটা কথা বলে রাখা দরকার, পশ্চিমবঙ্গের মানুষ যেমন দুর্নীতি পছন্দ করেন না, তেমনই চান না বিশৃঙ্খলা। কাটমানি ইস্যুতে বিভিন্ন এলাকায় সিপিএমের গোডাউনে চলে যাওয়া ক্যাডাররা বিজেপির পতাকা নিয়ে সামনের সারিতে চলে এসেছে। ক্যাডাররা এখন ‘নো রিস্ক ফুল গেন’ থিওরিতে খেলে যাচ্ছে। কারণ মারছে সিপিএম, নাম ফাটছে বিজেপির।
প্রায় কোনও রকম সংগঠন ছাড়াই বিজেপি এরাজ্যে ১৮টি আসনে জিতেছে। সৌজন্যে নেগেটিভ ভোট। সাংগঠনিক ভোটে ধস নামতে সময় নেয়। কিন্তু, ফ্লোটিং ভোট ঘুরতে সময় নেয় না। কাটমানি ইস্যুতে দিকে দিকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়ায় অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে
পেশির আস্ফালন বাড়বে, বই কমবে না। এটা
গেরুয়া শিবিরের জন্য ভালো লক্ষণ নয়। তাই
সাবধান ও সতর্ক হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। তা
না হলে নেপোয় দই মেরে চলে যাবে, পড়ে থাকবে শুধু ভাঁড়টা।
30th  June, 2019
ঘোষণা ও বাস্তব
সমৃদ্ধ দত্ত

ভারত সরকারের অন্যতম প্রধান একটি প্রকল্পই হল নদী সংযোগ প্রকল্প। দেশের বিভিন্ন নদীকে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হবে। যাতে উদ্বৃত্ত জলসম্পন্ন নদী থেকে বাড়তি জল শুকনো নদীতে যেতে পারে। প্রধানমন্ত্রী বারংবার এই প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। গোটা প্রকল্প রূপায়ণ করতে অন্তত ১ লক্ষ কোটি টাকা দরকার। এদিকে আবার বুলেট ট্রেন করতেও ১ লক্ষ ৮০ হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে! আধুনিক রাষ্ট্রে অবশ্যই দুটোই চাই। কিন্তু বাস্তব প্রয়োজনের ভিত্তিতে বিচার করলে? কোনটা বেশি জরুরি? বিশদ

মোদি সরকারের নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি দেশকে কোন দিকে নিয়ে চলেছে
তরুণকান্তি নস্কর

 কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন দপ্তর থেকে সম্প্রতি জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১৯-এর যে খসড়া প্রকাশিত হয়েছে তার যে অংশ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে হই চই পড়েছিল তা হল বিদ্যালয় স্তরে ত্রি-ভাষা নীতির মাধ্যমে অ-হিন্দিভাষী রাজ্যে জোর করে হিন্দি চাপানোর বিষয়টি। তামিলনাড়ুর মানুষের প্রবল আপত্তিতে তা কেন্দ্রীয় সরকার প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
বিশদ

11th  July, 2019
কেন তেরোজন অর্থনীতিবিদ অখুশি হবেন?
পি চিদম্বরম

প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. অরবিন্দ সুব্রামনিয়ন পাঁচ বছর আগে তাঁর প্রথম অর্থনৈতিক সমীক্ষা (ইকনমিক সার্ভে ২০১৪-১৫) পেশ করে বলেছিলেন, ‘‘ভারত একটা সুন্দর জায়গায় (সুইট স্পট) পৌঁছে গিয়েছে—জাতির ইতিহাসে এটা বিরল—এইভাবে শেষমেশ দুই সংখ্যার মধ্যমেয়াদি বৃদ্ধির কৌশলে ভর করে এগনো যাবে।’’
বিশদ

08th  July, 2019
জলের জন্য হাহাকার আমাদের কি একটুও ভাবাচ্ছে!
শুভা দত্ত

আমাদের এখনও তেমন অসুবিধে হচ্ছে না। কারণ, কলকাতা মহানগরীতে এখনও পানীয় হোক কি সাধারণ কাজকর্ম সারার জলের অভাব ঘটেনি। ঘটেনি কারণ আমাদের জল জোগান যে মা গঙ্গা, তিনি এখনও বহমান এবং তাঁর বুকের ঘোলা জলে এখনও নিয়ম করে বান ডাকে, জোয়ার-ভাটা খেলে।
বিশদ

07th  July, 2019
এক বাস্তববাদী রাজনীতিকের নাম শ্যামাপ্রসাদ
হারাধন চৌধুরী

 নরেন্দ্র মোদির দ্বিতীয় সরকার নিয়ে বিজেপি তিন দফায় ভারত শাসনের দায়িত্ব পেল। কংগ্রেসকে বাদ দিলে ভারতের আর কোনও রাজনৈতিক দল এই কৃতিত্ব অর্জন করতে পারেনি। ২০১৯-এর লোকসভার ভোটে বিজেপি ক্ষমতা অনেকখানি বাড়িয়ে নিয়েছে। ২০১৪-র থেকে বেশি ভোট পেয়েছে এবং তিনশোর বেশি আসন দখল করেছে।
বিশদ

06th  July, 2019
চাকরি ও পরিকাঠামো উন্নয়নে প্রত্যাশিত দিশা দেখাতে পারল না নির্মলা সীতারামনেরও বাজেট
দেবনারায়ণ সরকার

 লোকসভা নির্বাচনের আগে গত ফেব্রুয়ারিতে বর্তমান বছরের (২০১৯-২০) অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করা হয়েছিল। নির্বাচনে বিপুল জয়ের পরে বর্তমান অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন দ্বিতীয় মোদি সরকারের বর্তমান অর্থবর্ষের পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করলেন। এই বাজেটে আয় ও ব্যয় অন্তর্বর্তী বাজেটে যা ধরা হয়েছিল সেটাই অপরিবর্তিত রইল।
বিশদ

06th  July, 2019
চীনা ঋণের ‘নাগপাশ’
মৃণালকান্তি দাস

বৈদেশিক ঋণের পাহাড় কীভাবে একটা দ্রুত বিকাশশীল অর্থনীতির চাকাকে স্তব্ধ করে দিতে পারে, শ্রীলঙ্কা তার ক্ল্যাসিক দৃষ্টান্ত। হামবানতোতা বন্দরকে ৯৯ বছরের লিজে চীনের কাছে হস্তান্তরে বাধ্য হওয়ার পর সেই ধারণাই আরও জোরালো হয়েছে। শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিবিদ উমেশ মোরামুদালি লিখেছেন, শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক ঋণের চেহারা আসলে যা ভাবা হচ্ছে, তার চেয়েও অনেক বেশি সাঙ্ঘাতিক। চীনের ঋণ একা দায়ী নয়। হামবানতোতা বন্দর নির্মাণের জন্য চীনের এক্সিম ব্যাঙ্ক থেকে শ্রীলঙ্কা যে ঋণ নিয়েছিল তার জন্য প্রতিবছর যে টাকা শোধ করতে হচ্ছে, সেটা শ্রীলঙ্কার মোট বার্ষিক ঋণ পরিশোধের ৫ শতাংশও নয়। অন্যভাবে বললে, হামবানতোতা আসলে হিমশৈলের চূড়ামাত্র।
বিশদ

05th  July, 2019
জি-টোয়েন্টির মঞ্চে ভারতের সফল কূটনীতি
গৌরীশঙ্কর নাগ 

বাস্তবিকই তাই। দ্বিতীয়বার জিতে প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর বিপুল জনসমর্থনকে ভারতের বহির্বাণিজ্য ও কূটনৈতিক নেটওয়ার্ককে মজবুত করার কাজে নিযুক্ত করেছেন। ইতিমধ্যে তাঁর দ্বিতীয়বার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে বিমস্টেকের অন্তর্গত সকল সদস্য রাষ্ট্র ও সাংহাই কোয়াপারেশন অর্গানাইজেশনের এখনকার সভাপতি কিরঘীজ রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণ জানিয়ে তিনি মোক্ষম চাল দিয়েছেন। 
বিশদ

04th  July, 2019
অ্যাঞ্জি, আয়লান ও মানবিকতার হত্যা
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 আরও একটা ছবি...। মর্মান্তিক বললেও কম। আর সেটাই গোটা দুনিয়ার চোখে আঙুল দিয়ে ফের দেখিয়ে দিল, মানবিকতার থেকে অর্থনীতির গুরুত্ব আজ অনেক বেশি। কালো টি-শার্ট, কালো শর্টস পরা শরীরটা মুখ থুবড়ে পড়ে রয়েছে কাদায়। আগাছার মধ্যে। টি-শার্টটা একটু উঠে। তার ফাঁক থেকে দেখা যাচ্ছে ছোট্ট আর একটা শরীর। ২৩ মাসের অ্যাঞ্জির।
বিশদ

02nd  July, 2019
রাজ্য মেধাতালিকা ও প্রান্তিক সুন্দরবন
সুব্রত চট্টোপাধ্যায়

 অনেকেই বলাবলি করেন: রাজ্যের মেধাতালিকায় কোথায় আর সুন্দরবন। কথাটা ঠিক নয়। ক্ষেত্রসমীক্ষা বলছে—মেধাতালিকায় সে-মাথায় দার্জিলিং তো এ-মাথায় সুন্দরবন। সদ্য বের হল জয়েন্টের মেধাতালিকা। পঞ্চম স্থানে অর্ক দাস। অর্কের শিকড় আসলে সুন্দরবন সন্নিহিত অঞ্চলে। খোদ সুন্দরবনের জ্ঞানপীঠ বিদ্যায়তনে ওর প্রাথমিক শিক্ষাগ্রহণ।
বিশদ

01st  July, 2019
এক জাতি, এক নির্বাচন, অনেক ভীতি
পি চিদম্বরম

 প্রধানমন্ত্রীকে আপনার বাহবা দিতে হবে যে সাধারণ মানুষের চিত্তবিক্ষেপ ঘটিয়ে দেওয়ার মতো ইস্যুগুলো তিনি খাড়া করে দিতে পারেন। তিনি এই বিষয়ে বাজি ধরেন যে বিরোধীরা বহু কণ্ঠে প্রতিক্রিয়া জানাবে এবং সেগুলি সবসময় অকাট্য বা যুক্তিনির্ভর হবে না।
বিশদ

01st  July, 2019
অশান্তি ঠেকাতে পুলিসের একাংশের ভূমিকা অশান্তি বাড়িয়ে দিচ্ছে না তো?
শুভা দত্ত

  পুলিসি দক্ষতা এবং সময়ানুগ সক্রিয়তা বজায় থাকলে অনায়াসে অনেক কিছুই সহজে মিটে যায় বা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। প্রাণও বাঁচে। কিন্তু, মার ঠেকাতে গিয়ে যদি পুলিসই প্রাণঘাতী মারমুখী হয়ে ওঠে তবে তো বিপদ। সেই বিপদের আভাস মিলেছে। যতদূর খবর, বিপদ যাতে বাড়তে না পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নিচ্ছে মমতা সরকার।
বিশদ

30th  June, 2019
একনজরে
 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রাজ্যের প্রতি বঞ্চনার প্রতিবাদ জানাতে দিল্লিতে বিধায়কদের সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল পাঠানোর বিষয়টি সরকার বিবেচনা করছে। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প সংস্থা বিক্রি করে দেওয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের পরিবর্তনের দাবিতে আনা একটি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার সময় পরিষদীয়মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই ...

 বিএনএ, চুঁচুড়া: ডাক্তারের গাফিলতিতে রোগীর মৃত্যু হয়েছে, এই অভিযোগে বৃহস্পতিবার রোগীর বাড়ির লোকজন বিক্ষোভ দেখালেন পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে। অবিলম্বে ডাক্তারকে গ্রেপ্তার করতে হবে বলে তাঁরা দাবি করেন। পরে বিশাল পুলিস বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনে। ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বৃহস্পতিবার প্রয়াত হলেন পাঁচ ও ছয়ের দশকে বাংলার অন্যতম সেরা লেগ স্পিনার সৌমেন কুণ্ডু (৭৭)। গত পাঁচ দিন ধরে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ছিলেন তিনি। সৌমেন কুণ্ডু বাংলা ও রেলের হয়ে রনজি ট্রফি খেলেছেন। ...

 ওয়াশিংটন, ১১ জুলাই (এএফপি): শরণার্থী এক মহিলার দুগ্ধপোষ্য শিশুকন্যার মৃত্যুতে কাঠগড়ায় উঠল মার্কিন প্রশাসন। নিন্দায় সরব হয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। প্রশাসনের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসের একাধিক সদস্যও। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস
১৮২৩ সালের এই দিনে ভারতের তৈরি প্রথম জাহাজ ডায়না কলকাতা বন্দর থেকে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে।
১৮৮৯ সালের এই দিনে অবিভক্ত ভারতের কলকাতায় প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হয়।
১৯২১: মঙ্গোলিয়ায় গণপ্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করল লাল ফৌজ
১৯৩০ সালের এই দিনে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার ডন ব্রাডম্যান এক দিনে ৩০৯ রান করার রেকর্ড করেন, পরে টেস্ট ম্যাচে তা ৩৩৪ রানের সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়েছিল।
১৯৫৬: সাহিত্যিক অমিতাভ ঘোষের জন্ম
১৯৬২: প্রথম ট্রান্সআতলান্তিক স্যাটেলাইট টেলিভিশনের সম্প্রচার শুরু হল
১৯৬৭: সাহিত্যিক ঝুম্পা লাহিড়ির জন্ম
১৯৭২: বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম খেলা ববি ফিশার ও বরিস স্পাসকির মধ্যে শুরু হল
১৯৭৯: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম মহাকাশ স্টেশন স্কাইল্যাব পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে। সেটিকে ভারত মহাসাগরে ফেলে ধ্বংস করা হয়।
২০০৬: মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ২০৯জনের মৃত্যু
২০১২: আবিষ্কার হল প্লুটোর পঞ্চম উপগ্রহ এস/২০১২ পি ১

11th  July, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৭.৫৫ টাকা ৬৯.২৪ টাকা
পাউন্ড ৮৪.১০ টাকা ৮৭.২৪ টাকা
ইউরো ৭৫.৬৬ টাকা ৭৮.৫৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৫,২০৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৩,৪০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৩,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,৩০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৪০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৭ আষা‌ঢ় ১৪২৬, ১২ জুলাই ২০১৯, শুক্রবার, একাদশী ৪৮/৪০ রাত্রি ১২/৩১। বিশাখা ২৭/১৪ দিবা ৩/৫৭। সূ উ ৫/৩/১৩, অ ৬/২০/৫৩, অমৃতযোগ দিবা ১২/৮ গতে ২/৪৮ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৬ গতে ২/৫৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৮ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৮/২২ গতে ১১/৪২ মধ্যে, কালরাত্রি ৯/১ গতে ১০/২১ মধ্যে।
২৬ আষাঢ় ১৪২৬, ১২ জুলাই ২০১৯, শুক্রবার, একাদশী ৫৩/৮/৩৭ রাত্রি ২/১৮/৩৩। বিশাখানক্ষত্র ৩৪/৮/৪১ সন্ধ্যা ৬/৪২/৩৪, সূ উ ৫/৩/৬, অ ৬/২৩/৬, অমৃতযোগ দিবা ১২/৯ গতে ২/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৩০ মধ্যে ও ১২/৪৬ গতে ২/৫৫ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৫/৩ মধ্যে, বারবেলা ৮/২৩/৬ গতে ১০/৩/৬ মধ্যে, কালবেলা ১০/৩/৬ গতে ১১/৪৩/৬ মধ্যে, কালরাত্রি ৯/৩/৬ গতে ১০/২৩/৬ মধ্যে।
৮ জেল্কদ
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বৃষ: কোনও উচ্চতর পদের জন্য ডাক আসবে। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮২৩: কলকাতা বন্দর থেকে ছাড়ল ভারত নির্মিত প্রথম বাষ্পচালিত জাহাজ ...বিশদ

07:03:20 PM

রাজাবাজারে গুলি চালনার ঘটনায় ধৃত ১ 

06:47:00 PM

চৌবাগা খালে বাস উল্টে জখম বেশ কয়েকজন 

06:32:34 PM

মুর্শিদাবাদের প্রদীপপাড়ায় তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীকে গুলি করে খুন

04:06:59 PM

৮৭ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স 

03:59:16 PM