বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
এদিকে বিএসএনএল নিয়ে সরকার নতুন করে চিন্তাভাবনা করছে। রুগ্ন সংস্থাকে বন্ধ করে দেওয়া অথবা বিক্রি করে দেওয়ার একতরফা সিদ্ধান্ত থেকে দ্বিতীয় মোদি সরকার সরে আসতে চাইছে, এরকমই একটি বার্তা দেওয়া হচ্ছে। সেই কারণেই ইতিমধ্যেই রেলের যাবতীয় উৎপাদন ইউনিটকে নিয়ে একসঙ্গে একটি রোলিং স্টক কোম্পানি গঠন করছে ভারত সরকার। একইভাবে বিএসএনএল এবং এমটিএনএলের লোকসানের জেরে সেই সংস্থা দু’টিকে বন্ধ না করে কীভাবে পুনরুজ্জীবিত করা যায় সেই পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্র। আর এই উদ্যোগ নিয়েছে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর। দু’টি সংস্থাকেই একটি আর্থিক প্যাকেজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর জানতে চেয়েছে, বেসরকারি টেলিকম সংস্থার সঙ্গে কেন পাল্লা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে বিএসএনএল। আর তাই একটি প্রস্তাব উত্থাপিত হচ্ছে, দরকার হলে বিএসএনএলের পুনরায় ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সর্বোচ্চ পদে একজন বেসরকারি টেলিকম কর্তাকে বসানো যেতে পারে। আর্থিক প্যাকেজের মাধ্যমে বিএসএনএল ও এমটিএনএলের দেড় লক্ষাধিক কর্মীদের স্বেচ্ছা অবসরের প্যাকেজও থাকবে। একটি কমিটি ইতিমধ্যেই গঠিত হয়েছে। সেই কমিটি আগামী দু সপ্তহের মধ্যেই রিপোর্ট দেবে।
তবে যে সব সংস্থার আগামীদিনে রাজস্ব বাড়ানোর সম্ভাবনা আছে, সেই সংস্থার জন্য বিশেষ পুনরুজ্জীবন প্যাকেজ দেওয়া হচ্ছে। তবে বিগতদিনের সাধারণ বাজেট এবং রেলবাজেটে ঘোষিত যেসব প্রকল্পের কাজ আটকে রয়েছে, সেগুলিতে আর নতুন করে অর্থবরাদ্দ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেসব রেলপ্রকল্পের কাজ জমি অধিগ্রহণ সহ অন্য কারণে থমকে রয়েছে দীর্ঘদিন কিন্তু প্রতি বছরই নিয়ম করে অর্থবরাদ্দ হয়ে চলেছে সেগুলি নিয়ে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সমীক্ষা করে যদি দেখা যায় ওই প্রকল্পগুলি আর বাস্তবায়িত হওয়ার সম্ভাবনা নেই, তাহলে অর্থবরাদ্দ বন্ধ করা হবে। এবং ধীরে ধীরে প্রকল্প বন্ধই করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবার বাজেটেও রেলের বরাদ্দ বিশেষ বাড়বে না। কারণ ঘোষিত প্রকল্প সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত আর কোনও বৃহৎ প্রকল্প ঘোষণা করা হবে না।