উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
শুক্রবার বিএসএনএলের কলকাতা সার্কেলের চিফ জেনারেল ম্যানেজার বিশ্বজিৎ পাল বলেন, আমরা গ্রাহক বাড়ানো বা ধরে রাখার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছি। তার মধ্যে সর্বাগ্রে আছে ল্যান্ডলাইন ও ব্রডব্যান্ড পরিষেবা। তাঁর কথায়, আমাদের অভিজ্ঞতা বলছে, মূলত তিনটি কারণে গ্রাহক ল্যান্ডলাইন ছেড়ে দিচ্ছেন। প্রথমত, যথাযথ পরিষেবা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ আসছে। দ্বিতীয়ত, ল্যান্ডলাইনটি চালু অথচ অব্যবহৃত হয়ে পড়ে আছে এবং মাসে মাসে টাকা গুনতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন অনেকে। মোবাইল ফোনে কাজ চলে যাওয়ায় ল্যান্ডলাইন ব্যবহার হয় না বলে জানান তাঁরা। তৃতীয়ত, দিনের পর দিন ফোনটি খারাপ হয়ে থাকলেও বিল মেটাতে হচ্ছে, এমন অভিযোগও উঠছে। বিশ্বজিৎবাবুর কথায়, যাঁরা ল্যান্ডলাইন পরিষেবা ছেড়ে দেওয়ার জন্য যখন আবেদন করেন, তখন তাঁদের থেকে জানতে চাওয়া হয় কেন তিনি ছেড়ে দিচ্ছেন। কিন্তু এবার আমরা আলাদা করে সেন্টার খুলছি, যেখানে কর্মীরা গ্রাহকের ফোন ছেড়ে দেওয়ার কারণটি খতিয়ে দেখবেন এবং সঙ্গে সঙ্গে তার সুরাহা করবেন। ফোন বিকল থাকলে, তা তৎক্ষণাৎ সারাই করা, বিকল ফোনের বিলের বহর কমানোর ব্যবস্থা করা বা অব্যবহৃত ফোনকে ব্যবহারযোগ্য করার জন্য সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের কাছে সেরা প্ল্যান বা অফারটি পৌঁছে দেওয়ার কাজ করবে ওই সেন্টারগুলি। কলকাতা সার্কেলের ১০টি এরিয়া সহ মোট ২০টি জায়গায় ওই সেন্টার খোলা হবে। বিশ্বজিৎবাবুর বক্তব্য, ২০১৭-’১৮ অর্থবর্ষে মাসে গড়ে ছ’হাজার গ্রাহক ল্যান্ডলাইন ছেড়ে দিতেন। পরের অর্থবর্ষে তা গড়ে সাত হাজারে দাঁড়িয়েছে। এদিকে, গত অর্থবর্ষে নতুন ল্যান্ডলাইন গ্রাহক এসেছে প্রায় ২০ হাজার। নতুন ব্রডব্যান্ড গ্রাহক ৬ হাজার ৫০০। আমরা নতুন গ্রাহক আরও বাড়াতে চাই এবং অনিচ্ছুকদের ফের গ্রাহক হিসেবে পেতে চাই। ল্যান্ডলাইনের উপকারিতা অনেকেই বোঝেন না। তা আমরা বোঝাতে চেষ্টা করছি। পাশাপাশি নতুন গ্রাহক আনতে বাড়ি বাড়ি যাবেন কর্মীরা। সেই তালিকায় ল্যান্ডলাইন ছেড়ে যাওয়া গ্রাহকও থাকবেন।
বিএসএনএল গ্রাহক হিসেবে বেশি টাকা খরচ করেন, এমন ব্যক্তিদের আলাদা করে চিহ্নিত করে, তাঁদের বাড়তি পরিষেবা দিতে চাইছে বিএসএনএল। আপাতত মাসে হাজার টাকা বিল দেন, এমন গ্রাহকদের অগ্রাধিকার দিতে চায় তারা। সেক্ষেত্রে তাঁদের অভিযোগের সুরাহা করতে বা বিকল ফোন বা ব্রডব্যান্ড চালু করতে প্রয়োজনে রবিবারও কাজ করবেন কর্মীরা। এমনকী দশটা-পাঁচটার অফিস টাইমের বাইরেও যাতে অতিরিক্ত চার ঘণ্টা সেই পরিষেবা দেওয়া যায়, সেই চেষ্টা চালাচ্ছে কলকাতা টেলিফোনস। এদিকে, বেশ কয়েকমাস ধরে লোকাল কেবল অপারেটরের মাধ্যমে ব্রডব্যান্ড পরিষেবা শুরু করেছিল বিএসএনএল। তারা জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৪০টি কেবল সংস্থার সঙ্গে কথা এগিয়েছে এবং ১৫টি সংস্থা পরিষেবা দিতে শুরু করেছে। সেই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা বিএসএনএল কর্তাদের।