সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
এলাকার বাসিন্দারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই এই এলাকায় অবৈধ এই চাষ হয়ে আসছে। এমনকী, যে বাড়িতে গাঁজা গাছ লাগানো হচ্ছে, তারাই সেখান থেকেই গাঁজা বিক্রি করছে। গাঁজার জন্য রাতে বহু অজানা মানুষের আনাগোনা লেগে থাকে। তাঁরা বলেন, ওদের হাত এতটাই লম্বা যে গাঁজাগাছ চাষ হচ্ছে জেনেও কেউই তাদের ঘাঁটাতে সাহস পায় না। একথা শোনার পরেই বিধায়ক নিজে গ্রামবাসীদের কাছ থেকে একটি কাটারি নিয়ে ওই বাড়িতে গিয়ে গাঁজাগাছ কাটতে উদ্যত হন। সেই সময় বাড়ির এক সদস্য বিধায়ককে আটকান। বিধায়ক তাঁকে বেআইনি এই গাছ লাগানোর বিষয়ে বলতেই আত্মপক্ষ সমর্থন করে তিনি জানান, গাছটি তাঁর বাড়িতে আপনাআপনি গজিয়েছে। গাঁজা বাবা মহাদেবের অত্যন্ত প্রিয়। তাই, আচমকা ঘরে গাঁজা গাছ গজানোয় গাছের পাতা এবং শুঁটি মানত করেছে বলে জানায়। এমনকী মানত দেওয়ার কাজ হয়ে গেলেই তিনি নিজেই গাছটি কেটে দেবেন।
পরে বিধায়ক গ্রামের অন্যান্যদের কাছ থেকে জানতে পারেন, শুধু ওই বাড়িতেই নয়, দুলেপাড়ার অনেকেই গাঁজা চাষ করছেন। এরপরই তিনি শক্তিগড় থানায় ফোন করে বিষয়টি জানান। ফোন পেয়ে শক্তিগড় থানার পুলিস সেখানে গিয়ে গাঁজাগাছ কেটে পরিষ্কার করে দেয়।
প্রসঙ্গত, আগে শক্তিগড়ের বলগনা গ্রামে গাঁজাচাষের ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু, সেই সময়ও পুলিস বা আবগারি দপ্তর তা বন্ধে কোনও উদ্যোগ নেয়নি। এবার এলাকার বিধায়ক নিজে গাঁজাগাছ কাটার উদ্যোগ নেওয়ায় খুশি গ্রামের লোকজন। তাঁরা বিধায়কের কাছে আর্জি জানান, তিনি যেন নিজে মাঝেমাঝেই এবিষয়ে উদ্যোগ নিয়ে এলাকায় যাতে বেআইনি এই চাষ না হয়, তার ব্যবস্থা করুন।
বিধায়ক তাঁদের আশ্বস্ত করে বলেন, এখন থেকে তাঁর বিধানসভা এলাকায় কোনও বেআইনি কাজ বরদাস্ত করা হবে না। এই ধরনের বেআইনি চাষের খবর পেলে সরাসরি পুলিসকে জানান। পাশাপাশি আমার গোচরেও বিষয়টি আনবেন। বিধায়কের এই উদ্যোগে তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
বর্ধমান শহর থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বে শক্তিগড় থানা লাগোয়া দুলেপাড়া সহ আশপাশের বেশকিছু গ্রামে এধরনের অবৈধ চাষ হওয়া সত্ত্বেও পুলিস কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এই প্রশ্নের উত্তরে জেলা পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, বাড়ির ভিতরে কোথায় কারা এধরনের অবৈধ চাষ করছ, তা পুলিসের পক্ষে জানা সম্ভব নয়। এনিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দাদের পুলিসকে সহযোগিতার প্রয়োজন। এই ধরনের বেআইনি কাজ নজরে এলে অবশ্যই পুলিস তার ব্যবস্থা নেবে। অভিযোগ এসেছে অথচ পুলিস ব্যবস্থা নেয়নি এমন নজির কেউ দেখাতে পারবেন না।