সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
তবে তাঁর এই বক্তব্যকে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছে না বিজেপি। দলের জেলা সহ সভাপতি তথা খড়্গপুর পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিন্সলার গৌতম ভট্টাচার্য বলেন, বিধায়ক থাকা অবস্থায় দিলীপবাবু এই শহরের উন্নয়নে কাজ করেননি, এই অভিযোগ ঠিক নয়। তাঁকে কাজ করতে দেওয়া হয়নি। পুরসভা থেকে চিঠি লিখে জেলাশাসককে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন তহবিলের টাকায় পুরসভা কাজ করতে পারবে না। আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের কাছে তা তুলে ধরব। পাশাপাশি তৃণমূল পরিচালিত পুরসভা এই শহরের উন্নয়নে যে ব্যর্থ, পুরসভা পরিচালনার ক্ষেত্রে যে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে, সেসব আমরা বাসিন্দাদের কাছে তুলে ধরব। প্রাথমিক আলোচনায় ঠিক হয়েছে, শীঘ্রই আমরা এসব নিয়ে প্রচারে নামছি। দলের সভা ডেকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
দলের আর এক জেলা সহ সভাপতি প্রেমচাঁদ ঝা বলেন, দিলীপবাবু বিধায়ক থাকায় এই শহরে রেলের অনেক উন্নয়নের কাজ হয়েছে। এখনও সেই কাজ চলছে। বাসিন্দারা তা জানেন। তাঁদের নতুন করে কিছু বলতে হবে না। তিনি সংসদ সদস্য হওয়ায় আরও উন্নয়ন হবে। আমরা ঠিক করেছি, মানুষের কাছে তা তুলে ধরব। দলের কাউন্সিলার অনুশ্রী বেহেরা বলেন, একটা পুরসভাই ওরা ভালো করে চালাতে পারে না। টাকা এসে পড়ে থাকলেও দ্বিতীয় জল প্রকল্পের কাজ এখনও শেষ করতে পারেনি। শুধু বিরোধী নয়, ওদের নিজেদের দলের কাউন্সিলারদের অন্ধকারে রেখে অনেক কাজ হচ্ছে। যেখানে অনিয়মও আছে। পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে সেই সব অভিযোগ ওদের দলের কাউন্সিলাররাও করেন। এসব খড়্গপুর শহরের বাসিন্দারা ভালো করেই জানেন। তাঁদের কাছে গিয়ে দিলীপবাবুর বিরুদ্ধে বলে কিছু লাভ হবে না। দিলীপবাবুকে সামনে রেখেই আগামী পুরসভা ও বিধানসভা উপনির্বাচনে আমরা জয়ী হব।